৯:৪৩ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
চার জেলা নিয়ে গঠিত হচ্ছে ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিং নেটওয়ার্ক
মৎস্য

সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ির মানসম্পন্ন উৎপাদন, চাষ সম্প্রসারণ, বিপণন, আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিং নেটওয়ার্ক তৈরি করছে মৎস্য অধিদফতর। এ জন্য দেশের বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং কক্সবাজার জেলাকে নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক  খঃ মাহবুবুল হক।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, এক্সপোর্ট অরিয়েন্টেড এই চিংড়ি চাষকে একটি ছাতার তলে এনে চিংড়ি অধ্যুষিত এলাকার চিংড়ি চাষিদের নিয়ে গ্রুপ ভিত্তিক চাষাষাদ করানো হবে। ইতোমধ্যে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা চাষিদের চিহ্নিতকরার কাজ শুরু করেছেন। সমমনা এবং আগ্রহীদের সবাইকে একই ধরণের বা মানের উৎপাদন, কৌশল, পানি, পোনা, টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়ে পণ্য উৎপাদন করানো হবে। প্রতিযোগতিায় যারা ভালো করবে তাদের মধ্য থেকে ৩০০ টি গ্রুপ করা হবে। এদের মধ্য থেকে একশটিকে বিজনেস প্রমোশনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তাও দেয়া হবে।

এগুলো সম্পন্ন করা হবে মৎস্য অধিদফতরের চলমান প্রকল্প সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের মাধ্যমে। এই প্রকল্পে অনেকগুলো কম্পোনেন্টের মধ্যে একটি হচ্ছে এই ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিং।

প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরো বলেন, আমাদের সহায়তা নিয়ে যারা ভালো করবে তাদের জন্য আমরা আর্থিক সহায়তারও ব্যবস্থা করবো। এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হবে বা প্রজেক্ট প্রপোজাল নেওয়া হবে। এ কাজেও আমরা সহায়তা দেবো। যাতে করে তারা তাদের ব্যবসাকে আরা বড় করতে পারে। জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। প্রস্তাবিত তাদের প্রকল্পের বা প্রস্তাবনার ৭৬ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। বাকি ২৪ শতাংশ ফার্মারকে যোগান দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আমারা চাই ক্লাস্টার চিংড়ি ফার্মিংয়ে যুক্তরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদার রাখুক, এ কারণে তাদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট থেকে শুরু করে পণ্য বাজারজাত করণেও আমারা সহায়তা দেবো।

তবে আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে আমরা তাদের হাতে কোনো নগদ টাকা দেবো না। যারা বা যেসব প্রতিষ্ঠান এসব খামারি বা ক্লাস্টারের সদস্যদের স্টাবলিস্টমেন্টে সহায়তা দেবে তাদেরকে আমারা তাদের খরচের বা প্রয়োজনের ৭৬ শতাংশ টাকা পরিশোধ করবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৭, ২০২১ ১২:৫৮ অপরাহ্ন
নাটোরের সিংড়ায় পাবদা মাছ চাষে সফলতা
মৎস্য

পাবদা মাছ চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরিয়া গ্রামের মাছ চাষি রিগান হোসেন। পাঁচটি পুকুরে চাষ করেন পাবদা মাছ। প্রতি বছর মাছ ভারতে রপ্তানি করে আয় করেন ৪০ লাখ টাকা। তার দেখাদেখি এখন এলাকার অনেকেই মাছ চাষে নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন।

জানা যায়, রিগান হোসেন রাজশাহী কলেজ থেকে ২০১২ সালে মাস্টার্স শেষ করেছেন। তারপর কুমিল্লায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। পরে তিনি চাকরিটি ছেড়ে পুরোপুরি মাছ চাষে মনোযোগ দেন। ২০১৪ সালে নিজ অর্থে গড়ে তোলেন মৎস্য আড়ত।যেখান থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো শুরু করেন। শুরুতে খুব একটা সফলতা না পেলেও ছাড়েননি ব্যবসা। আঁকড়ে ধরে ছিলেন দীর্ঘ ছয় বছর। হঠাৎ একদিন ভাবলেন, কীভাবে দেশের বাইরে দেশীয় প্রজাতির মাছ রপ্তানি করা যায়।যেই ভাবনা, সেই কাজ।

২০১৯ সালে শুরু করেন পাবদা মাছ রপ্তানি। তারপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৬০০ মেট্রিক টন পাবদা মাছ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছেন। বর্তমানে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।তার এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ২০ জন তরুণের। পুকুর থেকেই ২৫০-৩৫০ টাকা কেজি দরে পাবদা বিক্রি হয়।

মাছ চাষি রিগান জানান, প্রথমে আমার মৎস্য আড়ত ছিল, এখনো আছে। আড়ত শুরু করার পর থেকে মাছগুলো যেত ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। একদিন ভাবলাম চলনবিলে পাবদা মাছ উৎপাদিত হচ্ছে, এ মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু। দেশের বাইরে কীভাবে এ মাছ রপ্তানি করা যায়। তখন যাদের এলসি করা আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং ২০১৯ সালে প্রথম চালান পাঠাই। পর্যায়ক্রমে ৬০০ মেট্রিক টনের ওপরে পাবদা রপ্তানি করেছি। সপ্তাহের পাঁচ দিন পাঁচ মেট্রিক টনের ওপরে পাবদা রপ্তানি হচ্ছে। যা এখন শুধু ভারতে যাচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালে চীন, সৌদি আরবেও গেছে। প্রতিদিন পাঁচ মেট্রিক টন পাবদা পাঠাতে তার খরচ হয় ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা। মাসিক আয় ৫ লাখ টাকা। বার্ষিক আয় হয় খরচ বাদ দিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা।

পাবদা রপ্তানিকারক মো. রিগান জানান, প্রতি বছর চলনবিল এলাকা থেকে ৫০০-৬০০ মেট্রিক টন পাবদা বিভিন্ন জেলা ও ভারতে রপ্তানি করা হচ্ছে। পচনশীল পণ্য হলেও এ মাছ প্রায় এক সপ্তাহ ভালো থাকে। এ কারণে প্যাকেটজাত হয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভালোভাবেই চলে যায়। রপ্তানিকারকদের কোথাও চাঁদাবাজির শিকার হতে হয় না। খুব সহজে গাড়ি জেলায় জেলায় যায়। এ কৃতিত্ব আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও সিংড়ার এমপি জুনাইদ আহমেদ পলকের। শুল্ক কমানোর পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো হলে পাবদা মাছ শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশে রপ্তানি করা সম্ভব।

সিংড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লাহ ওয়ালিউল্লাহ জানান, কৃষির যে কোনো সেক্টরের তুলনায় পাবদা চাষ লাভজনক। এ মাছের চাষ বৃদ্ধিতে নিয়মিত খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিক্রিতেও সহযোগিতা করা হচ্ছে। রপ্তানির পাশাপাশি দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় পাবদা খামারিরা দিনদিন লাভবান হচ্ছেন।

 

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৬, ২০২১ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় আটক ১
মৎস্য

বাগেরহাটে শরণখোলায় পূর্ব সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় বনরক্ষীরা বাবুল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেছে। এসময় বিষ দিয়ে ধরা মাছসহ একটি ডিঙ্গি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। আটক বাবুল দীর্ঘদিন হাজতবাস করে সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা আ. মান্নানের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির রায়বাঘিনী খালে অভিযান চালায়। এসময় বনরক্ষীরা বিষ দিয়ে খালে মাছ ধরারত অবস্থায় উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মতিউর রহমান হাওলাদারের পুত্র বাবুল হাওলাদারকে (৫০) আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি ডিঙ্গি নৌকা ও বিষ দিয়ে ধরা বিপুল পরিমাণ মাছ জব্দ করা হয়।

শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা জানান, বাবুলের বিরুদ্ধে সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরার একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি বাবুল দীর্ঘ হাজতবাস করে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৫, ২০২১ ৩:০১ অপরাহ্ন
কর্ণফুলী নদীর দূষণে বিলুপ্ত ৩৫ প্রজাতির মাছ
মৎস্য

অতিমাত্রায় দূষণে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ কর্ণফুলী নদী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ৩৫ প্রজাতির মাছ। ডলফিনসহ সংকটাপন্ন জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র। গৃহস্থালি ও শিল্প-কারখানার রসায়নিক তরল ও কঠিন বর্জ্যকে দায়ী করা হয় দূষণের জন্য। দূষণকারী কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে রুটিন দায়িত্ব পালন করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

সংগ্রহ করা কর্ণফুলী নদীর দূষিত পানি নিয়ে গন্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তর। ল্যাবে এই পানি আর তাদের সংগ্রহ করা পানির মান পরীক্ষা করে বিওডি তথা জীব-রাসায়নিক অক্সিজেন পাওয়া যায় স্থান ভেদে প্রতি লিটারে ১৫ থেকে ২৫ মিলি গ্রাম পর্যন্ত। অথচ থাকার কথা ৬ মিলি গ্রামের নিচে।

নগরীর ৩৬টি খাল দিয়ে প্রতিদিন পড়ছে পাঁচ হাজার মেট্টিক টন গৃহস্থালির পয়োঃবর্জ্য। সে সাথে সাড়ে তিনশো শিল্প-কারখানার রসায়নিক তরল ও কঠিন বর্জ্যও যোগ হচ্ছে। ডুবন্ত তেলবাহী জাহাজের কালো তেল ও পলিথিনের স্তর দূষণ বাড়াচ্ছে বহুগুণে।

নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, শহরের ময়লা-আবর্জনা, কল-কারখানার বর্জ্যসহ বিভিন্নভাবে কর্ণফুলী নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, মাছসহ জলজ প্রাণীর জন্য এই নদীর পানি আরও উপযোগী নেই।

এক গবেষণা বলছে, অতিমাত্রায় দূষণের কারণে মলা, ঢেলা, কাচকিসহ বিলুপ্ত ৩৫ প্রজাতির মাছ। কিছু মাইগ্রেট করার পাশাপাশি হুমকিতে ২০ প্রজাতি। সংকটে অন্যান্য জীববৈচিত্র্যও।

জেলেরা জানান, আগে এখানে অনেক ধরনের মাছ পাওয়া গেলেও এখন তার অর্ধেক প্রজাতিই আর পাওয়া যায় না।

নদী গবেষক ইদ্রিস আলি বলেন, নদীর ওপর আমরা যেভাবে অত্যাচার করছি, তাতে করে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার অস্থিত্ব সংকটে থাকায় কর্ণফুলীর গাঙ্গেয় ডলফিন বা শুশুককে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২১ ৩:২৬ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরের পুকুরে ধরা পড়েছে ১০টি রুপালি জাটকা
মৎস্য

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পুকুরে ধরা পড়েছে ১০ রুপালি জাটকা। মাছগুলো ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা। পুকুরে জাটকা ধরা পড়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুকুরে ইলিশের স্বাদ নিতে অনেকেই কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সকালে চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন পুকুরে এসব ইলিশ ধরা পড়ে। এ সময় উৎসক লোকজনকে ওই ইলিশের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় চরফলকন ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে বেড় জাল দিয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরার সময় ১০টি জাটকা ধরা পড়ে। পুকুরে আরও ইলিশ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।

কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরুর দিকে মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারে ওই পুকুর ডুবে যায়। এ সময় মেঘনা নদী থেকে আসা লবণপানির সঙ্গে ওই জাটকাগুলো ঢুকে পড়ে। পরে জোয়ারের পানি নেমে গেলেও ইলিশগুলো পুকুরে আটকা পড়ে। পুকুরে জাল ফেললে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের সঙ্গে ওই জাটকাগুলো ধরা পড়ে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২১ ১:৫৭ অপরাহ্ন
সাগর ছেড়ে এবার নদীতে সেইলফিশ
মৎস্য

সূচালো মুখ আর পাখির ডানার মতো পাখা, সবমিলে ৮/১০ ফুট লম্বা শরীরটাকে নিয়ে ছুটে চলে সেইলফিশ। এদের বাস মূলত সাগরে। কেউ আবার পাখিমাছ নামেও চেনেন। সাগরের এই গতিদানবের দেখা মিলছে বড় নদীতেও, মোহনায়ও পেয়েছেন কোন কোন জেলে।

সেইলফিশের খাদ্য-শৃঙ্খলে দেখা যায়, জু প্লাঙ্কটন, ফাইটো প্লাঙ্কটনকে খায় ইলিশ ও সার্ডিনের মতো মাঝারি সাইজের মাছ। তারা আবার সেইলফিশের প্রিয় খাবার। সে নিজে আবার হাঙ্গরের প্রিয়।

ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশের  ইকোফিশ প্রজেক্টের টিম লিডার ড. মো. আব্দুল ওয়াহাব বলেন, মহামারী ঠেকাতে দেয়া লকডাউন প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। তাই জলজ প্রাণীদের খাবারও সাগর-নদী সবখানেই বেড়েছে। এ কারণেও সেইলফিশের চলাচল বাড়তে পারে নদীতে।

এদিকে ঢাবি আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের ভারপ্রাপ্ত ডিন ড. মো. কাউসার আহাম্মদ জানান, সাগরে জলজ পরিবেশ হুকমির মুখে থাকায় এমনটা হচ্ছে কিনা, তা এখনই হলফ করে বলা যাবে না।

এই দুই গবেষকের মতে, সব পরিবর্তনই আতঙ্কের নয়, কিছু পরিবর্তন আশীর্বাদেরও হতে পারে। কিন্তু আদতে কোনটা, তা জানতে আরও সময় গড়াতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৪, ২০২১ ১:৩৯ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জের তারাশে পলো বাওয়া উৎসব
মৎস্য

চলনবিল অধ্যাসিতু সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিলপাড়ের মানুষের আদি উৎসব ‘পলো বাওয়া’। পরিচিত এই পলো বাওয়া উৎসব এ মৌসুমে উজ্জীবিত করে মাছ ধরতে। দল বেঁধে লোকজন বিলের মধ্যে পলো হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু হয় মাছ ধরার প্রতিযোগিতা।

বুধবার সকালে দেখা গেছে, এ উৎসবে যোগ দিতে তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের কুন্দইল, কাটাবাড়, ধামাইচ বাজার, হেমননগর, মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের শ্যামপুর, হামকুড়িয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ছেলে-বুড়োসহ দুই শতাধিক মানুষ কারোও হাতে পলো, ছিটকি জাল, উড়াল জাল, লাঠি জাল, হাত জাল (ঠেলা জাল) নিয়ে ছুটে আসছেন নদীর পাড়ে।

উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের নওখাদা গ্রামের লিয়াকত আলী পলো হাতে বিলের পাড়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

গ্রামীণ সংস্কৃতি বা পুরোনো ঐতিহ্য কিছুটা হলেও ধরে রাখার চেষ্টা করছেন তারা। মনের আনন্দে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেন উপজেলার কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে পলো বাওয়া উৎসব।

ধামাইচ গ্রামের কলেজ শিক্ষক প্রভাষক আবু হাসিম খোকন জানান, পলো বাওয়ায় ধরা পড়া মাছের মধ্যে শোল ও বোয়ালই বেশি। আর পলো বাওয়া উৎসবের আনন্দ যুবক-বৃদ্ধের চেয়ে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে একটু বেশি। তারা তাদের বাবা-চাচা-দাদা-মামা-ভাইয়ের হাত ধরেই উৎসবে শরিক হয়।

মাগুড়া বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক এম আতিকুল ইসলাম বুলবুল জানান, এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই বিলে ‘পলো বাওয়া উৎসব’ পালন হয়ে আসছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে বিলে মাছ শিকার করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৩, ২০২১ ২:০৮ অপরাহ্ন
১৫ কেজি ওজনের কাতল সাড়ে ২২ হাজারে বিক্রি
মৎস্য

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে জেলে কৃষ্ণ হালদারের জালে ধরা পড়েছে ১৫ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ। মাছটি বিক্রি হয়েছে ২২ হাজার ৫০০ টাকায়।

আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে।

জানা গেছে, জেলে কৃষ্ণ হালদার মাছটি বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাটে সকাল ১০টার দিকে নিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চাঁদনি-আরিফা মৎস্য আড়তের মালিক চান্দু মোল্লা ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে ২২ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।

মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, সকালে জেলে কৃষ্ণ হালদারের কাছ থেকে কাতল মাছটি ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়েছি।এখন ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২৩, ২০২১ ১:০২ অপরাহ্ন
বরগুনায় জমজমাট ইলিশের বাজার
মৎস্য

বরগুনায় পায়রা ও বিষখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ছোট বাজারে রাস্তার পাশে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। স্থানীয় জেলদের শিকার করা এসব মাছ বিক্রির জন্য রাতে তারা বাজারে নিয়ে আসে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তার পাশে এমন তাজা মাছ দেখে অনেকেই নিজেদের সাধ্যমত কিনে নিয়ে যায়। ইলিশগুলো বেশি বড়ও না। আবার জাটকাও না। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ৪০০ টাকা। নদ-নদীর এসব তাজা মাছ কেনার জন্য অনেকেই বিকেল থেকে অপেক্ষা করে। বড় ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৫২০ টাকা।

মাছ কিনতে আসা আয়লা পতাকাটা ইউনিয়নের মহাসিন বলেন, সাগরের মাছের তুলনায় স্থানীয় বাজারের পায়রা ও বিষখালী নদীর মাছ সুস্বাদু। তাই একটু বেশি করে কিনছি। নদীতে তেমন মাছ নেই, যে পরিমাণ মাছ জেলেরা শিকার করে তা নিয়ে বরগুনা বাজার পর্যন্ত গেলে তাদের লাভ হয় না। তাই মাছ ধরে সরাসরি পুরাকাটা ফেরিঘাটে বসেই বিক্রি করে।

এক মাছ বিক্রেতা বলেন, আমরা জেলেদের কাছে থেকে মাছ সংগ্রহ করে সন্ধ্যার পরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। সাগরের মাছের তুলনায় আমাদের স্থানীয় বাজারের মাছ সতেজ হওয়ার কারণে ক্রেতার আগ্রহ বেশি থাকে। বিভিন্ন যায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে নদীতে মাছ তুলনামূলক কম। এত অবরোধ- নিষেধাজ্ঞার পরেও ইলিশ পাইনা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পায়রা একটি। তবে সব জায়গার মত পায়রায়ও ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। জেলেদের অসচেতনতার জন্য তেমন ইলিশের দেখা মিলছে না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২২, ২০২১ ২:০৪ অপরাহ্ন
কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ফিরছে আট প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশি মাছ
মৎস্য

কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ফিরছে আরও আট প্রজাতির দেশি মাছ। এরই মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ৬৪ প্রজাতির দেশি মাছের মধ্যে ৩১ প্রজাতির মাছের সফল প্রজনন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও আট প্রজাতির দেশি মাছের সফল প্রজনন সম্ভব হলে এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৩৯-এ। তবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) লক্ষ্য আরও বেশি মাছ ফেরানো।

সফল প্রজনন নিয়ে গবেষণা চলা এ আট প্রজাতির মাছ হলো- কাজলি, কুর্শা, গাঙ টেংরা, বাইলা, জারুয়া, বোল, আঙরা ও ঘারুয়া। এর মধ্যে জারুয়া, বোল, আঙরা ও কুর্শা মূলত তিস্তা নদীর মাছ।

দেশে মিঠাপানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে ছোট মাছ ১৪৩ প্রজাতির। এরমধ্যে ৬৪ প্রজাতির মাছ ছিল বিলুপ্তপ্রায়। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যম বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্তপ্রায় এসব মাছ ফিরিয়ে আনছে।

বিএফআরআই সূত্র জানায়, এ আট প্রজাতিসহ আরও কয়েক প্রজাতির মাছ যেন আগামী বছরের মধ্যে চাষ হয় সে জন্য চারটি কেন্দ্র চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop