১০:৩৫ অপরাহ্ন

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ১, ২০২৩ ২:৫৩ অপরাহ্ন
সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর
মৎস্য

উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (০১ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে একাডেমির ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মেরিন ফিশারিজ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছিলেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও দৃঢ় ভূমিকায় ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮ শত ১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমায় আমাদের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যার ফলে সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমুদ্রের মৎস্যসম্পদ অনুসন্ধান, সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়েছে সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০, সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা, ২০২২ এবং সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা, ২০২৩। সমুদ্রে অবৈধ, অনুল্লিখিত ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ বন্ধে ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মেরিন ফিশারিজ একাডেমির মাধ্যমে সমুদ্রসম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং টেকসই সংরক্ষণ ও ব্যবহারের বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হচ্ছে। এ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি সমুদ্রসম্পদ আহরণের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতির বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

ক্যাডেটদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, অন্ধকার ভেদ করে আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে ক্যাডেটদের এগিয়ে যেতে হবে। দেশপ্রেম, দৃঢ় আত্মবিশ্বাস, অধ্যাবসায়, সুচিন্তিত লক্ষ্য এবং পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। দেশে ও দেশের বাইরে মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাডেটরা হবে আমাদের অ্যাম্বাসেডর। বিদেশের জাহাজে আমাদের যে ক্যাডেট কাজ করবে সে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। ক্যাডেটদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, নৈপুণ্য, মেধা ও যোগ্যতা দেশপ্রেম ও কর্তব্যনিষ্ঠার মাধ্যমে সম্প্রসারণ করতে হবে, দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে হবে। নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ থেকে কখনো বিস্মৃত হওয়া যাবে না।

তিনি আরও যোগ করেন, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির নারী ক্যাডেটরাও তাদের দক্ষতা ও নৈপুণ্যে কর্মক্ষেত্রে দেখাতে সক্ষম হচ্ছেন। এর পাশাপাশি দেশের সবক্ষেত্রেই নারীরা তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আবদুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট, সরকারি শিপিং দপ্তরসহ অন্যান্য মেরিটাইম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ পাসিং আউট প্যারেডে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর একাডেমির ৪২তম ব্যাচে নটিক্যাল বিভাগে ৬০ জন, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫৯ জন এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগে ১৯ জন ক্যাডেটসহ সর্বমোট ১৩৮ জন ক্যাডেট পাসড আউট হন। এ বছর ৪২তম ব্যাচের ক্যাডেটদের মধ্যে সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট এইচ এম আবরার অয়ন বেস্ট অল রাউন্ডার গোল্ড মেডেল প্রাপ্ত হন। তিন বিভাগের সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী ক্যাডেট হিসেবে নটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ হতে ক্যাডেট এস এম মারুফ হোসেন নাবিল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ হতে ক্যাডেট মো. আল রিফাত এবং মেরিন ফিশারিজ বিভাগ হতে ক্যাডেট মোহাম্মদ সাজিদ হোসেন বেস্ট ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক প্রাপ্ত হন। এছাড়াও মহিলা ক্যাডেটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মহিলা ক্যাডেট হিসেবে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ক্যাডেট সুরাইয়া আক্তার বেস্ট ফিমেইল ইন প্রফেশনাল ট্রেনিং সিলভার মেডেল পদক প্রাপ্ত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সাফল্যের স্বীকৃতি পুরস্কার হিসেবে ক্যাডেটদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন।

এদিন দুপুরে একাডেমির পাসড আউট হওয়া ১৩৮ জন ক্যাডেটের হাতে সনদপত্র তুলে দেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১১:৪৫ অপরাহ্ন
মৎস্য অধিদপ্তরে শেকৃবি-তে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠিত
মৎস্য

গত ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ ঢাকার রমনায় অবস্থিত মৎস্য ভবনের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট (এস.সি.এম.এফ.পি) এর আওতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণায় উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত রেডি-টু-ইট ইলিশ ও টুনা মাছের প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মাননীয় মহাপরিচালক জনাব খঃ মাহবুবুল হক, বিশেষ অতিথি ছিলেন এস.সি.এম.এফ.পি প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং সে সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠানে শেকৃবি-তে ইলিশ ও টুনা ক্যানিং গবেষনার বর্তমান অবস্থা, সাফল্য, ও ভবিষ্যত নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইলিশ ও অন্যান্য মাছের ক্যানিং এর জন্য বিভিন্ন বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও নির্দেশনার কথা বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য অধিদপ্তরের এস.সি.এম.এফ.পি প্রকল্পের আওতায় এই গবেষণায় সহায়তার উদ্যোগের কথা বলেন এবং গবেষণার বর্তমান পর্যায়ের সফলতার প্রশংসা করেন। শেকৃবি এর গবেষণাগারে স্বল্প পরিসরে উদ্ভাবিত এই কৌটাজাতকৃত ইলিশ কিভাবে মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মাঝারি উদ্যোক্তা ও ইন্ডাস্ট্রি পর্যায়ে উৎপাদন করে বাজারে নিয়ে আসা যায় ও বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি করা যায়, এ বিষয়ে কাজ করতে প্রকল্পকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে ইলিশ ক্যানিং এর এই চলমান গবেষণায় কৌটাজাতকৃত ইলিশের নিরাপদ খাদ্যমান বজায় রাখা ও এর উৎকর্ষতা সাধনে আরো কিছু সুপারিশ আসে। প্যানেল টেস্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছ উপভোগ করেন ও তাদের মতামত প্রদান করেন। এখন পর্যন্ত গবেষণায় উৎপাদিত কৌটাজাতকৃত ইলিশের গুনাগুন ও খাদ্যমানের স্থায়িত্ব (শেল্ফ লাইফ) পরীক্ষণের ছয় মাসের ফলাফল হাতেপাওয়া গিয়েছে যেখানে এরখাদ্যমান অটুট থাকছে। এই শেল্ফ লাইফ এক বছর পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হলেদেশেই রপ্তানিযোগ্য গুনাগুন সম্পন্ন কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা উৎপাদন সম্ভব হবে। সে সাথে উদ্যোক্তা ও  ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ে উৎপাদনের মাধ্যমে ভোক্তার হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে ওদেশের সুনীল অর্থনীতিতেও অবদান রাখবে বলে মতামত প্রদান করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন এই গবেষণায় প্রাপ্ত পদ্ধতি ব্যবহার করে শুধু ইলিশ ও টুনা নয়, অন্য যেকোনো সামুদ্রিক বা স্বাদু পানির মাছ কৌটাজাতকরণ সম্ভব হবে এবং উদ্যোক্তা তৈরি ও বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।এই গবেষণায় অর্থায়নের জন্য তিনি মৎস্য অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং সেসাথে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন শেকৃবি এর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া এর প্রতি যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনাময় এই গবেষনাটি পরিচালনায় একটি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপনে জায়গা প্রদান করেন ও নিয়মিত খোঁজ খবর নেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ২০, ২০২৩ ১১:১৮ অপরাহ্ন
মনোসেক্স তেলাপিয়ার চাষ পদ্ধতি
মৎস্য

মনোসেক্স তেলাপিয়া হলো পুরুষ তেলাপিয়া মাছের চাষ। তেলাপিয়া চাষের বড় সমস্যা হলো এর অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তার। এই ধরণের অনিয়ন্ত্রিত বংশবিস্তারের কারণে পুকুরে বিভিন্ন সাইজের তেলাপিয়া মাছ দেখা যায়। যার কারণে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষ তেলাপিয়া মাছের দৈহিক বৃদ্ধি বেশি। এই ধারনাকেই কাজে লাগিয়ে শুধুমাত্র পুরুষ তেলাপিয়া চাষকেই মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ বলা হয়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া ও প্রকৃতি মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষের জন্য খুবই উপযোগী। সমপূরক খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ততা, চাষে কম সময়, দ্রুত বেড়ে ওঠার ক্ষমতা এবং বাজার মূল্য বেশি থাকায় বর্তমানে অধিকাংশ মৎস্য চাষি মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

মনোসেক্স তেলাপিয়ার বৈশিষ্ট্যঃ
এই মাছ দ্রুত বর্ধনশীল ও অধিক ফলনশীল।
এ মাছ ৩-৪ মাসে বয়সেই বিক্রয়যোগ্য হয়ে ওঠে।
এটি ৫-৮ মাসে ৫০০-৮০০ গ্রাম হয়ে থাকে।
পাখনার বর্ণ কিছুটা লালচে, আকার অনেকটা গোলাকার, ও পুরুত্ব বেশি হওয়ায় বাজার মূল্য বেশি পাওয়া যায়।
সাধারণত পুরুষ তেলাপিয়ার বৃদ্ধির হার স্ত্রী তেলাপিয়ার চেয়ে ৩০ ভাগ বেশি।
অগভীর জলাশয়, স্বচ্ছ এবং লবনাক্ত পানিতেও এই মাছ চাষ করা যায়।
এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মাছ।
চাষ ব্যবস্থাপনা সহজ ও লাভের পরিমান বেশি।

 

পুকুর প্রস্তুতিঃ

পুকুরের আয়তন সাধারণত ৩০-৪০ শতাংশ হতে হবে।
পুকুর শুকিয়ে রাক্ষুসে মাছ ও মাংসাশী প্রাণি ধ্বংস করতে হবে। অথবা, প্রতি শতাংশে ৪০-৫০ গ্রাম ‘রোটেনন’ প্রয়োগ করে অবাঞ্ছিত প্রাণী দূর করতে হবে।
পুকুরের পানির গুনাগুণ পোনা চাষের উপযোগী করার জন্য প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
চুন প্রয়োগের ৩-৪ দিন পরে প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি গোবর সার অথবা ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে।
পোনা মজুদের পূর্বে নার্সারি পুকুরের চারপাশে নাইলন/ফিল্টার নেটের বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সার প্রয়োগের ১ সপ্তাহের মধ্যে পুকুরে মনোসেক্স তেলাপিয়ার পোনা মজুদের ব্যবস্থা করতে হবে।

পোনা মজুদ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ

পুকুর প্রস্তুতির পর প্রতি শতাংশে ১৫-২০ গ্রাম ওজনের সুস্থ সবল ২০০-২৫০ টি পোনা মজুদ করতে হবে।
পোনা মজুদের পর, প্রতিদিন ২৫-৩০% প্রোটিন সমৃদ্ধ সম্পূরক খাদ্য পুকুরে মজুদ করতে হবে। এটি মাছের মোট দেহ ওজনের ৩-১০% হারে প্রয়োগ করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৫, ২০২৩ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
পুকুরে মাছ চাষের জন্য জৈব সার তৈরি করবেন যেভাবে
মৎস্য

খাদ্যের পাশাপাশি সারের খরচও চাষীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাদের চাষের প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠ ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু তা অনেকটাই নিরাময় হয় যদি তারা তাদের চাষের পুকুরে ব্যবহার করে কিছু জৈব ও অজৈব সার।

এই সার মূলত পরিগণিত হয় সেই সমস্ত পূর্ব আলোচিত প্রাকৃতিক খাদ্যকনার খাদ্য দ্রব্য হিসাবে। তবে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নীতি হওয়া উচিত – ‘কম মাত্রায় কিন্তু বেশি বার’ – এটা মেনে চলতে পারলে ভয় কম থাকবে।

এছাড়াও, বাধ্যতামুলক মাসে এক বার চুনের প্রয়োগ। আনুমানিক এক কাঠা পিছু এক কেজি – যা পরবর্তীতে একবার মেপে নিলে ভালো, পানির ‘pH’ যাচাই করে। যেহেতু পুকুরের পানি ও মাটির গুনাগুন, মূলত ‘pH’, মাছের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে, ফলে, অন্তত ১৫ দিনে একবার পানির ‘ph’ দেখে নেওয়া অতি অবশ্যই প্রয়োজন।

জৈব সার তৈরি করার জন্য যে উপকরণগুলির প্রয়োজন হয় সেগুলি হল – গরুর গোবর, গোমূত্র, ঘরে রান্নার সবজির খোসা, চাল-ডাল ধোয়া পানি, সামান্য খোল ইত্যাদি বা কোনো সময় কুচো মাছ বা তাদের থেকে নির্গত বর্জ ইত্যাদি।

তবে, এদের মধ্যে, এই গোবর সারই আমাদের পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম-বাংলায় বহুল প্রচলিত। এই সারটি তৈরি করতেও বিশেষ তেমন খরচ নেই, শুধু রয়েছে একটি খুবই ছোট পুকুর বা পিট তৈরির পরিশ্রম।

এই পিটটির কিছুটা অংশ কাচা গোবর, কিছুটা পরিমাণ পানি এবং চাইলে সেই কুচো মাছ বা তাদের থেকে নির্গত বর্জগুলি দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেই যৌগটি তার অক্সিডেশন বা ফারমেণ্টেশানের (পচন) জন্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। এই পচন প্রক্রিয়ার ইতি হলেই গোবর সারের প্রস্তুত প্রণালী শেষ। এছাড়া জৈব জুসের মধ্যমেও অনুরূপ ফল পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৪, ২০২৩ ১২:৩৭ অপরাহ্ন
ডিমওয়ালা ইলিশ চেনার উপায়
মৎস্য

ইলিশ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। স্বাদে, গন্ধে এমনকি পুষ্টির দিক দিয়েও ইলিশ মাছ। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় বাড়ে ইলিশ মাছের চাহিদা।

ইলিশ মাছ কিনতে গেলে কমবেশি সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কোনটি নদীর আর কোনটি সমুদ্রের, কোন মাছটি সুস্বাদু কিংবা কোনটিতে ডিম আছে তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই।

অনকেরই ধারণা আছে, নদী আর সাগরের ইলিশের মধ্যে স্বাদে অনেক পার্থক্য আছে। তবে সব ইলিশই কিন্তু সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে ইলিশ আকারে যত বড় হবে, তার স্বাদ তত বেশি হয়।

বড় ইলিশকে পাকা ইলিশও বলা হয়। আবার বর্ষাকালে যেসব ইলিশ বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো বেশি সুস্বাদু হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম ছাড়ার আগ পর্যন্ত ইলিশের স্বাদ সবচেয়ে বেশি থাকে।

ডিমওয়ালা ইলিশের স্বাদ তুলনামূলক কম। তবে ডিমওয়ালা মাছের চাহিদা বেশি। অনেকেই বাজার ঘুরে ডিমওয়ালা মাছ খোঁজেন। কীভাবে চিনবেন ডিমওয়ালা ইলিশ?

ডিমওয়ালা মাছ পাওয়ার সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো অগাস্ট মাসের পর থেকে। তখন শুরু হয় ইলিশের ডিম ছাড়ার মৌসুম। একটানা তা চলে অক্টোবর পর্যন্ত। যদিও বর্তমানে বাজারে বছরজুড়েই ইলিশ পাওয়া যায়।
সাধারণত ডিমওয়ালা ইলিশের পেট কিছুটা মোটা অর্থাৎ উঁচু থাকে। আকৃতি অনেকটা চ্যাপ্টা দেখায়। এছাড়া ডিমওয়ালা ইলিশের পেট টিপলেই পায়ুর ছিদ্র দিয়ে ডিম বেরিয়ে আসবে। এভাবে যাচাই করে সহজেই কিনতে পারবেন ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ।

ইলিশ মাছের মতোই এর ডিমেও আছে নানা পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন এ, ডি থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সবই পাবেন মাছের ডিমে। এমনকি রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়াতেও সাহায্য করে মাছের ডিম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অক্টোবর ৩, ২০২৩ ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে চুন প্রয়োগ
মৎস্য

আমাদের দেশের অনেকেই এখন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মাছ চাষের সময় মাছের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তবে মাছ চাষের সময় পুকুর বা মাছ চাষের স্থানে চুন প্রয়োগ করলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। আজকের লেখায় আমরা জানবো পুকুর বা বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতা সম্পর্কে-

বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতাঃ
পুকুরে বা অন্য কোন স্থানে চুন প্রয়োগ করা হলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরে উকুনের বংশ বিস্তার রোধ করে। প্রোটোজোয়া রোগ বা এককোষী রোগ দমন করতেও চুন বেশ ভালো কাজ করে। পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরের পিএইচ এর মাণ বাড়লেও তা কমাতে সাহায্য করে। এতে মাছ চাষের পানির গুণাগুণ ঠিক থাকবে এবং মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

মাছ চাষের পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে মাছের ক্ষত রোগ বা আঘাত জনিত সারিয়ে উঠতে সাহায্য করে। পুকুরে কিংবা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করার সময় চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শরীর ও পানি পরিষ্কার হয়ে যায়। আর মাছ চাষের পানি ও মাছের শরীর ঠিক থাকলে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হবে না। ফলে মাছ চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

পুকুর বা জলাশয়ে চুন প্রয়োগ করার ফলে পুকুরের দূষিত পদার্থ, বর্জ্য ও আবর্জনা শোধিত হয়ে যায়। পুকুর বা জলাশয় দূষণমুক্ত হওয়ার ফলে মাছ চাষের পরিবেশ ঠিক থাকবে। চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যায় ও মাছের শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
পুকুরে চিংড়ি মাছের লার্ভা প্রতিপালনের প্রস্তুতি
মৎস্য

পলিযুক্ত এঁটেল মাটি এই পুকুরের জন্য উপযুক্ত। পুকুরের তলার কাদা ৬ ইঞ্চি তুলে ফেলতে হবে। পরিশোধনের জন্যে ৩ কেজি বালির সাথে মিশিয়ে পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে। তলার মাটি ভালোভাবে কর্মণকরতে হবে। পুকুরটির চারপাশে ৩ফুটের ডাল দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে। পুকুরের গভীরতা ৩-৪ ফুট, পুকুরের মাটি ১.৫-২ ইঞ্চি ফাটল ধরলে খালের পানি প্রবেশ করতে হবে।

খালের নোনা পানি ১-১.৫ ফুট ঢোকার পর পরিষ্কার পুকুর বা পাম্পের পানি ১-১.৫ ফুট মেশাতে হবে। এক্ষেত্রে পানির লবণাক্ততার উপর নির্ভর করে এই পরিমান ঠিক করতে হবে। পানি প্রবেশ করানোর সময় 80,000 ফাঁসের জাল দিয়ে হেঁকে পুকুরে ঢোকাতে হবে। জল পরিশোধনের জন্য ৩ কেজি গুঁড়ো তুঁতে মানাহীন গুলে রোদের সময় পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

তার এক দিন পর ১৫ কেজি ব্লিচিং পাউডার রাত্রিবেলায় মশারির মধ্যে চেলে ধীরে ধীরে গোটা পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে। ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। পরের দিন গাছের শুকনো ডাল, হররা, চেন দিয়ে বা পাম্প মেশিন চালিয়ে পুকুরের তলদেশের মাটি ঘেঁটে দিতে হবে। তার সাতদিন পর ডলোমাইট ৪-৫ কেজি এবং ১০ কেজি মিনারেল পানি গুলে দিনের বেলা মেশিন চালানোর সময় প্রয়োগ করতে হবে। মিনারেল দেওয়ার ১ দিন পর ৩ লিটার জৈবজুস হেঁকে পুকুরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

 

পানির পিএইচ ৭.৫-৮.২ রাখতে হবে। ব্লিচিং পাউডার প্রয়োগের ১০ দিন পর নিষিক্ত ডিমযুক্ত স্ত্রী চিংড়ি ছাড়তে হবে। মাছ ছাড়ার পূর্বে পানির ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যগুলি ( পি এইচ অক্সিজেন, লবনাক্ত, ক্ষারকত্ব, অর্ডনেস । পরিমাপ করে নিতে হবে। মাছ মজুত করার পর পাম্প বা এয়ারেটর ভোর ৪ টা-৫টা, সকাল ৮টা-৯টা, দুপুর ১২ টা-১টা, বিকাল ৪ টা-৫টা, রাত্রি ৯টা-১০টা।

পানির তাপমাত্রা ২৬-২৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং ১০-১২ পি.পি.টি. যুক্ত লবনাক্ত ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে আস্তে লাগে প্রায় ১৭-১৮ দিন। একবার বাচ্চা বেরোনো শুরু হলে তা শেষ হতে ১-২ দিন সময় লাগে। বাচ্চাগুলি কিছু সময়ের জন্য পানির তলদেশে আশ্রয় নেয়।

 

কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে ভাসমান প্লাঙ্কটনের মতো জীবনযাত্রা শুরু করে। এই সময় লার্ভা তার লেজ উপরে এবং মাথা নিচে রেখে ভাসতে থাকে। বার্তা দেখা দিলে মেশিন চালানোর সময় বাড়াতে হবে এবং ৭ দিন অন্তর জৈব জুস ৫০০ গ্রাম মিনারেল ও ১০০ গ্রাম প্রোরিওটিক সকাল ৮-৯ টায় প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া জোয়া স্টেজ ও অবধি আর্টেমিয়া ফ্ল্যাক্স যাবার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৬, ২০২৩ ১১:৫২ অপরাহ্ন
রঙিন মাছ চাষে চমক দেখাচ্ছেণ মর্তুজা
মৎস্য

ইউটিউব দেখে রঙিন মাছ চাষ শুরু তিন বছর আগে। বাড়ির ছাদে কয়েকটি প্লাস্টিকের ক্রেটে ছোট্ট পরিসরে এই মাছ চাষ শুরু করলেও ধীরে ধীরে পরিধি বাড়িয়ে বাণিজ্যিক রূপে পরিণত করেছেন। এখন বেশ কয়েকটি হাউজ তৈরি করা হয়েছে। প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত রঙ বে-রঙয়ের মাছ বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে বাড়তি আয় করছেন ১৫ হাজার টাকা। রঙিন মাছ চাষে এখন বর্ণিল ঠাকুরগাঁওয়ের গোলাম মর্তুজার জীবন।

অক্সিজেন মটর ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুতের সাহায্যে মাছের প্রজনন ঘটাচ্ছেন হাউজগুলোতে। গাপ্পি, মলি, গোল্ড ফিস, গোরামি, জেব্রা ফিসসহ একুরিয়ামের সৌন্দর্য বর্ধনে আঠারো থেকে বিশটি জাতের রঙিন মাছ উৎপাদন করছেন তিনি।

উৎপাদিত প্রতি পিস মাছ ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি করছেন অনলাইন ও বাড়ি থেকে। সখের এ মাছ ক্রয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। অনেকে আবার তার মতো মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন।

রঙিন এ মাছের খামার দেখতে ও মাছ ক্রয় করতে আসা মানুষেরা জানান, উদ্যোক্তার ছাদে নানা প্রকার মাছ রয়েছে। আগে এসব মাছ ক্রয়ে অন্য জেলায় যেতে হলে এখন হাতে কাছে পাওয়া যাচ্ছে। যারা সৌন্দর্য বর্ধনে সখ করে একুরিয়ামে মাছ রাখে তাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এছাড়া তাকে দেখে অনেকেই এ ধরনের মাছ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করে পরামর্শও নিচ্ছেন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উদ্যোক্তা গোলাম মর্তুজা জানান, ইউটিউব দেখে মাছ চাষ শুরুটা ছোট্ট পরিসরে হলেও এখন তা বাড়ানো হয়েছে। মাত্র তিন বছরে বিশ প্রকারের বেশি মাছ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি মাছ থেকে প্রজনন ঘটানো হচ্ছে। বর্তমানে মাছ বিক্রি করে কমপক্ষে পনের হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়তি আয় হচ্ছে। তেমন কোন পরিশ্রম নেই। কোন শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না। মানুষ অনলাইনে ও বাড়ি থেকে মাছ ক্রয় করছে। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের সরকারপাড়ায় নিজ বাড়িতে ২০২০ সালে এ রঙিন মাছ চাষ শুরু করেন মর্তুজা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৫, ২০২৩ ১১:০৭ অপরাহ্ন
পুকুরে মিলল ২০ ইলিশ
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়ায় পুকুরে মিললো ২০টি ইলিশ মাছ। আশ্চর্যজনক এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই ইলিশ দেখার জন্য মানুষ ভিড় জমান স্থানীয় অনিমেষ মণ্ডলের পুকুর পাড়ে।

জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার লতাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ মণ্ডল শুক্রবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলে নিয়ে মাছ ধরতে পুকুরে নামেন। এরপর তাদের জালে একে একে ২০টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে।

খুলনা জেলা মৎস্য অফিসার জয়দেব পাল জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নের লতাবুনিয়া গ্রামের একটি পুকুরে ২০টি ইলিশ মাছ পাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।

তিনি বলেন, ‘চটচটিয়া নদীর ১০০ ফুট দূরে অনিমেষের ১২০ শতক জমির একটি ঘের রয়েছে। এই ঘেরে জোয়ারের সময় পানি তোলা হয়। এ কারণে ওই পানির সঙ্গে জাটকা ঘেরে আসতে পারে। আর ওই ঘেরের পাশেই রয়েছে অনিমেষের পুকুর। সেখানে ৬-৭ ফুট পানি থাকে। ঘেরের পানি ওই পুকুরে মেশে। আবার বর্ষার সময় এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে পানির সঙ্গে নদী থেকে জাটকা ঘের হয়ে পুকুরে আসতে পারে। আর ইলিশ গভীর পানির মাছ। হয়তো ছোট পোনা পানির সঙ্গে ঢুকে পড়ে বদ্ধ জায়গায় ৬-৭ ফুট পানিতে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ করা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে সুখবর পাওয়ার আশা করতে পারি।’

অনিমেষ মণ্ডল বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। এর আগে আমরা কখনও পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই।

স্থানীয় প্রবীণ জেলে সুকুমার বলেন, ‘নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের সরাসরি কোনও সংযোগ নেই। মাঝে ঘের রয়েছে। ঘেরে নদী থেকে পানি তোলা হয়। আবার বর্ষায় পানিতে সব একাকার হয়ে যায়। এ অবস্থায় ওই পুকুরে ইলিশ পাওয়া গেলো।’

ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘পুকুরে ইলিশ হয়– বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রশান্ত মল্লিক বলেন, ‘বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বিষয় না। অনিমেষের পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২৪, ২০২৩ ৭:২৮ অপরাহ্ন
বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে চুন প্রয়োগ
মৎস্য

আমাদের দেশের অনেকেই এখন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। মাছ চাষের সময় মাছের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। তবে মাছ চাষের সময় পুকুর বা মাছ চাষের স্থানে চুন প্রয়োগ করলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। আজকের লেখায় আমরা জানবো পুকুর বা বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতা সম্পর্কে-

বায়োফ্লকে মাছ চাষে চুন প্রয়োগের উপকারিতাঃ
পুকুরে বা অন্য কোন স্থানে চুন প্রয়োগ করা হলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরে উকুনের বংশ বিস্তার রোধ করে। প্রোটোজোয়া রোগ বা এককোষী রোগ দমন করতেও চুন বেশ ভালো কাজ করে। পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে পুকুরের পিএইচ এর মাণ বাড়লেও তা কমাতে সাহায্য করে। এতে মাছ চাষের পানির গুণাগুণ ঠিক থাকবে এবং মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হবে।

মাছ চাষের পুকুরে চুন প্রয়োগ করা হলে মাছের ক্ষত রোগ বা আঘাত জনিত সারিয়ে উঠতে সাহায্য করে। পুকুরে কিংবা বায়োফ্লকে মাছ চাষ করার সময় চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শরীর ও পানি পরিষ্কার হয়ে যায়। আর মাছ চাষের পানি ও মাছের শরীর ঠিক থাকলে পুকুর বা জলাশয়ে মাছের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হবে না। ফলে মাছ চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি লাভ বেশি পাওয়া যাবে।

পুকুর বা জলাশয়ে চুন প্রয়োগ করার ফলে পুকুরের দূষিত পদার্থ, বর্জ্য ও আবর্জনা শোধিত হয়ে যায়। পুকুর বা জলাশয় দূষণমুক্ত হওয়ার ফলে মাছ চাষের পরিবেশ ঠিক থাকবে। চুন প্রয়োগ করার ফলে মাছের শ্বাসকষ্ট দূর হয়ে যায় ও মাছের শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop