পোল্ট্রি ফার্মে আনোয়ার শীট, খামারির ব্যবসা হিট
পোলট্রি
সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রাণিজ আমিষ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর আমিষের ঘাটতি মেটাতে পোল্ট্রি শিল্প রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিকাশমান এ শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য সরকারি সহযোগিতার কারনে দিন দিন এই খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে।
ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ ও ধামরাই এলাকায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের খামার। এই
সব খামারে উৎপাদিত ডিম ও মাংস স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারজাত হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু আধুনিক খামার ব্যবস্থাপনার উপর অনভিজ্ঞতা ও পর্যাপ্ত টেইনিং এর অভাবে সফলতার পাশাপাশি অনেকেই লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন।
নিজের খামারে মোঃ আরিফ হোসাইন মুরগি পালনে লাভবান হতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খামার ব্যবস্থাপনা। যে খামারে ম্যানেজমেন্ট যত ভালো সেই খামারে রোগ বালাই কম হয়, মুরগি সুস্থ থাকে আর নির্দিষ্ট সময়ে সর্বোচ্চ ওজন আসে এবং ডিমের উৎপাদন ও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু খামারে ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন সিজনে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তীব্র গরমে মুরগিকে হিট স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে অনেক খামারেই দেখা যায় বাড়তি ফ্যানের ব্যবস্থা করতে, টিনের চালায় পাটের বস্তা দিয়ে তাতে পানি স্প্রে করে ভেতরের তাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন অনেক খামারী। আবার শীতকালে কুয়াশা জমে চাল থেকে পানি চুইয়ে যেন খামারের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে না সেজন্য ও খামারিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়, কারন টিনের চাল থেকে টিপটিপ করে কুয়াশা চোয়ার কারনে খামারে লিটার ভিজে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় ফলে নান রকম সংক্রামক
রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
বাস্তবতা হচ্ছে বিভিন্ন সিজনের সাথে তাল মিলিয়ে খামার ব্যবস্থাপনা করা যথেষ্ট কঠিন। তাই গ্রীষ্ম, বর্ষা কিংবা শীক আবহাওয়া যাই হোক না কেন, মুরগির খামারে দরকার এমন এক ব্যবস্থাপনা যেন সব সিজনেই মুরগি থাকে সুরক্ষিত, রোগ বালাই মুক্ত এবং ডিম ও মাংসের উৎপাদন থাকে সর্বোচ্চ। আর এর জন্য ভালো সমাধান হতে পারে আনোয়ার শীট যা সব সিজনেই খামার ব্যবস্থাপনার জন্য ফিট।
খামারে আনোয়ার শীট ব্যবহারকারী ঢাকার কেরানিগঞ্জের খামারি আরিফ হোসাইন এগ্রিভিউ২৪.কম কে জানান, প্রায় বিশ হাজার মুরগির খামার তার, দুই বছর আগে খামার শুরু করেছেন, শুরু থেকেই তিনি আনোয়ার শীট ব্যবহার করছেন।
আনোয়ার শীট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিভিন্ন জনের সাথে পরামর্শ করেই আমি প্রথম থেকেই আনোয়ার শীট ব্যবহার করছি ফলে অন্যান্য খামারের তুলনায় ভালো ফল পাচ্ছি।
খামার ব্যবস্থাপনা নিয়ে খুব বেশি অভিজ্ঞতা না থাকলেও এই শীটের জন্য ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয়ছে আমার জন্য। এই দুই বছরে যত সিজন গিয়েছে তাতে দেখলাম যে সব সিজনের
জন্যই আনোয়ার শীট ঠিক আছে, বিশেষ করে গরমকালে খামারের ভেতর ঠান্ডা রাখতে এবং শীতকালে খামারের ভিতর উষ্ণ রাখতে আনোয়ার শীট ভূমিকা অনেক বেশি, ফলে মুরগির
মারা যাওয়ার তেমন কোন রেকর্ড নেই আবার খামারে বাড়তি কোন ঝামেলা করতে হয় না। তাই সব দিক থেকেই আনোয়ার শীট লাভজনক।
ঢাকার ধামরাইয়ের খামারি দেলওয়ার হোসাইনের ১৩ বছর ধরে মুরগির খামার করছেন, প্রায়।৩৫ হাজার মুরগির খামার তার। গত ১০ বছরে দুই বার শেড পরিবর্তন করতে হয়েছে। পুরাতন টিনের শেড পরিবর্তন করে গত ১০ মাস ধরে খামারে ব্যবহার করছেন আনোয়ার শীট।
খামার ব্যবস্থাপনায় দক্ষ এই খামারি এগ্রিভিউ২৪.কম কে জানান, আগে গরমের সময় প্রচুর মুরগি মারা যেত, অনেক পরিশ্রম করেও খামারে মর্টালিটি কমাতে পারতাম না। এমতাবস্থায় আমাদের এখানে আনোয়ার শীটের ডিলার মো. মালেক ভাইয়ের পরামর্শে খামারে আনোয়ার শীট ব্যবহার শুরু করি।
মোট মুরগি ৩৫ হাজার, এর মাঝে ২৫ হাজার মুরগির শেডে আনোয়ার শীট ব্যবহার শুরু করলাম, ফলাফল হাতে নাতেই পেলাম। এই গরমের সিজনে মর্টার্লিটি অনেক কম হয়েছে, খামারের ভেতর ঠান্ডা থাকায় বাড়তি যত্ন নিতে হচ্ছে না, আবার শীতকালে কুয়াশার পানিও ভেতরে প্রবেশ করছে না । এতটা ভালো ফলাফল পাবো কখনই ভাবি নাই, মুরগির জন্য একেবারেই উপযুক্ত আনোয়ার শীট।
“আনোয়ার শীট এ মুরগি সবল ব্যবসা সফল ” এই স্লোগানটি এখন খামারিদের কথাতেই স্পষ্ট হচ্ছে। তাই সর্বোত্তম খামার ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোচ্চ লাভ নিশ্চিত করতে আত্মবিশ্বাসের সাথে ব্যবহার করতে পারেন আনোয়ার শীট বলছেন স্থানীয় ব্যবহারকারী খামারিরা।