কেনাফ রাজ্য পরিদর্শন করলেন বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল
কৃষি বিভাগ
গত ০২/০৭/২০২২ খ্রিঃ এ বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সম্মানিত মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল কিশোরগঞ্জ পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ২০২১-২২ খ্রিঃ এ স্হাপিত পাট ও কেনাফ প্লট,ব্লক,ভিলেজ পরিদর্শন করেন। বিজেআরআই এর সম্মানিত মহাপরিচালক করিমগঞ্জের কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং কৃষক ভাইয়েরা তাদের সমস্যার কথা বলেন।এ সময় কৃষকরা আরো বলেন কেনাফ চাষে নিড়ি খরচ কম লাগে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ ও কম হয়,ফলনও ভালো।যেখানে বাজারের নিম্নমানের বীজের গাছের উচ্চতা ৫ -৬ ফিট হয় সেখানে পাট গবেষণার বীজের গাছের উচ্চতা ১২-১৪ ফিট হওয়ায় কৃষকেরা পাট গবেষণার বীজের প্রতি আগ্রহী। এছাড়াও কৃষক ভাইয়েরা আরও বলেন কেনাফের পাতা গোখাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কেনাফের আঁশের মূল্য মণ প্রতি ৩৫০০-৩৮০০ টাকা পাওয়ায় কৃষক ভাইয়েরা অনেক খুশি এবং কেনাফ চাষে আগ্রহী।
বিজেআরআই মহাপরিচালক বলেন বোরো করার পর ট্রান্সপ্লান্টিং পাট/ কেনাফ আশঁ করে অনায়াসে টি- আমন ধান ফসল করা যায়। আশঁ ফসলের পরবর্তীতে পাট ও কেনাফ বীজ এ স্বয়ংসম্পন্ন হওয়ার জন্য আরো ১৫০ পাট চাষী ভাইদের মাঝে কেনাফ বীজ দেওয়ার কথা বলেন। বীজ উৎপাদন তরান্বিত করার জন্য বিজেআরআই মহাপরিচালক করিমগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের মাঝে বীজ উৎপাদন সমিতি করে দেন।সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন মোঃ রমজান আলী এবং সাধারণ সম্পাদক হন আশরাফুল আলম কাজল মিয়া। সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয় সমিতির উন্নয়নের জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এতে কৃষক ভাইয়েরা খুবই আনন্দিত হন এবং বাজারের নিম্ন মানের বীজ ক্রয় না করে নিজের বীজ নিজে উৎপাদনের জন্য তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন। করিমগঞ্জ উপজেলার কৃষক ভাইয়েরা আগামী বীজ মৌসুমে বীজ প্লট পরিদর্শন করার জন্য বিজেআরআই এর সম্মানিত মহাপরিচালক মহোদয়কে অগ্রীম দাওয়াত দেন।
এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ এর ইনচার্জ মহোদয় জনাব ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রঞ্জন চন্দ্র দাস, এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সরেজমিন বিভাগ, কিশোরগঞ্জের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।