রংপুরে পাঁচ দিনে চার খামারির ১১ গরু চুরি
প্রাণিসম্পদ
রংপুর জেলার মহানগর ও তারাগঞ্জ থানায় চার খামারির গত পাঁচ দিনে ১১টি গরু চুরি হয়েছে। খামারিদের গোয়ালঘর থেকে এই ১১টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে।
চুরি যাওয়া গরুর মূল্য প্রায় ৩৭ লাখ টাকা বলে ভুক্তভোগী খামারিরা জানিয়েছেন। চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
জানা গেছে, বুধবার রাতে জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বেলতলী গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমানের গোয়ালঘর থেকে চারটি গরু চুরি হয়েছে। চোরেরা বাড়ির পেছনের প্রাচীর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে গোয়াল ঘরের তালা কেটে গরু নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, দিনরাত পরিশ্রম করে অস্ট্রেলিয়ান জাতের দুটি ও দেশি জাতের দুটি গরু পুষতেন। গোয়ালঘর শূন্য করে চোরেরা সব কয়টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে। চুরি যাওয়া গরু চারটির মূল্য অন্তত ৬ লাখ টাকা হবে। রংপুরের তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, গরু উদ্ধারের জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি।
এদিকে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় গত শনিবার রাতে তিন খামারির গোয়ালঘর থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মোট সাতটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। মাহিগঞ্জের খামারি গৌতম বোসের খামার থেকে দুটি, হাসান আলীর দুটি এবং আনোয়ার হোসেনের তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। প্রত্যেক গরু ৩-৪ লাখ টাকা দাম হবে বলে দাবি করছেন খামারিরা।
ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। গরু চুরির এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। এ সময় দ্রুত চুরি যাওয়া গরু উদ্ধারসহ গরু চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের দাবি জানায় খামারিরা।
রংপুর জেলা ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন জানান, বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। যে কোনো উপায়ে গরু চুরি বন্ধ করতে হবে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্হানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে, সেগুলো পর্যালোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের শনাক্ত করা হবে।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্হল পরিদর্শন করে খামারিদের একটি তালিকা করা হয়েছে। তারাগঞ্জের ঘটনাটিও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানো হয়েছে।