মুকুল কম আসায় চিন্তিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম চাষিরা
কৃষি বিভাগ
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আমের মুকুল কম আসায় কম আসায় চিন্তিত আম চাষিরা। শীতের সময় টানা কুয়াশা এবং কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে এবার সময়মতো মুকুল আসেনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে। আবার শিলা বৃষ্টিতেও বেশ ক্ষতি হয়েছে।এ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাগান মালিক, আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, মুকুল কম আসার কারণ হিসেবে এবার ঠাণ্ডা আবহাওয়াকে দায়ী করছে কৃষি বিভাগ। নিয়মিত মুকুল পরিচর্যা ও সঠিকভাবে বালাইনাশক ব্যবহারে এখনও ভাল ফলন পাওয়া সম্ভব।
ঘন কুয়াশায় এ মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলার আম বাগানে কম এসেছে মুকুল। এর উপর শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতি তো আছেই। আবার মুকুল এসেছও দেরিতে। সবমিলে এ মৌসুমে ভাল ফলনের আশা হারিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাগান মালিক,আম চাষিরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে এসব বাগান থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। তবে শীতের সময় টানা কুয়াশা ও শেষ দিকে কয়েক দফা বৃষ্টিতে সময়মতো মুকুল ফোটেনি আমের গাছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের মুকুল ৪০ ভাগ কম এসেছে।
বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন গাছে মুকুল কম, যেটুকু বের হয়েছে তাও ছোট হয়ে আছে, মুকুল বড় হচ্ছে হচ্ছে না। তাই তারা গাছে স্প্রে করছেন, যাতে মুকুল তাড়াতাড়ি বড় হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে, পরিসংখ্যানগত ভাবে আমরা বলতে পারি প্রায় ৫৫ লাখ আম গাছ রয়েছে এ জেলায়। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের মুকুল ৪০ ভাগ কম এসেছে। এ বছর শীত একটু বেশি এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে আমের মুকুলটা কম এসেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ উপজেলার বাগানে ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ গাছে এসেছে মুকুল। তাতে লক্ষ্যমাত্রার তিন লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।