মানিকগঞ্জের সাহেবের দাম ৩০ লাখ!
প্রাণিসম্পদ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়াপাড়া গ্রামে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ৪০ মণ ওজনের একটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন খামারি নোমাজ আলী। তিনি গরুটির জন্য ৩০ লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন। গত চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন তিনি।
নোমাজ আলীর বড় ছেলে জানান, সাহেবের খাবারের মেন্যুতে আমরা প্রতিদিনই ‘সাহেবি’ খাবার পরিবেশন করে থাকি। মাল্টা, পেয়ারা, কলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফল নিয়মিত খাওয়াচ্ছি। দিনে কয়েকবার গোসল করাতে হয়। স্বাস্থ্যের দিক চিন্তা করে তিনটি ফ্যান সবসময় চালু রাখা হয়েছে। সাহেবি আচরণ, বড় আকার ও বেশি ওজন হওয়ায় পরিবারের সবার সম্মতিতে তার নাম দিয়েছি ‘মানিকগঞ্জের সাহেব’।
ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছেন নোমাজ আলীর বাড়িতে। কেউ সেলফিসহ ছবি তুলে আপলোড দিচ্ছেন ফেসবুকে।
ষাঁড়ের মালিক নোমাজ আলী জানান, গত চার বছর ধরে ষাঁড়টি লালন-পালন করে আসছি। গত বছরও বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনা ও বন্যার কারণে ভালো দাম পাইনি। এখন তো লকডাউন চলছে। দুশ্চিন্তায় আছি কী হবে? এই ষাঁড়টি আকারে জেলার সবচেয়ে বড়। স্থানীয় পশু চিকিৎসক শামীম মোল্লার পরিমাপ অনুযায়ী ষাঁড়টির ওজন ৪০ মণ। দাম চাচ্ছি ৩০ লাখ টাকা। তবে বাড়ি থেকে কিনলে কিছু কমেও বিক্রি করবো।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনির হোসেন জানান, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টি আমি দেখেছি। আকারে অনেক বড়। তবে তা ওজনে ৪০ মণ নাও হতে পারে। আমি আমার কার্যালয় থেকে লোক পাঠিয়েছি ষাঁড়টির সঠিক পরিমাপ করার জন্য। নোমাজ আলীর মতো জেলার অনেকেই বড় বড় ষাঁড় লালন-পালন এবং ঈদুল আজহায় বিক্রি করে থাকেন।
এগ্রিভিউ/এসএমএ