৩:০১ অপরাহ্ন

রবিবার, ২২ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • কোরবানির গরুর দাম এ বছর কেমন হতে পারে?
ads
প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২৩ ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
কোরবানির গরুর দাম এ বছর কেমন হতে পারে?
প্রাণিসম্পদ

আগামী ২৯ জুন বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পালিত হবে ঈদ-উল-আযহা, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে কুরবানির হাট ।  এই বছর সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পশুপালনের খরচও বেড়েছে, ফলে গতবারের তুলনায় এইবার দাম তুলনামূলক বেশি হবে বলে আশংকা করছেন অনেকেই ।

কুরবানির পশুর চাহিদা কত?

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, এ বছর কোরবানির জন্য আমাদের চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি পশু, আর প্রস্তুত রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ টি পশু, সেই হিসেবে ২১ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।

মাঠপর্যায় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানিযোগ্য প্রায় ৪৮ লাখ ৪৪ হাজার গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া ও আড়াই হাজার অন্যান্য প্রজাতির পশু প্রস্তুত রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর বেশি সংখ্যক গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। গত বছর প্রায় ১ কোটি পশু কোরবানি হয়েছে। সে অনুযায়ী এ বছর পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। সংকট হওয়ার সুযোগ নেই। কোরবানি শেষে পশু উদ্বৃত্ত থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

গরুর খামারীদের ভাষ্যঃ

মাদারীপুরের কৃষক লিটন মিয়া। নিজ বাড়িতে ছোট্ট এক খামারে গরু পালেন তিনি। গেলো কোরবানির ঈদে ৬টি গরু থাকলেও এবার তিনি খামারে রেখেছেন ১০ টি গরু। আশা করছেন ১০টি গরুই কোরবানির ঈদে বিক্রি হবে।

তবে দাম কেমন হবে, কতটা লাভ করতে পারবেন তা নিয়ে দু:শ্চিন্তা আছে লিটনের মনে। তিনি বলছিলেন, “দাম তো এইবার বাড়বেই। এখন কেমন বাড়বে সেইটা বুঝতে পারছি না। খরচ যে হারে বাড়ছে, সেইটা উঠাতে পারবো কি-না সন্দেহ আছে।”

লিটন খান জানাচ্ছেন, বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। ঘাসের উৎপাদন খরচ বেড়েছে, প্রতিটি পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে। শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। সুতরাং গরুর দাম গতবারের তুলনায় এবার তারা বেশি চাইবেন।

লিটন মিয়ার মতো একই চিত্র মাদারীপুরের অন্য খামারগুলোতেও।

মাদারীপুরের আরেকজন গরুর খামারের উদ্যোক্তা সাদ্দাম হোসেন বলছেন, ভারত-মিয়ানমার থেকে গরু না আসলে এবারও গরুর বাজার চড়া থাকবে। আর বাজার চড়া থাকলে খামারীরা খরচ তুলে লাভ করতে পারবেন। তিনি বলেন, গত বছর মাঝারি সাইজের যেসব গরু তারা ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন, এবার সেই একই আকারের গরুর জন্য তারা দাম চাইছেন ১ লাখ পনেরো থেকে বিশ হাজার অর্থাৎ প্রতি গরুতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দাম বেশি।

মাদারীপুরের প্রাণীসম্পদ দপ্তর বলছে, এবারের ঈদে জেলাটিতে গরুর চাহিদা ৩৬ হাজার। কিন্তু সরবরাহ আছে প্রায় ৩৯ হাজার, অর্থাৎ তিন হাজার গরু উদ্বৃত্ত আছে।  (বিবিসি বাংলা নিউজ)

গরুর সরবরাহ এবং দাম কেমন?

মাদারীপুরে যে চিত্র, সারাদেশেও সেটা অনেকটা একইরকম। অর্থাৎ গরুর সরবরাহ বেশি কিন্তু দাম কম নেই। বরং দাম গত বছরের তুলনায় বাড়তি। গাবতলী গরুর হাটে কথা হয় তৈয়ব আলী নামে একজন গরু বেপারীর সঙ্গে। তিনি গরু সংগ্রহ করেন কুষ্টিয়া ও পাবনাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। এবছর তিনি ঢাকায় একশর বেশি গরু হাটে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। অর্ধেক গরু ইতোমধ্যে সংগ্রহও করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে।

“দেখলাম খামারীরা দাম বেশি চায়। গরু অনেক আছে। কিন্তু খরচের কারণে দাম বেশি। ধরেন, ১০ রাখ টাকা দামের গরু এবার ১২ লাখ টাকা। আর মাঝারি গরুতে প্রতি পিসে দাম বাড়তি বিশ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা।” বলছিলেন, তৈয়ব আলী।

তিনি জানাচ্ছেন, এবার ছোট এবং বড় গরুর দাম তুলনামূলক বেশি হবে। কারণ এসব গরুর চাহিদা বেশি।

কিন্তু প্রান্তিকভাবে খামার পর্যায়েই যখন গরুর দাম বাড়তি, তখন শেষ পর্যন্ত সেই দাম মধ্যস্বত্তভোগীদের হাত ঘুরে কোরবানির হাটগুলোতে কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। (বিবিসি বাংলা নিউজ)

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop