৭:৩৩ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৩, ২০২১ ৬:২২ অপরাহ্ন
মঠবাড়িয়া জলাশয়ে মিলল সাকার মাছ
মৎস্য

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার জলাশয়ে বিদ্যুৎ সাওজাল (৩৫) নামের এক জেলে জালে উঠে এলো বিরল প্রজাতির সাকার মাছ। মাছটি ১৬ ইঞ্চি লম্বা ও ৮০০ গ্রাম ওজনের। বিদ্যুৎ সাওজাল মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মঞ্জু রানীর ছেলে।

মঙ্গলবার মঠবাড়িয়া পৌর শহরে বাড়ির সামনের জলাশয় থেকে তিনি মাছটি ধরেন।

বিদ্যুৎ সাওজাল জানান, সম্প্রতি অব্যাহত ভারি বর্ষণে এলাকার মাঠঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। শখের বসে সোমবার রাতে বাড়ির সামনের জলাশায় মাছ শিকারের জন্য জাল ফেলেন। মঙ্গলবার সকালে ওই জাল তুলতে গেলে রুই, পুঁটি, তেলাপিয়া ও শোলসহ অসংখ্য মাছের পাশাপশি বিরল প্রজাতির সাকার মাছটি ভেসে ওঠে।

বিরল প্রজাতির এ মাছ ধরা পড়ার খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে এটি এক নজর দেখতে উৎসুক জনতা তার বাড়িতে ভিড় জমান।

মঠবাড়িয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, ‘সাকার’ নামের বিরল প্রজাতির মাছটি বন্যার পালিতে ভেসে এসেছে। মাঝে মাঝে এ ধরনের মাছ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ২, ২০২১ ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে ২২ হাজার ৫১৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন
মৎস্য

জয়পুরহাট জেলায় গত ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পুকুর, হাওড়, বিল ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২২ হাজার ৫১৩ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন মাছের উৎপাদন হয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জয়পুরহাট জেলার প্রায় ১২ লক্ষাধিক মানুষের জন্য এক বছরে মাছের চাহিদা হচ্ছে ২০ হাজার ১১ দশমিক ৫২ মেট্রিক টন মাছ। জেলার পাঁচ উপজেলা মিলে মাছের উৎপাদন হয়েছে ২২ হাজার ৫১৩ দশমিক ৪৪ মেট্রিক টন মাছ। উদ্বৃত্ত মাছের পরিমান হচ্ছে ২ হাজার ৫০১ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন মাছ। যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।

জেলায় ১৮ হাজার ১২৪ টি বদ্ধ জলাশয় থেকে মাছের উৎপাদন হয়েছে ২১ হাজার ৯০ দশমিক ১২ মেট্রিক টন এবং ৫১ টি মুক্ত জলাশয় থেকে মাছের উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৪২৩ দশমিক ৩২ মেট্রিক টন।

জেলা মৎস্য বিভাগ জেলা মৎস্য বিভাগ ৫ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, ৯৪ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে পশ্চাৎপদ এলাকার জনগণের দারিদ্র বিমোচন ও জীবিকা নির্বাহ নিশ্চিত করন প্রকল্প, ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প, ৩ কোটি ৩২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ব্যয়ে মৎস্যবীজ ও পোণা উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প ও মৎস্য খাতে ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প খাতে ৩৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

মাছ চাষে উদ্বৃত্ত জেলা হওয়ার কারণে জেলায় গড়ে উঠেছে ৭টি মৎস্য খাদ্য উৎপাদন কারখানা। বরফ কলের সংখ্যা ১০টি, মৎস্য বাজার রয়েছে ৭২টি, মৎস্য আড়ৎ হচ্ছে ২০টি । এ ছাড়াও জেলায় মাছের নানা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বিশেষ করে মৎস্য খুচরা বিক্রেতা সহ মৎস্যজীবী ও মৎস্য চাষিদের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার। এতে করে জেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৎস্য খাতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান, জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার মহীউদ্দিন  জানান, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার মৎস্য খাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। জেলায় নিবন্ধনকৃত জেলে রয়েছেন ৪ হাজার ৫৪০ জন। মাছ ধরতে গিয়ে কারো মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে জেলেদের নিরাপত্তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২১ ৫:৫৬ অপরাহ্ন
খুলনায় বিষ প্রয়োগে কৃষকের লক্ষাধিক মাছ নিধন
মৎস্য

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের ঝরঝরিয়া গ্রামের কৃষক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের ঘেরে বিষ প্রয়োগে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১ আগস্ট) সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়। এ ঘটনায় চাষি রবীন্দ্রনাথ মুষড়ে পড়েছেন। তবে, মাছ মরার কারণ খুঁজে না পেলেও তার ক্ষতি করতে কেউ ঘেরে বিষ দিতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তিনি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ।

মৎস্য চাষি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, তিনি নিজ বাড়ি সংলগ্ন ৭ বিঘা জমির দু’টি ঘেরে চলতি মৌসুমে বাগদা, গলদা, জাপানি রুই, তেলাপিয়া, মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। এ মৌসুমে প্রতিদিনই ৪/৫ কেজি করে বাগদা-গলদা ধরে বিক্রি করছিলেন। এছাড়া সাদা মাছও হয়েছিল প্রচুর পরিমানে। সর্বশেষ শুক্রবারও (৩০ জুলাই) তিনি তার ঘের থেকে মাছ আহরণ করেন। কিন্তু শনিবার (৩১ জুলাই) ভোরে মাছ ধরতে গিয়ে দেখতে পান বিভিন্ন স্থানে মাছ মরে ভেসে উঠেছে। রোববারও মাছ মরে ভেসে ওঠে। এতে লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে বলে ধার ধারণা। ঘেরজুড়ে মরা মাছ দেখে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি।

রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, ‘আমার কারও সঙ্গে তেমন কোনো শত্রুতা নেই। তার পরেও মনে হচ্ছে কেউ শত্রুতা করে ঘেরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে। কিন্তু মাছের সঙ্গে এ কেমন নিষ্ঠুরতা বুঝলাম না।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২১ ৪:১৩ অপরাহ্ন
পাথরঘাটায় যুবকের জালে উঠে এলো বিরল প্রজাতির মাছ
মৎস্য

বরগুনার পাথরঘাটায় বিলে রাজু নামের এক যুবকের জালে রুই, পুঠি, তেলাপিয়া ও শোলসহ অনেক মাছের সাথে একই সাথে জালে উঠে আসে বিরল প্রজাতির ‘সাকার ফিস’।

রোববার সকাল ১০টার দিকে মাছটির নাম জানার জন্য পাথরঘাটা বাজারে নিয়ে আসেন তিনি।এর আগে গত বুধবার সকালে জাল তুলতে গিয়ে মাছটি পাওয়া যায়। বিরল প্রজাতির ওই মাছটি ১৬ ইঞ্চি লম্বা ও ওজন ৮ শ’ গ্রাম।

রাজু জানান, এই মাছটি এর আগে কখনো দেখেননি তিনি। ৪ দিন রোববার (১ আগস্ট) ধরে মাছটি বালতির পানির মধ্যে রেখে দিয়েছেন শুধু নাম জানার জন্য। কারো কাছে এর নাম জানতে না পেরে পাথরঘাটার সাংবাদিকদের কাছে নিয়ে এলে তারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে নাম জানতে চাইলে জয়ন্ত কুমার অপু এর নাম বলেন ‘সাকার ফিস’।

এর আগে এই মাছ ও নাম কখনো জানতেন না। তিনি আরো জানান, মাছটিকে ৪ দিন ধরে পানি ভাত খাইয়েছেন, ভাত দেয়ার সাথে সাথে খেয়েছেও।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, এই মাছটির নাম সাকার ফিস। এটি একটি বিরল প্রজাতির মাছ। সাধারণত এগুলো দেখা মিলে না বললেই চলে। মাছটি পানি ছাড়াও প্রায় ২৪ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। তবে এই মাছটি আমাদের দেশের জন্য না। মৎস্য বিভাগ থেকে নির্দেশনা আছে এ মাছটিকে দেখলে অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩১, ২০২১ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাটে প্রবল জোয়ারে ভেসে গেল ১৬ হাজার মাছের ঘের
মৎস্য

বাগেরহাটে অতিবৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারে ভেসে গেছে ১৬ হাজার মাছের ঘের৷ এতে প্রায় ১১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ৷ প্রতি বছর দুর্যোগে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন মাছ চাষিরা৷

বাগেরহাট মৎস্য বিভাগের বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) এ এস এম রাসেল জানান, গত দুই দিনের অতি বৃষ্টি ও প্রবল জোয়ারের পানিতে রামপাল, মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও বাগেরহাট সদর উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়নের মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে৷ এর মধ্যে রয়েছে সাড়ে সাত হাজার পুকুর, ৯ হাজার চিংড়ির ঘের৷

রামপাল উপজেলার বাঁশতলি গ্রামের মাছ চাষি মোস্তাফিজুর রহমান ৫০ বিঘা জমিতে ঘেরে মাছের চাষ করছিলেন৷ গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে মাছের ঘের তলিয়ে গেছে৷ এতে তার অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে৷

ওই এলাকার চাষি পাভেল হোসেন পাঁচ বিঘা জমির ঘেরে গলদা, বাগদা ও সাদা মাছ চাষ করছিলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বাগদা চিংড়ি বড় হয়ে উঠেছিল এবং বাজারে বিক্রিও শুরু করেছিলাম কিন্তু গত তিনদিনের টানা বর্ষণে ঘের ভেসে মাছ বের হয়ে গেছে৷ এই ক্ষতি কিভাবে কাটিয়ে উঠবো বুঝতে পারছি না৷ ”

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া এলাকার ঘের মালিক শেখ হুমায়ুন কবির বলেন, দেড়শ বিঘা জমিতে মাছ চাষ করেন, গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে মাছ ভেসে যায়৷ এবার টানা বৃষ্টিতে আবারো একই অবস্থা৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রতি বছর দুর্যোগে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছি৷ দুর্যোগ যেন পিছু ছাড়ছে না উপকূলের মানুষদের৷”

বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম জানান, বাগেরহাটে টানা বৃষ্টির পানিতে কয়েক হাজার মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে চাষিদের৷

তিনি জানান, বারবার দুর্যোগে মাছ চাষিরা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে৷ দেশের রপ্তানি আয়ের বড় ভূমিকা রাখে বাগেরহাট জেলা৷ অনেক চাষি ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঝণ নিয়ে মাছের চাষ করে থাকে৷” তাই এই খাতকে টিকিয়ে রাখতে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানান বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি মহিতুল৷

বাগেরহাট মৎস্য বিভাগের বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) এ এস এম রাসেল জানান, সব মিলিয়ে মাছের ঘের ভেসে প্রায় ১১ কোটি টাকার ক্ষতির হিসাব পেয়েছি৷ বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা এ মৎস্য কর্মকর্তার৷ বাগের হাটে মোট ৬৭ হাজার মাছের ঘের রয়েছে৷

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২১ ১:০১ অপরাহ্ন
সবজির দাম অপরিবর্তিত হলেও চড়া মাছের দাম
পাঁচমিশালি

রাজধানীতে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া মাছের দাম এখনও বেশ চড়াই রয়েছে। তবে, প্রতিটি বাজারেই ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি ও মাছের বাজার প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

জানা যায়, খিলগাঁও তালতলা বাজারে মাছ ও সবজির সব দোকানই খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। গত সপ্তাহে বাজারটির বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। রামপুরা, মালিবাগ, হাজীপাড়ার বাজারগুলোতেও গত সপ্তাহে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল, তবে এখন সব দোকান খুলে গেছে।

ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক সময়ের মতো দোকান খোলার বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী তসলিম হোসেন জানান, ঈদের পর বেশকিছু দিন অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। তবে দুই-তিনদিন ধরে সবাই আছে। সবারই সংসার আছে, বসে থাকলে চলবে না। তাই ঈদ হোক আর লকডাউন হোক পেট চালাতে গেলে আমাদের দোকান খুলতেই হবে।

ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আগের মতো এখনও সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাঁজর ও টমেটো। মানভেদে গাঁজর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। আর পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।

আগের মতো ঢেঁড়স পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি।

মাছবাজারে দেখা যায়, স্বাভাবিক সময়ের মতো সব ধরনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি, মৃগেল ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা আর পাবদা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে।১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে পাঙাশ। এছাড়া কিছুটা কমেছে চিংড়ি মাছের দাম। গত সপ্তাহে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিংড়ি এখন ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২১ ১২:১৩ অপরাহ্ন
বড়শিতে ধরা পড়ল ৭ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ
মৎস্য

বড়শিতে ৭ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ ধরা পড়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ।বৃহস্পতিবার দৌলতদিয়ার ৩নং ফেরিঘাটের পাশে বড়শি ফেলে শৌখিন মৎস্য শিকারি মজিবর মোল্লা (৭০) মাছটি ধরেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীতে বড়শি ফেলে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট মাছ ধরছিলেন মজিবর মোল্লা। একপর্যায়ে বেলা ২টার দিকে তার বড়শিতে বাঘাইড় মাছটি ধরা পড়ে।

মাছটি তিনি স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখের কাছে ৩ হাজার ১শ টাকায় বিক্রি করেন। মাছটি তিনি স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে ৩ হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি করেন। এ সময় বড়শি দিয়ে ধরা মাছটি দেখতে অনেকেই সেখানে ভিড় জমান।

মৎস্য শিকারি মজিবর মোল্লা জানান, করোনার কঠোর লকডাউনে কাজ কাজ বন্ধ তাই ফেরিঘাটের পন্টুনে বসে বড়শিতে মাছ ধরি। এতদিন ছোট ছোট মাছ পেলেও আজকে প্রায় ৭ কেজি ওজনের একটি বাঘাইড় মাছ তার বড়শিতে ধরা পড়ে। সংসারের অভাবের কারণে মাছটি বিক্রি করে দেই।

মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান বলেন, বাঘাইড় মাছ সাধারণত জেলেদের জালে ধরা পড়ে। বড়শিতে সাধারণত এ রকম বড় সাইজের বাঘাইড় মাছ ধরা পড়তে দেখা যায় না।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২১ ৫:২৩ অপরাহ্ন
মেঘনায় ধরা পড়ছে প্রচুল ইলিশ, খুশি জেলেরা
মৎস্য

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর-রামগতির মেঘনা নদীর পাশের এলাকার জেলেরা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নেমেছ মাছ শিকারে । গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ শিকার করছেন তারা।

ইলিশ আহরণকারী জেলেরা জানান, মাছের প্রজননের জন্য গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নবউদ্যমী হয়ে তারা মাছ শিকারে নামেন। এখন তাদের জালে প্রচুর পরিমাণে রুপালি ইলিশ ধরা পড়েছে। তবে এইবার মাছের সাইজ তুলনামূলকভাবে ছোট। তারপরও জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় জেলেরা বেশ খুশি।

এ দিকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর নদীতে মাছ শিকারে নামতে পারায় উপজেলার জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের জোয়ার বইছে। হাসি ফুটেছে জেলেদের মুখে মুখে। মাছের আড়তগুলোতে ব্যবসায়ী ও জেলেদের উপস্থিতি জমজমাট। তবে শুক্রবার ভোর থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় নদী কিছুটা উত্তাল। সবকিছু চাপিয়ে মাছ ধরতে পারায় খুশি সংশ্লিষ্ট জেলেরা।

কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, বাতিরখাল, লুধুয়াঘাট, সাহেবেরহাট, মাতাব্বরহাট ও রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, বিবিরহাট, রামগতি বাজার ঘাট ও টাংকির ঘাটসহ ছোট বড় সব ঘাটে জেলেদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঘাটগুলো মাছ ধরা ও ক্রয় বিক্রয় নিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে। বাজারেও প্রচুর পরিমাণ মাছ আসছে। দামও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
মতিরহাটের নিজাম উদ্দিন ও আবদুল খালেক নামের দুই মাঝি জানান, অনেকদিন পর নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় তারা বেশ খুশি।

কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল কুদ্দুস জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা এখন মাছ ধরতে আর কোনো বাধা নেই। তবে কয়েকদিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় সাবধানে নদীতে মাছ শিকারের পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২১ ৫:১৪ অপরাহ্ন
 দেড় হাজার টাকা কেজি ধরে বিক্রি হলো ২৬কেজি ওজনের পাঙ্গাস !
মৎস্য

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা-যমুনা নদীর মোহনায় ধরা পড়লো ২৬ কেজি ওজনের পাঙ্গাশ মাছ। এক হাজার ৪৪৫ টাকা কেজি ধরে মাছটির দাম হয় ৩৭ হাজার ৭০০ টাকা।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) মধ্যরাতে জেলে পরান হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের জাফরগঞ্জ এলাকায়।বুধবার সকালে মাছটি উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে প্রতি কেজি ১ হাজার ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।

মাছটির দাম হয় ৩৭ হাজার ৭০০ টাকা। পরে দৌলতদিয়া ফেরিগাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. লালচাঁদ খান, মো. মাসুদ মোল্লা ও মো. মজিবর খান যৌথভাবেকিনে নেন।

ব্যবসায়ী লালচাঁদ খান জানার, পদ্মা নদীর পাঙ্গাশ মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় এর দামও বেশ চড়া। মাছটি তারা ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল শরীফ জানান, এখন বর্ষা মৌসুম। এ মৌসুমে পদ্মা নদীতে বড় বড় বাঘাইড়, চিতল, বোয়াল, কাতল, রুই, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মিঠা পানির সুস্বাদু মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এতে জেলেরা বেশ খুশি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২১ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে ঢলের পানিতে নিখোঁজ ৩ যুবক
মৎস্য

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ৩ যুবক নিখোঁজ হয়েছে।

বুধবার (২৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঈদগাঁ উপজেলার দরগাহপাড়া সড়কে নাশিখালের উপর নির্মাণাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছুরত আলম সেতুর নীচে ঢলের পানিতে মাছ শিকার করতে গিয়ে ওই যুবকরা নিখোঁজ হয়।

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগের রেসকিউ টিমের ডুবুরিরা নিখোঁজদের উদ্ধারে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিখোঁজরা হলেন- দরগাহপাড়ার শাহজাহান শাহ’র পুত্র ফারুখ (২৮), বাবুইয়্যা (২০) ও অপরজন শাহজাহান শাহ’র নাতি (নাম পাওয়া যায়নি) বয়স আনুমানিক ১৪ বছর।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ছৈয়দ আলম জানান, নিখোঁজ যুবকদ্বয় ইউনিয়নের দরগাহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ঢলের পানিতে মাছ শিকার করতে নেমে ওই ৩ যুবক নিখোঁজ হয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের রামু স্টেশন অফিসার সৌমেন বিশ্বাস জানিয়েছেন, নিখোঁজ যুবকদের উদ্ধারে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop