ভরা মৌসুমেও অস্থির চালের বাজার
এগ্রিবিজনেস
ধানের ভরা মৌসুমেও কমছে না চালের দাম। গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় বাড়ছে চালের দাম। যেখানে দাম কমার কথা, সেখানে উল্টো বিভিন্ন অজুহাতে বাড়ছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও।
কথা ছিলো নতুন ধান উঠলে কমবে চালের দর। কিন্তু বাজারে ভিন্ন চিত্র। চালের দাম বাড়ায় আয় ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। উল্টো মোটা চালের দামই বেড়েছে বস্তায় ২৫০ টাকা। এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তরা।
এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, চালের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এই বোঝা আমাদের মতো মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহেও যে চাল ৬০ টাকায় কিনেছি আজ সেটা ৬৫ টাকায় কিনতে হলো।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলাররা ধান-চাল মজুত করে রাখার কারনেই উর্ধ্বগতি চালের বাজার।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা নজরদারিতে রয়েছে, কেউ দাম বৃদ্ধি করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খুচরা বাজারগুলোতে সব ধরনের চালে বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে ৩-৭ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য দেখা গেছে।
ঢাকার কারওয়ান বাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বোরো ধানের বড় অংশই কৃষকের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে ফড়িয়া ও মিলাররা। চাল করে বাজারে ছাড়ার কথা তাদের। তারা তা না করে গুদামে আটকে রেখেছে। মিলারদের কাছ থেকে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ বাজারে আসছে না। এ কারণেই বাজারে চালের সংকট ও দাম দুই বাড়ছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকা থেকে ৬৮ টাকায়। এক বছর আগেও এই চালের দাম ছিল ৫৮ টাকা থেকে ৬৫ টাকা।