২:০২ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ২০, ২০২২ ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
পায়রা নদীতে ধরা পড়ল ১৫ কেজি ওজনের পাঙাশ
মৎস্য

বরগুনার আমতলীর পায়রা নদীতে জেলের বড়শিতে ১৫ কেজি ওজনের পাঙাশ মাছ ধরা পেড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় আমতলীর পায়রা নদীতে ১৫ কেজি ওজনের এই বিশাল পাঙাশ মাছটি ধরা পড়ে। পরে রাত ৯টায় আমতলী বাজারে ১৫ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বালিয়াতলীর নাননু বয়াতি নামে এক জেলের বড়শিতে এই পাঙাশ মাছটি ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি পায়রা নদীতে বড়শি পেতে মাছের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

রাত ৮টায় বুঝতে পারেন তার বড়শিতে বড় কোনো মাছ ধরা পড়েছে। অনেক কষ্টে মাছটি নৌকায় তোলেন। মাছটি দেখেই সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। পরে মাছটি রাত ৯টায় আমতলীর মাছ বাজারের নাহিদ মৎস্য আড়ৎদারের কাছে নিয়ে ওজন করে দেখেন মাছটির ওজন ১৫ কেজি। খুচরা মাছের বিক্রেতা জব্বার চৌকিদার আড়ৎ থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকায় মাছটি কিনে ফরিদপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

বিষয়ে আমতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাগর এবং নদীতে বিভিন্ন সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় পাঙাশ মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ অবাধে চলাচল করার সুযোগ পেয়েছে। তাই নদীতে এত বড় মাছ জেলের বড়শিতে ধরা পড়ল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৯, ২০২২ ৫:৩৮ অপরাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ল ১৯ কেজি ওজনের জাভা ভোল
মৎস্য

বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়া সাড়ে ১৯ কেজি ওজনের একটি জাভা ভোল মাছ।যা বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। কেজি প্রতি মাছটির মূল্য পড়েছে ৯ হাজার ৭৪৩ টাকা।

শুক্রবার সকালে বাগেরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের অনুপ কুমারের আড়ত থেকে মাছটি কিনে নেন বাগেরহাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. অলিল খলিফা।

এর আগে ১৭ আগস্ট বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মাসুমের মাছ ধরা ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

‘এফবি আলাউদ্দিন’ ট্রলারের মাঝি জাফর বলেন, সাগরে আবহাওয়া খারাপ থাকায় ইলিশ জালে ধরা পড়ছে না। তাই বাড়ি ফেরার শেষ মুহূর্তে সাগরে জাল ফেলা হয়। রাতে জাল টানার সময় জাভা ভোল মাছটি পাওয়ায় খুশি হয়েছি। কারণ এই মাছটির দাম অনেক। এমনিতেই ইলিশ পাচ্ছিলাম না। এখন মোটামুটি তেলের খরচটা ওঠেছে।

ভোল মাছ ক্রেতা মো. অলিল খলিফা বলেন, জাবা ভোল মাছের মণ ৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে সাড়ে ১৯ কেজি ওজনের মাছটি ক্রয় করেছি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায়। এখন এই মাছটি বরফ দিয়ে পিরোজপুর জেলার পারেরহাট নিয়ে, সেখান থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। আশাকরি ৫০ হাজার টাকা লাভ করতে পারব।

বাগেরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী বলেন, জাভা ভোল মাছ খুব একটা পাওয়া যায় না। এই মাছের ওষুধি গুণ থাকাতে এর মূল্য এত বেশি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওষুধ উৎপাদন সংস্থাগুলো এই মাছ কিনে নেয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৮, ২০২২ ১০:৩৬ অপরাহ্ন
চিরচেনা রুপে ফিরেছে কাপ্তাই হ্রদ
মৎস্য

চিরচেনা রূপে দীর্ঘদিন পর ফিরেছে রাঙামাটির সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। শুরু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ। রাতভর আহরণ করা মাছ জেলেরা ছোট ছোট বোটে করে নিয়ে আসছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন-বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে। প্রথম চার ঘণ্টায় ৩৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে।

বিএফডিসি সূত্র মতে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদ হতে ১৭ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন মৎস্য আহরিত হয়। সেখান থেকে রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০২২ সালে হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়।

দীর্ঘদিন পর অবতরণ ঘাটটিতে এখন ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য। শ্রমিকরা ব্যস্ত একের পর এক বরফ ভাঙতে। ড্রামে প্যাকিং শেষে আহরিত মাছ ট্রাকে তুলে দেওয়া হচ্ছে। গন্তব্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। ব্যবসায়ী, শ্রমিকদের হাঁকডাকে চিরচেনা রূপে ফিরেছে ঘাটটি।

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। তবে পানি কম থাকায় নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয় আরও দুই দফায় ১৭ দিন। তবে বিলম্বে হলেও মাছ ধরা শুরু হওয়ায় খুশি জেলেরা।

মাছ ব্যবসায়ী মাহফুজ উদ্দিন জানান, ‘দীর্ঘদিন ব্যবসা শুরু করলেও মাছের আকার ছোট থাকায় আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এই মাছ ঢাকায় বিক্রি করতো পারবো কিনা জানি না। আমাদের দাবি ছিল, আরও কিছুদিন বন্ধ রাখার। তাহলে এই মাছের আকার আরও বড় হতো। আমরা লাভবান হতাম।’

বিএফডিসির রাঙামাটি বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘প্রথম দিকে জালে ছোট মাছ বেশি আসে। কয়েকদিন পর এটি স্বাভাবিক হয়ে যায়। হতাশ হওয়ার কিছুই নেই। প্রথমদিনের মতো এভাবে মাছ ধরা অব্যাহত থাকলে গত বছরের চেয়ে রাজস্ব আয় বেশি হবে বলে আশাবাদ তাদের।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৭, ২০২২ ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
রঙিন মাছ চাষে ঘুরে দাঁড়ালেন শারীরিকভাবে অসুস্থ বেকার যুবক
প্রিয়মুখ

বাড়ির পাশে লীজ নেওয়া একটি পুকুরে মুক্তভাবে রঙিন মাছ চাষ করছেন শারীরিকভাবে অসুস্থ বেকার যুবক বিশ্বজিৎ।

তিনি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের পাঁচকাহুনিয়া গ্রামের শিবু মন্ডলের ছেলে। গত এক মাসে প্রায় ২০ হাজার টাকা মাছ বিক্রি করেছেন। পুকুরে এখনো লক্ষাধিক টাকার মাছ রয়েছে তার।

বিশ্বজিৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করে কর্মজীবন শুরু করেন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে।

২০১২ সালে ব্রেইন স্ট্রোক হয় তার। এরপর শরীরের ডানপাশ অবস হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসেন। দুইবছর বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। এখনও পুরোপুরি সুস্থ্য হননি। কিছুটা সুস্থ্য হলে একটি টং দোকান দেন কিন্তু সেখান থেকে উপার্জন ভালো না হওয়ায় রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন।

প্রথম দিকে বাড়িতে কয়েকটি ড্রামে এই মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। সেখানে মাছ বড় হতে থাকে। কয়েক মাস পর বিক্রিও করেন। এরপর চলতি বছরের মে মাসে পুকুরে বিদেশি জাতের রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন। মাছগুলো আকারে ছোট হলেও বেশ সতেজ ও বাহারি নানা রঙের। পুকুরে ১২ থেকে ১৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে।

বিশ্বজিৎ জানায়, তার বাবা একজন কৃষক। মাঠে তাদের চার বিঘা চাষযোগ্য জমি নেই। তার আরো দুই ভাই ও এক বোন রয়েছে। অভাবের সংসার হলেও বাবা আমাদের লেখাপড়াা শেখাতে কার্পন্য করেননি। আমি মাস্টার্স শেষ করেছি। চাকরিও শুরু করেছিলাম। কিন্তু স্ট্রোক আমার জীবনে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। কিছুটা সুস্থ্য হলে চলতি বছরের মে মাসে যশোরের চৌগাাছা মাছ ব্যবসায়ী সালমান সর্দারের নিকট থেকে গাপ্পি মলি, গোল্ডফিস, কমেন্ট, রেডটিকা, কইকাপ এবং প্লাটিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ কিনে আনি। এ পর্যন্ত পরিচর্যা ও মাছ ক্রয় বাবদ প্রায় ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. হাসান সাজ্জাদ জানান, শিক্ষিত বেকার যুবক বিশ্বজিৎ বাড়িতে একটি পুকুরে রঙিন মাছের চাষ করছে। তার মাছ চাষ পরিদর্শন করেছি। এলাকায় এ মাছ চাষ অনেকটা নতুন হওয়ায় মৎস অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৬, ২০২২ ৫:৪৫ অপরাহ্ন
ডিমওয়ালা ইলিশ চিনার উপায়
মৎস্য

ইলিশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। স্বাদে, গন্ধে এমনকি পুষ্টির দিক দিয়েও ইলিশ মাছ। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বাড়ে ইলিশ মাছের চাহিদা।

ইলিশ মাছ কিনতে গেলে কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কোনটি নদীর আর কোনটি সমুদ্রের, কোন মাছটি সুস্বাদু কিংবা কোনটিতে ডিম আছে তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।

অনকেরই ধারণা আছে, নদী আর সাগরের ইলিশের মধ্যে স্বাদে অনেক পার্থক্য আছে। তবে সব ইলিশই কিন্তু সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে ইলিশ আকারে যত বড় হবে, তার স্বাদ তত বেশি হয়।

বড় ইলিশকে পাকা ইলিশও বলা হয়। আবার বর্ষাকালে যেসব ইলিশ বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো বেশি সুস্বাদু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম ছাড়ার আগ পর্যন্ত ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে।

ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক কম। তবে ডিমওয়ালা মাছের চাহিদা বেশি। অনেকেই বাজার ঘুরে ডিমওয়ালা মাছ খোঁজেন। কীভাবে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ?

ডিমওয়ালা মাছ পাওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো অগাস্ট মাসের পর থেকে। তখন শুরু হয় ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম। একটানা তা চলে অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও বর্তমানে বাজারে বছরজুড়েই ইলিশ পাওয়া যায়।
সাধারণত ডিমওয়ালা ইলিশের পেট কিছুটা মোটা অর্থাৎ উঁচু থাকে। আকৃতি অনেকটা চ্যাপ্টা দেখায়। এছাড়া ডিমওয়ালা ইলিশের পেট টিপলেই পায়ুর ছিদ্র দিয়ে ডিম বেরিয়ে আসবে। এভাবে যাচাই করে সহজেই কিনতে পারবেন ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ।

ইলিশ মাছের মতোই এর ডিমেও আছে নানা পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ, ডি থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সবই পাবেন মাছের ডিমে। এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে মাছের ডিম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৬, ২০২২ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে চুন প্রয়োগ
মৎস্য

আমাদের দেশের অনেকেই এখন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মাছ চাষের সময় মাছের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তবে মাছ চাষের সময় পুকুর বা মাছ চাষের স্থানে চুন প্রয়োগ করলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। আজকের লেখায় আমরা জানবো পুকুর বা বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতা সম্পর্কে-

বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতাঃ
পুকুরে বা অন্য কোন স্থানে চুন প্রয়োগ করা হলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরে উকুনের বংশ বিস্তার রোধ করে। প্রোটোজোয়া রোগ বা এককোষী রোগ দমন করতেও চুন বেশ ভালো কাজ করে। পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরের পিএইচ এর মাণ বাড়লেও তা কমাতে সাহায্য করে। এতে মাছ চাষের পানির গুণাগুণ ঠিক থাকবে এবং মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

মাছ চাষের পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে মাছের ক্ষত রোগ বা আঘাত জনিত সারিয়ে উঠতে সাহায্য করে। পুকুরে কিংবা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করার সময় চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শরীর ও পানি পরিষ্কার হয়ে যায়। আর মাছ চাষের পানি ও মাছের শরীর ঠিক থাকলে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হবে না। ফলে মাছ চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

পুকুর বা জলাশয়ে চুন প্রয়োগ করার ফলে পুকুরের দূষিত পদার্থ, বর্জ্য ও আবর্জনা শোধিত হয়ে যায়। পুকুর বা জলাশয় দূষণমুক্ত হওয়ার ফলে মাছ চাষের পরিবেশ ঠিক থাকবে। চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যায় ও মাছের শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১৩, ২০২২ ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
এক ট্রলারেই ধরা পড়ল ৬০ মণ ইলিশ!
মৎস্য

বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান লঘুচাপ ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর কারণে তীরে ফিরতে পারেনি ‘বিসমিল্লাহ ফিশিং বোট’। বিপদ সংকেতে সমুদ্রে বৈরী আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে ৭ দিন পর ঘাটে ফিরতে সক্ষম হয় বোটটি। সেই বোটেই মিলল ৬০ মণ ইলিশ, যা নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিংয়ে এসব ইলিশ বিক্রি করা হয়।

বিসমিল্লাহ ফিশিং বোটের মালিক ও বোটটির প্রধান মাঝি গোলাম কিবরিয়া জানান, আমরা সমুদ্র সংকেতের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় তীরে আসতে পারি নাই। অনেক টাকা দেনা করে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছি, কিন্তু কূলে ফিরলে ঋণী হয়ে যাব। তাই যুদ্ধ করে সাগরে রয়ে গেছি। আলহামদুলিল্লাহ অনেক মাছ পেয়েছি। আমরা ২৩ জন মাঝি ৭ দিন সমুদ্রে মাছ ধরেছি। এত মাছ হবে কল্পনাও করি নাই। আমাদের জীবন সংগ্রামী জীবন। এই নদীই আমাদের জীবন। যা মাছ পেয়েছি সব মেঘনা ফিশং এ বিক্রি করেছি। ভালো দাম পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।

মেঘনা ফিশিংয়ের ম্যানেজার মো. হাবিব ভূঁইয়া জানান, নৌকাটির মালিক গোলাম কিবরিয়া মাঝি হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের চরচেঙা গ্রামের বাসিন্দা। সকালে বোটটি চেয়ারম্যান ঘাটে এসেছে। বিভিন্ন সাইজের মাছ ছিল। তবে বড় সাইজের ইলিশ মাছ বেশি ছিল। নিলামে দাম তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত ২২ হাজার ৫০০ টাকা করে ৬০ মণ ইলিশের দাম হয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২২ ২:৩৪ অপরাহ্ন
মিশ্র মাছ চাষে চুন ও সার প্রয়োগ করবেন যেভাবে
মৎস্য

আমাদের দেশে প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস হচ্ছে মাছ। মাছ চাষ দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং পুষ্টি সরবরাহে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

এখন পুকুর, ডোবা ছাড়াও চৌবাচ্চাতে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করা যায়। মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি ও ধরন রয়েছে। এসব পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে মিশ্র পদ্ধতিতে মাছ চাষ। এবার জেনে নিন যে পদ্ধতিতে মিশ্র মাছ চাষে চুন ও সার প্রয়োগ করবেন।

পুকুরে মাটি ও পানি অম্ল ও দূষণমুক্ত করা, মাছের রোগ জীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও পানিতে ক্যালসিয়াম বাড়াতে তথা পুকুরের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য চুন প্রয়োগ আবশ্যক। পুকুরের মাটি ও পানির গুণাগুণের ওপর চুনের সঠিক মাত্রা নির্ভরশীল।

সাধারণত পুকুরের তলদেশে শুকনা অবস্থায় পাথুরে চুন গুঁড়া করে শতাংশ প্রতি ১ কেজি হারে সারা পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

তবে অম্ল মান ৪ হলে ১০ কেজি, ৪.৫ হলে ৫ কেজি, ৫.৫ হলে ৩ কেজি, ৬.৫ হলে ২ কেজি প্রতি শতাংশে প্রয়োগ করতে হয়। চুন প্রয়োগের ২ থেকে ৩ দিন পর পুকুরে পানি সরবরাহ করতে হবে। পানি শুকানো না হলে পানি ভর্তি পুকুরে একই হারে চুন পানিতে গুলে সারা পুকুরে ঢালু পাড়সহ ছিটিয়ে দিতে হবে।

পুকুরে মাছের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণী জাতীয় প্রাকৃতিক খাদ্য বা প্লাঙ্কটন জন্মানোর জন্য পুকুরে জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। চুন প্রয়োগের অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন পর নিন্মলিখিত হারে সার প্রয়োগ করা যেতে পারে-

পানিতে বিষক্রিয়া থাকলে পোনা মারা যাবে বিধায় সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। পোনা ছাড়ার আগে পানির বিষক্রিয়া পরীক্ষা করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে যে কোনো পাত্রে পোনা রেখে অথবা পুকুরের পানিতে হাঁপা স্থাপন করে কিছু পোনা ছেড়ে অন্তত ২৪ ঘণ্টা রাখার পর পোনা মারা না গেলে পোনা ছাড়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। পোনা ছাড়ার আগের দিন পুকুরে ২-৩ বার হররা বা জাল টেনে নেয়া যেতে পারে।

পানি ও মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে সঠিক মাত্রায় উন্নতমানের পোনা মজুদের ওপরই মাছ চাষের সফলতা অনেকাংশে নির্ভরশীল। একক চাষের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৫ ইঞ্চি আকারের (৫-১০ গ্রাম ওজনের) পোনা নির্বাচন করাই উত্তম। ছোট আকারের পোনা মজুদে পোনা মৃত্যুর হার বেশি হবে এবং আশানুরূপ ফলন লাভের সম্ভাবনা কম থাকে।

সার প্রয়োগের ৮ থেকে ১০ দিন পর প্রাকৃতিক খাদ্য পরিমিত পরিমাণে পুকুরের পানিতে বিদ্যমান থাকলে প্রতি শতাংশ পুকুরে মোট ৩০ থেকে ৩৫টি চারা পোনা মজুদ করা যাবে। এর মধ্যে রুই ১০-১৫টি, কাতলা ৮-১০টি, মৃগেল ৮-১০টি, রাজপুটি ৫-৬টি, নাইলোটিকা ৫-৬টি পোনা প্রতি শতাংশে ছাড়তে হবে।

পোনা মাছ সকালে বা বিকেলে পাড়ের কাছাকাছি ঠান্ডা পরিবেশে ছাড়াই উত্তম। অতি বৃষ্টিতে বা কড়া রোদের সময় পোনা ছাড়া উচিত নয়। পুকুরে পোনা বেঁচে থাকার হার বাড়ানোর জন্য পোনা ছাড়ার কারিগরি পদ্ধতি অবশ্যই অনুসরণ করে পোনা ছাড়তে হবে।

নিকটবর্তী স্থানের জন্য পোনা পরিবহনের ক্ষেত্রে মাটির হাঁড়ি বা অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে পোনা পরিবহন করা যেতে পারে। তবে দূরবর্তী স্থানের জন্য অক্সিজেন ভর্তি পলিথিন ব্যাগে পোনা পরিবহন করা বেশি নিরাপদ। পুকুরে পোনা ছাড়ার সময় পোনা ভর্তি ব্যাগ বা পাত্রের অর্ধাংশ পুকুরের পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। এরপর ব্যাগ বা পাত্রের মুখ খুলে দিতে হবে।

এরপর পাত্র বা ব্যাগের কিছু পানি বের করে এবং পুকুরের পানি ভেতরে ঢুকিয়ে উভয় পানির তাপমাত্রা সমতায় আনতে হবে। যখন পাত্রের ভেতরের এবং পুকুরের পানির তাপমাত্রা সমান হয়েছে বলে প্রতীয়মান হবে তখন ব্যাগ বা পাত্রটিকে কাত করলে পোনাগুলো আপনা আপনি পুকুরে চলে যাবে।

পুকুরে পোনা মাছ মজুদের পর সাপ্তাহিক ভিত্তিতে নিয়মিতভাবে সার প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে জৈবসার যেমন, গোবর প্রতি ১৫ দিন অন্তর ১ কেজি অথবা হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ৫০০ গ্রাম হারে পুকুরে ছিটিয়ে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

এ ছাড়া প্রতি শতাংশে ইউরিয়া ৪০ গ্রাম ও টিএসপি ২০ গ্রাম হারে একটি পাত্রে ৩০ গুণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে অন্তত ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে রোদের সময় গোলানো সার সারা পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, পুকুরের পানি যদি অত্যধিক সবুজ রঙ ধারণ করে তাহলে সার প্রয়োগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। মেঘলা ও বৃষ্টির দিনে সার প্রয়োগ করা যাবে না।

তথ্য সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ৩:২৯ অপরাহ্ন
বাকৃবি প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর পেলেন মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২
প্রিয়মুখ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,বাকৃবি থেকে:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ন বিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর (মিল্লাত) মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ লাভ করেছেন।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুরকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ও আলোকিত মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সম্মননা প্রদান ও এক আলোচনা সভা আয়োজন করেছে।

গত ৬ আগস্ট বিকাল ৪টায় ঢাকার পল্টন টাওয়ারে ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরাম অডিটরিয়ামে “অলোকিত ও মানবিক সমাজ গঠনে জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ ও মহিয়সী নারী মাদার তেরেসার কর্মময় জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আর. খান আদনান, মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, প্রধান আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এডভোকেট মোঃ লতিফুর রহমান, জনাব বাবুল সরদার চাখারী, ও অন্যান্য বিশেষ অতিথি মন্ডলী।

আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতি জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী।

প্রধান অতিথির ভাষনে বিজ্ঞ বিচারপতি জনাব খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও মহিয়সী নারী মাদার তেরেসার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। পরে সম্মাননা প্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট প্রদান করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর উক্ত অনুষ্ঠানে ্উপস্থিত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন।

প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর বিগত ৩৬ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এর ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগে অধ্যাপনা করছেন। তিনি ২ বার বিভাগীয় প্রধান, ১ বার হল প্রভোস্ট, ফিশ মিউজিয়াম ও জার্মপ্লজম সেন্টারের পরিচালক ছিলেন।

বর্তমানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত। প্রফেসর ড. মোঃ আবুল মনসুর (মিল্লাত) রচিত “ফিশারিজ স্টাডিজ ১ম খন্ড, ২য় খন্ড, ৩য় খন্ড, ৪র্থ খন্ড” পাঠ্যপুস্তক সমূহ যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গৃহীত হয়েছে এবং ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তজার্তিক জার্ণাল, কনফারেন্স ইত্যাদিতে তাঁর শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ৭৫ জন এম. এস. ও পিএইচ.ডি ছাত্র-ছাত্রীর গবেষণা সুপাইভাইজার ও কো-সুপারভাইজার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১১, ২০২২ ২:৩৯ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ মেট্রিক টন
মৎস্য

গোপালগঞ্জে ২০৪১ সালে মধ্যে ১ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে মৎস্য অধিদপ্তরে আওতাধীন জেলা মৎস্য অফিস।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জেলা মৎস্য অফিস এ  উদ্যোগ নিয়েছে।

জলাভূমি বেষ্টিত  গোপালগঞ্জ জেলায় প্রতি বছরই জেলা মৎস্য অফিসরে তত্ত্বাবধানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ জেলায় উচ্চ ফলনশীল মাছ চাষে খামারীদের উদ্বুদ্ধ করছে জেলা মৎস্য অফিস। উচ্চ ফলনশীল জাতের কার্প, কই, শিং, পাবদা ও গুলশা ট্যাংরা চাষ করে খামারীরা লাভবান হচ্ছেন। সফল খামরীদের দেখাদেখি এ জেলায় মাছ চাষে ঝুঁকছেন নতুন নতুন খামারী।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায়  ২২৯ টি বিল ও জলাভূমি, ১০ টি নদী, ৬টি বাওড় ও ৩৩৪ টি খাল রয়েছে।

এসব উৎস হতে প্রতি বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন পুঁটি, ট্যাংরা, শৈল, মাগুর, কই, শিং, টাকি, খলিশা, গজার, রুই, কাতলা, বোয়াল, আইড়, চিংড়ি, ইলিশ, নান্দেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়। ১৯ হাজার ৩৫০টি বেসরকারি পুকুর ও ১৩২টি সরকারী খাস পুকুরে ১৭ হাজার ১৫৮ জন খামারী  ৩১ হাজার ২ শ’ মেট্রিক টন রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া,গ্রাসকার্প, কই, শিং, পাবদা,গুলশা ট্যাংরা, উৎপাদন করেন। এছাড়া ২ হাজার ৩৭৫ চিংড়ি ঘেরে ১০০০ খামারী ১ হাজার ৭শ’ ১৩ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন করেন। সব মিলিয়ে জেলায় ৪১ হাজার ৯ শ’১৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। প্রতি কেজি মাছ গড়ে ২ শ’ টাকা দরে খামারী ও মৎস্যজীবীরা বিক্রি করেন। সে হিসেবে এ জেলায় ৮ শ’ ৩৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার মাছ উৎপাদিত হয়।

জেলা মৎস্য  কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, এ জেলায় মাছ চাষের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া, সদর, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার বিশাল এলাকা বছরের ৭ মাস জলমগ্ন থাকে। ওইসব এলাকায় মাছ চাষ বৃদ্ধি করে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে মাছের উৎপাদন ১ লাখ মেট্রিক টনে উন্নিত করব। এতে মৎস খামরীর আয় দ্বিগুন হবে। সেই সাথে আমরা বিদেশে মাছ রপ্তানী করব। এছাড়া মাছের প্রক্রিয়াজাত খাবর প্রস্তুত করার পরিকল্পনা মৎস্য অধিদপ্তর গ্রহণ করেছে।

মাছের প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রস্তুত ও বিপণনের কাজে এখানে বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে গোপালগঞ্জ মৎস্য কেন্দ্রিক অর্থনীতি জোনে পরিণত হবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের খামারী ইকরাম আলী সিকদার (৫৮) বলেন,  ২ একরের ২ টি পুকুরে ২০২২ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত কই মাছ চাষে ৪ লাখ টাকা লাভ করেছি। বাকী ৫ মাসে আরো কই, শিং ও শুলশা ট্যাংরা থেকে আরো ৬ লাখ টাকা লাভ হবে। একই পুকুরে বছরে ৩ বার কই মাছ চাষ করা যায়। সেই সাথে ২ বার শিং মাছ পুকুর থেকে তোলা যায়।  গত বছর ৫ একরের ৫টি পুকুরে কই, শিং ও গুলশা ট্যাংরার চাষ করে ১৬ লাখ টাকা আয় করেছিলাম। কার্প জাতীয় মাছের তুলনায় কই, শিং ও গুলশা ট্যাংরা চাষে  লাভ বেশি হয়। উৎপাদন প্রায় ৩গুন বেশি পাওয়া যায়।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াদুল সিকদার (৩৫) বলেন, আমি নিজে মাছ চাষ করি। আবার বিভিন্ন পুকুর থেকে মাছ ধরে হাট-বাজারে বিক্রি করি। আমাদের এলাকার মিঠা পানির সব মাছের  স্বাদ খুবই ভালো। তাই ফরিদপুরের ভাঙ্গা, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার হাট বাজারে এ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ মাছ প্রতি কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়। এ  মাছ বিক্রি করে আমরাও লাভের টাকা ঘরে তুলতে পারছি।

তেতুলিয়া গ্রামের মৎস্য চাষি আব্দুর রহমান বিশ্বাস (৬০) বলেন, আগে কার্প জাতীয় মাছ চাষ করতাম। এখন মৎস্য অধিদপ্তরের পরামর্শে আমরা উচ্চ ফলনশীল জাতের কই, শিং, পাবদা ও ট্যাংরার চাষ করছি। এতে কার্প জাতীয় মাছের তুলনায় ৩ গুন বেশি লাভ করতে পারছি। বছরে ৩ বার পুকুর থেকে কই মাছ বিক্রি করছি। বছরে ২ বার শিং , গুলশা ট্যাংরা ও পাবদা বিক্রি করছি। এ জাতীয় মাছ চাষাবাদে সারবছরই হাতে টাকা আসতে থাকে।

নতুন উদ্যোক্তা সদর উপজেলার উলপুর গ্রামের সাদেক আহমেদ (৩৫) বলেন, আমি দেখছি তেতুলিয়া গ্রামের ইকরাম আলী সিকদার গত ২ বছর ধরে কই, শিং, পাবদা ও ট্যাংরা চাষে ভালো লাভবান হয়েছেন। তাই আমি তার দেখাদেখি আগামী বছর আমার ৫ একরের নতুন ঘেরে এ জাতীয় মাছের চাষ করব। আশা করছি এখান থেকে আমিও লাভের মোটা অংকের টাকা ঘরে তুলতে সক্ষম হব।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, আমরা মৎস্য খামরীদের ট্রেনিং দিচ্ছি। সেই সাথে মৎস্য চাষের পরামর্শ প্রদান করছি। খামারে গিয়ে মাছের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দিচ্ছি। এছাড়া তাদের বিভিন্ন উপকরণ দেয়া হচ্ছে।

সমবায় সমিতির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সরকারি জলাশয়ে মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। জলা ভূমির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জণে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop