বরিশালে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরোর আবাদ
কৃষি বিভাগ
চলতি মৌসুমে কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি বরিশালের কৃষকরা। ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ায় জেলার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে এবার। জেলার ১০ উপজেলায় ৫২ হাজার ৮’শ ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে বরিশালের ১০ উপজেলায় ৫২ হাজার ৮’শ ৮২ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার ১৪২ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ২৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে উফসি ও দুই হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বোরো ধান উৎপাদিত হচ্ছে। যা চলতি বোরো মৌসুমে জেলার লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ১৩’শ ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। বিনামূল্যে কৃষকদের সার-বীজ ও প্রণোদনা দেওয়ায় এ অর্জন বলে মনে করেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, এখানকার প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ৪ দশমিক ৬৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হলেও মোট উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯’শ ৩৪ মেট্রিক টন ধান। জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি ফল হয়েছে আগৈলঝাড়া, গৌরনদী ও উজিরপুর উপজেলায়।
প্রান্তিক কৃষক জলিল হাওলাদার জানান, ৪০ বছর বয়সেও বোরো ধানের এত বেশি ফলন দেখিনি। এবার ধান বিক্রি করেও লাভবান হওয়া যাবে। ফলন ভালো হওয়ায় অনেক খুশি হয়েছি।
কৃষক খলিল জমাদ্দার জানান, ধান-চালের ন্যায্য দাম পেলে আগামীতেও বোরো ধান চাষ করবো। আর এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় ভালো ভাবেই ধান কেটে শুকিয়ে মজুদ করতে পেরেছি।
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তাওফিকুল আলম জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে সময় মতো সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে। কৃষকরা গত বছর ধানের ন্যায্যমূল্য পেয়েছে। বিনামূল্যে কৃষকদের সার-বীজ ও প্রণোদনা দেওয়ায় কৃষকদের মাঝে বোরো ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এতে জেলায় বোরোর কাঙ্খিত লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। যা দেশের কৃষি জিডিভিতে প্রভাব ফেলবে বলেও জানান তিনি।