শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত বগুড়ার কৃষকরা
কৃষি বিভাগ
বগুড়ার কৃষকেরা আগাম শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোর থেকে বিকেল পযর্ন্ত হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যাচ্ছে কৃষকেরা সবার আগে সব সবজি বাজারে নিতে। যদিও শীতকালীন সবজি চাষ করার জন্য জমি তৈরী করতে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হয় কৃষকদের।
জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার এনায়েত পুর, উত্তর শ্যামপুর, মাঝপাড়া, বাকসন, জামালপুর, বারুগারী, মেদিনীপাড়া, উথলী, নারায়নপুর, রায়নগর, হরিপুর, কাজীপুর, এলাকার কৃষকেরা শীতকালীল সবজি মুলা, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, সিম, লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক ও পেঁয়াজ কৃষকেরা শীত নামার পূর্বেই বাজারে নিয়ে আসে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, বগুড়ায় শীতকালীন সবজি বরাবরের মত ভালো চাষ হয়ে থাকে। গত বছর বন্যা থাকার পরেও ভালো সবজি চাষ হয়েছে। এবছরও ভালো সবজি পাওয়ার আশায় কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছে। বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে নেমেছে। এবছর ১৮ হাজার ১৮৮ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে ফলন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন। আর গত বছর সবজির ফলন হয়েছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন, যা চাষ হয়েছিল ১৭ হাজার ৯১২ হেক্টর জমিতে।
উত্তর শ্যামপুর গ্রামের কৃষক জিন্নাহ বলেন, আমি ৪০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। এবছর শ্রমিকের মজরি একটু বেশি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে এবং দাম ভালো পাওয়ার আশা করছি।
শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মোজাহিদ জানান, এ বছর উপজেলায় এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। শীতকালীন সবজির দিকে উপজেলার কৃষকদের বিশেষ নজর থাকে। এবছর এক হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছি।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, বগুড়ায় সবজি চাষ শুরু হয়েছে। গত বছর ভালো ফলন পাওয়া গিয়েছিল। এবারও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৭হাজার ৩৪৩ মেট্রিক টন।