কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা
মৎস্য
কাপ্তাই লেকে সব ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র (কপাবিকে) কর্তৃপক্ষ। কপাবিকের তালিকাভুক্ত জেলে ছাড়া এখন থেকে অন্য কোনো জেলে লেকে মাছ ধরতে পারবেন না বলেও কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এই নিষেধাজ্ঞা এখন থেকে (১৫ মার্চ) কার্যকর হবে বলেও কপাবিকে সূত্রে জানা গেছে।
কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের গতকাল (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমকে জানান, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউটিলিটি সার্ভিসের আওতাধীন এলাকায় মাছ ধরার জন্য কপাবিকে কর্তৃক নির্ধারিত জেলে আছেন। নির্ধারিত জেলেরা ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে লেকের মাছ ধরবেন এবং কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় নির্দিষ্ট বাজারে মাছ বিকিকিনি করবেন। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে তালিকাভুক্ত জেলা ছাড়াও অনেকে বিভিন্ন ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে কাপ্তাই লেকের মাছ শিকার করছেন। অত্যন্ত ছোট সাইজের জাল ব্যবহারের ফলে জালে সব ধরনের মাছ উঠে আসছে। বিশেষ করে সব ধরনের ডিমওয়ালা মাছ, ছোট রেণু এমনকি যে মাছ সদ্য পানিতে ডিম ছেড়েছে সেই মাছও ছোট জালে উঠে আসছে। সেই রেণু ক্ষুদ্র মাছের পোনা বা ডিম জালে উঠে এলেও সেটি কোনোভাবে হাতে ওঠে না এবং খাওয়াও যায় না। এই জাল ব্যবহারের ফলে কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়ছে। এখন এমনিতেই কাপ্তাই লেকে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও যা সামান্য পাওয়া যাচ্ছে ছোট ম্যাশ সাইজের জাল দিয়ে মাছ ধরার ফলে অচিরেই কাপ্তাই লেক মাছশূন্য হয়ে পড়বে। তাই মাছের বংশ রক্ষা করতে এবং আগামী দিনের শিশুরা যাতে মিঠা পানির মাছ খেতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাপ্তাই লেকে নির্ধারিত জেলে এবং নির্ধারিত জাল ছাড়া অন্য কেউ মাছ শিকার করতে পারবেন না। এর ব্যতিক্রম করলে প্রশাসনিক কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, হেডম্যান, কারবারি, পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবিসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন কপাবিকের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের।