মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন ফেনীর চাষিরা
কৃষি বিভাগ
“ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় মাল্টা চাষে দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এই উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের উপযোগী হওয়ায় এখানকার কৃষকরা মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষি বিভাগের পরামর্শে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টা চাষ করে অনেকে সফলও হয়েছেন।
জানা যায়, সুস্বাদু এই ফল চাষে নিজেদের স্বাবলস্বী করছেন চাষিরা। দেশি এই সবুজ মাল্টায় রসে টইটম্বুর, স্বাদে ও ঘ্রানে অতুলনীয়। চাষিদের উৎপাদিত মাল্টা এই উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের চাষী এম শামসুল করিম বলেন, আমি আমার ১২ শতক জমিতে বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টা চাষ করছি। বাগানের সবগুলো গাছে মাল্টা এসেছে। সবুজ পাতার ভেতর থোকায় থোকায় ঝুলছে সবুজ মাল্টা। খেতে খুব মিষ্ট ও ভিটামিন ‘সি’ তে ভরপুর।
তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও বাগানের গাছের সঠিক পরিচর্যা করায় ভালো ফলন হয়েছে। আমার বাগানের ২৬ টি মাল্টা গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ৫০-৬০ টি মাল্টা ধরেছে। প্রতি কেজি মাল্টা ১২০ টাকা করে বিক্রি করতে পারছি। আগামীতে আরো বেশি ফলনের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ১০ জন সবুজ মাল্টা চাষি রয়েছে। যারা এই জাতের মাল্টা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। দিন দিন চাষিদের মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টা উচ্চ ফলনশীল একটি জাত। এই জাতের মাল্টা খেতে সুস্বাদু ও ভিটামিন ‘সি’ সম্পন্ন হয়। মাল্টা গাছ সারা বছর ফল দিয়ে থাকে। আমরা মাল্টা চাষে আগ্রহীদের চারা বিনামূল্যে প্রদান করছি।”