১১:৩০ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২১, ২০২১ ১২:২৯ অপরাহ্ন
ডাকাতিয়া নদীতে মাছ ধরা উৎসব
মৎস্য

কুমিল্লা জেলার ডাকাতিয়া নদী থেকে পলো দিয়ে শত শত মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ শিকার করছে। আজ রোববার জেলার মোহাম্মদপুর, তারাপাইয়া ও ইছাপুরা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে শতাধিক মাছ শিকারী মাছ ধরা উৎসবে অংশগ্রহণ করে। দলে দলে পলো নিয়ে মাছ ধরার দৃশ্যটি ছিল চোখের পড়ার মতো

সকাল থেকেই পলো, জাল, দঁড়িসহ মাছ শিকারের বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে নদীর পাড়ে এসে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পলো দিয়ে পানিতে একের পর এক ঝাঁপ দেওয়া আর হৈ হুল্লোর করে সামনের দিকে ছন্দের তালে তালে এগিয়ে যেতে থাকেন তারা।

এ যেন হারিয়ে যাওয়া বাংলার সৌন্দর্যময় দৃশ্য আর ঐতিহ্যের জয়গান। শিকারীদের অনেকেই বোয়াল, গজার, শোলসহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ ধরেন। কেউ কেউ একাধিক ধরলেও কেউ ফিরেন শূন্য হাতে। একজন মাছ ধরতে পারলে আওয়াজ তুলে আনন্দে শরীক হন সবাই। পলো ছাড়াও ফার জাল, ছিটকি জাল, ঝাঁকি জাল, পেলুন ইত্যাদি দিয়ে মাছ শিকার করেন অনেকে।

একসময় ডাকাতিয়া নদীতে বছরব্যাপী বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় সুস্বাদু মাছ পাওয়া যেত। কালের বিবর্তনে নদীটি সংকুচিত হওয়ায় এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায়না। চলতি শীত মৌসুমেই নদীটির বিভিন্ন স্থান শুকিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু বা কোমর সমান পানি। আর তেমনি এলাকা লাকসামের মোহাম্মদপুর, তারাপাইয়া ও ইছাপুরা এ এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে মৎস্য শিকারের উৎসবের পরিণত হয়। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। মাছ পাওয়া থেকেও উৎসবে অংশ নেয়াটাই ছিল আনন্দের-এমনটি জানালেন কয়েকজন মৎস্য শিকারী।

এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, নদী থেকে পলো দিয়ে মাছ ধরা আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন উৎসব। এতে দেশীয় মাছ পাওয়া যায়। এ শখের উৎসব ধরে রাখার সঙ্গে জড়িতদের আমি সাধুবাদ জানাই। এটি একটি আনন্দের বিষয়।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ৩:৩৬ অপরাহ্ন
মিঠা পানির মৎস্য আহরণ দেখতে ভৈরবে ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার
মৎস্য

কিশোরগঞ্জের ভৈরব সফর করছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান।

শনিবার সকাল ৯টায় ভৈরব পৌঁছান তিনি। সফরে তিনি মিঠা পানির মাছ আহরণ এবং বিক্রয় কেন্দ্র সরজমিন পরিদর্শন করবেন। হাইকমিশনারের মুখপাত্র সাইমন হোসাইন সাঈফ জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে ব্রুনাই সফর করেন। সেসময় ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসসান আল-বলকিয়াহর উপস্থিতিতে ৫টি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

যার একটি হচ্ছে মিঠা পানির মৎস্য আহরণ এবং এক্ষেত্রে ব্রুনাই কিভাবে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে পারে এই সংক্রান্ত।

বাংলাদেশ হচ্ছে মিঠা পানির মাছের জন্য সারা বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ। কিশোরগঞ্জ এই এলাকাটি হচ্ছে এই মাছের অন্যতম আধার। চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় সরজমিনে এই এলাকা পরিদর্শন করে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবেন হাইকমিশনার।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ২:০১ অপরাহ্ন
নদীতে ভরা মৌসুমেও ইলিশ নেই
মৎস্য

চলছে ইলিশের মৌসুম। কিন্তু নদীতে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত রূপালি ঝিলিকের। লোকসানের ভয়ে জাল গুটিয়ে রেখেছেন বহু জেলে। ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়ার তীরে অলস বসে আছে মাছ ধরার নৌকাগুলো। কোনোভাবেই ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না এই এলাকার জেলেদের। চরম কষ্টে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন পার করছেন জেলেরা। দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়েছে এনজিও আর মহাজনের কাছ থেকে নেয়া চড়া সুদের ঋণ।

জেলে ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, নাব্য সংকটের কারণে নদীতে ইলিশ কম মিলছে।

জেলেরা বলছেন, হাতেগোনা যে ইলিশ মিলছে তাও আকারে ছোট। লাভ তো দূরের কথা খরচও তুলতে পারছেন না তারা। মৎস্যঘাটগুলোতেও নেই আগের মতো হাকডাক।

তবে নদীতে না মিললেও গভীর সাগরে ইলিশ মিলছে প্রচুর। জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, পলি জমে দিন দিন নাব্য সংকট তীব্র হচ্ছে নদীতে। তাই ক্রমেই ইলিশ ধরা পড়ার পরিমাণও কমছে।

জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সাথে একমত মৎস্য কর্মকর্তারাও। ভোলা জেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মাহফুজুল হাসনাইন বলছেন, নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না মেলার জন্য চর জেগে ওঠাসহ আরও বেশকিছু কারণই দায়ী।

প্রতি বছর ভোলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে কী পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই মৎস্য অফিসের কাছে। তথ্য পাওয়া গেলে এখনকার সংকটের মাত্রা ও সমাধান নির্ণয় করা সহজ হতো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
পদ্মায় জেলের জালে ধরা বিলুপ্ত প্রজাতির ঢাই মাছ
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার পদ্মায় জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির একটি ঢাই মাছ। মাছটির ওজন ছয় কেজি।মাছটি ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।   

শনিবার ভোরে দৌলতদিয়া ৫নম্বর ফেরিঘাটে জেলে বিকাশ হালদারের কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ।

জেলে বিকাশ হালদার বলেন, শুক্রবার রাতে কয়েকজন মিলে পদ্মার চর কর্নেশন এলাকায় গিয়ে মাছ ধরার জন্য জাল পেতে বসে থাকি। ভোরের দিকে জালে জোরে একটা ধাক্কা দেয়। এতে বুঝতে পারি জালে বড় ধরনের কোনো মাছ ধরা পড়েছে। পরে জাল তুলে দেখি পাঙাশের মতো দেখতে ওই জাতীয় একটি মাছ। পরে অন্য একজন জেলে জানালো এটি বিলুপ্ত প্রজাতির ঢাই মাছ। মাছটির দাম কেজিতে অনেক বেশি।পরে মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখের কাছে মাছটি দুই হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দিয়েছি।

দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ বলেন, জেলে বিকাশ হালদারের কাছ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ঢাই মাছটি কিনেছি। এখন দুই হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে ঢাকায় বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ১১:২৯ পূর্বাহ্ন
সেন্টমার্টিন উপকূলে নতুন ১৮ প্রজাতির মাছের সন্ধান
মৎস্য

দেশে মাছের নতুন ১৮ প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে। দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চল সেন্টমার্টিন ও আশপাশ এলাকায় এসব প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিন ধাপে গবেষণা চালিয়ে মাছের নতুন প্রজাতিগুলো শনাক্ত করা হয়। এ গবেষণার ফল আলাদা তিনটি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থার সাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্ব এবং পশ্চিম উপকূলের পাথুরে সৈকতের টাইডপুলে, পশ্চিম সৈকতের অগভীর জলসীমা ও টেকনাফের সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চালিয়ে এসব প্রজাতি খুঁজে পান গবেষকরা। এর মধ্যে সেন্টমার্টিনের টাইডপুলে ১১টি, টেকনাফে জালিয়াপাড়ায় একটি ও সেন্টমার্টিনের পশ্চিমের অগভীর জলসীমায় ছয়টি প্রজাতি পাওয়া যায়।

গবেষকরা বলেন, টাইডপুলে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী ও বেশ কিছু প্রাণের বাসস্থান। কিছু মাছ সম্পূর্ণ জীবন টাইডপুলে অতিবাহিত করে। আবার কিছু মাছ জীবনচক্রের নির্দিষ্ট সময় সেখানে অতিবাহিত করে। আর কিছু মাছ খাবারের খোঁজে স্বল্প সময়ের জন্য টাইডপুলে আসে। টাইডপুল হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া অবনমিত স্থান, যা জোয়ার-ভাটার সীমারেখার মধ্যবর্তী জায়গায় দেখা যায়। টাইডপুল ভাটার সময়ে স্থায়ীভাবে পানি ধরে রাখে ও ছোট জলাশয় সৃষ্টি করে।

গবেষণায় বলা হয়, ২০ প্রজাতির মোট ৪৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। শ্রেণিবিন্যাস ও নামকরণের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ১৭টি নতুন প্রজাতি পাওয়া যায়। আবার ডিএনএ বার কোডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আরেকটি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়। ১১ প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক মাছের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ২ থেকে ৪০ মিলিমিটার। আর সাতটি প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক মাছের দৈর্ঘ্য ৩৭ থেকে ২২০ মিলিমিটার। গবেষণা প্রকল্পগুলো তত্ত্বাবধান করেন ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের অধ্যাপক এস এম শরীফুজ্জামান। দলে আরও ছিলেন অধ্যাপক সাঈদুর রহমান চৌধুরী, মো. শাহদাত হোসেন, এম শাহ নেওয়াজ চৌধুরী। এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহসান হাবিব ও জাপানের মি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সে সি কিমুরাও প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন।উক্ত গবেষণা প্রকল্পে অর্থায়ন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ৭:৩৮ অপরাহ্ন
কুমিল্লার মাছের আঁশ যাচ্ছে চীন-জাপান
মৎস্য

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ঝাকুনিপাড়া এলাকা। ঝাকুনিপাড়া অতিক্রম করতে নাকে লাগবে মাছের গন্ধ। অনেকটা শুঁটকি খোলায় করতে মাছ শুকাতে দেয়ার গন্ধের মতো। তিরপলে রোদে শুকানো হচ্ছে সাদা রঙের কিছু। কাছে গেলে ভুল ভাঙবে। এতো মাছের আঁশ। ছয় জন যুবক এখানে কাজ করছেন। কেউ মাছের আঁশ পরিষ্কা করছেন, কেউ সেই আঁশ রোদে উল্টে দিচ্ছেন। যে মাছের আঁশ উচ্ছিষ্ট হিসেবে ফেলে দেয়া হতো, সেই উচ্ছিষ্ট চীন-জাপান রপ্তানি করা হয়।

জানা গেছে, মাছের আঁশ দিয়ে ঘরের শো-পিস, ক্যাপসুলের বাহ্যিক অংশ ও গহনা তৈরি করা হয়। মাছের আঁশে সচ্ছলতা এসেছে অনেক পরিবারে। এখানে মাছের আঁশ শুকানোর উদ্যোক্তা মো. মাহবুব আলম। তার বাড়ি পাশের কুমিল্লা নগরীর সংরাইশ এলাকায়। মাহবুবের মতো নগরীর আরো দুই ব্যক্তি মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন।

আঁশ শুকানো শ্রমিকদের একজন বিল্লাল হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ৬ জন আঁশ শুকানোর কাজ করি। সবার বাড়ি মুরাদনগরের নহল চৌমুহনী। মাছের আঁশ শুকানো দেখতে অনেক মানুষ আসে। জানতে চায় এগুলো দিয়ে কি হয়। ফোন পেয়ে আঁশ শুকানোর স্থানে আসেন মাহবুব আলম। নদীর পাড়ে মোটরসাইকেল রেখে নিচে আঁশ শুকানোর স্থানে নামেন। গায়ে সাদা রঙের সুতির দামি পাঞ্জাবি। চোখে দামি সানগ্লাস।

মাহবুব আলম বলেন, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। জীবনে অনেক পরিশ্রম করেছি। নগরীর রাজগঞ্জ মাছ বাজারে নানার বাড়ি সূত্রে একটি ঘর পেয়েছেন। সেখানে তিনিসহ কয়েকজন মাছ কাটেন। বছর দশেক আগে তার কাছে নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকার এছহাক বেপারী নামের একজন লোক আসেন। তিনি মাছের আঁশ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি শুকানো ১০ কেজি মাছের আঁশ বিক্রি করে পান ৪০০ টাকা। সেই থেকে শুরু।

তিনি রাজগঞ্জ মাছ বাজারের ১৮টি দোকান থেকে মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। এছাড়া নগরীর বাদশা মিয়া বাজার, টমসমব্রিজ, কোটবাড়ি, পদুয়ার বাজার, চৌয়ারা, মগবাড়ী ও সেনানিবাসসহ বেশ কয়েকটি বাজার থেকে মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন গড়ে ১০০ কেজি আঁশ সংগ্রহ করেন। মাসে প্রায় ৩ টন। রোদে শুকানোর পর প্রতিকেজি আঁশ ৪০ টাকা দরে বিক্রি করেন। আঁশ শুকানোর তার ছয়জন কর্মচারী রয়েছে। প্রতিজনকে থাকা খাওয়াসহ মাস শেষে ১০ হাজার টাকা করে বেতন দেন। সব খরচ বাদে প্রতিমাসে এখন তার ১৫ হাজার টাকার মতো লাভ হয়।

মাহবুব জানান, ঢাকা থেকে যারা তার কাছ থেকে শুকনো আঁশগুলো কিনেন তারা চীন, জাপানে, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াতে এইগুলো রপ্তানি করেন।

মাছের আঁশ দিয়ে ঘরের শো-পিস, ওষুধ, ক্যাপসুলের বাহ্যিক অংশ ও গহনা তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে যে আঁশ কেজি ৪০ টাকা ছিলো তা মাঝে কমে যায়। এখন তা আবার ৪০ টাকা হয়েছে। দাম বাড়লে আমরা ভালো লাভ করতে পারতাম।

মাহবুব জানান, প্রথম প্রথম এ কাজে অনেকেই নাক সিটকাতো। দুর্গন্ধ বলে দূরে থাকতো। তবে আমি কাজ চালিয়ে যেতাম। কোন কাজই ছোট নয়। কাজকে ভালোবাসলে মানুষের সম্মান বৃদ্ধি বাড়ে। বিদেশে এসব কাজের অনেক মূল্য। স্নাতক পাস দেবিদ্বারের এক ছেলে এসে কাজ শিখেছে। সে বিদেশে গিয়ে এখন মাসে বাড়িতে লাখ টাকা পাঠায়। যারা এই কাজে নাক সিটকাতো তারা এখন দেখতে আসে। এইসব কাজে তার পরিবারে সচ্ছলতা এসেছে। মাছ কাটা ও আঁশ শুকানোর মাধ্যমে কিছু মানুষের কাজের সুযোগ করে দিতে পেরে ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আরো বেশি মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।

ব্যবসায়ী নেতা শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেন, মাহবুব আলমের মাছের আঁশ সংগ্রহ ও বিক্রি ব্যবসায় নতুন সংযোজন। তার দেখাদেখি এই ব্যবসায় আরো অনেক তরুণ এগিয়ে আসছে। তাদের এগিয়ে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

বিসিক কুমিল্লার ডিজিএম মিরাজ শফিক বলেন, ফেলনা উচ্ছিষ্টকে যারা সম্পদে পরিণত করছেন তারাই প্রকৃত উদ্যোক্তা। মাহবুব আলমের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ অনেকের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে। আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ৩:২২ অপরাহ্ন
মাছ চাষে সিসিডিএ-এসইপি প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মৎস্য

সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্সের (সিসিডিএ) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মাছ চাষে পরিবেশ সনদ প্রাপ্তিবিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সংস্থার দাউদকান্দি উপজেলাস্থ আদমপুর কার্যালয়ের সভাকক্ষে ‘ওয়ার্কশপ অন গুড এগ্রিকালচার প্রাকটিসেস ফর ইনভাইরোমেন্টাল সার্টিফিকেশন’ শীর্ষক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিসিডিএ এসইপি প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ আলম। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহ-পরিচালক ফখরউদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী, দাউদকান্দি উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, এসইপি প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার (ফিশারিজ) কৃষিবিদ লেমন মিয়া, পরিবেশ কর্মকর্তা হাসিব ইকবাল কাননসহ প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও কৃষি সংগঠক অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, প্লাবণভূমি মাছচাষে পরিবেশ সুরক্ষায় এসইপি প্রকল্প যে ভূমিকা রাখছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। মাছ চাষ করতে গিয়ে প্রাকৃতিক ও জীব বৈচিত্র্য যাতে বিপন্ন না হয় সেদিকেও মৎস্য খামারিদের সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাই।

কর্মশালায় উপস্থিত চাষীদের সঙ্গে পরিবেশ সনদ প্রাপ্তিতে করণীয়, পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয়, খামারের পরিবেশ, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, কর্মী ব্যবস্থাপনা, মাছ চাষে ভালো উপদানসমূহের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা ও ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী মৎস্যচাষীরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে স্থানীয় পরিবেশ ও মাছ চাষের বিদ্যমান নানা সমস্যা ও তা সমাধানে করণীয় সে বিষয়গুলো তুলে ধরেন। কর্মশালার শেষাংশে মুক্ত আলোচনায় চাষীদের মাছচাষ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেন পরিবেশ ও মৎস্য কর্মকর্তাবৃন্দ। ডকুমেন্টেশন কর্মকর্তা মো. নূরুন্নবী রাসেলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সিসিডিএর অন্যান্য কর্মকর্তা এবং দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলার প্রায় ৩০ জন মৎস্যচাষী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৯, ২০২১ ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
বড়শিতে ধরা বিশাল আকৃতির গজার মাছ
মৎস্য

বরগুনার চেয়ারম্যান বাজার খাল থেকে কামাল হোসেন নামের এক মাছ শিকারির বড়শিতে ধরা পড়েছে বিশাল আকৃতির একটি গজার মাছ। এর ওজন ছিলো ১৩ কেজি।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান বাজার খালে মাছটি ধরা পড়ে।

মাছ শিকারি কামাল হোসেন নিজেই গজার মাছ ধরার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এসময় তিনি বলেন, প্রতি বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে মাছ শিকারে যাই।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদরের সোনাখালী এলাকায় কয়েকজন বন্ধুসহ মাছ শিকারে যাই। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থেকে মাছের দেখা পাই না। খুবই হতাশ হয়ে পরে সদরের চেয়ারম্যান বাজার খালে গিয়ে বড়শি ফেলি। এরপর রাতে মাছটি ধরা পড়ে।

মৎস্যজীবী সমিতির নেতা গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, খুবই সুস্বাদু মাছ এটি। এই গজার মাছ খুব কম ধরা পড়ে। বাজারে এই মাছ তেমন পাওয়ায় যায় না। তবে বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২১ ৬:৫৯ অপরাহ্ন
তেলাপিয়ার নতুন প্রজাতি, প্রতিটির ওজন ২.৫ কে‌জি
মৎস্য

সাধারণত বাজারে যে তেলাপিয়া মাছ পাওয়া যায়, সেগুলোর আকার খুব বড় হয় না। এক কেজি ওজনের তেলাপিয়াও তেমন চোখে পড়ে না। তবে নতুন এক তেলাপিয়ার প্রজাতি উদ্ভাবন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। এ প্রজাতির তেলাপিয়া মাছ সর্বোচ্চ আড়াই কেজি ওজনও হয়ে থাকে। দেখতে যেমন বাহারি, তেমনি খেতেও অনেক সুস্বাদু।

বিএফআরআই দেশে মোট মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে, তারই ফল হিসেবে উদ্ভাবিত হয়েছে এই নতুন প্রজাতি। ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু জমির পরিমাণ বাড়ছে না।

এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, অতি আহরণ, জলাশয় সংকোচনের কারণে মাছ উৎপাদনে ভাটা পড়ছে। এ সমস্যা মোকাবিলার জন্য মাছের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করছে বিএফআরআই। যেন স্বল্প সময়ে ও স্বল্প জায়গা ব্যবহার করে অধিক মাছ উৎপাদন করা যায়।

বিএফআরআইয়ের তথ্য মতে, দেশে বছরে মাছের উৎপাদন ৪৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে তেলাপিয়া চাষ হয় তিন লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। মোট মাছের উৎপাদন দ্বিগুণ করে ২০৪১ সালে ৯০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে চায় বিএফআরআই। এ লক্ষ্যে বাজারে প্রচলিত ও চাহিদাসম্পন্ন কয়েকটি মাছের নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই অংশ হিসেবে তেলাপিয়ার এই ১৩তম প্রজাতি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

গবেষণার বিষয়ে ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বলছেন, ময়মনসিংহে বিএফআরআইয়ের পুকুরে মাছের নতুন প্রজাতি উদ্ভাবনের কার্যক্রম চলছে। তেলাপিয়ার জার্মপ্লাজমা সংরক্ষণ এবং জেনেটিক সিলেকশন পদ্ধতিতে আরও উন্নত প্রজাতি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা পরিচালনা করা হয়। ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা জেনেটিক গবেষণায় ফ্যামিলি সিলেকশন প্রটোকল অনুসরণ করে উচ্চ ফলনশীল গিফট তেলাপিয়ার ১৩তম প্রজাতি উদ্ভাবন করেন, যা প্রচলিত তেলাপিয়ার চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ও ৬২ শতাংশ বেশি উৎপাদনশীল। পুকুরে মাত্র ছয় মাসেই ৬০০ গ্রাম ওজন হয় এই জাতের। এই প্রজাতি প্রচলিত রঙের পাশাপাশি লাল-সাদাও হয়। খেতেও বেশ সুস্বাদু।

নতুন প্রজাতির তেলাপিয়ার রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বেশি। বাঁচার হার মূল জাতের তেলাপিয়ার তুলনায় বেশি। উপকূলীয় জলাশয়েও চাষোপযোগী। প্রধান খাবার খইল, ভুসি ও গমের কুড়া। বর্তমানে মূল জাতের তেলাপিয়ার হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৯ হাজার কেজি। অন্যদিকে নতুন জাতের তেলাপিয়ার উৎপাদন হবে হেক্টরপ্রতি ১৩ হাজার কেজি।

অধিক ফলনশীল এ প্রজাতি চাষের মাধ্যমে তেলাপিয়া দুই লাখ ৪২ হাজার মেট্রিক টন বেশি উৎপাদন করা যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

কর্মকর্তাদের ভাষ্যে, বর্তমানে বিশ্বের ১০টি তেলাপিয়া উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। তেলাপিয়ার জাত আমদানি, উন্নত গবেষণা, উন্নত জাত উদ্ভাবন এবং বাংলাদেশে ৪০০টির বেশি তেলাপিয়া হ্যাচারি ও ১৫ হাজার ছোট-বড় আকারের বাণিজ্যিক খামার স্থাপনের ফলেই এ অর্জন। উন্নত চাষ ব্যবস্থাপনা সার্বিকভাবে তেলাপিয়া উৎপাদনকে আরও বেগবান করেছে। অবশ্য এই উৎপাদন বৃদ্ধির পেছনে দেশের দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপকূলীয় চিংড়ি চাষে রোগবালাইয়ের সংক্রমণও ভূমিকা রাখছে। কারণ রোগবালাইয়ের কারণে চাষিরা চিংড়ি চাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছেন। তারা খামারগুলোতে বিকল্প হিসেবে তেলাপিয়া চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

দেশের ময়মনসিংহ, যশোর, নড়াইল, লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাট ও বরগুনায় মোট সাতটি তেলাপিয়া ব্রিডিং নিউক্লিয়াস স্থাপন করা হয়েছে। ব্রিডিং এবং রোটেশনাল ব্রিডিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়ায় উন্নত জাতের তেলাপিয়ার উৎপাদন ও বিতরণের কাজ চলমান। তেলাপিয়ার বাণিজ্যিক হ্যাচারি স্থাপন এবং সব পুরুষ মনোসেক্স তেলাপিয়া পোনা উৎপাদন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, বগুড়া, রাজশাহীতে তেলাপিয়া হ্যাচারি স্থাপনের উদ্যোগ ব্যাপক হারে লক্ষ্য করা গেছে। ইতোমধ্যে এসব এলাকায় মোট ৪০০টিরও বেশি হ্যাচারি স্থাপিত হয়েছে। এসব তেলাপিয়া হ্যাচারির ডিজাইনসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বিএফআরআই।

এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রুই মাছেরও নতুন একটি প্রজাতি উদ্ভাবন করেছেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। জেনেটিক গবেষণার মাধ্যমে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও হালদা নদীর প্রাকৃতিক উৎসের রুই মাছ ব্যবহার করা হয়েছে নতুন প্রজাতি উদ্ভাবনে। চতুর্থ এ প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুবর্ণ রুই’। এটিও দ্রুত বর্ধনশীল, মূল জাতের চেয়ে ২০ দশমিক ১২ শতাংশ অধিক উৎপাদনশীল। খেতে সুস্বাদু; দেখতে লালচে; অন্তঃপ্রজনন সমস্যামুক্ত।

সার্বিক বিষয়ে বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ  বলেন, চাষের মাছের উৎপাদন যদি বৃদ্ধি করতে চাই; তবে জাত উন্নয়ন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট মাছের জাত উদ্ভাবনে কাজ করছে। ২০৪১ সালে আমরা মাছের উৎপাদন ৯০ লাখে উন্নীত করবো। এই উৎপাদনে পৌঁছাতে হলে বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদের পাশাপাশি জাত উদ্ভাবন বিষয়টিকে আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা সম্প্রতি রুই মাছের একটা জাত উদ্ভাবন করেছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে এটি উদ্ভাবন করা হয়েছে বিধায় এর নাম দিয়েছি ‘সুবর্ণ রুই’। নতুন প্রজাতিটি চাষিদের কাছে বিতরণ করেছি। তারাও এর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছেন। এই প্রজাতির মাধ্যমে অতিরিক্ত এক লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত রুই মাছ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

তেলাপিয়ার নতুন প্রজাতি উদ্ভাবন প্রসঙ্গে ড. ইয়াহিয়া বলেন, আমরা তেলাপিয়া, সাদা পাঙ্গাশ, সরপুঁটি নিয়েও গবেষণা করছি। তেলাপিয়ার ১৩তম প্রজাতি উদ্ভাবিত হয়েছে। মূল প্রজাতির চেয়ে যা ৬২ শতাংশ অধিক উৎপাদনশীল। তেলাপিয়া নিয়ে আমরা বিশ্বে গর্ব করতে পারি। তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ। তেলাপিয়া উৎপাদন প্রায় চার লাখ মেট্রিক টন। এটা সাধারণ ভোক্তাদের মাছ। সাধারণ ভোক্তা এই মাছ খেতে পছন্দ করেন। স্বল্পমূল্যে এই মাছ বাজারে পাওয়া যায়। আমাদের কাছে এখন যে তেলাপিয়া আছে (নতুন প্রজাতি) প্রতিটার ওজন দুই থেকে আড়াই কেজি।

সুত্রঃ জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৮, ২০২১ ২:৩০ অপরাহ্ন
২৮ কেজি বাঘাইড় বিক্রি সাড়ে ১৮ হাজারে
মৎস্য

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের কোর্ট চত্ত্বরে ২৮ কেজির ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। মাছটি ২৬ ভাগে ভাগ করা হয়।পরে ২৬ জন মিলে মাছটি কিনেন। মাছটি বিক্রি করা হয় ১৮ হাজার ৫৯০ টাকায়।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ‌্যায় মাছটি দেখতে ভিড় করেছিলেন উৎসুক জনতা। ওই চত্ত্বরে ক্রেতাদের ভিড় না থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউ মার্কেটের মাছ পট্টিতে নিয়ে যাওয়া হয়। মাছটি ওই দিন রাতে বিক্রি হয় ৭১৫ টাকা কেজি দরে।

মাছ ব্যবসায়ী দাম হেঁকেছিলেন ২২ হাজার ৪০০ টাকা। রাত গড়াতে থাকলে বাজারে ক্রেতা কমতে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কয়েক বাসিন্দা মাছ কিনতে গেলে, বাঘাইড় মাছটি তাদের নজরে আসে। তারা ২৬ জনের একটি জোট হয়। পরে মাছটি কেটে ২৬ ভাগে ভাগ করা হয়।

রবিউল ইসলাম নামের এক মাছ ক্রেতা বলেন, ‘বাঘাইড় মাছটি আমাদের দেখতে ভালো লাগে। দাম দর করে ৭১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে রাজি হয় ওই মাছ বিক্রেতা। পরে মাছটি কেটে ২৬ ভাগে ভাগ করা হয়। ২৬ জন মিলে ওই মাছ ব্যবসায়ীকে ১৮ হাজার ৫৯০ টাকা দেওয়া হয়।’

ওই মাছ ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম বলেন, ‘বাঘাইড় মাছটি গাইবান্ধার যমুনা নদীর ফুলগাছির ঘাটে ধরা পড়ে। বেশি দাম পাবার আশায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্রি করতে এসেছি। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর সাড়ে ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি করলাম।’

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop