১:০৭ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ১১, ২০২২ ৩:১৪ অপরাহ্ন
মাছে আয় বাড়ার স্বপ্ন গোপালগঞ্জের চাষিদের
মৎস্য

পদ্মা সেতু দিয়ে সরাসরি ঢাকার আড়তে মাছ বিক্রি করে আরও বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করছেন গোপালগঞ্জের মৎস্য চাষিরা। নিম্নজলাভূমি বেষ্টিত গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের পর চাষিদের আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর খাত মাছ।

জেলার পাঁচ উপজেলার প্রায় ১৭ হাজার চাষি মাছ চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন। মিষ্টি পানিতে গোপালগঞ্জে উৎপাদিত মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু। তাই সারা দেশে এ মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

জেলার চাষিরা বলছেন, বর্তমানে তাদের উৎপাদিত মাছ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয় মধ্যস্বত্বভোগীর মাধ্যমে; এতে তারা ন্যায্য দাম পান না। পদ্মা সেতু চালু হলে সরাসরি ঢাকার আড়তে নিয়ে মাছ বিক্রি করবেন তারা। এতে তাদের আয় ২০০ কোটি টাকার বেশি বাড়বে।

গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ উপজেলায় ১১৪টি বিল, ১২৫টি খাল, পাঁচটি নদী ও ছয়টি বাঁওড়  রয়েছে। এ সব উৎস থেকে প্রতি বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন পুঁটি, ট্যাংড়া, শৈল, মাগুর, কই, শিং, টাকি, খলিশা, গজার, রুই, কাতলা, বোয়াল, আইড়, চিংড়ি, ইলিশ ও নান্দেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদিত হয়।

জেলার ১৬ হাজার ৯৯৮টি পুকুর ঘের ও মৎস্য খামারে ১৬ হাজার ১৮৫ জন খামারি ৩০ হাজার ২০০ মেট্রিক টন রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, ও কার্পসহ বিভিন্ন মাছের উৎপাদন করেন। এ ছাড়া এক হাজার খামারি এক হাজার ঘেরে ৭৫২ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন করেন। সব মিলিয়ে জেলায় ৪০ হাজার ৯৫২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।

প্রতি কেজি মাছ গড়ে ২০০ টাকা দরে চাষি ও মৎস্যজীবীরা বিক্রি করেন। সে হিসেবে এ জেলায় ৮১৯ কোটি চার লাখ টাকার মাছ উৎপাদিত হয়।

পদ্মা সেতু চালু হলে চাষিরা সরাসরি ঢাকায় মাছ বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি কেজি মাছে তারা অন্তত ৫০ টাকা বেশি পাবেন। সে হিসেবে গোপালগঞ্জে মাছে আয় ২০৫ কোটি টাকা বাড়বে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামের মৎস্যচাষি হাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা বিলের শ্যাওলা, গমের ভূষি ও চালের কুড়া দিয়ে কার্প জাতীয় মাছ চাষ করি। তাই আমাদের মাছের স্বাদ নদী বা বিলের মাছের মতই। সারাদেশে আমাদের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা সরাসরি ঢাকার কারওয়ান বাজারে এই মাছ নিয়ে বিক্রি করতে পারি না। মাছ পাঠালে ঘাটেই পচে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

“পদ্মা সেতু চালু হলে আমরা সরাসরি ঢাকায় মাছ বিক্রি করতে পারব। এতে আমরা প্রতি কেজি মাছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা বেশি পাব। বেশি দামে মাছ বিক্রি করে পরিবহন খরচ বাদেও বছরে আরও অন্তত ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত আয় করতে পারব।”

মুকসুদপুর উপজেলার উজানী গ্রামের মাছ চাষি খলিলুর রহমান সোহেল বলেন, “মৎস্য খাদ্যের দাম বেড়েছে। আমরা মৎস্য খাদ্যনির্ভর মাছ চাষ করলে লাভবান হতে পারতাম না। এখন পদ্মা সেতু চালু হলে আমরা সরাসরি ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় মাছ বিক্রি করে আরও বেশি টাকা আয় করতে পরব।”

ফড়িয়া জামাল শেখ বলেন, গোপালগঞ্জের মাছ আমরা খামামির কাছ থেকে কিনে সাধারণত ফরিদপুরের ভাঙ্গা, ঢাকা, খুলনা ও মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় চালান করি। এতে আমাদের পরিবহন খরচ বাদে কিছু লাভ থাকে। এখন পদ্মা সেতু খুলে দিলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ হবে। তবে খামারি সরাসরি মাছ বিক্রি করে লাভবান হবেন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বলেন, সেতু চালু হলে কৃষক মাছ সরাসরি ঢাকা বিক্রি করতে পারলে প্রতি কেজি মাছে তারা কমপক্ষে ৫০ টাকা বেশি পাবেন। এতে তাদের আয় বাড়বে ২০৫ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতুকে ঘিরে এ অঞ্চলে মৎস্য চাষ বৃদ্ধি, মৎস্য ও কৃষিনির্ভর শিল্প স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার একটি বিশাল জনগোষ্ঠী তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে বলে মনে করেন এ মৎস্য কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৯, ২০২২ ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরা ৩ খাল পুনর্খননে প্রাণ ফিরবে কৃষি ও মৎস্যে
কৃষি বিভাগ

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে প্রবাহমান একাধিক খালকে বদ্ধ জলাশয় দেখিয়ে ইজারা নিয়ে দখল করে আসছিলেন প্রভাবশালীরা। দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে থাকায় খালগুলো মরে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছিল। ফলে বর্ষা মৌসুমে খালগুলো এ অঞ্চলের মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়াতো। শুষ্ক মৌসুমে পানি না পেয়ে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ত। চরম বিপাকে ছিল সেখানকার মৎস্য চাষিরাও ।

তবে সম্প্রতি কালিগঞ্জের তিনটি প্রবাহমান খাল প্রভাবশালী দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে খনন করে দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এতে খালগুলো প্রাণ ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি সেসব অঞ্চলের কৃষকদেরও মুখে হাসি ফুটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য চাষের উন্নতির লক্ষে জলাশয় সংস্কার প্রকল্পের আওতায় মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে এবং কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের বাস্তবায়নে কালিগঞ্জের রতনপুর ইউনিয়ন কলকলিয়া খাল, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের ঘোষখালী খাল এবং তারালি ইউনিয়নের তারালি খাল ৩টি পুর্নখনন করা হয়েছে। এছাড়া কুশলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রখালী এলাকায় একটি পুকুর পুনর্খনন করা হয়েছে। পুকুরটি ১৯০৪ সালের পর প্রথম পুনর্খনন ও সংস্কার করায় মানুষের সুপেয় পানির সংকট কাটাতে সাহায্য করবে।

এর মধ্যে খননকৃত কলকলিয়া খালের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৯৪০ফুট এবং প্রস্থ ৮০ ফুট। ঘোষখালী খালের দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৮শ ফুট এবং প্রস্থ ৮৫ ফুট। এছাড়া তারালি খালের দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৮শ ফুট এবং প্রস্থ ৮৫ ফুট খনন করা হয়েছে। প্রতিটি খাল খননের জন্য ৩৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ ছিল।

খালগুলো খনন করায় এই এলাকায় কৃষির ও মৎস্যের ফলন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের জন্য পানির অবাধ সরবরাহও নিশ্চিত হবে এবং খালের মাধ্যমে মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পাবে। এটাকে যদি ধরে রাখা যায় তাহলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে খালগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রতনপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেবানী মন্ডল বলেন, কলকলিয়া খাল দিয়ে ইউনিয়নের শত শত বিঘা বিলসহ বসতবাড়ির পানি নিস্কাশিত হয়। খালটি অবৈধ দখলের কারণে সরু নর্দমায় পরিণত হয়েছিল। এতে কৃষকরাও ঠিকমত পানি না পেয়ে চাষাবাদ করতে পারত না। মৎস্যচাষিরাও বিপাকে পড়ত। খালটি দখলমুক্ত করে খনন করায় সকলেরই সুবিধা হয়েছে। কৃষকরা পানি নিতে পারবে। মৎস্যচাষিরাও উপকৃত হবে। পাশাপাশি আমরাও জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবো।

রতনপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর বাবু গাজী বলেন, খালটি খনন করায় এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবে। খালটি কোনভাবে ইজারা না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম আল রাজী টোকন বলেন, কলকলিয়া খালটি কালিন্দি নদীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। অথচ প্রভাবশালীরা বদ্ধ জলাশয় দেখিয়ে ইজারা নিয়ে দখল করে খালটিকে প্রায় মেরে ফেলেছিল। ওই সব দখলদারদের উচ্ছেদ করে মৎস্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে খনন করে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খালটি এলাকার মানুষের জীবন জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

এদিকে দক্ষিণশ্রীপুর ইউনিয়নের টোনা গ্রামের ঈশ্বর রাধাপদের পুত্র গণেশ সরকার বলেন, ঘোষখালী খালটি দিয়ে বাঁশঘাটা, নবিননগর, বেড়াখালী, সাড়াতোলা, শ্রীপুর, ফতেপুর, গোবিন্দকাটি, সোনাতলাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের পানি নিষ্কাশিত হয়ে গোয়ালঘাষিয়া নদীতে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এসব অঞ্চলের মানুষ বিপাকে পড়ত। খালটি খনন হওয়ায় কৃষক ও মৎস্য চাষিসহ সকলেই উপকৃত হবে।

কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার নাজমুল হুদা বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় খালগুলো খনন করা হয়েছে। এতে অত্র এলাকায় কৃষির ও মৎস্যের ফলন বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি খালের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের জন্য পানির অবাধ সরবরাহও নিশ্চিত হবে এবং খালের মাধ্যমে মাছের প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পাবে। এটাকে যদি ধরে রাখা যায় তাহলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে খালগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৮, ২০২২ ৫:৫৮ অপরাহ্ন
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার,১০ জেলের জরিমানা
পাঁচমিশালি

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের দায়ে ১০ জেলেকে জরিমানা করা হয়েছে। একই সময় জরিমানার টাকা আদায় করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-আমির হোসেন, রিয়াজ ফরাজী, জাকির হোসেন, তারেক সরদার, মনির আকন, আজু, মাসুদ, মামুন, বাসু ও সিদ্দিক।

বুধবার (৮ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চর বিজয় সংলগ্ন সাগরে  মাছ শিকার করার সময় তাদের আটক করা হয়। পরে রাতেই আটক জেলেদের কাছ থেকে মোট ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা।

অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন-আমির হোসেন, রিয়াজ ফরাজী, জাকির হোসেন, তারেক সরদার, মনির আকন, আজু, মাসুদ, মামুন, বাসু ও সিদ্দিক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৬, ২০২২ ২:২৩ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষে জনপ্রিয়তা বাড়ছে বায়োফ্লক পদ্ধতির
মৎস্য

বাড়ির উঠান, বাসার ছাদ বা পরিত্যক্ত জমি ব্যবহার করে স্বল্প পরিসরে, অল্প পুঁজিতে তিন গুণ বেশি মাছ উৎপাদনের আধুনিক এ চাষ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বেড়েছে।

বাবেল ফিশ বায়োফ্লক অ্যান্ড হ্যাচারিসহ বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছেন আগৈলঝাড়া উপজেলার প্রবাসী মো. আব্দুর রহিম। ৫ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে এক বছরে লাভ দাঁড়িয়েছে তাঁর ৮ লাখ টাকা। তবে প্রজেক্ট সম্প্রসারণের জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী মো. আব্দুর রহিম। সরকারি সহায়তা পেলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে অনেক পরিবারের। অন্যদিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন।

জানা গেছে, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের অশোকসেন গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে প্রবাসী মো. আব্দুর রহিম চায়না জিয়াংশু ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অব টেকনোলজিতে পড়াশোনা করতেন এবং জিংশু প্রদেশে জেন-জিয়াং সিটিতে বসবাস করতেন। প্রবাসী মো. আব্দুর রহিম আজকের পত্রিকাকে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে চীনে ফিরে যেতে না পেরে দেশে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য নিজ বাড়িতে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে শিং মাছের রেণু চাষ শুরু করেন।

পাশাপাশি তিনি বাড়ির পতিত জমিতে নার্সারি করে সৌদির খেজুর, আজওয়া, দার্জিলিং আপেল, চায়না থ্রি কমলা, আলুবোখরা, নাশপাতি, বাড়িওয়ান মাল্টা, থাইল্যান্ড মাল্টা, থাই লঙ্গান, পাকিস্তানি আনার, থাই জাম্বুরাসহ বিভিন্ন ফলদ গাছের চারা রাজশাহী থেকে আনেন। এরপর বড় করে তা বিক্রি করে এখন তিনি স্বাবলম্বী।

আব্দুর রহিম জানান, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে চাষ করলে মাছের বর্জ্য থেকে আবার খাবার তৈরি হয়, তাই ২৫ শতাংশ খাদ্যে শতভাগ মাছ উৎপাদন করা যায়। তাঁর মতে, প্রথম অবস্থায় ১ লাখ টাকা খরচ করে কেউ ১০ হাজার লিটার পানির দুটি বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব।

এ ছাড়া পুকুরে মাছ চাষ করলে কিছু না কিছু ওষুধ দিতে হয়। এতে করে মাছের প্রাকৃতিক গুণাগুণ নষ্ট হয়ে অনিরাপদ হয়ে ওঠে। কিন্তু বায়োফ্লক পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করতে হয় না বলে এটি থাকে অত্যন্ত নিরাপদ ও প্রাকৃতিক।

চাকরির পেছনে না ছুটে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা এ পদ্ধতি গ্রহণ করে বেকারত্ব ঘোচাতে পারেন বলেও মত দেন তিনি। পাশাপাশি পরিবারে আসবে সচ্ছলতা।

বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে এখানকার তরুণ যুবকসহ চাষিরা লাভবান হতে পারেন। এ পদ্ধতিতে একভাগ খাদ্য দিয়ে তিন গুণ মাছ পাওয়া যায়। বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছের চাষ একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ১০:১৮ অপরাহ্ন
দেশীয় মাছ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
মৎস্য

দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সরকার সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন অনেক দেশী মাছ পাওয়া যায়, যা কয়েক বছর আগেও পাওয়া যেত না। মাছ-মাংস দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানির সুযোগ আছে। এজন্য দেশে এগুলোর পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে হবে। এ কাজে মৎস্যজীবীসহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

গতকাল পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ সভা আয়োজন করেছে।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার দেশীয় মাছ সংরক্ষণ করতে চায়। দেশীয় মাছ যাতে টিকে থাকে এবং সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষ খেতে পারে সে জন্য সরকার কাজ করছে। মৎস্যজীবীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। যে মৌসুমে মাছ ডিম দেয়, সে মৌসুমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছের পোনা কোনোভাবেই আহরণ করা যাবে না। পোনা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সরকার চায় বড় আকারের মাছ মৎস্যজীবীরা আহরণ করবে। তাহলে মৎস্যজীবীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি দেশীয় মাছও টিকে থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের আরো যত্নশীল হতে হবে।

তিনি যোগ করেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীদের যাতে বেকার থাকতে না হয়, সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কোথাও ভিজিএফ সহায়তা দেয়া হচ্ছে, কোথাও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যান বিতরণ করা হচ্ছে, কোথাও গবাদি পশু বিতরণ করা হচ্ছে, যাতে এ সময় বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যায়।মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সব খাতে উন্নয়ন করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারো ভুল পরামর্শে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এসএম আশিকুর রহমান, পিরোজপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী, নাজিরপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মণ্ডল, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৫, ২০২২ ১০:০৫ অপরাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কল সেন্টারে পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিক সেবা
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে মানুষের দ্বারপ্রান্তে তাৎক্ষণিক সেবা পৌঁছে দিতে চালু হলো কল সেন্টার। মৎস্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬১২৬ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টারের নম্বর ১৬৩৫৮। এর মাধ্যমে খুব সহজেই এই দুই খাতের মানুষ সেবা নিতে পারবেন।

জানা গেছে, আপাতত সপ্তাহে ৫দিন (রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৎস্য খাতের ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যেক্তারা কলসেন্টার থেকে সরাসরি সেবা পাবেন। মৎস্যচাষী ও খামারিগণ মৎস্য চাষ, মাছের রোগবালাই ইত্যাদি সম্পর্কে টেলিফোন কল সেন্টার থেকে তথ্য ও সেবা পাবেন। একইভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাগণ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কল সেন্টার থেকে গবাদিপশু পালন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে পরামর্শ ও সেবা পাবেন।

আজ রোববার মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবা কল সেন্টারের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মো. তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক পুলকেশ মণ্ডলসহ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কল সেন্টারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য গতিতে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংযুক্ত হয়েছে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে যেকোনো ব্যক্তি তার প্রয়োজনে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এই ই-সেবা শুরু করা হয়েছে। গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে দ্রুততম সময়ে যাতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায় এজন্য কল সেন্টার চালু করা হয়েছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ৪, ২০২২ ৮:১৮ অপরাহ্ন
দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য

দেশীয় মাছ সংরক্ষণে সরকার সুদূরপ্রসারী উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। শনিবার (৪জুন) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এ সভা আয়োজন করে।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রাকৃতিক জলাশয়ে এখন অনেক দেশি মাছ পাওয়া যায়, যেটা কয়েক বছর পূর্বেও পাওয়া যেত না। মাছ-মাংস দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ আছে। এজন্য দেশে এগুলোর পর্যাপ্ত উৎপাদন করতে হবে। এ কাজে মৎস্যজীবীহ সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার দেশীয় মাছ সংরক্ষণ করতে চায়। দেশীয় মাছ যাতে টিকে থাকে এবং সেটা পর্যাপ্ত পরিমাণে মানুষ খেতে পারে সে জন্য সরকার কাজ করছে। মৎসীজীবীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। যে মৌসুমে মাছ ডিম দেয় সে মৌসুমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাছের পোনা কোনভাবেই আহরণ করা যাবে না। পোনা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। সরকার চায় বড় আকারের মাছ মৎস্যজীবীরা আহরণ করবে। তাহলে মৎস্যজীবীরা যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশীয় মাছও টিকে থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের আরও যত্নশীল হতে হবে।

তিনি যোগ করেন, মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবীরা যাতে বেকার থাকতে না হয় সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কোথাও ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, কোথাও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যান বিতরণ করা হচ্ছে,কোথাও গবাদিপশু বিতরণ করা হচ্ছে যাতে এসময় বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা যায়।

মন্ত্রী আরও যোগ করেন, দেশের সব খাতে উন্নয়ন করে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সাথে থাকতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। কারো ভুল পরামর্শে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার। মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এস এম আশিকুর রহমান, পিরোজপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মো. আব্দুল বারী, নাজিরপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ স্থানীয় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য উপকরণ সহায়তা হিসেবে গবাদিপশু ও মাছের পোনা বিতরণ করেন মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২৯, ২০২২ ২:৫৮ অপরাহ্ন
১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ
পাঁচমিশালি

আগামী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদ-নদী ও খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুম। এ সময় সব ধরনের মাছ আহরণ বন্ধের পাশাপাশি সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে প্রবেশের পাস-পারমিটও।

জানা গেছে, মৎস্যসম্পদ রক্ষায় প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখে বন বিভাগ। ২০১৯ সাল থেকে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বছর থেকে তা আরও এক মাস বাড়ানো হলো। সেই সঙ্গে সব ধরনের পর্যটকের প্রবেশও বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবনের ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১৮শ’ ৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের আয়তনের ৩১.১৫ ভাগ। সুন্দরবনের জলভাগকে বলা হয় মৎস্যসম্পদের ভান্ডার। এই জলভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি, ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া, ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা ও এক প্রজাতির লবস্টার রয়েছে। জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস মাছের প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনের নদী-খালে থাকা বেশির ভাগ মাছের ডিম থেকে মাছ জন্ম নিয়ে থাকে। এজন্য এ সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে নদী-খালে যেমন মাছ বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অন্যান্য প্রাণী, উদ্ভিদসহ সব জীবের ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।

সুন্দরবনে মাছ ধরা ট্রলারপূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। ২০১৯ সাল থেকে এই কার্যক্রম চালু হয়েছে। এবার মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই সময় এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করেছে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশের সব ধরনের পাস-পারমিট।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২২, ২০২২ ১:৪৩ অপরাহ্ন
বাগদা চিংড়িতে ভাইরাস, লোকসানে বাগেরহাটের চাষিরা
মৎস্য

সাদা সোনা খ্যাত বাগেরহাটে বাগদা চিংড়ি মৌসুমের শুরুতেই প্রচণ্ড তাপদাহ ও ভাইরাসে আশঙ্কাজনক হারে মরে যাচ্ছে ঘেরের চিংড়ি। উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে চিংড়ি চাষে এমন বিপর্যয়ে বাগেরহাটের অধিকাংশ চাষি লোকসানে মুখে পড়েছেন।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায, ভাইরাসের পাশাপাশি ঘেরে পানি স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও হঠাৎ বৃষ্টির কারণে চিংড়ি মারা যাচ্ছে। এছাড়া চাষিরা মৎস্য বিভাগের পরামর্শ গ্রহণ না করায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে বলে দাবি করেছে দপ্তরটি। তবে এ জেলায় ঠিক কি পরিমাণ চিংড়ি চাষি বা ঘের মালিক এবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তা জানাতে পারেনি মৎস্য বিভাগ।

চাষীরা জানালেন, কোনভাবেই বাগদা চিংড়ির মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছেনা। ফলে পুঁজি হারানোর শঙ্কায় দিশেহারা তারা।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৬ হাজার ৭‘শ ১৩ হেক্টর জমিতে ৭৮ হাজার ৬‘শ ৮৫টি বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। জেলায় চিংড়ি চাষি রয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার।

সদর উপজেলার কাড়াপাড়া এলাকার চিংড়িচাষি বাদল মিয়া বলেন, ঋণ করে সাত বিঘা জমি লিজ নিয়ে বাগদা চিংড়ি চাষ করেছিলাম। কিন্তু চিংড়ি যখন বিক্রি যোগ্য হয়েছে, তখনই ভাইরাস লেগে সব মরে গেল।

এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ভাইরাসের পাশাপাশি ঘেরে পানির স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও হঠাৎ বৃষ্টির কারণে চিংড়ি মরছে। ঘের প্রস্তুত ও ভাইরাসমুক্ত পোনা ছাড়তে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মারা যাওয়া চিংড়ির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছি আমরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২০, ২০২২ ৪:৩৪ অপরাহ্ন
আজ থেকে সমুদ্রে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা
মৎস্য

সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আজ (২০মে) থেকে দক্ষিনাঞ্চল এ ৬৫দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। নিষিদ্ধকালীন সময়ে সামুদ্রিক জলসীমায় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মৎস্য আহরণ থেকে বিরত থেকে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেখানে আরও বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ বলে জারিকৃত এ নিষেধাজ্ঞা সকল মৎস্য নৌযানকে প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হলো। এর ব্যত্যয় ঘটলে সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। মৌসুম শুরুর মাত্র ১৯ দিনের মাথায় ফের মাছ ধরা বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়ছেন বরগুনার সমুদ্রগামী জেলেরা।

৬৫ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে বরগুনার ২৭ হাজার ২৭৭ জন জেলেকে ১ হাজার ৫২৭ দশমিক ৫১ মেট্রিক টন চাল সহায়তা দেয়া হবে। এসময় যাতে অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে কঠোর অবস্থানে জেলা মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও প্রশাসন।

জেলেরা জানান, একবার সাগরে গেলে তারা পাঁচ থেকে ১৫ দিন পর ঘাটে ফিরেন। আর এ সময়ে ধরা মাছগুলো বিক্রি করে তারা তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পান। এখন মাছ ধরা বন্ধ হলে পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়ছেন এসব লোক।

তাদের দাবি, শুধু সাগরেই মাছ ধরার ওপরে তাদের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের আয়ও বন্ধ হয়ে যায়। তাই নিষেধাজ্ঞাকালে তাদের জন্য বরাদ্দ যেন আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুম থাকায় আজ রাত ১২ঃ ০১ মিনিট থেকে সাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হলো। এই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী ২৩ জুলাই। এই সসময়ে দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। এ সময়ে যেসব জেলেরা সাগরে যাবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop