তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে কৃষক
কৃষি বিভাগ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় অফ সিজনেও তরমুজের বাম্পার ফলন। উপজেলার বড় জোড়া গ্রামে আবাদ হয়েছে ১০ একর জমিতে সুপার কুইন জাতের তরমুজ। ফেব্রুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত গরমকালে সুস্বাদু তরমুজ বাজারে পাওয়া যায়। তবে এখন আর মৌসুমি ফল নয় এটি। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি (বেশি শীত) মাস বাদে বছরের বাকি ১০ মাসই চাষ হচ্ছে অফ সিজনের তরমুজ।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, সারা বছর জল ও স্থলে পতিত জায়গায় মাটি কেটে বেড তৈরি করে মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চারা রোপণ করা হয়। চারাগুলো বেড়ে ওঠার জন্য বেডের পাশে পানির উপর মাচা তৈরি করে দেওয়া হয়। চারা রোপণের ৩০ দিনের মধ্যে ফুল ও ফল ধারণ করে এবং ৪৫ থেকে ৫০ দিন পর ফল পরিপক্ব হয়।
তরমুজ চাষী আমানুল্লাহ জানান, জমিতে ধান পাট চাষ করতে যে খরচ হয় তরমুজ চাষে খরচ হয় তার অর্ধেক মুনাফা হয় বেশি। তাই তিনি ৪৫ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তাকে অনুসরণ করে একই গ্রামের কৃষক শাহ জাহান ১০শতক, শফিকুল ইসলাম ৩৩ শতক, নজরুল ইসলাম ১০ শতক ও শান্ত মিয়া ৪০ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার জানান, তরমুজ একটি অর্থকরী ফসল। এ ফল ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। অর্থনৈতিক ভাবে বেকার যুবক ও কৃষককে স্বাবলম্বী করে তুলতে অফ সিজনে তরমুজ চাষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।