২:৫৩ অপরাহ্ন

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সামনে কোরবানি, বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, দিশেহারা খামারি!
ads
প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২১ ৩:০৭ অপরাহ্ন
সামনে কোরবানি, বাড়ছে গো-খাদ্যের দাম, দিশেহারা খামারি!
প্রাণিসম্পদ

একদিকে চলছে করোনা মহামারী। যার কারণে অর্থনৈতিকভাবে নাজেহাল সকল স্তরের মানুষ। খামারিদেরও যাচ্ছে দৈন্যদশা। তারউপর দফায় দফায় গো-খাদ্যের দাম বাড়া যেন খামারিদের গলায় ফাঁস। এদিকে বন্ধ রয়েছে উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুরে মিল্ক ভিটার অর্থায়নে নির্মিত গোখাদ্য উৎপাদন প্লান্টটিও। ​আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে যখন খামারিরা নিচ্ছে লস কাটিয়ে উঠার প্রস্তুতি ঠিক সে সময়টাতেই গো-খাদ্যের দাম বাড়াতে হতাশায় ভুগছেন খামারিরা।

গোখাদ্য বিক্রেতারা জানান, ‘মিল্ক ভিটার গোখাদ্য উৎপাদন প্লান্টটি বন্ধ থাকায় দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। এখানে বিভিন্ন কোম্পানির খাদ্য আসে। সবাই এই খাদ্যের দাম সিন্ডিকেট করে বাড়িয়েছে। তাই আমাদের বেশি দামে কিনে এনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।’

খান ডেইরি ফার্মের মালিক শাহিন খান গণমাধ্যমকে জানান, গমের ছাল বস্তাপ্রতি ১১০০ টাকা ছিল। বর্তমানে ১২৫০ টাকা হয়েছে। কাউফিড বস্তাপ্রতি ৯০০ টাকার জায়গায় এখন বেড়ে হয়েছে ১০৫০ টাকা।

শাহিন খান বলেন, ডালের ভুসি ৩৫ কেজির বস্তা কিনতে হচ্ছে ১২০০ টাকায়, অ্যাংকর ডালের ভূষি ৮০০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ধানের খড়ের দামও বেশি। খড় কিনতে হচ্ছে ৬০০ টাকা মণ দরে।

শাহিন খান আরও বলেন, ‘প্রতি শতাংশ জমির জাম্বু ঘাস কিনতে হচ্ছে ৩০০ ও নেপিয়ার ঘাস ৪০০ টাকায়। গোখাদ্যের দাম কমানো না হলে কিংবা খামারিদের ভর্তুকি না দিলে আমাদের পক্ষে খামার চালানো অসম্ভব হয়ে উঠবে।’

প্রায় ১০০ গরু নিয়ে খামার রয়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের।

মনিরামপুর বাজারের একজন গোখাদ্য বিক্রেতা জানান, ‘কোরবানির ঈদকে ঘিরে কিছু ব্যবসায়ী গোডাউনে খাদ্য মজুত করছেন। বাজারে সংকট দেখিয়ে বেশি দামেও বিক্রি করছেন তারা। এদের জন্য প্রতিবছর এই মৌসুমে গোখাদ্যের দাম বেড়ে যায়।’ করোনাভাইরাস মহামারির অজুহাতে মিলমালিক ও মজুতদাররা তিন দফা দাম বাড়িয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন এই বিক্রেতা।

মিল্ক ভিটার পরিচালক আব্দুস সামাদ ফকির জানান, ‘গোখাদ্যের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি। গোখাদ্য না খাওয়ালে তো গরু বাঁচানো যাবে না। দানাদার খাদ্য, খড়ের দাম অনেক বেশি। খামারিরা নিজে না খেয়ে গরু লালনপালন করছে। সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিচ্ছে। একইভাবে যদি খামারিদের অনুদান দিত তাহলে হয়তো খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারত।’

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, ‘খাদ্যের দাম বেড়েছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। ব্যবসায়ীরা এটা করে থাকে। সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’খামারিরা যাতে লোকসানে না পড়ে এ জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। গরুর মালিকদের সরকারিভাবে নগদ টাকা, খাবার, ওষুধ দেয়া হয়েছে। দশ লাখ গরুকে বিনা মূল্যে টিকা দিচ্ছে সরকার।’ কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জেলায় ৪ লাখ ১২ হাজার গবাদিপশুকে প্রাকৃতিক ও দানাদার খাবার দিয়ে মোটাতাজা করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop