৫:২৩ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৫, ২০২২ ৬:২০ অপরাহ্ন
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ভিজিএফ বরাদ্দ
মৎস্য

২০২১-২২ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে ২৪ হাজার ৯৫৩ টি জেলা পরিবারের জন্য ৯৯৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার জেলেদের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে মাসিক ২০ কেজি হারে মে-জুন দুই মাসের জন্য মোট ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল প্রদান করা হবে।

গত ২৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ভিজিএফের চাল ১০ জুন ২০২২ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও জেলেদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কেবলমাত্র কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দীঘিনালা।

উল্লেখ্য, কার্প ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এ বছর ইতোমধ্যে ১ মে থেকে তিন মাসের জন্য এ হ্রদের সকল প্রকার মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে কাপ্তাই হ্রদে নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২২ ৫:৩৪ অপরাহ্ন
চিংড়ি মাছের বিশেষ গুণ
মৎস্য

পোকা নাকি মাছ- এই বিতর্ক ছাড়িয়ে চিংড়ির একটা গুণের কদর অন্তত করতেই হবে। আর তা হল আয়োডিন। বিভিন্ন জরিপের ফলাফল অনুসারে ‘ইট দিস নট দ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্বের প্রায় দুইশ কোটি মানুষ আয়োডিনের অভাবে ভোগেন।দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ থাইরয়েড হরমোনের মাঝে আয়োডিনের উপস্থিতি মেলে। সেগুলো হলো থাইরক্সিন (টি-ফোর) এবং ট্রাইআইডোথাইরোনিন(টি-থ্রি)। থাইরয়েড’য়ের সুস্থতার জন্য দুটোই জরুরি।

‘অ্যানালস অফ পেডিয়াট্রিক এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম[’য়ের পর্যালোচনা বলে, “থাইরয়েড’য়ের রোগের সঙ্গে শরীরে আয়রন বা লৌহের ঘাটতির গভীর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেল্থ বলছে, “থাইরয়েড-স্টিমুলেটিং হরমোন (টিএসএইচ)’য়ের অতি সক্রিয়তা বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি থামাতে আয়োডিন প্রয়োজন হয়। ‘টিএসএইচ’য়ের ওই অতি সক্রিয়তা থেকেই দেখা দেয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ এবং ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’।এই দুই রোগ সরাসরি থাইরয়েড হরমোনে সঙ্গে যুক্ত।

থাইরয়েড গ্রন্থি যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করে না তখন তাকে বলা হয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’। এই সমস্যা ডেকে আনতে পারে অস্বাভাবিক স্থুলতা ও হৃদরোগ।

অপরদিকে ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’য়ের ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে থাকে। এ থেকে আকস্মিক ওজন কমে যায়, চুল পাতলা হয়ে যায়, অবসাদ দেখা দেয়, মানসিক অস্বস্তি বাড়ে।

এই দুই রোগের সম্ভাবনা কমাতে প্রয়োজন শরীরে নিয়মিত আয়োডিনের সরবরাহ নিশ্চিত করা।

চিংড়িতে আয়োডিনের মাত্রা:

তিন আউন্স চিংড়ি মাছে মিলবে প্রায় ১৩ মাইক্রো গ্রাম আয়োডিন। দৈনিক আয়োডিন চাহিদার ৯ শতাংশ পূরণ হয়ে গেল শুধু তিন আউন্স চিংড়ি দিয়েই। চিংড়িসহ অন্যান্য সামুদ্রিক খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন মেলে। আর চিংড়ির পদের রেসিপির অভাব হওয়া অসম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৪, ২০২২ ৪:৩৪ অপরাহ্ন
আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের কৌশল
মৎস্য

মাছ হচ্ছে প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস। কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং পুষ্টি সরবরাহে মৎস্য সম্পদের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। মাছ চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে, যেমন- একই পুকুরে নানা জাতের মাছ চাষ করা যায়, খাল ও ডোবায় মাছ চাষ করা যায়, আবার চৌবাচ্চায়ও মাছের চাষ করা যায়। সাধারণত মাছের জন্য পুকুরে খাবার উৎপাদনই হচ্ছে মাছ চাষ। এটি কৃষির মতোই একটি চাষাবাদ পদ্ধতি। আবার কোনো নির্দিষ্ট জলাশয়ে/জলসীমায় পরিকল্পিত উপায়ে স্বল্প পুঁজি, অল্প সময় ও লাগসই প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছের উৎপাদনকে মাছ চাষ বলে। মূলত বিভিন্ন নিয়ম মেনে প্রাকৃতিক উৎপাদনের চেয়ে অধিক মাছ উৎপাদনই মাছ চাষ।

চাষ উপযোগী মাছের গুণাগুণ ও উপকারিতা:
আমাদের দেশের স্বাদু পানিতে ২৬০টিরও বেশি প্রজাতির মাছ আছে। এছাড়া খাড়ি অঞ্চলে ও লোনা পানিতে কয়েক শত প্রজাতির মাছ আছে। তবে চাষযোগ্য মাছগুলো হলো- রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, সিলভারকার্প, মিররকার্প, গ্রাসকার্প, কমনকার্প, বিগহেড, রাজপুঁটি, নাইলোটিকা, বিদেশি মাগুর, থাই পাঙ্গাশ প্রভৃতি। এসব মাছের কিছু গুণাগুণ আছে-

এসব মাছ খুব দ্রুত বাড়ে; খাদ্য ও জায়গার জন্য একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে না; পুকুরে বেশি সংখ্যায় চাষ করা যায়; পানির সব স্তর থেকে খাবার গ্রহণ করে, তাই পুকুরের পরিবেশ ভালো থাকে; এসব মাছ খেতে খুব সুস্বাদু; বাজারে এসব মাছের প্রচুর চাহিদা আছে; সহজে রোগাক্রান্ত হয় না।

বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের জন্য পুকুরকে প্রস্তুত করে নেয়াই ভালো। কারণ একটি পুকুর মাছ চাষের উপযুক্ত না হলে এবং পুকুর প্রস্তুত না করে চাষ শুরু করে দিলে বিনিয়োগ ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ঝুঁকি এড়াতে এবং লভ্যাংশ নিশ্চিত করতেই বৈজ্ঞানিক কৌশল অনুসরণ করে পুকুর প্রস্তুত করতে হবে।

মাছ চাষের জন্য পুকুর প্রস্তুতি:
১. পুকুরের পাড় ও তলা মেরামত করা; ২. পাড়ের ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার করা; ৩. জলজ আগাছা পরিষ্কার করা; ৪. রাক্ষুসে ও অবাঞ্ছিত মাছ দূর করা; ১. পুকুর শুকানো; ২. বার বার জাল টানা; ৩. ওষুধ প্রয়োগ- রোটেনন। পরিমাণ ২৫-৩০ গ্রাম/শতাংশ/ফুট। এর বিষক্রিয়ার মেয়াদ ৭-১০ দিন। প্রয়োগের সময় রোদ্রজ্জ্বল দিনে। ২. ফসটক্সিন/কুইফস/সেলফস ৩ গ্রাম/শতাংশ/ ফুট। মেয়াদ এবং সময় পূর্বের মতো; ৫. চুন প্রয়োগ: কারণ/কাজ/উপকারিতা সাধারণত ১ কেজি চুন/শতাংশ প্রয়োগ করতে যদি ঢ়ঐ এর মান ৭ এর আশেপাশে থাকে। বছরে সাধারণত ২ বার চুন প্রয়োগ করতে হয়। একবার পুকুর তৈরির সময়, দ্বিতীয় বার শীতের শুরুতে কার্র্তিক অগ্রহায়ণ মাসে।

চুন প্রয়োগের উপকারিতা ও সাবধানতা:
1.পানি পরিষ্কার করা/ঘোলাটে ভাব দূর করা;

2.pH নিয়ন্ত্রণ করে;

3.রোগ জীবাণু ধ্বংস করে;

4.মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়;

5.বিষাক্ত গ্যাস দূর করে;

6.শ্যাওলা নিয়ন্ত্রণ করে। চুন কখনও প্লাস্টিকের কিছুতে গোলানো যাবে না;

7.পুকুরে মাছ থাকা অবস্থায় চুন গোলানোর ২ দিন পর পুকুরে দিতে হয়;

8.গোলানোর সময় এবং দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন নাকে মুখে ঢুকে না যায়;

9.পানি নাড়া চাড়া করে দিতে হবে;

সার প্রয়োগ:

1.সার প্রয়োগ প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক;

2.জৈব সার/প্রাকৃতিক যা কিনা প্রাণীকণা তৈরি করে।

3.গোবর, হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, কম্পোস্ট;

4.অজৈব বা রাসায়নিক বা কৃত্রিম সার ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি যা উদ্ভিদ কণা তৈরি করে।

নতুন পুকুরের ক্ষেত্রে সার প্রয়োগ মাত্রা:
১. প্রতি শতাংশে গোবর ৫-৭ কেজি অথবা ২. হাঁস মুরগির বিষ্ঠা ৫-৬ কেজি অথবা ৩. কম্পোস্ট ১০-১২ কেজি এবং ইউরিয়া ১০০-১৫০ গ্রাম টিএসপি ৫০-৭৫ গ্রাম।

পুকুর প্রস্তুতির আনুমানিক মোট সময়:

1.পাড় ও তলা+ঝোপ জঙ্গল পরিষ্কার = ২ দিন;
2.রাক্ষুসে মাছ পরিষ্কার = ৩ দিন (৭-১০ দিন পর্যন্ত বিষক্রিয়া থাকে)।
3.চুন প্রয়োগ = ৩-৫ দিন;
4.সার প্রয়োগ = ৭ দিন;
5.এরপর পোনা ছাড়া হবে। গড়ে মোট ১৭ দিন (২+৩+৫+৭)।
6.পুকুরে চাষযোগ্য মাছের বৈশিষ্ট্য- দ্রুতবর্ধনশীল;
7.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি; বাজার চাহিদা বেশি।

পুকুর নির্বাচন:
১. পুকুরটি খোলামেলা জায়গায় এবং বাড়ির আশপাশে হতে হবে।
২. মাটির গুণাগুণ পুকুরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দো-আঁশ, এঁটেল দো-আঁশ ও এঁটেল মাটি পুকুরের জন্য ভালো।
৩. পুকুরের আয়তন কমপক্ষে ১০ শতাংশ হতে হবে। ৩০ শতাংশ থেকে ১ একর আকারের পুকুর মাছ চাষের জন্য বেশি উপযোগী।
৪. পুকুরের গভীরতা ২-৩ মিটার রাখতে হবে।
৫. পুকুর পাড়ে বড় গাছ বা ঝোপ-ঝাড় থাকা যাবে না।

পুকুর প্রস্তুত:
পোনা মাছ ছাড়ার আগে পুকুর তৈরি করে নিতে হবে। সাধারণত পুরনো পুকুরই তৈরি করে নেয়া হয়। পুকুর প্রস্তুতির কাজটি পর্যায়ক্রমে করতে হবে:

১ম ধাপ: জলজ আগাছা-কচুরিপানা, কলমিলতা, হেলেঞ্চা শেকড়সহ তুলে ফেলতে হবে;

২য় ধাপ: শোল, গজার, বোয়াল, টাকি রাক্ষুসে মাছ এবং অবাঞ্ছিত মাছ মলা, ঢেলা, চান্দা, পুঁটি সম্পূর্ণভাবে সরিয়ে ফেলতে হবে;

৩য় ধাপ: এরপর প্রতি শতকে ১ কেজি হারে চুন পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। পুকুরে পানি থাকলে ড্রামে বা বালতিতে গুলে ঠা-া করে পুরো পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে;

৪র্থ ধাপ: মাটি ও পানির গুণাগুণ বিবেচনায় রেখে চুন দেয়ার এক সপ্তাহ পর জৈবসার দিতে হবে;

৫ম ধাপ: পুকুর শুকনা হলে পুকুরে সার, চুন, গোবর সব ছিটিয়ে দিয়ে লাঙল দিয়ে চাষ করে পানি ঢুকাতে হবে;

৬ষ্ঠ ধাপ: পোনা মজুদের আগে পুকুরে ক্ষতিকর পোকামাকড় থাকলে তা মেরে ফেলতে হবে;

৭ম ধাপ: পুকুরে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য জন্মালে পোনা মজুদ করতে হবে। মৃত্যুর হার যেন কম থাকে সেজন্য পোনার আকার ৮-১২ সেন্টিমিটার হতে হবে।

৮ম ধাপ: এর পর নিয়মমতো পুকুরে পোনা ছাড়তে হবে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে, যেমন:
১. পোনা হাড়িতে বা পলিথিন ব্যাগে আনা হলে, পলিথিন ব্যাগটির মুখ খোলার আগে পুকুরের পানিতে ২০-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে;

২. তারপর ব্যাগের মুখ খুলে অল্প করে ব্যাগের পানি পুকুরে এবং পুকুরের পানি ব্যাগে ভরতে হবে।

৩. ব্যাগের পানি ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা যখন সমান হবে তখন পাত্র বা ব্যাগের মুখ আধা পানিতে ডুবিয়ে কাত করে সব পোনা পুকুরে ছেড়ে দিতে হবে। সকাল ও বিকালই পোনা ছাড়ার ভালো সময়।

৯ম ধাপ: দিনে দুইবার অর্থাৎ সকাল ১০টায় এবং বিকাল ৩টায় খৈল, কুঁড়া, ভুসি ইত্যাদি সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।

সতর্কতা :
১. রোগ প্রতিরোধী মাছের চাষ করতে হবে।
২. সঠিক সংখ্যায় পোনা মজুদ করতে হবে।
৩. পোনা ছাড়ার আগে পোনা রোগে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. পুকুরে পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং পুকুরে যাতে আগাছা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫. প্রতি ৩-৪ বছর পরপর পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে।

বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য মাছ:
দেশি কার্প- রুই, কাতলা, মৃগেল, কালি বাউশ; বিদেশি কার্প- গ্রাস কার্প, সিল্ভার কার্প, কার্পিও, মিরর কার্প, বিগহেড কার্প ছাড়াও পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, সরপুঁটি/রাজপুঁটি, কৈ, চিংড়ি এসব।

বিভিন্ন স্তরের মাছ একসাথে চাষের আনুপাতিক হার:
উপরের স্তর ৪০%; মধ্য স্তর ২৫%; নিম্ন স্তর ২৫%; সর্বস্তর ১০% মোট ১০০%। সাধারণত শতাংশ প্রতি ১৫০টি পোনা ছাড়া যায়। এ হিসাবে ৩০ শতাংশের একটি পুকুরে মোট ৪৫০০টি পোনা ছাড়া যাবে। এবং উপরের স্তরের মাছ থাকবে {(৪০ঢ৪৫০০)/১০০}=১৮০০টি পোনা

পুকুরে মাছ চাষ:
১. সনাতন পদ্ধতির মাছ চাষ : এ পদ্ধতিতে পুকুরের কোনো ব্যবস্থাপনা ছাড়াই মাটি ও পানির উর্বরতায় পানিতে যে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হয় মাছ তাই খেয়ে জীবন ধারণ করে। এক্ষেত্রে আলাদা কোনো পরিচর্যা নিতে হয় না।

২. আধা-নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ : এ পদ্ধতিতে নিয়মমতো পুকুর প্রস্তুত করে আংশিক সার ও খাদ্য সরবরাহ করে মাছের খাদ্য উৎপন্ন করতে হয়। পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপাদিত খাদ্যের সঠিক ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখে মাছের পোনা ছাড়তে হয়।

৩. নিবিড় পদ্ধতির মাছ চাষ : অল্প জায়গায়, অল্প সময়ে বেশি উৎপাদনের জন্য সার ব্যবহার করে পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হয়।

৪. কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ : পুকুরের বিভিন্ন স্তরে উৎপন্ন খাবার সম্পূর্ণ ব্যবহার করার জন্য রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, বিগহেড, সিলভারকার্প, কমনকার্পসহ প্রজাতির মাছ একত্রে চাষ করা যায়।

মাছের প্রক্রিয়াজাতকরণ:
১. মাছ প্রক্রিয়াজাতের সময় হাত দিয়ে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করা যাবে না;

2.মাছ ধরার পর মাছের আকৃতি অনুযায়ী আলাদা করে ফেলতে হবে;

3.বাক্সে বা পাত্রে বরফ দিয়ে স্তরে স্তরে মাছ সাজাতে হবে।

পরিচর্যা:
১. বর্ষার শেষে পুকুরের পানিতে লাল বা সবুজ সর পরলে তা তুলে ফেলতে হবে; পানির সবুজভাব কমে গেলে অবশ্যই পরিমাণমতো সার দিতে হবে; মাঝে মাঝে জাল টেনে মাছের অবস্থা দেখতে হবে; পুকুরে জাল টেনে মাছের ব্যায়াম করাতে হবে।

 

কৃষিবিদ হাসান রিয়াদুল আলম

পান্থনীড়, ফেনী

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১, ২০২২ ১:৩৬ অপরাহ্ন
টাটকা মাছ চেনার সহজ উপায়
মৎস্য

আমাদের সবার কাছেই অতি প্রিয় খাবার মাছ। মাছ ছাড়া যেন আমাদের চলেই না। তবে এই স্বাদের মাছ যদি হয় পঁচা তাহলে তার টাকাও লস আবার অন্যদিকে শুনতে হয় পরিবারের অনেকের কথা। তাই বাজারে গিয়ে সচেতনতার সাথে কিনতে হবে তাজা মাছ। তাতে একদিকে যেমন থাকবে টাটকা স্বাদ অন্যদিকে কারো কথাও শুনতে হবে না। একটু সাবধানতায় এমনটি সম্ভব। আপনি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কিছু উপায় কাজে লাগালেই খুব সহজেই টাটকা মাছ কিনতে পারবেন।

আসুন টাটকা মাছ চেনার সহজ কিছু উপায় জেনে নিই –

১. মাছ হাতে তুলে দেখুন। যদি দেখেন যে মাছটি পিছলে যাচ্ছে তবে বুঝবেন মাছ টাটকা।

২. মাছ কেনার আগে মাছের চোখের দিকে লক্ষ্য করুন চোখ যদি ফ্যাকাসে আর ভেতর দিকে বসে যাওয়া হয় তাহলে তা ভুলেও কিনবেন না। কারণ, তাজা মাছের চোখ কখনো ঘোলাটে হয় না। আর তা খানিকটা বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে।

৩. মাছ হাতে নিয়ে কানকো তুলে দেখুন লাল না ফ্যাকাসে। যদি লাল হয় তবেই কিনবেন।

৪. ছোট মাছের ক্ষেত্রে পেট কাটার পর যদি পটকার রঙ লাল ও ভেজা থাকে তাহলে সেটি টাটকা। কারণ পচা ছোট মাছের পেটের ভেতরের অংশ শুকনো হয়।

৫. অনেকেই আবার মাছের পেটি কিনেন। এক্ষেত্রে হালকা চাপ দিয়ে দেখুন, কাঁটা থেকে মাছ আলাদা হয়ে গেলে বুঝবে তা তাজা নয়।

৬. চিংড়ি কেনার সময় চিংড়ি মাথা সহজেই ভেঙে যাচ্ছে কিনা দেখুন। ভেঙে গেলে তা টাটকা নয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২২ ৩:০৯ অপরাহ্ন
মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা, ইলিশ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
মৎস্য

টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১২ টা থেকে দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে আবারও শুরু হচ্ছে ইলিশ ধরা।

প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে মৎস্যজীবীদের মাঝে। মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরপরই কর্মব্যস্ত হয়ে পড়বেন বেকার জেলেরা। জেলেরা নদীতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘাটের পাড়ে জাল ও নৌকা ঠিক করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

এতোদিন যেসব আড়তে ছিল সুনশান নিরবতা সেইসব আড়ত জেলে, মৎস্যজীবী ও আড়তদারদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠবে। মাছ ধরে বিগত দিনের ধার-দেনা শোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদী জেলেরা।

মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, এবছর নিষেধাজ্ঞা প্রায় শতভাগ কার্যকর হয়েছে বলে দাবি করেছে। দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় এবার কাঙ্ক্ষিত টার্গেট ৬ লাখ টন ইলিশ মাছ আহরণ সম্ভব হবে।

জাটকা ইলিশ সংরক্ষণে প্রতিবছর দুই মাস দেশের কয়েকটি এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো ৫টি অভয়াশ্রমে পহেলা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এই সময়ে বন্ধ থাকে ইলিশ মাছ মজুদ এবং বিক্রিও। চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, শরীয়তপুর ও বরিশাল জেলায় পদ্মা-মেঘনাসহ কয়েকটি নদীর নির্দিষ্ট এলাকা নিয়ে এই পাঁচটি অভয়াশ্রম।

বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, রোববার ভোর থেকে ইলিশ আহরণ শুরু হবে, এবার কম সংখ্যক জেলেরাই নদীতে নামবে। ঈদের জন্য অনেকেই এই মুহূর্তে নদীতে নামবে না, তাছাড়া নদীতে মাছের উপস্থিতি অনেক কমে গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ১:৫২ অপরাহ্ন
দেশে শোল মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করল বিএফআরআই
মৎস্য

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা এবার হ্যাচারিতে দেশে প্রথমবারের মত বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ শোল মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছে। বিএফআরআই বিজ্ঞানীরা চলতি মাসে ময়মনসিংহে ইনস্টিটিউটের স্বাদু পানি কেন্দ্রে এ সাফল্য পান।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, এক-দুই বছরের মধ্যেই দেশীয় শোল মাছের পোনা উৎপাদন প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে হস্তান্তর করা হবে। পাশাপাশি চাষের মাধ্যমে এ মাছের উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে রপ্তানি করা যাবে।

গবেষক দলে ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শাহাআলী, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রবিউল আওয়াল, মালিহা খানম, ফারজানা জান্নাত আঁখি ও মো. সাইফুল ইসলাম।

বাংলাদেশে মিঠা পানির দেশীয় প্রজাতির মাছের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মাছ শোল। এ মাছটি খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ দক্ষিণপূর্ব-এশিয়ায় এ মাছ পাওয়া যায়। শোল মাছে মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও মিনারেল রয়েছে। প্রতি ১০০গ্রাম ভক্ষণযোগ্য মাছে প্রোটিন ১৬.২ গ্রাম, আয়রন ০.৫৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৫ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.১৯ মিলিগ্রাম, জিংক ১০৮০ মাইক্রোগ্রাম।

গবেষক দলের প্রধান ড. মো. শাহাআলী এ প্রসঙ্গে বলেন, শোল মাছের প্রজনন ও চাষ অন্যান্য মাছের তুলনায় অপেক্ষাকৃত জটিল। এরা অন্যান্য মাছের মতো খৈল/কুঁড়া জাতীয় খাবার খেতে অভ্যস্ত নয়। ফলে পোনা তৈরির জন্য মা-বাবা অর্থাৎ ব্রুড মাছ তৈরি করা খুব কষ্টকর বিষয় ছিল। প্রথমে এদের প্রোটিনসমৃদ্ধ দেশীয় একটি খাবারে অভ্যস্ত করা হয়েছে। এরপর ব্রুড তৈরি করে হরমোন ইনজেকশনের মাধ্যমে পোনা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এ মাছটি সজাতি ভোজী হওয়ায় একটি আরেকটিকে ধরে খায়। ফলে পোনা বাঁচিয়ে রাখাও ছিল আরেকটি চ্যালেঞ্জ।

এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, দেশীয় শোল মাছের কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পোনা উৎপাদন করা ছিল ইনস্টিটিউটের জন্য একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘ গবেষণার পর এ মাছের প্রজনন বিষয়ে সফলতা আসে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৮, ২০২২ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষদের নিজের পায়ে দাঁড় করানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা মনে করেন ভিক্ষুকের কোন মর্যাদা থাকে না। তাঁর সরকার চায় একজন মানুষও বেকার থাকবেন না, গৃহহীন থাকবেন না। অসহায় মানুষের দুঃখ দেখলে শেখ হাসিনার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের বিস্ময়কর জাদুকর, তাঁর হাত ধরে আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সম্মিলিতভাবে শেখ হাসিনার এ উন্নয়নের ধারায় শামিল হতে হবে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা তৈরি করে বেকারত্ব দূর করছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। মাছ ধরা বন্ধকালে মৎস্যজীবীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের পুষ্টি চাহিদা মেটাচ্ছে।

করোনা সংকটে দুধ, ডিম, মাছ ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় কার্যক্রম চালু করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা মূল্যের দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় হয়েছে। চলতি রমজানে মাসে বাজারে দ্রব্য মূ্ল্য বৃদ্ধি রোধে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমান বিক্রয় চালু করা হয়েছে। বাজারের চেয়ে কম মূল্যে ৫৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও দুধ, ডিম সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমদের সভাপতিত্বে সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, ফজলুল হক সেন্টু ও সমীর কুমার দাশ বাচ্চু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি,স্থানীয় অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের অংশ হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ করেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২২ ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
পোলট্রি

পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটে কেআইবি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষি পণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, খরা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, লবণাক্ততা বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিকূল পরিবেশ আমরা মোকাবিলা করছি। বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতায় হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের প্রজাতি উদ্ভাবন করে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে দেশে ৬৪টি প্রজাতির দেশীয় মাছ হারিয়ে গিয়েছিল। গবেষণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩৪টি বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল ও চাষ পদ্ধতি আমাদের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে। অতি সম্প্রতি মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ৬ বছর গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির শোল মাছের প্রজনন কৌশল আবিষ্কার করেছে। ময়মনসিংহে মাছের লাইভ জিন ব্যাংক করে সেখানে ১০২ প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোন অঞ্চলে কোন বিশেষ মাছ হারিয়ে গেলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা সে অঞ্চলের নদী-নালা, হাওর-বাওড়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিদের সরকারের উদ্যোগে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এতে তারা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা রাষ্ট্র করে দিয়েছে। করোনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর ফলে উৎপাদক, সরবরাহকারী, বিপণনকারী ও ভোক্তারা লাভবান হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রি হয়েছে। মন্ত্রী আরো যোগ করেন, বৈরী পরিস্থিতিতে প্রাণী চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য সরকারের উদ্যোগে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।

অসুস্থ প্রাণী হাসপাতালে নয় বরং হাসপাতাল প্রাণির কাছে যাবে। এভাবে আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে বৈরী আবহাওয়া ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো যোগ করেন, করোনার বৈরী পরিস্থিতিতে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য পোল্ট্রি ও ফিস ফিডের উপকরণ আমদানিতে সরকার কর রেয়াত দিয়েছে। পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরির শিল্প স্থাপনে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের কর ছাড় দেয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ এক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতিকী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল, সে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। একসময় বাংলাদেশ খাদ্যের জন্য পরনির্ভরশীল ছিল, সেই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একসময় ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কোরবানি না হওয়ার শঙ্কা ছিল। এখন কোরবানির হাটে আমাদের উৎপাদিত প্রাণী এক দশমাংশ উদ্বৃত্ত থাকে। এতে মানুষের পুষ্টি আমিষের চাহিদা মিটছে, উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।প্যানেল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম এ সাত্তার মন্ডল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এসিআই এগ্রিবিজনেসেস এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন, গ্রীন ডেল্টা ইস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মঈনউদ্দিন আহমেদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২২ ১২:০৬ অপরাহ্ন
মাছের উৎপাদন বাড়াতে সম্পূরক খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা
মৎস্য

সুষম পুষ্টিকর খাদ্য ছাড়া মাছের সন্তোষজনক উৎপাদন আশা করা যায় না। সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো হচ্ছে আমিষ, শ্বেতসার, ভিটামিন, তৈল, খনিজ লবণ ও পানি। প্রাকৃতিক নিয়মে পুকুরে মাছের যে খাবার (প্লাঙ্কটন) উৎপাদন হয়, তা মাছের সার্বিক পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মোটেই যথেষ্ট নয়।

এ ছাড়া পুকুরে প্রাকৃতিক খাবার তৈরির জন্য যে সার প্রয়োগ করা হয়, তাতেও মাছের খাদ্য ঘাটতি অপূরণীয়ই থেকে যায়। ফলে মাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় না। প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাবার মাছের উৎপাদন বাড়াতে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই স্বল্প সময়ে স্বল্পায়তনের জায়গা থেকে মাছের অধিক ফলন পেতে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ অত্যাবশ্যক।

মাছের সম্পূরক খাদ্য তৈরির জন্য সচরাচর ব্যবহারযোগ্য উপাদানগুলো হচ্ছে চালের কুঁড়া, গমের ভুসি, সরিষার খৈল, তিলের খৈল, ফিশমিল, গরু-ছাগলের রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, রেশম কীট এবং জলজ উদ্ভিদ যেমন, কচুরিপানা, খুদেপানা, কুটিপানা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, সুষম খাদ্য তৈরির জন্য সাধারণত মোট খাদ্যের ০.৫-২% ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রণ প্রয়োজন হয় এবং খাবার বেশি সময় স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাইন্ডার হিসেবে আটা, ময়দা অথবা চিটাগুড়ের ব্যবহার অতীব জরুরি বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহ কর্তৃক রুইজাতীয় মাছের পুষ্টি চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সর্বোচ্চ মাত্রায় উৎপাদনের জন্য এজাতীয় মাছের সম্পূরক খাদ্যে কমপক্ষে ৩৫% আমিষ থাকা বাঞ্ছনীয়। উপরন্তু, এ দেশের মাছচাষিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহ রুইজাতীয় মাছের মিশ্র চাষ ও আঁতুড় পুকুরে পোনা মাছ চাষের জন্য উন্নত মানের সুষম সম্পূরক খাদ্য তৈরির সূত্র ও পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছে, যা নিম্নে উদ্ধৃত হলো।

রুইজাতীয় মাছের মিশ্র চাষের সম্পূরক খাদ্য তৈরির সূত্র ফিশমিল ১০%, চালের কুঁড়া ৫৩%, সরিষার খৈল ৩০.৫০%, ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রণ ০.৫০%, চিটাগুড় ৬.০০%।

আঁতুড় পুকুরে পোনা মাছের সম্পূরক খাদ্য তৈরির সূত্র- ফিশমিল ২১%, সরিষার খৈল ৪৫%, চালের কুঁড়া ২৮%, আটা ৫%, ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রণ ১%।।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৭, ২০২২ ২:৪৭ অপরাহ্ন
দারকিনা মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করল বিএফআরআই
মৎস্য

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা অবশেষে দেশীয় প্রজাতির দারকিনা মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনে সফল হয়েছেনগত মার্চে ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি কেন্দ্রে এ সফলতা অর্জিত হয়।

এর আগে, খলিশা, বৈরালী, বাতাসি, পিয়ালিসহ দেশীয় ও বিলুপ্তপ্রায় ৩১ প্রজাতির মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছে মৎস্য ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।

ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় সব প্রজাতির মাছের পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের অধীনে চলতি বছর প্রথম সুস্বাদু দারকিনা মাছের কৃত্রিম প্রজননে এই সফলতা অর্জিত হয়েছে। গত মার্চ মাসে ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহস্থ স্বাদুপানি কেন্দ্রে এ সফলতা অর্জিত হয়। গবেষক দলে ছিলেন ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: রবিউল আউয়াল, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: আশিকুর রহমান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: শাহাআলী। এ বছর আরো আটটি দেশীয় মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা চলছে।

তিনি আরো জানান, চলতি বছর বিগত দুই-তিন বছরে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢেলা, রানী, বাতাসি, পিয়ালি, খলিশা ইত্যাদি মাছের ব্যাপক পোনা উৎপাদনের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে। ফলে এসব দেশীয় মাছের চাষাবাদে পোনা প্রাপ্তি সহজতর হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। গবেষণার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সব দেশীয় মাছকে খাবারের টেবিলে ফিরিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিএফআরআই সূত্র জানিয়েছে, একসময় দেশের যে কোনো জলাশয় বিশেষ করে খাল-বিলের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে দারকিনা মাছটি চোখে পড়ত। দলবেঁধে চলাচল করত তারা। মাছটিকে স্থানীয়ভাবে ডাইরকা, ডানখিনা, দাড়কিনা, ডানকানা, দারকি, দারকা, চুক্কনি, দাইড়কা ইত্যাদি নানা নামে ডাকা হয়। এক সময়ের বহুল পরিচিত ও সুস্বাদু এ মাছটি এখন বিলুপ্তির পথে। এ মাছের পুষ্টিগুণ অন্যান্য ছোট মাছের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য মাছে ভিটামিন-এ ৬৬০ মাইক্রোগ্রাম আরএই, ক্যালসিয়াম ৮৯১ মিলিগ্রাম, আয়রণ ১২ দশমিক শূন্য মিলিগ্রাম এবং জিংক ৪ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, মাছটির প্রজননকাল মার্চ থেকে শুরু হয়ে জুলাই মাস পর্যন্ত হলেও মে-জুলাই এদের সবো‌র্চ্চ প্রজনন মৌসুম। মাছের ডিম্বাশয় মার্চ মাস থেকে পরিপক্ব হতে শুরু করে। গত মার্চের শেষ দিকে কৃত্রিম প্রজননের জন্য পরিপক্ব স্ত্রী ও পুরুষ মাছ নির্বাচন করে পুকুর থেকে তা সংগ্রহ করা হয়। পরিপক্ব স্ত্রী মাছের জননেন্দ্রীয় গোলাকার ও ফোলা হয় কিন্তু পুরুষ মাছের জননেন্দ্রীয় পেটের সঙ্গে মেশানো, লম্বাটে ও ছোট হয়। কৃত্রিম প্রজননের ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্বে স্ত্রী ও পুরুষ মাছ (১.৫-৩ গ্রাম) পুকুর থেকে সংগ্রহ করে হ্যাচারির সিস্টার্নে রাখা হয়। এরপর কৃত্রিম প্রজননের জন্য স্ত্রী ও পুরুষ দারকিনা মাছকে পিজি হরমোন ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়।

ইনজেকশন দেওয়ার ৬-৭ ঘণ্টা পরে স্ত্রী মাছ ডিম দেয়। ডিম দেওয়ার ১৪-১৬ ঘণ্টার মধ্যে নিষিক্ত ডিম হতে রেণু বের হয়ে আসে। রেণুর ডিম্বথলি ৬০-৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশেষিত হওয়ার পর প্রতিদিন তিন-চার বার মুরগির সিদ্ধ ডিমের কুসুম খাবার হিসেবে সরবরাহ করা হয়। দুই-তিন দিন পর রেণু পোনাকে নার্সারি পুকুরে স্থানান্তর করা হয়।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৮-২০০৯ সালে চাষের মাধ্যমে দেশীয় মাছের উৎপাদন ছিল ৬৭ হাজার মেট্রিক টন। দেশীয় মাছের পোনা উৎপাদন ও চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন হওয়ায় ২০২০-২১ সালে উৎপাদন ৪ গুণ বেড়ে ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।

 

 

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ/এআর

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop