খামারে আগুন লেগে ১৮ হাজার গরুর মৃত্যু
প্রাণিসম্পদ
খামারে আগুন লেগে ১৮ হাজার গরুর মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এ ছাড়া বহু গরু আহত হয়েছে, যেগুলোকে এখন মেরে ফেলার কোনো বিকল্প নেই। দেশটির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি দুধের খামারে এই ঘটনা ঘটে।
আগুনে এক ব্যক্তিও গুরুতর আহত হয়েছেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছিল। তবে তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক।
বিবিসি’র খবরে জানানো হয়, ‘সাউথ ফর্ক ডেইরি’তে একটি বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খামারে থাকা যন্ত্রপাতি থেকেই এই আগুন ছড়িয়েছে বলে বিশ্বাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। গরুর খামারে সাধারণত মিথেন জমে থাকে। ফলে কোনো কিছু থেকে স্পার্ক বা স্ফুলিঙ্গ ছুটলে যে কোনো সময় আগুন ধরে যেতে পারে সেখানে টেক্সাসের ফার্মটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খামারে বেশ কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ পশুপাখি নিহত হয়েছে। তবে একই ফার্মে এতগুলো প্রাণীর মৃত্যু গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। ক্যাস্ট্রো কাউন্টি শেরিফের অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, তারা ওই দুধের খামারে এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ এবং জরুরি বিভাগের সদস্যরা যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছান, তারা দেখতে পান যে ভেতরে এক ব্যক্তি আটকা পড়ে আছেন। পরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই অগ্নিকাণ্ডে আসলেই কতো গরু প্রাণ হারিয়েছে তা পরিষ্কার না হলেও শেরিফের অফিস থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে যে এই ঘটনায় আনুমানিক ১৮,০০০ গরু মারা গেছে। খামারের যে জায়গায় গরুগুলো রাখা হয়েছিল সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বেশির ভাগ গরু মারা যায়। দুধ দোহন করার আগে গরুগুলোকে এই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। শেরিফ বলেন, কিছু গরু বেঁচে গেছে, কিছু গরু আহত হয়েছে। তবে আহত গরু এমনভাবে পুড়ে গেছে যে সেগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রাণী কল্যাণ ইনস্টিটিউট বিবিসিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, ২০১৩ সালের পর একসঙ্গে এত প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাননি তারা। ২০১৩ সালের পর খামারে আগুন লেগে ৬৫ লাখ পশুপাখি মারা গেছে, যার মধ্যে ৬০ লাখেরও বেশি মুরগি এবং ৭ হাজার ৩০০ গরু। তবে এবার এক খামারেই প্রাণ গেল ১৮ হাজার গরুর।