১২:৩২ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ২৮, ২০২১ ৯:৫০ পূর্বাহ্ন
কালীগঞ্জে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করলো দূর্বৃত্তরা!
মৎস্য

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলার বাবরা গ্রামে মৎসচাষী ওসমান বিশ্বাসের পুকুরে প্রতিপক্ষ দূর্বত্তরা তাদের পুকুরে বিষ টোপ দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ বিনষ্ট করেছে।

বুধবার ভোরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলার বাবরা গ্রামে মৎসচাষী ওসমান বিশ্বাসের পুকুরে ওই মাছ নিধনের ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস চাষী ওসমান বিশ্বাসের স্ত্রী সন্দেহজনক ৫ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী উপজেলা বাবরা গ্রামের হাজেরা বেগম জানান, বলিদাপাড়া গ্রামের নাসিম বিশ্বাসের বাবরা গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন ৪ বিঘার একটি মৎস পুকুর লীজ নিয়ে তার স্বামী মাছ চাষ করছেন।

বুধবার সকালে পুকুরে মাছ মরে ভাসতে দেখে দিকে মসজিদের ইমাম রকিব হোসেন তাদেরকে খবর দেন। এ সময় তারা পুকুরে এসে দেখেন, বিষটোপ দিয়ে তাদের পুকুরের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলা হয়েছে।

ওসমানের স্ত্রী আরো জানান, গ্রামের দলাদলিতে একটি মামলায় তার স্বামী ওসমান বর্তমানে জেলে রয়েছেন। এ সুযোগে তাদের প্রতিপক্ষ একই গ্রামের বিল্লাল, জিহাদ, জামির, আশরাফুল ও হাসান নামে ৫ যুবক ওই পুকুরে বিষ দিতে পারে। কারণ ঘটনার আগের দিন রাতের বেলা ওই যুবকদের তারা পুকুরের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, মৎস পুকুরে মাছ বিনষ্টের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৭, ২০২১ ১০:০৭ অপরাহ্ন
দুই চিতলের দাম ১৪ হাজার টাকা!
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা-আরিচা নদীর মোহনায় এক জেলের জালে ৬ কেজি করে মোট ১২ কেজি ওজনের দু‘টি বিশাল আকৃতির চিতল মাছ ধরা পড়েছে। যা বিক্রি করা হয় ১৩ হাজার ৮শ’ টাকা।

বৃহস্পতিবার(২৭ মে) দুপুর ১টার দিকে জেলে নজরুল হালদারের জালে মাছ দুইটি ধরা পড়ে।

দৌলতদিয়া ঘাটের আরিফা-চাঁদনী মৎস্য ভাণ্ডারের মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছ দুইটি ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা দিয়ে জেলে নজরুল হালদারের কাছ থেকে কিনে নেন।

জেলে নজরুল হালদার জানান, মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লার কাছে মিলনের আড়ত থেকে ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে ১৩ হাজার ৮০০ টাকায় মাছগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।

মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা জানান, ১২ কেজি ওজনের চিতল মাছগুলো জেলে নজরুল হালদারের কাছে থেকে ১৩ হাজার ৮০০ টাকায় কিনেছি এখন ১২শ’ টাকা কেজি দরে মাছগুলো ঢাকায় বিক্রি করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, পদ্মা-আরিচা নদীর মোহনায় বড় বড় চিতল মাছ খুব কম দেখা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৭, ২০২১ ১২:৩৪ অপরাহ্ন
মধ্যরাতে হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ
মৎস্য

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসবের আমেজে ডিম সংগ্রহ করছেন স্থানীয় জেলেরা। নয়াহাট এলাকায় ৩/৪ কেজি করে ডিম পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।

বুধবার (২৭ মে) দিনগত রাত ১টার দিকে হালদা নদীর বিভিন্ন কোমে ডিম রুই জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে।

ডিম সংগ্রহকারী কয়েকজন বলেন, বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আমরা নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছি। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে মা মাছ ডিম ছাড়তে অনুকূল পরিবেশ পায়নি। রাতের জোয়ার শেষে ভাটায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। আমরা ৩-৪ কেজি করে ডিম সংগ্রহ করেছি। আশাকরি আরো ডিম সংগ্রহ করতে পারবো।

আরো পড়ুন: কয়েক দফা বৃষ্টিতে হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ও বুধবার দুপুরে মা মাছ দুইবার নমুনা ডিম ছেড়েছিল। নদীর সার্বিক অবস্থা ভালো থাকায় এবার প্রচুর ডিম সংগ্রহ করার ব্যাপারে আশাবাদী জেলেরা। সংগ্রহ করা ডিম থেকে রেণু ফোটানো হবে। পরিচর্যার মধ্য দিয়ে সেই ডিম থেকে পোনা হবে।

মা মাছের ডিম ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন বলেন, ‘রাত আনুমানিক ১টার দিকে হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মা মাছ ডিম ছাড়ার খবর এসেছে। নয়াহাট এলাকায় ৩/৪ কেজি করে ডিম পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।’

তিনি আরো বলেন, হালদা নদীর হাটহাজারী ও রাউজান অংশের আজিমের ঘাট, অংকুরি ঘোনা, কাগতিয়ার মুখ, গড়দুয়ারা নয়াহাট, রাম দাশ মুন্সির ঘাট, মাছুয়া ঘোনা ও সত্তার ঘাট অংশে ডিম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছে ডিম সংগ্রহকারীরা।

পরে রাত ১টার দিকে ৩৮৩টি নৌকায় প্রায় হাজার জন ডিম সংগ্রহকারী, আইডিএফ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির স্বেচ্ছাসেবক ও শিক্ষার্থীও হালদাপাড়ে আছেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ এবং মৎস্য অফিসের লোকজনও সেখানে অবস্থান করছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৬, ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ন
ড.আবুল মনসুরের “ফিশারিজ স্টাডি পার্ট ৪“ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ক্যাম্পাস

মো. শাহীন সরদার: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মৎস্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর মিল্লাাতের লেখা ‘ফিশারিজ স্টাডি পার্ট ৪’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। বইটি মাৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য ড. মো. আবুল মনসুর মিল্লাাতের লেখা ‘ফিশারিজ স্টাডি’ সিরিজের চতুর্থ বই।

মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে তাঁর লেখা বইয়ের সংখ্যা ছয়টি। এছাড়া তাঁর আন্তর্জাতিক র্জানালে ৬৯টি প্রকাশনা রয়েছে।

বইটি সম্পর্কে আবুল মনসুর মিল্লাত বলেন, আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি এবং ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে বইগুলো স্বীকৃত হওয়ায় গর্ববোধ করছি। আশা করছি বইগুলো শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জ্ঞানার্জনে ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৬, ২০২১ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
কয়েক দফা বৃষ্টিতে হালদায় ডিম ছেড়েছে মা মাছ
মৎস্য

কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হাটহাজারীর হালদা নদীতে ডিম ছেড়েছে রুই জাতীয় মা মাছ। মঙ্গলবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে হালদা নদীর কয়েকটি স্পটে নমুনা ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মা মাছ।

ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, মঙ্গলবার কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এরপরও এদিন মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি।

জানা যায়, গত কয়েকদিন থেকে নৌকা, জাল, বড় পাতিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ডিম সংগ্রহকারীরা নদীর পাড়ে প্রস্তুত ছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাদের জালে ‘নমুনা ডিম’ (ডিম ছাড়ার উপযুক্ত পরিবেশ আছে কিনা সামান্য ডিম ছেড়ে পরীক্ষা করে মা মাছ) আস্তে থাকে। বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সাধারণত মা মাছগুলো ডিম ছাড়ে। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে শিগগিরই মা মাছগুলো পুরোদমে ডিম ছাড়বে।

মূলত হালদার কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, খলিফার ঘোনা, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, মগদাই, মদুনাঘাট, উরকিচর এবং হাটহাজারী গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, সিপাহির ঘাট, আমতুয়া, মার্দাশা ইত্যাদি এলাকায় ডিম পাওয়া যায় বেশি।

স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, সাধারণত চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও অষ্টমী তিথিতে প্রবল পাহাড়ি ঢল ও শীতল আবহাওয়ায় কার্প জাতীয় মাছ নদীতে ডিম ছাড়ে। নমুনা ডিম মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য প্রস্তুতের আভাস। আর মা মাছ আগে নমুনা ডিম ছেড়ে পরীক্ষা করে নদীতে ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ আছে কি-না। অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলেই মা মাছ ডিম ছাড়বে। পাহাড়ি ঢল, ব্রজসহ বৃষ্টি, ঠাণ্ডা আবহাওয়া, পূর্ণিমা, অমাবস্যার তিথিতে মূলত মা মাছ ডিম ছাড়ে। হ্যাচারিপোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বর্ধনশীল বলে এ পোনার কদর সারাদেশে।

হালদা গবেষক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান, বেশ কিছু স্থানে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়ছে। মা মাছ যদি পরিবেশ অনুকূল অর্থাৎ ডিম ফুটাতে পারবে মনে করে তাহলে সকালের ভাটায় ডিম ছাড়বে।’ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত প্রায় আড়াইটায় হালদা নদীর পাড়ে তিনি সুখবরের আশায় অপেক্ষায় ছিলেন বলে জানা গেছে।

হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অফিসার জানান, আমরা সার্বক্ষণিক ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। ডিম সংগ্রহের পর হ্যাচারিতে পরিচর্যার ব্যাপারে আমাদের টিম সক্রিয় আছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২১ ১০:২২ অপরাহ্ন
হোমনায় মাছ শিকারে গিয়ে বজ্রপাতে ২ জেলের প্রাণহানি!
মৎস্য

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় মাছ শিকারে গিয়ে বজ্রপাতে দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো দু‘জন। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাঁঠালিয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আলমগীর হোসেন (৩৫) ও বিটু (১৪)। তিনি উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের জগন্নাথকান্দি গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। টিটু একই গ্রামের নেপাল চন্দ্র দাসের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে কাঁঠালিয়া নদীতে মাছ শিকারে যান তারা। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে দুজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন দুজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হোমনার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিরুল হক ভূঁইয়া জানান, ঘটনাটি আমার এলাকার কাঁঠালিয়া নদীতে ঘটেছে। খবর পেয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

হোমনা থানার ওসি মো.আবুল কায়েস জানান, মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত দুই পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৫, ২০২১ ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
প্রচণ্ড দাবদাহ,অভয়নগরে মারা গেল ৩৫ লাখ টাকার মাছ!
মৎস্য

যশোরের অভয়নগরে কুমোরঘাঁড়ে কৃষি ও মৎস্য প্রকল্পে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মাছ তীব্র দাবদাহে অক্সিজেন সংকটের কারণে মরে গেছে। এ অবস্থায় প্রকল্পের সদস্যরা প্রকল্প বাঁচাতে উপজেলা মৎস্য অফিসের মাধ্যমে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বলারাবাদ গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে।

দেখা যায়, মৎস্য প্রকল্পের উঁচু অংশটি শুকিয়ে গেছে। নিচু অংশে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার ছোট ও বড় ধরনের মাছ মরে ভেসে রয়েছে। হাজার হাজার জীবিত মাছ প্রাণ বাঁচাতে পানির ওপরে অক্সিজেন নেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তীব্র খরায় মাছগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই মরে ভেসে উঠছে। ১৭৮ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা মৎস্য প্রকল্পের সর্বত্র মরা মাছ ভেসে আছে।

এ ব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি কামরুল হাসান জানান, রোববার দুপুরের পর থেকে মরা মাছ ভাসতে শুরু করে। সোমবার মৃত মাছের সংখ্যা কয়েক লাখে গিয়ে পৌঁছায়। আনুমানিক ৩৫ থেকে ৩৮ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা গেছে। মরা মাছ মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত মৎস্যচাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রকল্পটি বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। অন্যথায় সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে পথে বসবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসাইন সাগর জানান, যশোর জেলায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতির মধ্যে মৎস্য ঘেরে অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। পানির প্রবাহ রেখে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে। চলিশিয়া ইউনিয়নের কুমোরঘাঁড়ে মৎস্য প্রকল্পে যেভাবে মাছ মরেছে তার কয়েকটি কারণ থাকতে পারে- অধিক পরিমাণে মাছ মজুদ করা, পানির গভীরতা কম, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি। এছাড়া পানির তলদেশে পচা কালো মাটি জমে থাকার কারণে ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি হয়ে এমনটি হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৪, ২০২১ ৫:২৯ অপরাহ্ন
বাতাসি মাছের কৃত্রিম প্রজনন উদ্ভাবন বিএফআরআই‘র বিজ্ঞানীদের
বিজ্ঞান ও গবেষণা

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা এবার করোনার মধ্যে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় বাতাসি মাছের পোনা উৎপাদনে সফল হয়েছেন। এই সাফল্য বিলুপ্তপ্রায় বাতাসি মাছ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন তারা।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ময়মনসিংহ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, পরিবেশ বিপর্যয়সহ নানা কারণে এ মাছ জলাশয়ে এখন আর তেমন পাওয়া যায় না। ক্রমান্বয়ে মাছটি বিপন্নের তালিকায় চলে গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিলুপ্তপ্রায় বাতাসি মাছ পুনরুদ্ধারে গবেষণার মাধ্যমে ইনস্টিটিউট থেকে এর প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করা হয়েছে। ফলে মাছটি এখন চাষ করা সম্ভব হবে।

বাতাসি মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Notropis Atherinoides| এই প্রজাতির মাছ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং মিয়ানমারে পাওয়া যায়। সুস্বাদু এ মাছটি বর্তমানে বাজারে খুব কম দেখা যায়। এটি দৈর্ঘ্যে সর্বোচ্চ ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর দেহ চ্যাপ্টা ও ওপরের চোয়াল নিচের চোয়ালের চেয়ে কিছুটা লম্বা। বিএফআরআই সূত্রে জানা গেছে, তারা ২৫ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় ও দেশি মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল ইতোমধ্যে উদ্ভাবন করেছে।

এর সর্বশেষ সংযোজন হলো বাতাসি মাছ। দীর্ঘ গবেষণার মাধ্যমে গত ১৯ মে এই সফলতা অর্জিত হয়। বগুড়া জেলার সান্তাহারে অবস্থিত ইনস্টিটিউটের প্লাবন ভূমি উপকেন্দ্রে এই সফলতা অর্জিত হয়। গবেষক দলে ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ডেবিড রিন্টু দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালিহা খানম।

বগুড়ার সান্তাহার প্লাবনভূমি উপকেন্দ্র থেকে যমুনা ও আত্রাই নদীসহ বিভিন্ন উৎস থেকে বাতাসি মাছের পোনা সংগ্রহ করে প্রথমে পুকুরে তা নিবিড়ভাবে প্রতিপালন করা হয়। ওই সময় বাতাসি মাছের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে সে অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হয়।

গবেষকরা একটি পরিপকস্ফ বাতাসি মাছের খাদ্যনালিতে শতকরা ৮৬ ভাগ প্লাংটন ও ১৪ ভাগ অন্যান্য খাদ্যবস্তুর উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। তাছাড়া বছরব্যাপী জিএসআই ও হিস্টোলজি পরীক্ষণের মাধ্যমে বাতাসি মাছের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম নির্ধারণ করা হয় মে-জুলাই মাস। এর ডিম ধারণ ক্ষমতা আকার ভেদে হচ্ছে ১২০০-২৫০০টি। একটি পরিপকস্ফ স্ত্রী বাতাসি মাছ ৪ থেকে ৬ গ্রাম ওজনের হলেই প্রজনন উপযোগী হয়।

গবেষণার আওতায় চলতি মে মাসে বাতাসি মাছকে হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয়। হরমোন প্রয়োগের ১২-১৫ ঘণ্টা পর বাতাসি মাছ ডিম ছাড়ে এবং ২৩-২৫ ঘণ্টা পরে নিষিক্ত ডিম থেকে রেণু পোনা উৎপাদিত হয়। ডিম নিষিক্তের হার ছিল শতকরা প্রায় ৭৩ ভাগ। উৎপাদিত রেণু বর্তমানে প্লাবনভূমি উপকেন্দ্রের হ্যাচারিতে প্রতিপালন করা হচ্ছে।

গবেষক দলের প্রধান ড. ডেভিড রিন্টু দাস জানান, প্রতি ১০০ গ্রাম খাবার উপযোগী বাতাসি মাছে পটাশিয়াম ৬১০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৪০০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ২০০ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক ১৪.৪ মিলিগ্রাম, আয়রন ৩৩ মিলিগ্রাম এবং ম্যাঙ্গানিজ ২০০ মিলি গ্রাম রয়েছে। যা অন্যান্য দেশি ছোট মাছের তুলনায় অনেক বেশি। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। করোনাকালের বাতাসি মাছ খেতে বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেন।

বিএফআরআই মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, বিলুপ্তপ্রায় মাছ পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রতি জোরদার করা হয়েছে। ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ব্যবহারের ফলে গত ১২ বছরে পুকুরে দেশি মাছের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চার গুণ (২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন)। পর্যায়ক্রমে সব দেশি ছোট মাছ প্রজনন ও চাষাবাদের মাধ্যমে মানুষের পাতে ফিরিয়ে আনা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৩, ২০২১ ১১:৩৫ অপরাহ্ন
পুকুরে দুর্বৃত্তের দেয়া বিষে দেড় লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

নাটোরের লালপুরে ইসমাইল হোসেন রাজুর নামের এক ব্যক্তির পুকুরে দফায় দফায় বিষ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন রাজু একই গ্রামে মৃত আকবর হোসেনের ছেলে।

রোববার (২৩ মে) উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার মধুবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, ইসমাইল হোসেন রাজু পৃথক স্থানের অবস্থিত তিনটি পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভার কাপ, মৃগেল, গুলশা টেংরাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। রোববার সকালে তার বাড়ির সামনের পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠে।

ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন জানান, নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকে মাছ চাষ শুরু করি। ধারণা করছি, রাতের আধারে দুর্বৃত্তরা পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে। এতে প্রায় লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

গত বছরেও দুই বার তার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছিল। এ বিষয়ে থানায়ও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বলে জানান ইসমাইল।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৩, ২০২১ ১:৪১ অপরাহ্ন
ডাইনোসরের আমলের মাছ জীবিত আবিষ্কার!
মৎস্য

দক্ষিণ আফ্রিকার হাঙর শিকারিদের একটি দল ডাইনোসরের আমলের একটি মাছ নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। মাছটিকে সিলাকান্ত বলে ডাকা হয়। পশ্চিম ভারত মহাসাগরের মাদাগাস্কার উপকূলে মাছটি জীবতই পাওয়া গেছে। ৪২ কোটি বছর আগের এই মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলেই ধরে নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।-খবর নিউজউইকের

মৎস্যজীবীরা জিলনেট দিয়ে হাঙর শিকারে বের হয়েছিলেন। তারা যখন ক্রামগত হাঙর নিশানা করে যাচ্ছিলেন, তখন উচ্চপ্রযুক্তির এই জাল গভীর সমুদ্রে সিলাকান্তরা যেখানে জড়ো হয়, সেখানে পৌঁছে গেছে। পানির উপরিভাগ থেকে যা ৩২৮ থেকে ৪৯২ ফুট গভীরে।

১৯৩৮ সালের আগে বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন, মাছটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু তখন দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলে স্মরণকালের প্রথমবারের মতো মাছটি আবিষ্কার করা হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞান সাময়িকী আভাস দিয়েছে, হাঙর শিকার বেড়ে যাওয়ার কারণে সিলাকান্তের অস্তিত্ব নতুন করে হুমকির মুখে পড়েছে।

গবেষকেরা বলেন, হাঙর ধরতে জারিফা জিলনেট ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রাণঘাতী জাল সমুদ্রের গভীরে পৌঁছাতে পারে। এতে মাছটির জন্য নতুন হুমকি তৈরি হয়েছে।সূত্র: সময় টিভি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop