বিরামপুরে আগাম জাতের ধান কাটায় ব্যস্ত চাষিরা
কৃষি বিভাগ
শস্য ভাণ্ডারখ্যাত দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মুক্তভাবে এবার আগাম জাতের আমনের আশাতীত ফলন হয়েছে।
আগাম ধান কাটায় খাদ্য চাহিদা পূরণ, বাজারে অধিক মূল্য ও কাঁচা খড় বিক্রিতে অধিক দামের মাধ্যমে কৃষকরা সবদিক থেকে লাভবান হয়েছেন। এর পাশাপাশি একই জমিতে শীতকালীন সবজি রোপণের প্রস্তুতি নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকসন চন্দ্র পাল জানান, বিরামপুর উপজেলার পৌর এলাকা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার ১৭ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ করা হয়। এরমধ্যে ১১ হাজার ২৫০ বিঘা উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম জাতের আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪শ’ বিঘা জমির ধান কাটা হয়েছে। আমনের অন্যান্য ধানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- গুটি স্বর্ণা, স্বর্ণা-৫, ব্রি-৩৪, ৫১, ৭১, ৭৫, হাইব্রিড ও বিনা-১৭.২০ জাত।
উপজেলার হরেকৃষ্টপুর নাপিতপাড়া গ্রামের কৃষক লাবিবুর রহমান জানান, তিনি প্রায় চার বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন রোপণ করেন। তিনি বিঘা প্রতি ১৪-১৬ মণ হারে ফলন পেয়েছেন।
হাবিবপুর গ্রামের তমিজ উদ্দিন জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন রোপণ করেছেন। তিনি বিঘা প্রতি বিঘা জমি থেকে ১৫-১৭ মণ হারে ফলন পেয়েছেন।
কৃষকরা বলেন, আগাম জাতের ধান ঘরে তুলতে পেরে খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাজারে ৮-৯শ’ টাকা মন দরে কাঁচা ধান বিক্রি করতে পারছেন। ধানের কাঁচা খড় গো-খাদ্য হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কৃষকরা আরও বলেন, প্রতিবিঘার কাঁচা খড় ৪-৫ হাজার টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই জমিতে আবার আলু, সরিষা ও ফুলকপিসহ শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি রোপণের প্রস্তুতিও নিয়েছেন।
হাবিবপুর বাজারের ধান ব্যবসায়ী জিয়া হোসেন জানান, তিনি সদ্য মাড়াই করা কাঁচা ধান ৯০০ টাকা করে ক্রয় করেছেন।
মুকুন্দপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম জানান, আমি দিনভর মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের আগাম আমন ধান ও শীতকালীন ফসল আবাদে সহায়তা, রোগ-বালাই ও দুর্যোগ প্রতিরোধে দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।