৯:২৯ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • গাড়ি গাড়ি আম, নেই শুধু ক্রেতা!
ads
প্রকাশ : জুন ৪, ২০২১ ৬:২৫ অপরাহ্ন
গাড়ি গাড়ি আম, নেই শুধু ক্রেতা!
প্রাণ ও প্রকৃতি

প্রতিদিন শত কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হয়ে থাকে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বানেশ্বরে। আর এই সিজনে সেখানকার আম চাষীদের মাঝে বিরাজ করছে হতাশা। সেখানে গাড়ি গাড়ি আম থাকলেও নেই কোন ক্রেতা।

কাটাখালী এলাকার সুজন আলী নামের স্থানীয় এক আমচাষি জানান, ‘আমাদের এখানে ক্রেতা অনেক কম। সাধারণ ক্রেতা নাই বললেই চলে। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলার যেসব বাইরের ব্যাপারিরা আছেন তারা আবার স্থানীয় ব্যাপারিদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। হাটে যখন দেখে আম অনেক বেশি তখন তারা দাম দিতে চাই না। আবার ৫২ কেজি আমে মণ হিসেব করে। এতে ১২ কেজিই পুরাই লস, এটা আমাদের চাষিদের জন্য বিশাল সমস্যা।’

বানেশ্বর বাজারের আবু সুফিয়ান নামের এক ব্যাপারি জানান, ‘বাইরের পার্টিরা ৪৫ কেজিতে মণ নেয়। কম দিলে নিতে চাই না। আবার ৪৫ কেজি আম পাঠালে সেটা পেকে গেলে ওজন কমে ৪৩ কেজি কমে যায়। তখন তারা আবার আপত্তি জানায়। তাই আমাদেরও এখানে চাষিদের কাছে থেকে মণপ্রতি বেশি নিতে হয়। তবে ৪৮ থেকে ৫২ কেজিতে মণ ধরার বিষয়টি সত্য নয়।’

জানায় যায়, রাজশাহীর হাইওয়েগুলোতে একের পর এক আমের ক্যারেট ভর্তি ভ্যান। তাদের গন্তব্য বানেশ্বর আমের হাট। রাজশাহী থেকে পুঠিয়ার বানেশ্বর হাটে যাওয়ার পথে হাইওয়ের বেশ কিছু জায়গাতে কিছু কিছু আমের দোকান চোখে পড়ে। আবার অনেকে রাস্তার পাশে ক্যারেটে এমনকি ভ্যানের ওপর ক্যারেভর্তি আম নিয়ে বিক্রি করছেন। অনেকেই গাড়ি থামিয়ে কিনছেনও তাদের আম।

পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাস জানান, গতবারের তুলনায় এবারে আমের জোগান অনেক বেশি। তবে সেই তুলনায় ক্রেতা নেই। করোনার কারণে বর্তমানে অনেক আমচাষি ও উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে। এটি একদিক দিয়ে ভালো হলেও চাষিদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, এবার অনেক ব্যবসায়ীই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আম কিনছেন। অন্যদিকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এবং ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হওয়ায় অনেকেই অনলাইনে অর্ডার করে কুরিয়ার অথবা ট্রেনযোগে সংগ্রহ করছেন।

তিনি জানান, গতবছর প্রতিদিন বানেশ্বর থেকেই প্রায় ৩০০টি আমভর্তি ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেত। কিন্তু এবছর মাত্র ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাক প্রতিদিন বানেশ্বর বাজার থেকে রাজশাহীর বাইরে যাচ্ছে। এখনো বাগানে প্রচুর আম রয়েছে। আবার হাটেও প্রচুর আম, কিন্তু সেই তুলনায় ক্রেতা নেই।

সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে করোনার আক্রান্তের হার অনেক বেশি হওয়ায় বাইরের অনেক ব্যাপারিরা রাজশাহীতে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান ইউএনও।

ঢলন বা সোলা প্রথার উচ্ছেদের কথা থাকলেও তা মানছে না আড়তদার বা ব্যাপারিরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢলন প্রথার উচ্ছেদ করে মেট্রিক পদ্ধতিতে আম ব্যবসা পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে আমাদেরকে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop