পান চাষে সাতক্ষীরার চাষিদের মুখে হাসি!
কৃষি বিভাগ
সাতক্ষীরায় পান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। স্বল্প খরচে ও অল্প সময়ে বেশি লাভবান হওয়ায় বলে কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা থেকে বেশি পান চাষ করেছেন। এখানকার উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
জানা যায়, আগে শুধু বারুই সম্প্রদায়ের মানুষরা পান চাষ ও এর ব্যবসার সাথে জড়িত থাকতো। পানের চাষ লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে অনেক কৃষকরা পান চাষের চাষে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ফলে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার কুমিরা, শাকদাহ, রাঢ়ীপাড়া, খলিষখালী, মাগুরা, বড়বিলা ও কুমিরার বারুইপাড়া এলাকায় ব্যাপক পরিমানে পানের চাষ হচ্ছে। কম খরচে পান উৎপাদন করে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
জানা যায়, সাতক্ষীরার শাকদাহ, রাঢ়ীপাড়া, পাটকেলঘাটার কুমিরা, কুমিরার বারুইপাড়ার চাষিরা পান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ কেউ পানের বরজের সংস্কারের কাজ করছেন।
কুমিরা গ্রামের পানচাষি গোপাল চন্দ্র বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত পানের চাষ করে আসছি। পানপাতার বেশি ফলন পেতে হলে বরজ সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। ভেতরে মাটি কেটে লম্বা খ- লাইন তৈরি করে রোপন করতে হয়। অতিরিক্ত রোদ ও বরজে যেন পানি না জমে থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হয়।
পাটকেলঘাটার কুমিরা রাঢ়ীপাড়ার পানচাষি বাবলু বিট বলেন, পান চাষে খরচ কম কিন্তু বেশি পরিশ্রম ও সময় দিতে হয়। যা সবাই পারে না। প্রতিবিঘা পানের বরজ তৈরী করতে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়। আর এর থেকে সারাবছর পানপাতা তোলা যায়।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, গত বছর কৃষকরা পান বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছেন। তাই এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুণ জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তালা উপজেলার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে। আশা করি কৃষকরা এবছরও লাভবান হতে পারবেন।