জেলের জালে ধরা পড়ল দু`টি বাদুড় মাছ
মৎস্য
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে দুটি ‘বাদুড়’ মাছ ধরা পড়েছে।স্থানীয় জেলেদের কাছে মাছটি ‘বাদুড় মাছ’ নামে পরিচিত। তবে সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মাছ দুটি সামুদ্রিক ‘রে গোত্রীয়’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Rhinoptera Javanica। ইংরেজিতে এটিকে Bat Ray বা Eagle Ray বলা হয়।
রোববার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি চর বিজয় এলাকায় স্থানীয় জেলে জাকির হোসেন প্যাদার জালে মাছ দুটি ধরা পড়ে।
জেলে জাকির হোসেন প্যাদা জানান, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে গত শনিবার রাত থেকেই উপকূলের জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যান। অন্য জেলেদের মতো তিনিও মাছ শিকারের জন্য সাগরে নামেন। রোববার দুপুরে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি চর বিজয় এলাকায় ইলিশ ধরার জন্য তিনি জাল ফেলেন। বিকেলে জাল টেনে তুলে বিরল এই মাছ দুটি পান। এ ছাড়া বেশ কিছু ইলিশও ধরা পড়ে।
জাকির হোসেন প্যাদা বলেন, সোমবার দুপুরে মহিপুর মৎস্য বন্দরে হানিফ পাহলান নামের এক জেলের কাছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় মাছ দুটি বিক্রি করেন। মাছ দুটির দৈর্ঘ্য এক ফুট ও প্রস্থও এক ফুট। তবে মাছের লেজ প্রায় ২ ফুটের মতো লম্বা। এক-একটি মাছের ওজন ১০ কেজি।
ক্রেতা হানিফ পাহলান বলেন, উপকূলের আড়তে বা ঘাটে সচরাচর এই মাছ চোখে পড়ে না। সমুদ্রে জেলেদের জালেও খুব একটা ধরা পড়ে না। মাছ দুটি তিনি আগ্রহ নিয়েই কিনেছেন। কেনার পরপরই বরফ দিয়ে বিকেলেই ঢাকার মোকামে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
কেউ যদি পছন্দ করে কেনেন তাহলে ভালো, অন্যথায় টাকাগুলো গচ্চা যাবে।
সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই ধরনের মাছ সাধারণত ইন্দো–প্যাসিফিক ও ফিলিপাইন সাগরে বিচরণ করে। বঙ্গোপসাগরে বা ভারত মহাসাগরেও এদের দেখা মেলে। আকৃতি বা চেহারায় সাদা পেটের সঙ্গে কালো বা বাদামি পিঠ, একটি লম্বা-পাতলা লেজ আছে।
পানির মধ্যে চলাচলের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রসারিত মাথা ও বাদুড়ের ডানার মতো দুটি ডানা আছে। এদের স্ত্রী প্রজাতি ৬ ফুট পর্যন্ত বড় হতে পারে এবং ওজনে ৯০ কেজি পর্যন্ত হয়। পুরুষ প্রজাতি আকারে ছোট হয়।