মাশরুম চাষে সফল চাটমোহরের আব্দুল হালিম
এগ্রিবিজনেস
মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন হওয়ায় এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকদের মাঝে মাশরুম চাষে বেশি আগ্রহ বাড়ছে। বানিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ বাড়াতে পারে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। অসীম সম্ভাবনাময় এ ফসল চাষে নানাবিধ সুবিধার কারনে খুব সহজেই এটি চাষ করা সম্ভব। এছাড়াও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগের সৃষ্টিসহ দারিদ্র বিমোচন এবং অর্থনীতিতে মাশরুম চাষ রাখতে পারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।
বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল হালিম।
আব্দুল হালিম জানান, প্রথমে ৫০টি স্পন প্যাকেট নিয়ে ২০২০ সালে মাশরুম চাষ শুরু করেন। তিনি জানান, প্রথম স্পন প্যাকেট থেকে ২৫ হতে ৩০ দিনের মধ্যে ফলন আসে। ২ কেজির একটি স্পন প্যাকেট থেকে প্রায় ২ কেজি মাশরুম পাওয়া যায়। তিনি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ কেজি মাশরুম বিক্রি করেন। প্রতি কেজি কাঁচা মাশরুম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও শুকানো মাশরুম ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে আব্দুল হালিম মাশরুম চাষ করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন।
আব্দুল হালিম আরো বলেন, মাশরুম উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম বীজ (স্পন) উৎপাদন করেন তিনি। তার উৎপাদিত মাশরুম বীজ (স্পন) দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। মাশরুম খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি এবং লাভজনক ব্যবসা। তার মাশরুম খামার দেখে অনেকে তার খামারের বীজ নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেছে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের উপযোগী। উপজেলায় বাণিজ্যিক ও ব্যক্তি উদ্যোগে ১২ টি পয়েন্টে মাশরুম চাষ হচ্ছে। তা থেকে প্রায় দুই মেট্টিকটন মাশরুম উৎপাদিত হচ্ছে।