চাঁদপুরে অনলাইনে জমে উঠেছে গরু বিক্রি
প্রাণিসম্পদ
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই কঠোল লকডাউনে কোরবানির গরু বিক্রি করার জন্য চাঁদপুরে হাট না বসায় অনলাইনে গরু বেচাকেনার কার্যক্রম শুরু করেছেন চাঁদপুরের খামারিরা।মহামারীর মধ্যে জনসাধারণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে প্রশাসনও অনলাইনে গরু বেচাকেনায় উদ্বুদ্ধ করছেন স্থানীয় খামারিদের।
খামারগুলোতে দেখা যায়, কোরবানি ঈদকে সামনে শেষ মুহূর্তের কাজ সারছেন খামারিরা। ভালো দাম পেতে গরুকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হচ্ছে। নিয়মিত খৈল, ভুসি, কাঁচা ঘাস, ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম খাওয়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় কাটছে গরুর খামারের শ্রমিকদের।
শহরের প্রফেসর পাড়া এলাকার ক্রেতা আবুল কাউসার বলেন, কোরবানিতো দেওয়াই লাগবে। তাই গরু কিনতে অনলাইনের সহায়তা নিচ্ছি। খামারিা গরুর ছবি বিভিন্ন পেইজে শেয়ার করছে। তা দেখে পছন্দের গরু কেনার চেষ্টা করছি।”
তবে খামারিরা এবছর গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন বলে দাবি এ ক্রেতার।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, স্থানীয় খামারিারা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের পশুগুলো বিক্রি করছে। বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। করোনাভাইরাসের এই সময়টাতে অনলাইনে পশু বিক্রি করায় জনসমাগম এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতা সহজেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবেন।”
তিনি বলেন, যেহেতু আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের বিধিনিষেধ আছে। তাই ১৪ তারিখ পর্যন্ত জেলার কোথাও গরুর হাট বসানোর অনুমতি দিচ্ছি না। এরপরে নির্দেশনা পেলে হাট বসানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
চাঁদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার উদ্দিন জানান, জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে। অবৈধভাবে বিদেশী পশু যেন দেশে ঢুকতে না পারে, সেব্যাপারে সরকার পর্যবেক্ষণ করছে।
চাঁদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৮ উপজেলায় ছোট বড় ৩ হাজার ২শ খামারি ১ লাখ ১৭ হাজার গবাদী পালন করেছেন। এর মধ্যে গরু রয়েছে প্রায় ৭৮ হাজার এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৩৯ হাজার। জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার পশুর।
এগ্রিভিউ/এসএমএ