সোয়া কোটি পশু প্রস্তুত কোরবানি জন্য
প্রাণিসম্পদ
আসন্ন কোরবানিকে সামনে নিয়ে চলছে খামারিদের এবং প্রান্তিক কৃষকদের গরু নিয়ে নানা আয়োজন। এবছর গত বছরের তুলনায় ১ লাখের বেশি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রাণিসম্পদের এ সফলতা ধরে রাখতে সরকার কিছু উদ্যোগ না নিলে খামারিরা মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও জেনেটিক্স বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন জানান, খামারিরা ৩-৪ মাস ভালো খাবার ও যত্ন দিয়ে পশু লালন-পালন করে কোরবানির সময় বিক্রির জন্য। ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ না হলে দেশের খামারিদের এ সফলতা ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
আরো পড়ুন: গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরুর দাম নিয়ে হতাশ খামারিরা
প্রণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর কোরবানির জন্য সারাদেশে প্রস্তুত করা হচ্ছে ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি পশু। গতবছর কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিলো ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে আরো জানা গেছে, এ বছর হৃষ্টপুষ্টকরণের মাধ্যমে দেশে পশু প্রস্তুত করা হচ্ছে ৬২ লাখ ৩৬ হাজার ৩১টি। গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০টি। ষাঁড় রয়েছে ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৭২৩টি, বলদ ছয় লাখ ৪৭ হাজার ৬১৬টি, গাভী ছয় লাখ ২৭ হাজার ৫৪৭টি, মহিষ এক লাখ ৩০ হাজার ৯১৪টি।
অপরদিকে, ছাগল রয়েছে ২০ লাখ ৪২ হাজার ৭৮৬টি ও ভেড়া তিন লাখ ২৯ হাজার ৯৬২টি। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার ৭৬৫টি। গৃহপালিত গরু ও মহিষের সংখ্যা ছয় লাখ ৮৮ হাজার ২০০টি। ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৪৯ লাখ ৯২ হাজার ২৫২টি। সবমিলিয়ে মোট সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান জানান, কোরবানির পশুর জন্য বছর তিনেক আগেও আমাদের অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো। এখন আর আমাদের অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে না।