কোরবানিতে যেভাবে জনপ্রিয় দেশি জাতের গরু
প্রাণিসম্পদ
বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আসছে আর কয়েকদিন পরেই, যা কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই ঈদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে বহু খামারি বছর জুড়ে পশু পালন করেন। আর ঈদের বাজারে গিয়ে ক্রেতাও নাদুসনুদুস ও দশাসই আকারের গরুই খোঁজেন। যে কারণে স্থানীয় খামারিরা সাধারণত বিদেশি জাতের দ্রুত বর্ধনশীল গরু বেছে নেন।কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যাচ্ছে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেড়েছে।
এদিকে, সরকারও দেশি গরুর নানা জাত নিয়ে গবেষণা করছে, যাতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এসব জাতের গরুর উন্নয়ন ও সংখ্যা বাড়ানো যায়।
দেশি গরুর চাহিদা কিভাবে বেড়েছে?
বাংলাদেশে যত পশু কোরবানি হয়, একটা সময় তার বড় অংশটি আসতো প্রতিবেশী ভারত থেকে। কিন্তু ২০১৪ সালে ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধে সীমান্তে কড়াকড়ি করা হয়। সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে এক পর্যায়ে বাংলাদেশে দেশীয় পর্যায়ে মাংসের চাহিদা পূরণ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার জানিয়েছেন, সেসময় দেশীয় মাংসের চাহিদা পূরণে বিশেষ করে কোরবানির সময়কার চাহিদা পূরণে সরকার ব্যাপকভাবে দেশীয় গরুর জাত উন্নয়নে মনোযোগ দেয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ‘বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে যার মাধ্যমে ভিন্ন জাতের উচ্চ-ফলনশীল গরুর সাথে দেশি জাতের গরুর সংকরায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডা. সরকার বলেছেন, সরকারি গবেষণাগারে গবেষণায় মাংস এবং দুধের পরিমাণ দুই-ই বাড়ানোর দিকে জোর দেয়া হচ্ছে।একই সাথে গত দুই দশকে দেশে কৃষি খামারের সংখ্যা অনেক বেড়েছে, যেখানে দেশি জাতের গরু উৎপাদন করা হচ্ছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
এগ্রিভিউ/এসএমএ