৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২৩ ৯:২২ পূর্বাহ্ন
পতিত জমিতে লেবু চাষে কৃষক সেলিমের ভাগ্যবদল!
কৃষি বিভাগ

ময়মনসিংহে পতিত জমিতে লেবু চাষে ভাগ্য বদলেছেন কৃষক সেলিম মিয়া। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ একর পতিত জমিতে উন্নতজাতের সিডলেস লেবু চাষে সফল হয়েছেন। মাত্র ১ বছরের মধ্যেই ফলন পাওয়ায় উৎপাদিত লেবু বিক্রি করে তিনি লাভবান হয়েছেন। আগামীতে লাভের পরিমান দ্বিগুণ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

জানা যায়, কৃষক সেলিম মিয়া ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ২০২১ সালের শেষের দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ একর পতিত জমিতে উন্নতজাতের সিডলেস ৮০০ লেবুর চারা রোপন করেন। চারা রোপনের ১ বছরের মধ্যেই গাছে ফলন পেয়েছেন। এতে প্রথম বছরে লেবু বিক্রি করে খরচের টাকা উঠিয়ে ফেলেছেন। দ্বিতীয় বছর থেকে লাভের পরিমান দ্বিগুণ হবে বলে তিনি জানান।

কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, আমার এই জমিটি পতিত পড়ে ছিল। ২০২১ সালের শেষের দিকে কৃষি অফিসের পরামর্শে ৮০০ লেবুর চারা রোপন করি। আমাদের এই পতিত জমিতে এত সুন্দর লেবু বাগান হতে পারে তা আমরা কোনো দিন কল্পনাও করিনি। কৃষি অফিসাররা নিয়মিত আমার বাগানটি পরিদর্শন করেন। এছাড়াও আমার এখানে পানির ব্যবস্থা ছিল না। কৃষি অফিস থেকে পানির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় আরেক কৃষক করিম উদ্দিন বলেন, আমি সেলিমের বাগানটি দেখেছি। এখানে যে এমন বাগান সৃষ্টি হবে তা আগে চিন্তা করা যায় নি। আমিও সেলিম থেকে পরামর্শ নিচ্ছি। আগামীতে আমিও লেবুর বাগান করবো।

ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার আলম তুষার বলেন, নদীর পাড়ের জমিগুলো খুব উর্বর হয়। এই জমি গুলো আগে পতিত পড়ে থাকতো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে লেবুজাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় আমরা কৃষক সেলিম মিয়াকে ৮০০ লেবুর চারা দিয়েছিলাম। আমরা তাদের পানি সেচের ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। আশা করছি আগামীতে এই অঞ্চলে লেবুর চাষ আরো বাড়বে। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৫:৩২ অপরাহ্ন
এবছর বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে। হাওরে বোরো ধান কাটা চলছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে। আশা করি, ৩০ তারিখের মধ্যেই হাওরের ধান কাটা হয়ে যাবে, এবার ধান কাটায় কোন সমস্যা হবে না।

আজ বুধবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডেকার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাওরে ধানকে ঝুঁকিমুক্ত, শঙ্কামুক্ত করতে সরকারের নানান পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে প্রতিবছর আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। আমরা এমনভাবে কাজ করছি, ইনশাআল্লাহ আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে হাওরের ধান হবে ঝুঁকিমুক্ত ও শঙ্কামুক্ত। পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা ৭০% ভর্তুকিতে হাওরে কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে যাচ্ছি। এর সুফল আমরা পাচ্ছি। গত কয়েক বছর ধরে দ্রুততার সাথে ধান কাটা যাচ্ছে। ফলে হাওরের ধান নিয়ে শঙ্কা অনেকটা কমে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, এছাড়া আমরা স্বল্পজীবনকালীন ও ঠাণ্ডাসহিষ্ণু আগাম জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে ১৫ দিন আগেই ধান পাকে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছেন। এ জাতগুলো দ্রুত সম্প্রসারণ করতে পারলে হাওরের ধান ঘরে তোলা নিয়ে কোন শঙ্কা থাকবে না। পানি আসার আগেই ঘরে ধান তোলা যাবে।

ব্রি ২৮ ও ব্রি ২৯ জাতের ধান চাষ না করার জন্য কৃষকদের আহ্বান জানান মন্ত্রী। বলেন, ব্রি ২৮ জাতটি পুরনো হয়ে গেছে, সহজেই ব্লাস্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, উৎপাদনশীলতাও কমে গেছে। ব্রি ২৯ একটু দেরিতে পাকে। এসব জাতের পরিবর্তে উচ্চ উৎপাদনশীল নতুন জাত যেমন ব্রি- ৮১, ব্রি- ৮৯, ব্রি- ৯২ চাষ করতে হবে। এদের ফলন প্রতি শতকে এক মণেরও বেশি।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে এবছর ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ মেট্রিক টন চাল। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল ৪৮ লাখ ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২ কোটি ২ লাখ টন চাল।

এদিকে হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাওরের ৩৫% ধান কাটা হয়েছে। হাওরে এবছর বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর এই ৭টি জেলায় মোট বোরো আবাদ হয়েছে (হাওর ও উচুঁ জমি মিলে) ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল।

উল্লেখ্য, এবছর বোরোর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল। সারা দেশের প্রায় ২৭ লাখ কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২৩ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তিন মন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়েছেন তিন মন্ত্রী। এ সময় তারা একসঙ্গে ধান কাটেন।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে উৎসবে যোগ দেন তারা। তিন মন্ত্রী হলেন- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান ও উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে হাওরে ধানের চাষাবাদ করে। কিন্তু আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তোলার আগেই তলিয়ে যায়। এ বছর হাওরে এসে খুব ভালো লাগছে বোরো ধানের ফলন দেখে। এরই মধ্যে হাওরের ৩০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এ বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।

তিনি আরও বলেন, যে বছর হাওরের ধান হয়, সে বছর সারাদেশের মানুষ খেতে পারেন। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায়, সে বছর খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এবার বন্যার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। এরই মধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরের ধান কাটছে।

এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জলাভূমি হাওরে আর কোনো সড়ক নির্মাণ হবে না।  হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ করা হবেনা।

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে হাওরে ধান ঘরে তোলা সম্ভব নয়। প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওরে আর মাটির বাঁধ নির্মাণ হবে না। বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় যদি ১০০ দিন করা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
যমুনার চরে বাদামের বাম্পার ফলন
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এমন ফলন হয়েছে বলে কৃষকরা মনে করেন। চরের মাটিতে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে ঝুঁকি কম। আর এর চাষে খরচ কম হয়। এর বাজার দর ভালো থাকে বলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত বাদাম বিক্রি করে লাভবান হতে পারেন। ফলে চরে এর চাষ ‍দিন দিন বাড়ছে।

জানা যায়, চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা আওতাধীন যমুনা নদীর চরের কৃষকরা ব্যাপক পরিমানে বাদামের চাষ করেছেন। উপজেলার সোদিয়া চাদপুর, স্থল, খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরে বাদামের চাষ হয়। এছাড়াও নদীর তীরবর্তী আরো ৪ ইউনিয়নেও কিছু সংখ্যক জমিতে এ চাষ হয়। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। চরের মাটি বেলে দো-আঁশ, অধিক তাপমাত্রা ও মাঝারি বৃষ্টিতে দেশীয় জাতের ও চীনা বাদামের ব্যাপক ফলন হয়। কৃষকরা সাধারনত এই দুই জাতের বাদামের চাষ করেই লাভবান হতে পারেন। এর চাষে খরচ কম লাগে, সেচ ও নিরানির কোনো প্রয়োজন হয় না। অল্প দিনেই এর ফলন পাওয়া যায়্ উৎপাদিত বাদাম বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০০ কৃষককে বাদামের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরন করা হয়। কম খরচে বেশি লাভ হয় বলে দিন দিন চাষিরা এর চাষে ঝুঁকছেন।

সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাষী আবুল কাসেম বলেন, এবছর আমি ১ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। বিঘায় ১০-১৩ মণ ফলন পেয়েছি। অন্যান্য ফসলের তুলানায় বাদামে লাভ বেশি। তাই প্রতি বছরই এ চাষ করি।

ব্যবসায়ীরা জানায়, চলতি বছর বাদামের বাজারদর ভালো। বর্তমানে প্রতিমণ ৩৫০০-৪৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম ভালো হওয়ায় চাষিরা চাষ করে লাভবান হতে পারছেন। আর আমরা ব্যবসা করেও লাভ করতে পারছি।

চৌহালী কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর যমুনার চরের কৃষকরা বিঘাপ্রতি ১০-১৩ মণ বাদামের ফলন পেয়েছেন। চরাঞ্চলের মাটি বাদামে চাষের উপযোগী হওয়ায় এর চাষ আরো বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের চাষের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাজেদুর রহমান বলেন, আমরা কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও ঢাকা-১, ঢাকা-৪ বাড়ী চিনা বাদাম, বিতরণ করা হয়েছে। এর চাষে কৃষকরা বেশি ফলন পাচ্ছেন। আর বাজারদর ভালো থাকায় বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। আমরা সর্বদা কৃষকদের সহযোগিতা করছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ২:০৪ অপরাহ্ন
আগামী ৭ মে থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা শুরু করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

চলতি বোরো মৌসুমে ৩০ টাকা কেজি দরে ৪ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৪৪ টাকা কেজি দরে সাড়ে ১২ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ১ লাখ মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আগামী ৭ মে  থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে খাদ্যশস্য সংগ্রহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্য পরিধারন কমিটির বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১০, ২০২৩ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
বোরো ধানে ব্লাস্টরোগ, হতাশায় অভয়নগরের কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলের বোরো ধানে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে। এতে রোগাক্রান্ত ধানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের এক হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ব্লাস্টরোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ হেক্টর জমির ধান। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১২ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে উত্তম দত্ত জানান, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নলামারা বিলের ১০ বিঘা জমিতে তিনি বোরো ধান রোপণ করেছিলেন। সম্প্রতি ধানের ফলন আসার পর থেকে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় তিন বিঘা জমির ধানে ব্লাস্টরোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (সিদ্ধিপাশা ইউনিয়ন) শেখ অলিয়ার রহমান জানান, সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের সিদ্ধিপাশা মৌজায় বোরো ধানে ব্লাস্টরোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। রোগাক্রান্ত ধানের রোগ প্রতিরোধে বিঘা প্রতি পাঁচ কেজি পটাশ ও ধান ক্ষেতে এক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখা এবং ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৯, ২০২৩ ১১:৫৫ অপরাহ্ন
বিদেশী ফল মালবেরী চাষে লাখপতি নওগাঁ’র সোহেল
কৃষি বিভাগ

জেলার বরেন্দ্র অধ্যুষিত এলাকায় বিদেশী জনপ্রিয় ফল মালবেরী উৎপাদনের উজ্জল সম্ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। ঠা ঠা বরেন্দ্র বলে খ্যাত সাপাহার উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল রানা তার সমন্বিত বরেন্দ্র এগ্রো খামারে মালবেরী চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। তার এ সফলতা দেখতে প্রতিদিন আগ্রহী উদ্যোক্তারা খামারে আসছেন এবং নিজেরাও মালবেরী চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।

মালবেরী প্রধানত পাহাড়ী এবং শীত প্রধান দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান এসব দেশে মালবেরী চাষ হয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কিছু কিছু এলাকায় মালবেরী চাষ হচ্ছে। সোহেল রানা তার ধারাবাহিক অনুসন্ধানী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন থেকে চার বছর আগে তার এগ্রো খামারে অন্যান্য অনেক ফলের সাথে প্রায় ৫০টি মালবেরী গাছের চারা রোপণ করেন।

থাইলান্ড থেকে সরাসরি এবং ঢাকা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মালবেরী চারা সংগ্রহ করেন। তিনি তার এ খামারে ৮ প্রজাতির মালবেরী চারা রোপণ করেন। রোপণের এক বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশী মালবেরী উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমাণ ফল ধরেছে। চলতি বছর মূল সিজনে প্রতিটি গাছে গড়ে কমপক্ষে ১০ কেজি করে মোট ৫০০ কেজি মালবেরী উৎপাদনের প্রত্যাশা করছেন তিনি। বর্তমানে বাজারে তিনি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। সেই হিসেবে এ বছর মূল সিজনে ২ লক্ষ টাকার মালবেরী বিক্রি করবেন।

এ ছাড়াও গাছ গুলোতে বছরে আরও একবার মালবেরী উৎপাদিত হবে। সেখান থেকেও আসবে অতিরিক্ত আয়। অথচ খরচ তেমন নাই বললেই চলে। ব্যবহার করেন কেবলমাত্র জৈবসার। রোগবালাই কিংবা পোকা মাকড়ের কোন আক্রমণ নাই। নিরাপদেই চাষ করেন তিনি।

সোহেলরানার এ এগ্রো খামারের সফলতার কাহিনী লোকের মুখে মুখে। তার উপর বিদেশী ফল মালবেরী চাষ ও লাভের কথা শুনে প্রতিদিন প্রচুর আগ্রহী লোকজন দেখতে তার খামারে ভিড় করছেন। নিজেরাও মালবেরী চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিচ্ছেন সোহেল রানার কাছ থেকে।

মালবেরী চাষের অপরা সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁর উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেছেন এ ফল উচ্চমানের পুষ্টিগুন সম্পন্ন। বিশেষ করে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য মালবেরী খুবই উপকারী। সাপাহারের সোহেল রানার মত যদি কেউ মালবেরী চাষে এগিয়ে আসেন কৃষি বিভাগ সবরকমের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০৯ অপরাহ্ন
বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

বরিশালে পতিত জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। সাধারণত এই অঞ্চলের কৃষকরা ইরি ও বোরো ধানের চাষাবাদ করে থাকেন। তবে গত কয়েকবছর যাবত তারা পতিত জমিতে এই সবজির চাষ করে অধিক ফলন পাচ্ছেন। আর বাজারদর ভালো থাকায় মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

জানা যায়, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই ইউনিয়নেই মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। কৃষকরা বেশ কয়েক বছর ধরে ইরি ও বোরো ধান চাষাবাদের সঙ্গে জমির পতিত জায়গায় এই সবজির চাষ করছেন। বর্তমানে এই সবজির চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর এখানকার উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি বছর আগৈলঝাড়ায় ১৫ হেক্টর জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়া উৎপাদিত হয়েছে। এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা অধিক ফলন পেয়েছেন। কৃষকরা শুধু কুমড়া নয়, এর ডাটা ও পাতা বিক্রি করে ভালো আয় করতে পারছেন।

আগৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর গ্রামের অনিতা ভদ্র জানান, আমি ১০ বছর যাবত ইরি ও বোরো ধানের পাশে পতিত জমিতে কুমড়ার চাষ করছি। এর চাষে বেশি খরচ হয় না। একটু যত্ন নিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। গত বছর জমি থেকেই ৫০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছিলাম। আশা করছি এবছর আরো বেশি টাকার বিক্রি করতে পারবো।

কৃষকরা জানায়, মিষ্টি কুমড়া চাষে খরচ কম। আর এর ফলন অধিক পাওয়া যায়। প্রতিটি কুমড়া ৩-৮ কেজি ওজনের হয়। বর্তমানে প্রতিমণ হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি।

আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, কম খরচে চাষ করে বেশি লাভ করা যায় বলে কৃষকর মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের পতিত জমিতে বারোমাসী, বারি, মনিকাসহ স্থানীয় জাতের কুমড়ার চাষ করছেন। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকর মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। আমরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে আসছি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২৩ ১২:০০ অপরাহ্ন
সজিনা চাষে স্বাবলম্বী জয়পুরহাটের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাট জেলায় কৃষকরা অনাবাদি ও পতিত জমি গুলোতে সজিনার চাষ করছেন। গ্রাম অঞ্চলের বাড়ির পাশে রাস্তার দুপাশে সজিনার গাছ লাগিয়ে কৃষকরা চাষ করছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় চাষিরা এই সবজি চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন।

সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সজিনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এতে সজিনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ, বম্বু, ভাদসা, দোগাছী, জামালপুর, দোগাছী, চকবরকত, ধলাহার ও পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর, মোহাম্মদপুর, আওলাই ও কুসুম্বা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে বারোমাসি সজিনার চাষ করছেন কৃষকরা। রাস্তার দু’পাশে পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি সজিনার সারি সারি গাছ গুলো এখন সজিনার ভারে দোল খাচ্ছে । জেলায় পুষ্টিগুণে ভরা সজিনা চাষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ।

সদর উপজেলার ধলাহার এলাকার সজিনা চাষি মো: রফিকুল ইসলাম জানান, গত বছর আমার বাড়ির রাস্তার দুপাশে ১০টি সজিনার গাছ লাগিয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ৮ মণ সজিনা বিক্রি করেছি। এবার সজিনার বাম্পার ফলন পাবো বলে আশা করছি। বর্তমানে সজিনা ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সজিনা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।

জয়পুরহাটের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মনিরুজ্জামান মানিক জানান, সজিনা পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি। সজিনার মধ্যে ভিটামিন-এ ও সি আছে। এটি মানব দেহের কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সজিনা উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের অনেক উপকারী।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, সজিনা বসতবাড়ির আশপাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে চাষ করা যায়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতিয় সবজি। সজিনা চাষে খরচ কম। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। সজিনা গাছের তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বললেই চলে ।হে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৭, ২০২৩ ৭:৪৪ অপরাহ্ন
জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রাজশাহীর পান চাষ!
কৃষি বিভাগ

বর্তমানে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পান চাষিরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। রাজশাহী অঞ্চলের অনেক গ্রামের অধিকাংশ কৃষকের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে এই পান চাষ। রাজশাহীতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পান চাষ।

জানা যায়, রাজশাহীর মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া ও পবার মতো কয়েকটি উপজেলায় পান ও সুপারি চাষ হচ্ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা পানের বরজ তৈরী করে চাষ করছেন। এতে স্থানীয় বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার পাইকারদের কাছে জমি থেকেই সরাসরি বিক্রি করে থাকেন।

দুর্গাপুর উপজেলার বখতিয়ারপুর গ্রামের কৃষক মুক্তার হোসেন বলেন, আমাদের এখানে মিষ্টি ও সাঁচি এই দুই ধরনের পান বেশি চাষ করা হয়। আর স্থানীয় ও আশেপাশের কয়েকটি উপজেলায় এখানাকার পানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

মোহনপুর উপজেলার আরেক কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, আমি ২১ বছর যাবত পানের চাষ করছি। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর চাষে লাভ বেশি। আর একবার পানের বরজ তৈরী করলে তা থেকে অনেক বছর পানপাতা সংগ্রহ করা যায়। পানের চাষ করে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।

বাগমারা উপজেলার চান্দাপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে আমাদের মাত্র একটি বাগান ছিল। এখন ১২ বিঘা জমিতে পানের চাষ করছি। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ও পান গাছের যত্ন করে এমন সফলতা পেয়েছি।

কৃষক আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের উৎপাতিদ পানের পাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ হয়ে থাকে। এছাড়াও এখানকার পানপাতা মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশেও রপ্তানি করা হয়। বিশেষ করে সৌদি আরবে বেশি চাহিদা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলার মাটি ও আবহাওয়া পান ও সুপারি চাষের খুবই উপযোগী। এই জেলার বিভিন্ন উপজেলাগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি পানের উৎপাদন হয় মোহনপুরে। চলতি বছর ৪ হাজার ৪৯৬ হেক্টর জমিতে পান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। এতে প্রায় ৩৮ হাজার ৯০০ কৃষক জড়িত। গত বছর ৭৩ হাজার ৭৭১ টন ফলন পাওয়া গেছে। এবছর ৭৬ হাজার ৬৭৮ মেট্রিক টন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যার বর্তমানে বাজার মূল্য ৬২৩.৮২ কোটি টাকা।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop