লাকসাম ডাকাতিয়া নদীতে মাছ শিকারের মহোৎসব
মৎস্য
পানি কমার সাথে সাথে কুমিল্লার লাকসাম অঞ্চলে ডাকাতিয়া নদীতে মাছ শিকারের চলছে মহোৎসব।নদীটির লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোট অংশে দলে দলে মানুষ মাছ ধরছে। মৎস্য শিকারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার তারাপাইয়া, সাতবাড়িয়া ও ইছাপুরা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে শতাধিক মানুষ মাছ ধরার মহোৎসবে অংশগ্রহণ করে। মাছ ধরার এমন দৃশ্য সকলের নজর কেঁড়েছে। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল।
নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দারা জানায়, ‘একসময় ডাকাতিয়া নদীতে পুরো বছর বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে নদীটি সংকুচিত হওয়ায় এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায়না।’ চলতি শীত মৌসুমেই নদীটির বিভিন্ন স্থান শুকিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু বা কোমর সমান পানি। তেমনি লাকসামের তারাপাইয়া, সাতবাড়িয়া ও ইছাপুরা এলাকাতেও একই অবস্থা বিরাজমান।
‘মাছ পাওয়া থেকেও উৎসবে অংশ নেয়াটাই ছিল বেশি আনন্দের,’ জানালেন কয়েকজন মৎস্য শিকারী। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম ছিলনা তারাও নদীতে নেমে উৎসবে অংশ নেয়। তাদেরকে খালি হাত দিয়েই কাদার মধ্যে মাছ খুঁজতে দেখা যায়। মাছ ধরা শেষে মৎস্য শিকারীদের উল্লসিত দেখা গেছে।
লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘বৃহত্তর লাকসামের ঐতিহ্য ডাকাতিয়া নদী। ডাকাতিয়ার পানি সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়। এ নদীতে যে মাছ পাওয়া যায় তা খুবই সুস্বাদু।’