৩:৪০ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ১২, ২০২১ ৮:৩০ পূর্বাহ্ন
বড়শিতে ধরা পড়ল ৬২ কেজির কোরাল, বিক্রি ৫০ হাজার টাকা!
মৎস্য

সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে মৎস্যজীবী আবদুর রহমানের বড়শিতে ধরা পড়েছে সাড়ে ৬২ কেজি ওজনের ভোল কোরাল। পরে মাছটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। দ্বীপে মাছটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কেটে মাছটি ৫০ ভাগ করে স্থানীয়রা নেন।

বুধবার(১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ডেইলপাড়া পাথুরে সৈকত-সংলগ্ন সমুদ্রে মাছ শিকারী আবদুর রহমানের বড়শিতে মাছটি উঠে আসে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিব খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাছ শিকারী আবদুর রহমান জানান, ‘দুপুরের দিকে সেন্টমার্টিন প্রাসাদ প্যারাডাইস পয়েন্টে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছিলাম। এ সময় কয়েক দফা চেষ্টা করে একটি মাছও ধরতে পারিনি। হতাশ হয়ে ফিরে আসারর আগে শেষবারের মতো লইট্টা মাছের একটি টুকরা দিয়ে ওই পয়েন্ট বড়শি ফেললে বিকেলের দিকে মাছটি ধরা পড়ে। সাগর থেকে বড় মাছটি ওঠাতে অনেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নেয়া হয়। ওই সময় মাছটি দেখতে লোকজন ভিড় করেন। মাছের ওজন সাড়ে ৬২ কেজি। মাছটি বিক্রি করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের সার্ভিস ট্রলারের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলম মাছটি কিনে নিয়ে ৫০ ভাগ করে বণ্টন করেন। এতে এক হাজার টাকায় প্রতি ভাগে সাড়ে ১২ শ’ গ্রাম করে পড়েছে।

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান‘সেন্টমার্টিন দ্বীপের এক জেলের বড়শিতে সাড়ে ৬২ কেজি ওজনের একটি বিশাল ভোল কোরাল মাছ ধরার খবর শুনেছি। সাধারণত এখানে এত বড় মাছ ধরা পড়ে না। তবে শীত মৌসুমে পাঁচ থেকে ১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত ভোল কোরাল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১০, ২০২১ ২:২৮ অপরাহ্ন
জাতীয় স্বার্থে জরুরী ভিত্তিতে বাংলাদেশে ভেনামী চাষ উন্মুক্ত করা প্রয়োজন
মতামত-ফিচার

জানতে পারলাম মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিউটের দু‘একজন গবেষক এখনো দেশে ভেনামী চিংড়ি চাষের বিরোধিতা করছে। তাদের সাথে এ বিষয়ে একটা কনফারেন্স করতে চাই। জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার নিকট বিজ্ঞান পরাস্ত হলে দেশে উন্নয়ন হয় না।

চিংড়ি হ্যাচারি ও চাষ সেক্টরে দেশ-বিদেশে ৪০ বছর চিংড়ি বিষয়ে কাজের অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্ত তথ্যাদি থেকে জানতে পারি, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে ১.৬ মিলিয়ন এস.পি.এফ লি. ভেনামী চিংড়ির ব্রুড বিপণন হয়েছে। এ ব্রুডের বাজার মুল্য ছিল ৮৯ মিলিয়ন ডলার। ১.৬ মিলিয়ন ব্রুডের প্রধান ক্রেতা ছিল চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণের ক্রেতা ছিল মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা ও তাইওয়ান।

তাছাড়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকাও এস. পি. এফ ব্রুড ক্রয় করেছে। ১.৬ মিলিয়ন ব্রুডের অতিরিক্ত ০.২৪ মিলিয়ন ব্রুড ভারতসহ কতিপয় দেশ নিজ দেশে উৎপাদন করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ও মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় দেশে এস.পি.এফ. ব্রুড চিংড়ির ব্রুড উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতে ভেনামী চিংড়ির হ্যাচারি ও পোনা উৎপাদন:
২০১৯ সালে ভারত হাওয়াই থেকে ২,৩৩, ৪২৫ টি এস. পি এফ. লি. ভেনামী চিংড়ির ব্রুড আমদানি করেছে। ২০১৮ সালে ভারত ২,৫৪,২৭০ টি ব্রুড আমদানি করেছিল।

মুহুর্তে ভারতের ১৪৯ টি হ্যাচারি এস.পি.এফ ভেনামী চিংড়ির ব্রুড আমদানি করছে। আগস্ট-২০ এ তারা ২৩,৪৯০ টি ব্রুড আমদানি করে। ভারতের বর্তমান বাৎসরিক এস.পি.এফ ব্রুড স্টকের চাহিদা ২,৬০,০০ এবং এ চাহিদা আগামী ২/৩ বছরে ৪,৫০,০০০ উন্নীত হবে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে ভারতের ৩১১ টি হ্যাচারি এস. পি. এফ. ব্রুড আমদানির জন্য নিবন্ধিত ছিল। তন্মধ্যে, ১৪০ টি হ্যাচারি ব্রুড আমদানি করে এস.পি.এফ.পোনা উৎপাদন করে। ভারতের “ভাইসাকি কোম্পানি” সর্বাধিক ১৫ হাজার ব্রুড আমদানি করে এবং “বি.এম.আর.গ্রুপ” আমদানি করে ১৩ হাজার। বি.এম.আর. গ্রুপ নিজস্ব বি.এম.সিতে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ হাজার ব্রুড উৎপাদন করে। বি.এম.আর. গ্রুপের বাৎসরিক ৮০ হাজার ব্রুড উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। বি.এম.আর. গ্রুপ আগামীতে ভারতের বিভিন্ন হ্যাচারিতে এস.পি. এফ ব্রুডের মুখ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ভারতের আমদানি নির্ভরশীলতা অনেক কমে যাবে।

ভারতের “সপ্তগিরি গ্রুপ” ২০১৯ সালে ১০ হাজারের অধিক এস.পি.এফ ব্রুড আমদানি করেছে। সিপি, ভারত ২০১৯ সালে মোট ৮,৮০০ এস.পি. এফ ব্রুড নিজস্ব হ্যাচারিতে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে ৩,২০০ আমদানি করেছে এবং ৫,৬০০ রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর এ্যাকুয়াকালচার (RGCA),চেন্নাই থেকে ক্রয় করেছে।

ভারতে ২০১৯ সালে ৮,০৪,০০০ টন চিংড়ি উৎপাদিত হয়েছে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে ভারত ১০ লক্ষ টন চিংড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করছে। বাংলাদেশের চিংড়ি রপ্তানি ৩০- ৪০ হাজার টনে সীমাবদ্ধ।

বাংলাদেশে ভেনামী চিংড়ির পোনা উৎপাদন ও চাষ:
এশিয়ায় ভেনামী চিংড়ি চাষ আরম্ভের ২২ বছর পর ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে ভেনামী চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ আরম্ভ হয়। প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক ফলাফল সন্তোষজনক। তাই এ মূহুর্তে মিটিং-সিটিংয়ের মাধ্যমে সময় নষ্ট না করে অনতিবিলম্বে চাষিদের ভেনামী চিংড়ি চাষ আরম্ভে করার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেয়া দরকার। সাথে সাথে অবকাঠামো ও এস.পি.এফ বিষয়ে সক্ষমতা থাকা আগ্রহী হ্যাচারি কতৃক এস.পি.এফ. ব্রুড আমদানি করে পোনা উৎপাদনের অনুমতি দিতে হবে। বহু আগ্রহী উদ্যোক্তা ভেনামী চিংড়ি চাষ করতে আগ্রহী।

বহু মানুষ চাষের অনুমোদনের জন্য আবেদন করলেও আবেদন কর্তৃপক্ষের ফাইলে বন্দী আছে। চাষের অনুমোদন ও পোনার দুষ্প্রাপ্যতা চাষ আরম্ভ করার প্রধান অন্তরায়। হ্যাচারিতে উৎপাদন আরম্ভ না হওয়া পর্যন্ত সময়ে এস.পি.এফ পোনা আমদানির সহজ সুযোগ করে দিতে হবে। পোনা ও ব্রুড আমদানির সহজ ও হয়রানি মুক্ত করার জন্য স্থানীয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে আমদানি অনুমোদনের ক্ষমতা দিতে হবে।

জানতে পারলাম মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিউটের দূএকজন গবেষক এখনো দেশে ভেনামী চিংড়ি চাষের বিরোধিতা করছে। তাদের সাথে এ বিষয়ে একটা কনফারেন্স করতে চাই। অজ্ঞানীর নিকট বিজ্ঞান পরাস্ত হলে দেশে উন্নয়ন হয় না।

বাংলাদেশে এ্যাকুয়েটিক কোয়ারেনটাইন কেন্দ্র স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত রপ্তানিকারক দেশের স্বীকৃত ল্যাবের জীবানু বিষয়ক সনদের মাধ্যমেই এস. পি.এফ পোনা ও ব্রুড আমাদানি করার অনুমোদন দিতে হবে।

বাংলাদেশে এস. পি.এফ পোনা উৎপাদনের সঠিকতা পর্যবেক্ষণ, তদারকি এবং এস. পি. এফ হ্যাচারি সম্প্রসারণ, এ্যাকুয়েটিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র স্থাপন, প্যাথোলজিক্যাল ল্যাব স্থাপন, পিউর ফাইটোপ্লাংটন চাষের ইনডোর ল্যাব স্থাপন, এস.পি.এফ জীবিত খাদ্য উৎপাদন ইত্যাদি বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর কতৃক জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

উন্নত পদ্ধতি এবং অর্ধ নিবিড় ও নিবিড় পদ্ধতির চিংড়ি চাষ সম্প্রসারিত চাষ না হলে এস. পি. এফ পোনার চাহিদা সৃষ্টি হবে না এবং উৎপাদনও বাড়বে না। তাই, উন্নত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের জন্য সম্প্রসারণ কাজ এবং চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তির ব্যবস্থা করতেই হবে।

এশিয়ার বিভিন্ন দেশে চিংড়ি উৎপাদন বাড়ছে; আর বাংলাদেশে তা প্রতি বছর কমছে। লজ্জার বিষয় হল বিরূপ পরিবেশের মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় দেশ বাংলাদেশ থেকে অধিক চিংড়ি উৎপাদন করছে।

লেখক:এম কবির আহমেদ
কনসালটেন্ট, হালদা ফিশারিজ লিঃ
শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২১ ১০:১৫ অপরাহ্ন
পাকুন্দিয়ায় শত্রুতার পুকুরে বিষ, দেড় লাখ টাকার ক্ষতি!
মৎস্য

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় রাতের আঁধারে মো. রায়হান মিয়ার পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। পাকুন্দিয়া পৌরসভার সৈয়দগাঁও পূর্বপাড়ায় নিষ্ঠুর এ অপকর্মের ঘটনায় এলাকাবাসী হতবাক।তিনি সৈয়দগাঁও পূর্বপাড়ার মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে তিনি পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গত শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারি মো. রায়হান মিয়া।

খামারি মো. রায়হান মিয়া জানান, তার বাড়ির দক্ষিণপাশে ৪০ শতাংশ আয়তনের পুকুরটি তিনি লিজ নিয়ে কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করছেন। পুকুরটিতে এ বছর তিনি রুই, কাতলা, মৃগেল, সরপুঁটি ও সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলেন। প্রায় বছরখানেক আগে তিনি পুকুরটিতে এসব মাছ ছেড়েছিলেন।এখন বিক্রির উপযোগী হয়েছে।

গত শনিবার দুপুরেও তিনি পুকুরটিতে মাছের পরিচর্যা করেছেন। কিন্তু গতকাল সকালে পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে ওঠে। এদিকে পুকুরের মাছ মরে ভেসে ওঠার কথা জানাজানি হলে আশপাশের লোকজন এসে মাছ উঠিয়ে গন্ধ শুঁকে নিশ্চিত হন যে, বিষ প্রয়োগে মাছগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে।

মো. রায়হান মিয়া জানান, পুকুরে বিষ দিয়ে তার প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছ দুর্বৃত্তরা মেরে ফেলেছে। কে বা কারা শত্রুতা করে পুকুরে বিষ দিয়ে তার এই সর্বনাশ করেছে, তা তিনি দেখতে পাননি। তবে কোনো না কোনো শত্রুতার জের ধরে আক্রোশ মেটাতে দুর্বৃত্তরা এ অপকর্ম করেছে। রায়হান মিয়া বলেন, মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা! আমি এর বিচার চাই।

এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২১ ৯:০৯ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরায় মৎস্য খাতে ক্ষতি ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা
মৎস্য

গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরায় ভেসে গেছে ১৫ হাজার মৎস্য ঘেরের মাছ।  করোনা মহামারীর এই সময়ে ব্যাংক ঋণ ও সমিতি থেকে কিস্তির টাকা তুলে মাছ চাষ করেছেন চাষিরা। এখন লাভ তো দুরের কথা ঋণ পরিশোধের চিন্তায় দিশেহারা তারা। সংশ্লিস্টরা বলছেন, মৎস্য খাতে ক্ষতি হয়েছে ৫৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

জানা যায়, সাতক্ষীরায় গেল কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে এখনও তলিয়ে আছে ১৫ হাজার মৎস্য ঘের ও ছোট বড় পুকুর। তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আশাশুনি, কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায়। এই তিন উপজেলায় ভেসে গেছে ৪৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকার মাছ। এছাড়া সাতক্ষীরা সদর, তালা এবং দেবহাটার উপজেলার ১ হাজার ৯’শ ৯৭টি ঘের ভেসে গেছে। যার ক্ষতির পরিমান ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

মৎস্য চাষীরা জানান, করোনা মহামারীর এই সময়ে ব্যাংক ঋণ ও সমিতি থেকে কিস্তির টাকা তুলে মাছ চাষ করেছেন তারা। এখন লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে যাওয়ায় ঋণ পরিশোধের চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এদিকে মৎস্য ঘের প্লাবিত হওয়ায় ঘের মালিকদের কাছে চিংড়ী পোনার পাওনা টাকা নিয়েও বিপাকে পড়েছে পোনা ব্যবসায়ীরা।

সংশ্লিস্টরা জানান, অতিবৃষ্টিতে সাতক্ষীরা জেলায় ৫৯ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।পুষিয়ে নিতে মৎস্যচাষীদের সব ধরণের আর্থিক সহায়তা করবে সরকার এমলোকসান ন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্তদের ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২১ ১২:০০ পূর্বাহ্ন
পুকুরে তেলাপিয়া চাষে করণীয়
মৎস্য

অধিক লাভজনক হওয়ার কারণে অনেকেই তেলাপিয়া মাছের চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তবে তেলাপিয়া চাষে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু কাজ করতে হয়। পুকুরে তেলাপিয়া চাষে অধিক উৎপাদন পেতে করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো আমাদের দেশের অনেক মাছ চাষিরাই জানেন না।

পুকুরে তেলাপিয়া চাষে অধিক উৎপাদন পেতে করণীয়:

তেলাপিয়া মাছ চাষে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি হলে মাছের বৃদ্ধি যেমন দ্রুত হবে তেমনি মাছের খাদ্য খরচ অনেক কমে যাবে। পুকুরে তেলাপিয়া মাছের বৃদ্ধির জন্য পুকুরের পরিবেশ ঠিক রাখা অতীব জরুরী। পুকুরে এ মাছ বেড়ে ওঠার জন্য পরিবেশগত কোন সমস্যা থাকলে সেগুলো দ্রুত ঠিক করতে হবে। তা না হলে মাছের বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হবে ও মাছ চাষে আশানুরূপ উৎপাদন পাওয়া যাবে না।

তেলাপিয়া চাষে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কয়েক দিন পর পর পুকুর থেকে মাছ তুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। মাছের কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তেলাপিয়া মাছ চাষের পুকুরে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য পুকুরে পানির গুণাগুণ ঠিক রাখতে হবে। কোন কারণে পানির গুণগত মান কমে গেলে দ্রুত পানি পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত পানির পিএইচ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

তেলাপিয়া মাছ চাষে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য পুকুরে নিয়মিত পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে। খাদ্য প্রদানের উপরেই মাছের বৃদ্ধি অনেকটাই নির্ভর করে থাকে। তাই তেলাপিয়া মাছের বৃদ্ধির জন্য মাছের খাদ্য চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত খাদ্য দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৬, ২০২১ ২:৪৮ অপরাহ্ন
মাছের পোনা ও পানিতে একাকার পটিয়া
মৎস্য

মাছ চাষ ও রেণু উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য হাসি ফুটেছে পটিয়ার অনেকের মুখে। মাছের পোনা ও পানিতে একাকার চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল।  পটিয়ায় এখন যেখানে পানি সেখানে মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলায় ৪ হাজার ১৯৯ একরের জলায়তনের মধ্যে পুকুরের সংখ্যা ১০ হাজার ৫০০, তদ্মধ্যে আবাদী ৮ হাজার ৪০০টি। মাছের জন্য জলাশয় গুলোর পানি অতি উপযোগী হওয়ার কারণে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলোর মধ্যে হাইদগাও, কচুয়াই, কেলিশহর, খরণা, খানমোহনা, ধলঘাট, আশিয়া, জঙ্গলখাইন, হুলাইন, জিরি, কাশিয়াইশ, শিকলবাহা, শোভনদন্ডী সহ পটিয়া পৌর এলাকা এবং পশ্চিম পটিয়া কর্ণফুলী থানার অধিনে বেশ কয়েকটি এলাকার পুকুরগুলোতে পোনা চাষ করে থাকে পোনা ব্যবসায়ীরা।

সেসব এলাকা থেকে পোনা সংগ্রহ করে পৌরসদরের রেলষ্টেশন বাজারে এনে ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে। বছরের জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত পোনার বিক্রির মৌসুম হওয়ায় রেলষ্টেশনের পোনার বাজারে এ চার মাস জমজমাট থাকে বলে পোনা ব্যবসায়ীরা জানায়।

এ ছাড়া চার মাসের মৌসুম ছাড়াও সারা বছর এ বাজারে পোনা বিক্রি হয়। এক ব্যবাসায়ী জানায়, চট্টগ্রাম ছাড়াও কক্সবাজার, পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির এলাকার মাছ ও পোনা ব্যবসায়ীরা এ বাজার থেকে পোনা নিয়ে মাছ চাষ করে থাকেন। এ ছাড়া পটিয়ায় উৎপাদিত নানা প্রজাতির পোনা ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।

পোনা ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, ভার করে বিক্রি করা হয় রুই, কাতলা, সরপুটি, মৃগেল, গ্লাস কাপ আর ইঞ্চি হিসেবে বিক্রি করে পাঙ্গাস, মাগুর, কই, চিতল, দেশি মাগুর, শিং মাছের পোনা।

আর এ বাজারে প্রতিদিন বারশ থেকে দেড় হাজার ভার মাছের পোনা বিক্রি হয়। রুই, কাতলা, মৃগেল-এ তিন প্রকার পোনা একসঙ্গে বিক্রি করা হয় বলে এর নাম ‘মিঁয়েইল্যা’। দুটি ডেক্সি নিয়ে হয় এক ভার।

এক টেক্সিতে চার-ছয় কেজি, আর এক ভারে হয় আট থেকে দশ কেজি পরিমাণ পোনা। প্রতি ভার চার-পাঁচ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়।

এ ছাড়া ইঞ্চি হিসাবে বিশেষ করে চিতল মাছের পোনা একশটির মূল্য আড়াই হাজার টাকা। এভাবেই বিক্রি হয় এখানের পোনা গুলো। সব মিলিয়ে প্রতিদিন এ বাজারে প্রায় ৭৫ লাখ টাকার পোনা কেনা বেচা হয়।

এক হিসাবে দেখা দেখে প্রতিবছরে মৌসুদের চার মাসে প্রতিদিন প্রায় ৭৫লাখ হিসাব করে প্রায় শতকোটি টাকার অধিক পোনার বাণিজ্য হয় এ বাজারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২১ ৫:৫৪ অপরাহ্ন
পুকুরে বিষ ঢেলে লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে তালজাঙ্গা ইউনিয়নের আউজিয়া গ্রামের মৃত লাল মামুদের ছেলে কাঞ্চন মিয়ার পুকুরে কে বা কারা মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে বিষ ঢেলে মাছ নিধন করেছে।

বুধবার(৪আগস্ট) ভোরে নিজ পুকুরে মৃত মাছগুলি ভেসে উঠতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কাঞ্চন মিয়া।

মাছচাষী কৃষক কাঞ্চন মিয়া জানান, এলাকার প্রতিবেশি কয়েকজনের সাথে পূর্বের একটি ঘটনা নিয়ে শত্রুতা ছিল।তাঁদের কয়েকজনকে মঙ্গরবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে নিজের পুকুরপাড়ঘেষা রাস্তায় আড্ডারত অবস্তায় দেখতে পান। কাঞ্চন মিয়াকে দেখে তারা স্থান ত্যাগ করার পর পুকুরের চারিদিকটা দেখে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন।ভোরের আলো ফোঁটার সাথে সাথেই পুকুরে এসে দেখতে পান সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে।নিজের চাষ করা মাছ মৃত অবস্তায় পুকুরে ভাসতে দেখে চিৎকার করে পুকুরপাড়েই জ্ঞান হারান কাঞ্চন মিয়া।

কাঞ্চন মিয়া জানান, নিজের ৬০শতাংশ ভূমিতে তিন বছর যাবত মাছ চাষ করছেন। তাঁর পুকুরে পাঙ্গাস,রুই,কাতল,মৃগেল, ব্রিগেড,কার্ফু সহ দেশিয় প্রজাতির বিভিন্ন রকমের মাছচাষ করেছেন। মৃত প্রতিটি মাছের ওজন দেড় থেকে প্রায় দুই কেজি।
তিনি নিজ ঘর থেকে মাছের খাদ্য কেনার মেমো এনে দেখান প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা বকেয়া আছে দোকানে।

মাস ছয়েক আগে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ ছাড়া হয় পুকুরে।সব মিলিয়ে কাঞ্চন মিয়ার আট থেকে নয় লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন।পাইকারদের সাথে কথা বলে মাছ বিক্রি দেয়া হয়েছে।বুধবার সকালে পুকুর থেকে মাছ নিয়ে টাকা দেয়ার কথা ছিল।তার আগেই রাতের আঁধারে বিষ দিয়ে মাছগুলি নিধন করায় আমি পথের ফকির হয়ে গেলাম।

তাড়াইল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।কাঞ্চন মিয়াকে থানায় মামলা করার কথা বলেছি।মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২১ ৫:৪৪ অপরাহ্ন
মৎস্য চাষ ও পোনা উৎপাদন উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট
মৎস্য

মৎস্য চাষ ও পোনা উৎপাদন উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট। প্রতি বছরই এ জেলায় বাড়ছে মাছ উৎপাদন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালেও জেলায় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পুকুর, বিল ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২৩ হাজার ১৭৯ টন মাছ উৎপাদন হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় ৩ হাজার ১৬৮ টন বেশি। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরেও মাছ উৎপাদন হয়েছিল ২২ হাজার ৫১৩ টন।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, বর্তমানে জয়পুরহাট জেলার প্রায় ১৩ লাখ মানুষের জন্য এক বছরে মাছের চাহিদা ২০ হাজার ১১ টন। জেলার পাঁচ উপজেলায় মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার ১৭৯ টন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৩ হাজার ১৬৮ টন উদ্বৃত্ত রয়েছে। উদ্বৃত্ত এ মাছ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে জয়পুরহাটে মাছের পোনার চাহিদা ১০ কোটি। বিপরীতে পোনা উৎপাদন হয় ১২ কোটি ২৭ লাখ। এক্ষেত্রেও চাহিদার তুলনায় ২ কোটি ২৭ লাখ পিস বেশি। এর মধ্যে রুই, কাতল, মাগুর, শিং, মৃগেল এসব জাতের পোনা উৎপাদিত হয়। জেলায় রেণু থেকে পোনা তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন প্রায় ২০০ জন।

এছাড়া জেলায় ১৮ হাজার ১২৪টি বদ্ধ জলাশয় থেকে মাছ উৎপাদন হয়েছে ২২ হাজার টন এবং ৫১টি মুক্ত জলাশয় থেকে উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ১৬৮ টন।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে এ জেলায় চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প, রাজশাহী বিভাগের মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি ফেস-২ প্রকল্প।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার মহীউদ্দিন জানান, মাছ চাষে উদ্বৃত্ত হওয়ার কারণে জেলায় গড়ে উঠেছে আটটি মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। হ্যাচারি রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে দুটি সরকারি ও নয়টি বেসরকারি। বরফকলের সংখ্যা ১০টি। জেলায় মৎস্য বাজার রয়েছে ৭২টি আর মৎস্য আড়ত ২০টি। খুচরা বিক্রেতাসহ মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭৮৩। নিবন্ধনকৃত জেলে ৩ হাজার ৮০০ জন। এছাড়া আরো অনেকে নিবিড়ভাবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। নদী-আধাবদ্ধ জলাশয়ে সমাজভিত্তিক মাছ চাষ কার্যক্রমের আওতায় খাঁচায়ও মাছ চাষ করা হয় এ জেলায়।

মাছ ধরতে গিয়ে কারো মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে জেলেদের নিরাপত্তা অনেকাংশে বেড়েছে বলেও জানান তিনি। রোগবালাই দমনসহ চাষীদের সঠিক নিয়মে মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এ জেলায় মৎস্য চাষ আরো সমৃদ্ধ করতে এবং চাষীদের এ পেশায় ধরে রাখতে কৃষিঋণের মতো সহজশর্তে মৎস্যঋণ দিতে হবে। তিনি আরো জানান, জেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৎস্য খাতে কাজ করে জীবিকানির্বাহ করছেন। মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িতদের সরাসরি আর্থিকভাবে সহযোগিতার পরিবর্তে মৎস্য চাষের জন্য জাল, আধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তিসেবা দিতে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২১ ২:২৬ অপরাহ্ন
ধরলায় বড়শি দিয়ে ১৮ কেজি ওজনের কাতল শিকার
মৎস্য

কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে বড়শি ফেলে ১৮ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ শিকার করেছে স্থানীয় তিন জন যুবক।

বুধবার (৪ আগস্ট) সকালে যুবকরা মাছটি নদী থেকে ডাঙ্গায় তুলে আনেন।

স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের মামুনুর রশীদ, মাসুদ রানা ও আতিকুর শখের বসে ধরলা নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যান। পরে একসময় ১৮ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছটি তাদের বড়শিতে ধরা পরলে প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর মাছটি নদী খেকে শুকনো স্থানে তুলে আনতে সক্ষম হন তারা। পরে বিশাল আকারের কাতল মাছটি স্থানীয়রা ১হাজার টাকা কেজি ধরে ভাগ করে নেন।

আতিকুর জানান, আমরা প্রতি বছরেই বড়শি দিয়ে নদীতে মাছ ধরি। তবে জীবনে এতো বড় মাছ পাই নাই। মাছটি পাওয়ার পর আমাদের এলাকার লোকজন মাছটি ১ হাজার টাকা কেজি ধরে কিনে নিয়েছে।

কুড়িগ্রামের মৎস্য কর্মকর্তা কালি পদ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধরলা নদীতে সাধারনত এতো বড় কাতলা মাছ পাওয়া যায় না। তবে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদে এর চেয়েও বড় মাছ ধরা পড়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২১ ১:২৭ অপরাহ্ন
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা শুরু করলো জেলেরা
মৎস্য

২৩ জুলাই (শুক্রবার) মধ্যরাতে সাগরে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। কিন্তু এ সময় ভারী বর্ষণ এবং সাগরে সিগন্যাল থাকাতে মাছ ধরতে যেতে পারেনি বেশিরভাগ ট্রলার। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা শুরু হয়েছে।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতেন। এ কারণে রাত ১২টার পর থেকেই সাগর মোহনার নদনদীগুলোতে দেখা যেত সাগরমুখী ট্রলারের সারি। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল থাকায় আরো এক সপ্তাহের বেশি সময় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারেনি। তবে তীব্র ও প্রায় টানা বর্ষণ সত্ত্বেও গত দুইদিন ধরে সাগরের আবহাওয়া শান্ত থাকায় কক্সবাজারের জেলেরা ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাচ্ছে।

তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে গেছে। বৃষ্টি কমে এলে বাকি ট্রলারগুলোও সাগরে মাছ ধরতে যাবে বলে আশা করেন তিনি।

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির মতে, কক্সবাজারে ছোট বড় প্রায় ৭ হাজার যান্ত্রিক নৌযান সাগরে মাছ ধরে। এরমধ্যে বড় নৌকায় ৩০ থেকে ৪০ জন এবং ছোট নৌকায় ৫ থেকে ১৭ জন জেলে থাকে। আবার কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর ঘাটের ইঞ্জিনবিহীন ককশিটের বোটে থাকে মাত্র ২ জন জেলে।

ট্রলারগুলোর মধ্যে ইলিশ জালের বোটগুলো গভীর বঙ্গোপসাগরে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো উপকূলের কাছাকাছি মাছ ধরে থাকে। যে কারণে ইলিশ জালের বোটগুলো পক্ষকালের রসদ নিয়ে এবং বিহিন্দি জালের বোটগুলো সাগর মাত্র একদিনের রসদ নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। বিহিন্দি জালে ইলিশ ব্যতীত ছোট আকারের প্রায় পাঁচ প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে, যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘পাঁচকাড়া’ (পাঁচ প্রকারের) মাছ বলা হয়। কক্সবাজার জেলার লক্ষাধিক জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষভাবে সাগরে মাছ ধরা পেশার ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে সাগরে মাছ ধরা শুরু হওয়ায় কক্সবাজারের বরফকলগুলোও আড়াই মাস পর পুনরায় চালু হয়েছে। তবে, সাগর থেকে মাছ ধরে ট্রলারগুলো ঘাটে ফেরার পরই শহরের ফিশারীঘাটস্থ প্রধান মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে মাছের বিকিকিনি শুরু হবে বলে জানান ফিশারীঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী।

তিনি জানান, মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে মৎস্য অবতরণকেন্দ্র প্রতিবছর আড়াই মাসের কাছাকাছি বন্ধ থাকে। কারণ সাগরে মাছ ধরা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ থেকে পক্ষকাল পরই ট্রলারগুলো মাছ ধরে মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে আসে। আর এবার মাছ ধরা শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞা অতিবাহিত হওয়ারও ৮/১০ দিন পর। তার মানে এবার প্রায় ৩ মাসের কাছাকাছি মাছের বিকিকিনি বন্ধ থাকছে। আবার অক্টোবরের বন্ধে আরো এক মাস মিলে প্রতি বছর ৪ মাস সময় বন্ধ থাকছে মৎস্য ব্যবসা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল উপলক্ষে বঙ্গোপসাগর ও নদী মোহনায় মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা গত ২০ মে (বুধবার) মধ্যরাত ১২টা থেকে শুরু হয় এবং গত ২৩ জুলাই শুক্রবার মধ্যরাতে শেষ হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop