৫:৪০ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ১৮, ২০২২ ১:২১ অপরাহ্ন
জিআই সনদ পেল বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি
মৎস্য

বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি (জিআই সনদ) পেয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার জনেন্দ্র নাথ সরকার স্বাক্ষরিত ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন সনদে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়।

সম্প্রতি দেওয়া এই স্বীকৃতি সনদে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যায়ন করা যাচ্ছে যে, ভৌগলিক নির্দেশক নিবন্ধন বইতে মৎস্য অধিদপ্তরের নামে ২৯ ও ৩১ শ্রেণিতে জিআই-১১ নম্বরে বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি পণ্যের জন্য ০৪.০৭.২০১৯ থেকে নিবন্ধিত হলো।’

বাংলাদেশ ২০১৯ সালের মে মাসে বাগদা চিংড়ির জিআই সনদ পেতে আবেদন করে। গত বছরের ৬ অক্টোবর গেজেট এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে বিষয়টি প্রকাশ করে ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস বিভাগ।

অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার জনেন্দ্র নাথ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দশম পণ্য হিসেবে ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ পেয়েছে বাগদা চিংড়ি। গত ২৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়। এর সঙ্গে ফজলি আমও সনদ পাওয়ার কথা ছিল, সেটি এখনও শুনানি পর্যায়ে রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী, জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করলে সেই পণ্যের জিআই সনদ পেতে আর কোনো বাধা থাকে না। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ছিল এ বিষয়ে আপত্তি দেয়ার শেষ দিন। এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো দেশ আপত্তি না করায় প্রথম আবেদনকারী হিসেবে বাংলাদেশ জিআই সনদ পেয়ে যায়।

ফলে বাগদা চিংড়ির একক স্বত্ব এখন শুধুই বাংলাদেশের। দেশে প্রথম জিআই সনদ পায় জামদানি। পরে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার সাদামাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, কালিজিরা চাল, ইলিশ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৬, ২০২২ ৪:৩৩ অপরাহ্ন
জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭৫২ টন ভিজিএফ বরাদ্দ
মৎস্য

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫দিন (২০ মে-২৩ জুলাই) মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১৬ হাজার ৭৫১ দশমিক ৫৬ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

উপকূলীয় ১৪ জেলার ৬৭ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ১৩৫ টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় নিবন্ধিত প্রতিটি জেলে পরিবারকে ১ম ধাপে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ৪২ দিনে (২০ মে-৩০ জুন) মোট ৫৬ কেজি চাল প্রদান করা হবে।

গত ১২ মে (বৃহস্পতিবার) সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ভিজিএফের চাল ১০ জুন ২০২২ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও মৎস্যজীবীদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কার্ডধারী জেলে ব্যতীত এ ভিজিএফ প্রদান না করা এবং মৃত কিংবা পেশা পরিবর্তনের কারনে জেলে সংখ্যার পরিবর্তন হলে তা পর্যালোচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী ভিজিএফ বিতরণের জন্য মঞ্জুরীপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ড ও চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।

উল্লেখ্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য চলতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৫, ২০২২ ১২:১৯ অপরাহ্ন
হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপে পুকুরে মিলল ৩৫টি ইলিশ!
মৎস্য

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে একটি পুকুরে মাছ ধরার সময় জেলেদের জালে ৩৫টি ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে। প্রতিটি ইলিশের ওজন ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম। পরে মাছ গুলো বিক্রি করা হয়।

গত শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলে যুগান্তর কিল্লার পুকুরে এ মাছগুলো ধরা পড়ে। পুকুর থেকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় এসময় মাছগুলো দেখার জন্য পুকুর পাড়ে উৎসুক জনতা ভিড় জমান। পরে মাছ গুলো বিক্রি করা হয়।

পুকুরটির ইজারাদার আল মামুন জানান, পুকুরটি মূলত ‘যুগান্তর কিল্লা’য় বসবাসরত মানুষের। তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে পুকুরটির মাছ কিনেছেন। গত এক সপ্তাহ পর্যন্ত ওই দীঘির মাছ ধরার জন্য পানি সেচ দিয়ে আসছেন। সেচ অবস্থায় পানি কিছুটা কমলে শুক্রবার বিকেলে বেড় জাল ফেলা হয় পুকুরে। জেলেরা জাল উপরে তুললে বেশ কিছু ইলিশ মাছ দেখতে পান। পরে সেগুলো উপরে তোলার পর গুনলে ৩৫টি হয়। এর মধ্যে ২টির ওজন প্রায় ৫০০ গ্রামের বেশি। অপরগুলো ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত। এর মধ্যে কিছু খাওয়ার জন্য রাখা হয়েছে। অন্যগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান, গত বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে যুগান্তর কিল্লা পুকুরটি পুরোপুরি ডুবে যায়। তখন হয়তো জোয়ারের পানিতে ইলিশ মাছ গুলো পুকুরে চলে এসেছে।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ জানান, পুকুর থেকে ইলিশ ধরার খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ার দেখা দেয়। টানা জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে ও নদীতে স্রোত থাকায় নিঝুমদ্বীপের প্রায় সব পুকুর ও দীঘির পাড় ভেঙে নোনা পানি প্রবেশ করে। ওই সময় পুকুরটিতে ইলিশের পোনা ডুকে পড়তে পারে।

তিনি আরও জানান, এটি প্রথম নয়,নিঝুমদ্বীপে এর আগেও একটি পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১৩, ২০২২ ৫:১৭ অপরাহ্ন
খুলনা অঞ্চলে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি
মৎস্য

হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনা নামে পরিচিত ভেনামি চিংড়ি চাষে খুলনা অঞ্চলের ১২টি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক ভেনামি প্রজাতির চিংড়ি চাষের অনুমতি  দিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। এর মধ্যে খুলনার ছয়টি, সাতক্ষীরার একটি ও যশোরের একটি প্রতিষ্ঠানকে চলতি বছর থেকেই ভেনামি চাষের জন্য বলা হয়েছে। বাকি চারটি প্রতিষ্ঠানকে অবকাঠামো সংস্কারের পর প্রতিবেদন দাখিলের পর ভেনামি চাষে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কক্সবাজারের দুই প্রতিষ্ঠানকেও পরীক্ষামূলক ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়।

ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকরা বেশ কয়েক বছর ধরে বেশি লাভজনক ভেনামি জাতের চিংড়ি চাষ করার দাবি জানিয়ে আসছিল।দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে ভেনামি প্রজাতির চিংড়ির পোনা এনে খুলনা অঞ্চলের আটটি প্রতিষ্ঠানকে পরীক্ষামূলক চাষের অনুমতি দেয় মৎস্য অধিদপ্তর।

এদিকে ৯ মে এমইউসি ফুডস থাইল্যান্ড থেকে ১২ লাখ ভেনামি জাতের পোনা এনে পাইকগাছার লবণ পানি গবেষণা কেন্দ্রের পুকুরে চাষ শুরু করেছেন। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- খুলনার বটিয়াঘাটার ফাহিম সী ফুডস, পাইকগাছা গ্রোটেক একোয়াকালচার লিমিটেড, কয়রার আয়ান শ্রিম্প কালচার, ডুমুরিয়ার ইএফজি একোয়া ফার্মিং, বটিয়াঘাটার জেবিএস ফুড প্রডাক্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও সাতক্ষীরা শ্যামনগরের রেডিয়েন্ট শ্রিম্প কালচার-১।

চিংড়ি ব্যবসায়িরা জানান, গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ বছরে একবারের (চাষের সময় মারা গেলে দুবার) বেশি করা যায় না। আর ভেনামি চাষ করা যায় বছরে তিনবার। সাধারণ পুকুরে প্রতি হেক্টরে ৩০০-৪০০ কেজি বাগদা চিংড়ি উৎপাদন করা যায়। অন্যদিকে একই পরিমাণ জমিতে সাত-আট হাজার কেজি ভেনামি চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। ভারতে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পাঁচ বছর সময় লেগেছিল। বাংলাদেশে তিন বছরের মধ্যে সম্ভব।

জানা গেছে, ভেনামি চিংড়ি প্রথম ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচিতি পায়। ১৯৮০ সালের দিকে এই প্রজাতির বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়। এরপর থেকে চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের মতো এশিয়ার অনেক দেশে ব্যাপকভিত্তিক চাষ শুরু হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১২, ২০২২ ১:৩৫ অপরাহ্ন
২০ মে থেকে সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিনের জন্য সাগর থেকে নৌযানের মাধ্যমে সব ধরনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম ২০২২ বাস্তবায়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা মানে দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা, রাষ্ট্রের জন্য কাজ করা। এক্ষেত্রে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের সরকারের নীতি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ করা গেলে মৎস্যজীবীদেরই লাভ হবে। সরকার শুধু মৎস্যজীবী ও দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থকে নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। এজন্য অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে নিবেদিতভাবে কাজ করতে হবে।

জানা যায়, উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪ টি জেলার ৬৭ টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নকালে সমুদ্রগামী হালনাগাদকৃত ও নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহযোগিতা প্রদান করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২২ ৭:২৬ অপরাহ্ন
ফার্মা এন্ড ফার্ম’র মৎস্য চাষ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মৎস্য

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ফার্মা এন্ড ফার্ম’র দেশব্যাপী মৎস্য চাষ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক কর্মশালার  কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা সদরে (৯ মে), শ্যামনগরে (১০ মে) ও খুলনায় (১১ মে) ফার্মা এন্ড ফার্ম’র সহযোগিতায় মৎস্য চাষ বিষয়ক বৈজ্ঞানিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর ও শ্যামনগর উপজেলা এবং খুলনায় অনুষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক কর্মশালাগুলোতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ প্রকাশ বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ” সুস্থ, সবল ও মেধাবী জাতি গঠনে প্রাণিজ আমিষের গুরুত্ব অপরিসীম। মাছ প্রানিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস।তাছাড়া পুষ্টির দিক বিবেচনায় রয়েছে অনেক গুরত্ব”।

তিনি মাল্টিমিডিয়ায় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি ফার্মা এন্ড ফার্মা’র প্রোডাক্টস সোর্স, গুনগত মান, ক্ষেত্রবিশেষ ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেন।

উক্ত বৈজ্ঞানিক কর্মশালাগুলোতে আরো উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার জনাব মোফাজ্জ্বল হোসেন ও স্ব স্ব এরিয়া ম্যানেজারবৃন্দ, মার্কেটিং অফিসার ও খামারীবৃন্দ।

উক্ত বৈজ্ঞানিক কর্মশালায় উপস্থিত সকলকে একটি করে SI Amofree-L, SI phytoclean ও SI Oxytab ব্র্যান্ডিং টি-শার্ট উপহার দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২২ ৪:৩১ অপরাহ্ন
সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তে নতুন প্রযুক্তি সংযোজন হচ্ছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তের জন্য ১০ হাজার নৌযানে নতুন যন্ত্র ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (১১ মে) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম ২০২২ বাস্তবায়ন বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, সমুদ্রে মৎস্য নৌযান শনাক্তের জন্য ১০ হাজার নৌযানে শিগগিরই নতুন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংযুক্ত করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্ত কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম (ভিএমএস) এবং আর্টিসানাল ও যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে যথাক্রমে অটোমেটিক আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) ও গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশন (জিএসএম) ব্যবস্থা সংযোজনের কাজ চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে অনুমতিপ্রাপ্ত সমুদ্রগামী নৌযানসমূহের অবস্থান জানা যাবে এবং এদের সহজেই মনিটর করা যাবে। এ নৌযানসমূহ আইনের ব্যত্যয় করলে লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি আরো যোগ করেন, আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ করা যাবে না। আইন অমান্য করলে সম্প্রতিক সামুদ্রিক মৎস্য আইন ও মোবাইল কোর্টের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তবে অসহায় জেলেরা যেন অহেতুক হয়রানি না হয় সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা মানে দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা, রাষ্ট্রের জন্য কাজ করা। এক্ষেত্রে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের সরকারের নীতি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ করা গেলে মৎস্যজীবীদেরই লাভ হবে। সরকার শুধু মৎস্যজীবী ও দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থকে নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। এজন্য অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে নিবেদিতভাবে কাজ করতে হবে।

মাঠ পর্যায়ে মৎস্যজীবীদের তালিকা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে হালনাগাদ করা হবে বলে এ সময় জানান মন্ত্রী। প্রকৃত মৎস্যজীবী ছাড়া সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে সমুদ্রগামী জেলেদের এ বছর পর্যাপ্ত ভিজিএফ দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ ও জেলেদের বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর ও বনবিভাগ সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, অনেক সময় আইন প্রয়োগে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়।। এ ধরনের পরিস্থিতি সাধারণ জেলেরা করে না। এখানে কিছু দুর্বৃত্ত এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। নিষিদ্ধকালে মাছ সংরক্ষণ ও বিপণনের কোন সুযোগ দেওয়া যাবে না। মোবাইল কোর্ট ও অন্যান্য অভিযানে সম্পৃক্তদের এটা নিশ্চিত করতে হবে। সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের বিস্তার ঘটছে। একদিকে যেমন মাছ নিয়ে গবেষণা বাড়ছে তেমনি মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের যেভাবে, যত কঠোর পদক্ষেপ নেয়া দরকার সবটুকু করতে হবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হেমায়েত হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক ও নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজি শফিকুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জননিরাপত্তা বিভাগ, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, র‌্যাব এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ, মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, মৎস্যজীবী সমিতির প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার ১৪ টি জেলার ৬৭ টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। নিষিদ্ধকাল বাস্তবায়নকালে সমুদ্রগামী হালনাগাদকৃত ও নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকার উপকরণ সহযোগিতা প্রদান করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১১, ২০২২ ২:৩২ অপরাহ্ন
পুকুরে “মলা মাছ” চাষের পদ্ধতি
মৎস্য

আমাদের দেশের খাল-বিল কমে যাওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে এখন মলা মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি আবিষ্কার হওয়ার ফলে মলা মাছ এখন বড় পরিসরে চাষাবাদ শুরু হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই মাছ স্বাদে যেমন অনন্য ঠিক,পুষ্টিতেও ভরপুর।

মলা মাছের একক চাষ পদ্ধতি:
মলা মাছের পোনা পরিবহন করা একটা জটিল পদ্ধতি এবং রেনু পরিবহন করা অত্যন্ত সহজ তাই রেনু নিয়ে নিজে পোনা তৈরি করে চাষাবাদ করাই উত্তম। এতে খরচ ও ঝুঁকি দুটোই কম। যারা অল্প খরচে মলা মাছ চাষ করতে চান তারা নিচের পদ্ধতি ভালোভাবে জেনে নিন।

মাছ ছাড়ার আগে পুকুর প্রস্তুতকরণ:
প্রথম দিন হতে ৭ থেকে ৮ দিন পর রেনু ছাড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে প্রথমে পুকুরে বিষটোপ ব্যবহার করে সব রাক্ষুসে মাছ মেরে ফেলতে হবে। তারপর পুকুরের সব পানি সেচ দিয়ে ফেলে দিতে হবে। যদি পুকুর আকৃতিতে বড় হয় তাহলে সব পানি অপসারণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে। এক্ষেত্রে অর্ধেক পানি ফেলে দিয়ে পরিস্কার পানি দিয়ে ভরে দিতে হবে। যদি কোনো পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে তাহলেও চলবে, সেক্ষেত্রে চুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। বিষটোপ প্রয়োগের দ্বিতীয় দিন শতাংশ প্রতি আধা কেজি চুন পানিতে গুলে ছিটিয়ে দিতে হবে। সূত্র:জাগো নিউজ

যদি পুকুর বেশি পুরাতন হয় এবং পানি পরিবর্তন করার সুযোগ না থাকে সেক্ষেত্রে শতাংশ প্রতি ১ কেজি পরিমাণ চুন দেয়া ভালো। বিষটোপ প্রয়োগের ষষ্ঠ দিনে হাসপোকা মারার জন্য সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে পুকুরে। ০.৩ পিপিএম মাত্রায় সুমিথিয়ন ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই হাসপোকার মারার জন্য অন্য ঔষধ ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মলা মাছের ক্ষেত্রে সুমিথিয়ন ভালো। সুমিথিয়ন সন্ধ্যা বেলায় প্রয়োগ করতে হবে। এর দুদিন পর পুকুরে রেনু ছাড়তে হবে।

পুকুরে রেনু ছাড়ার পদ্ধতি:
প্রথমে পানি ভর্তি রেনুর ব্যাগ পুকুরের পানিতে আধাঘণ্টা ভাসিয়ে রাখতে হবে পুকুরের পানির তাপমাত্রা সামঞ্জস্য হওয়ার জন্য। আধাঘণ্টা পর ব্যাগের মুখ খুলে ব্যাগের পানির ভিতর হাত ঢুকিয়ে এবং পরে পুকুরের পানিতে হাত ঢুকিয়ে ব্যাগ ও পুকুরের পানির তাপমাত্রা একই মনে হবে তখন পুকুরের পানি দিয়ে অল্প অল্প করে ব্যাগে ঢুকিয়ে আবার বের করে এভাবে রেনু ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। এভাবেই রেনু ছাড়ার কাজ শেষ করতে হবে।

রেনুর উপর খাবার প্রয়োগ পদ্ধতি:
রেনু ছাড়ার ২ ঘণ্টা পর খাবার দিতে হবে। দিনে দুইবার খাবার দিতে হবে। সকাল ১০টার দিকে এবং বিকাল ৫টার সময়। খাবার হিসেবে প্রথম ২ দিন ডিম ( সাদা অংশসহ) খেতে দিতে হবে। এ জন্য প্রথমে হাঁসের ডিম সিদ্ধ করে ব্লেন্ডার দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে পলেস্টার কাপড় দিয়ে ছেঁকে মিহি মতো করে পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।

প্রতি ৫ শতাংশে একটি করে ডিম দিতে হবে। তৃতীয়দিন থেকে নার্সারি পাউডার ৩-৬ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। প্রতি ১০ শতাংশে ১ কেজি খাবার দিতে হবে দিনে দুইবার ভাগ করে। ১০ দিন পর খাবার প্রতি ১০ শতাংশে ১.৫ কেজি খাবার দিতে হবে। এভাবে চলবে ২০ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত। এরপর খাদ্য প্রয়োগের কৌশল বদলাতে হবে।

পরিবর্তিত খাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি ২৫ দিন পর থেকে এক সপ্তাহের খাবার এক সাথে পুকুরে ভিজিয়ে রেখে খাওয়াতে হবে। যেহেতু মলা মাছ ফাইটোপ্লাংকটন ভোজী তাই একটু ভিন্নভাবে খাবার দেয়া দরকার। ধরা যাক ১ সপ্তাহের জন্য ১০০ কেজি খাবার প্রয়োজন।

এখন আর নার্সারি পাউডারের মতো দামি খাবার খাওয়াবেন না। তাই ১০০ কেজি সরিষার খৈলকে সাতটা বস্তায় সমান ভাগ করে প্রতি বস্তায় ৪ কেজি ইউরিয়া সার খৈলের সাথে মিশিয়ে পানিতে খুঁটিতে বেঁধে রাখলে তিনদিন পর এই খৈলের বস্তা পানিতে ভেসে উঠবে।

তারপর এক এক বস্তার খৈল প্রতিদিন দুই বেলা দিতে হবে। এতে প্লাংকটনের বৃদ্ধির পাশাপাশি মাছের খাবার ভালো মানের হবে। এভাবে সাড়ে তিন মাস থেকে ৪ মাসেই বাজারজাত করা যায় মলা মাছ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৮, ২০২২ ৪:৪৯ অপরাহ্ন
সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য কাজ করছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারীদের স্বাবলম্বী করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রবিবার (৮ মে ) পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান এদেশের একজন নারীও যেন অসহায় না থাকে। তিনি নারীর ক্ষমতায়ন চান। তিনি চান নারী অপরের দয়া-দাক্ষিণ্যের জন্য বসে থাকবে না। তিনি চান পরনির্ভরশীল না থেকে নারীরা স্বাবলম্বী হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা সবাই মিলে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো যোগ করেন, নারীদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনা একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করছেন। উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এমনই একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত প্রাণিসম্পদ উপকরণ হাঁস, মুরগি, ভেড়া প্রান্তিক নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলবে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করবে।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নূরুল আলম, পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার, নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক, নেছারাবাদ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার ঘোষ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম জিয়াউল হক রাহাত, নেছারাবাদ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রিয়াজ হোসেন, নেছারাবাদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক এস এম ফুয়াদ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী নেছারাবাদের অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের শুকনা খাবার বিতরণ করেন। পরে মন্ত্রী একই উপজেলার দক্ষিণ কৌরিখাড়া লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটিএ স্থাপিত নতুন পন্টুন উদ্বোধন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৭, ২০২২ ২:১৪ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরায় পুকুরে মিললো ৮ কেজি ওজনের চিতল
মৎস্য

সাতক্ষীরার তালা সদরের শিবপুরে পুকুরে পাওয়া গেছে ৮ কেজি ওজনের একটি চিতল মাছ। শুক্রবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তালা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের পুকুরে এই মাছটি ধরা পড়ে। 

গ্রামের আনার সরদার জানান, এই পুকুরটিতে এই অঞ্চলের মানুষ গোসল করেন। গত এক মাস ধরে পুকুরে গোসলে নামলেই তাকে কামড়াচ্ছিলো মাছটি। মাছটি কামড়ে অনেকের পায়ের মাংস তুলে নিয়েছিলো। ভয় পেয়ে অনেকেই ওই পুকুরে গোসল করা বন্ধ করেছিলো। তবে পরবর্তীতে একজনের পায়ে মাছটি কামড় দিলে তখন তার হাতে মাছের মত কিছু অনুভব হয়।

তিনি আরও বলেন, পরে মাছ কামড়াচ্ছে বলে চারিদিকে জানাজানি হয়ে যায়। এলাকার শিশুরা ভয়ে পুকুরে নামতে পারছিলো না।

স্থানীয় বৈশাখী আক্তার জানান, আমি গোসলের সময় পায়ে কামড়ে ধরে মাংস তুলে নেয়। দাঁত বসানো সেই ক্ষত এখনো রয়েছে।

পুকুরের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, মাছটির জন্য এলাকার মানুষ আতংকে ছিল। অবশেষে আজ পুকুরে জাল ফেলে ৮ কেজি ওজনের চিতল মাছটি ধরা পড়ে। তবে এটি বিক্রি করবো না, বাড়িতে রান্না হবে।’

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop