৫:৫২ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ৬ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ৩, ২০২২ ৩:২৩ অপরাহ্ন
রংপুরের চরাঞ্চলে মরিচের বাম্পার ফলন
এগ্রিবিজনেস

রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলাসহ তিস্তা, ধরলা, দুধকুমোর, ব্রহ্মপুত্র, ডাকাতিয়া নদীসহ আশেপাশের অনেক নদ-নদীর মাঝে জেগে ওঠা নতুন ও পুরোনো চরে বৃহৎ পরিসরে  মরিচের চাষ করা হয়েছে। গত মৌসুমের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবার মরিচ চাষে লেগে পড়েছেন রংপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা।

কৃষকেরা বলেন, মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও বাজারে মরিচের আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে মরিচ কিনে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তাঁরা।

রংপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের নদী বেষ্টিত পাঁচ জেলার ৬৯২টি চর এখন মরিচখেতে ছেয়ে গেছে। চারদিকে জমিগুলোতে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের কাঁচা পাকা মরিচ। এবার মরিচ চাষ করে কৃষকরা ভালো দামে বিক্রি করছেন বাজারে। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে মরিচ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন আরতসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের হাটবাজারে পাঠানো হচ্ছে।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বছর এক হাজার ৫১ হেক্টর বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের মরিচের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে রংপুর জেলায় ২০০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৩৫০ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৩২০ হেক্টর, নীলফামারীতে ১৮১ হেক্টর এবং গাইবান্ধা জেলায় ১০০ হেক্টর চরাঞ্চলের জমিতে বিভিন্ন জাতের মরিচের চাষ হয়েছে।

রংপুরের কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. ওবাইদুর রহমান মণ্ডল জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়ায় চলতি মৌসুমে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১, ২০২২ ১২:৪০ অপরাহ্ন
হিমাগার সংকটে লোকসানে রংপুরের আলু চাষীরা
এগ্রিবিজনেস

গত মৌসুমে ভালো দাম পেয়ে এ বছরও আলু চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছে কৃষকেরা। তবে সংরক্ষণের অভাব, হিমাগার সংকট ও বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ থাকায় ও দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন চাষিরা। এতে উৎপাদিত আলু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংকট কেটে গেলে তারা হতাশামুক্ত হবেন।

চলতি মৌসুমে রংপুরের ৮ উপজেলায় ১৫ লাখ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু জেলায় আলু সংরক্ষণে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত মালিকানায় মাত্র ৪০টি হিমাগার রয়েছে। যেগুলোর ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪ লাখ মেট্রিকটন। ফলে অতিরিক্ত ১১ লাখ মেট্রিকটন আলু সংরক্ষণ করতে না পারায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে বহু কৃষক।

কৃষকদের অভিযোগ, হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণে ভাড়া বেশি নিচ্ছে। এছাড়া হিমাগারে এরইমধ্যে ধারণ ক্ষমতার বেশি সংরক্ষণ করায় নতুন করে আলু নিচ্ছেনা হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

অপু মুনশি হিমাগারের ম্যানেজার তরিকুজ্জামান জানান, আলর বাম্পার ফলন হওয়ায় ধারণক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে আলুর সংরক্ষণ ব্যবস্থা।

রংপুর পীরগাছা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আজম জানান, সংরক্ষণ সমস্যা কেটে গেলে এবং বাজারে সরবরাহ কমলে চাহিদা বাড়বে। এতে আলু চাষিদের দুঃশ্চিন্তাও কমবে।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি করা গেলে আলু চাষীদের লোকসানের ঝুঁকি কমে যাবে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
সাপাহারে আম প্যাকেজিং হাউস না থাকায় ক্ষতির শিকার কৃষকেরা
এগ্রিবিজনেস

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা আমের নতুন রাজ্য বলে খ্যাতি অর্জন করেছে দেশ ও বিদেশে। কিন্তু উপজেলায় ফল-সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং হাউস না থাকায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতি শিকার হচ্ছেন কৃষক, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকেরা।

উপজেলার জসই ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা খুব কষ্ট করে আম চাষ করি। কিন্তু এখানে আম প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অর্ধেক আমের দাম পায়না। প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা থাকলে যে পরিমাণ আম বিদেশ যায় তার চেয়ে আরো বেশি পরিমাণ বিদেশ পাঠানো সম্ভব।

ব্যবসায়ী আকবর হোসেন বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে আম বা সবজি পাঠাতে গেলে মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষায় পাস করতে হয়। তা না হলে রফতানিকারকের পণ্য অনুমোদন দেয়া হয় না। মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষায় ফেল করা পণ্য পোড়াতে ১৫০০ ইউএস ডলার ক্ষতিগুনতে হয়। একই সাথে পণ্য ও কার্গোভাড়া চোকাতে হয়। দেশের মান ক্ষুন্ন হয়। কৃষি দপ্তরের মান ক্ষুন্ন হয়। যা প্রভাব প্রায় ৫ বছর পোহাতে হয়। এতে কৃষক, ব্যবসায়ী ও রফতানিকারককে বিপুল পরিমাণ টাকা ক্ষতিতে পড়তে হয়। সাপাহার উপজেলার আম ইউরোপের দেশগুলোতে চরমখ্যাতি লাভ করেছে এই বাজার ধরে রাখতে হলে এখানে প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আম প্যাকেজিং হাউস স্থাপন খুব প্রয়োজন। এটি হলে বিভিন্ন প্রকার ফল ও সবজি বিদেশে পাঠানো সহজ হবে। নতুন রফতারিকারকেরা নোংরা সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সব হারিয়ে পথে বসা থেকে রক্ষা পাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাৎ শাপলা খাতুন বলেন, সাপাহারে একটি বড় আমবাজার আছে। এখানে কয়েক উপজেলার আম ক্রয়-বিক্রয় হয়। এই এলাকার আম দেশ ও বিদেশে বেশ সুখ্যাতিলাভ করেছে। বিশেষ করে ইউরোপের বাজারে স্থান করে নিয়েছে। এটি ধরেন রাখতে একটি ফল-সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং হাউস স্থাপন দরকার। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ৯ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে ১৪ টন ধরে প্রায় ১২ লাখ ৯ হাজার ৫ শত টন তথা ৩২ লাখ ৩৭ হাজার ৫ শত মণ আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া আলু, পেয়ারা, বরই/কুলসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদন হয় উপজেলাজুড়ে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩০, ২০২২ ১:০১ অপরাহ্ন
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শুকনো মরিচ আমদানি শুরু
এগ্রিবিজনেস

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে শুকনো মরিচ আমদানি। আমদানি করা মরিচ সরবরাহ করা হচ্ছে বগুড়া, রংপুর, ঢাকা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে। প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে। এদিকে দেশি শুকনো মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে।

দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল শুকনো মরিচ আমদানি। চলতি মাসের ১৬ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বগুড়ার রুবেল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মরিচ আমদানি শুরু করেছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ জানান, রমজান মাসে দেশের বাজারে শুকনো মরিচের চাহিদা থাকায় ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত এসব মরিচ হিলি স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় আমদানির পরিমাণ অনেক কম।

হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুকনো মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। কাস্টমসের সকল কার্যক্রম শেষ করে আমদানিকারক যাতে দ্রুত মরিচগুলো বাজারজাত করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি আমরা।

হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি মাসের ১৬,২১,২৭,২৮ তারিখে ভারতীয় ৮টি ট্রাকে ১৬৪ মেট্টিক টন শুকনো মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২৬, ২০২২ ৩:৪৭ অপরাহ্ন
ঝিনাইদহে পেঁয়াজের বাজারে দরপতন, লোকসানে কৃষক
এগ্রিবিজনেস

পেঁয়াজ আমদানি ও বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে ঝিনাইদহে কমেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে মণপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০০-৩০০ টাকা। দাম অর্ধেকে নেমে আসায় চরম লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।

সরবরাহ বাড়ায় এবং বিদেশ থেকে আমদানির কারণেই দাম কমছে বলে দাবি কৃষকদের। সরবরাহ আরও বাড়লে পেঁয়াজের দাম প্রতি মণে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় নেমে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে তবে চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৭৯১ হেক্টর জমিতে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হলেও দরপতনে হতাশ চাষিরা।

শৈলকুপা পেঁয়াজের পাইকারি হাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিমণ পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেও পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। হঠাৎ এমন দরপতনে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজে পচনও ধরে আবার ফলনও কম। এর ওপর দাম কম হওয়ায় তো আমাদের খরচই উঠছে না।

শৈলকুপা বণিক সমিতির সহসভাপতি মুক্তার মুন্সী জানান, বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। আবার ভারত থেকে আমদানির কারণে পেঁয়াজের দামের এই নিম্নমুখী। কিছুদিন পর পেঁয়াজ পুরোদমে মাঠ থেকে তোলা হবে। তখন আমদানি বন্ধ হলে দাম কিছুটা বাড়বে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৪, ২০২২ ১:১০ অপরাহ্ন
পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি মেহেরপুরের কৃষকেরা
এগ্রিবিজনেস

মেহেরপুর জেলায় এবার পেঁয়াজের উৎপাদন কম হলেও আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায়, আগামীতে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।এতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন, অচিরেই তারা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করে ভাল দাম পাবেন। পেঁয়াজের ভরা মৌসুম থাকায় মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষিরা, পেঁয়াজ উত্তোলনে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষকেরা জানালেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মৌসুমে তারা আশানুরূপ সেচ দিতে পারেননি। এছাড়া সারের মূল্য বৃদ্ধি ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে।তবে পেঁয়াজের বাজারদর ভালো পাওয়ায় খুশি তারা।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বর্তমানে সোনা মসজিদ ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রতিদিন আমদানিকৃত পেঁয়াজের চালান আসছে। এতে স্থানীয় বাজারে দেশী পেঁয়াজের দাম দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে আগামীতে লোকসানের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, পেঁয়াজ চাষিও ব্যবসায়ীদের শংকার কিছু নেই। আমদানি অব্যাহত থাকলেও পেঁয়াজের বাজারদর ভালো যা আগামীতেও থাকবে।

মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ৩০৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে, যা থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১২, ২০২২ ১:৫৮ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে বাড়ছে পেঁয়াজবীজ উৎপাদন
এগ্রিবিজনেস

হাত দিয়ে একটা একটা করে ফুলের পরাগায়ন করতে শ্রমিক খরচ ও সময় বেশি লাগে, এ জন্য কাপড় দিয়ে নতুন পদ্ধতি পরাগায়ন করা হচ্ছে। এতে বেড়েছে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনও। এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার টুলটুলিপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম সাড়ে চার কাঠা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছিলেন। অল্প জমি থেকে তিনি ২০ কেজি পেঁয়াজবীজ আহরণ করেছেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ১৭৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা থাকে ৯০ থেকে ৯৫ মেট্রিক টন। বাকি বীজ বাইরে চলে যাবে। ২০২০-২১ মৌসুমে রাজশাহীতে ৩৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার বীজ উৎপাদিত হয়েছে। দুই হাজার টাকা কেজি হিসাবে কৃষকেরা এ দাম পান। এর আগের বছর (২০১৯-২০) ছয় থেকে সাত হাজার টাকা কেজি হিসাবে রাজশাহীতে উৎপাদিত পেঁয়াজের বীজ বিক্রি হয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর চাষাবাদ শুরু হয়। আর মার্চের ২৫ থেকে এপ্রিলের ১৫ তারিখের মধ্যে বীজ আহরণ করা হয়ে থাকে। পাঁচ মাসের এ ফসল জেলার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

কৃষকেরা বলছেন,ফসলের পোকা দমনে নির্বিচার কীটনাশক ব্যবহার করায় উপকারী পোকা ও মৌমাছি মারা যাচ্ছে। সে জন্য প্রকৃতিনির্ভর পরাগায়ন ছেড়ে পেঁয়াজচাষিরা এখন কৃত্রিম পরাগায়ন করছেন। তাতেই পাওয়া যাচ্ছে এ সুফল।

কৃষকেরা বলেন, হাত দিয়ে পুরুষ ফুলের পরাগরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থাপন করাকে হস্ত পরাগায়ন বলে। কিন্তু এভাবে পরাগায়ন করলে সময় বেশি লাগে। তাই তাঁরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে মার্কিন কাপড় দিয়ে পরাগায়ন করছেন। কাপড়টি খেতের সব ফুলের ওপর দিয়ে আলতোভাবে টেনে নিতে হয়। তাতেই পরাগায়ন হয়ে যায়।

পেঁয়াজবীজ চাষি রেজাউল করিম জানান, তিনি কৃত্রিম উপায়ে পরাগায়ন ঘটিয়ে ভালো লাভ পেয়েছেন। এ পদ্ধতিতে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ বেশি পড়ে। কিন্তু ফলনে তা পুষিয়ে যায়।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক উম্মে সালমা জানান, রাজশাহীর চাষিরা উৎকৃষ্ট মানের পেঁয়াজবীজ উৎপাদন করেন। জেলার চাহিদা পূরণ করে এই বীজ এখন জেলার বাইরেও বিক্রি হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ৪:২৫ অপরাহ্ন
নাটোরে বাড়ছে ধানের দাম
এগ্রিবিজনেস

বাড়তি লাভের আশায় ধান মজুদ করছে নাটোরের কৃষক ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। ধান মজুদদারির কারণে সরবরাহ কমে গিয়ে বেড়েছে ধানের দাম।এমতাবস্থায় সরবরাহ বৃদ্ধি না করলে বেড়ে যেতে পারে সব ধরনের ধান ও চালের দাম

আজ শনিবার নাটোরের বিখ্যাত ধানের হাট নলডাঙ্গায় ধানের সরবরাহ ছিল তুলনামূলক কম। সরবরাহ কম থাকায় প্রকারভেদে প্রতি মণ ধানের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, বড় ব্যবসায়ীরা ধানের মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে। সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে সব ধরনের ধানের দাম। এতে সংকট সৃষ্টি করে তারা অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করছে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে খরচ হয় ৭৫০ টাকা। তবে কৃষকরা বলছে সার ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ব্যয় বেড়েছে। প্রতি মণ ধান উৎপাদনে তাদের খরচ হয়েছে ৯০০ টাকার উপরে। ভাল দাম থাকায় লাভের মুখ দেখছেন বলে দাবি কৃষকদের।

চালকলের মালিকরা বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে অতিরিক্ত দামে ধান কিনতে হচ্ছে তাদের। এ ছাড়া চালকলগুলোতে তারা ঠিকমতো ধান সরবরাহ করতে পারছেন না। মজুতদারি বন্ধ না হলে ধান ও চালের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য যে, চলতি বছর নাটোর জেলায় ৭২ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আমান ধান আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন ধান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২২ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
মাশরুম চাষে সফল চাটমোহরের আব্দুল হালিম
এগ্রিবিজনেস

মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন হওয়ায় এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকদের মাঝে মাশরুম চাষে বেশি আগ্রহ বাড়ছে। বানিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ বাড়াতে পারে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। অসীম সম্ভাবনাময় এ ফসল চাষে নানাবিধ সুবিধার কারনে খুব সহজেই এটি চাষ করা সম্ভব। এছাড়াও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগের সৃষ্টিসহ দারিদ্র বিমোচন এবং অর্থনীতিতে মাশরুম চাষ রাখতে পারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা।

বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা আব্দুল হালিম।

আব্দুল হালিম জানান, প্রথমে ৫০টি স্পন প্যাকেট নিয়ে ২০২০ সালে মাশরুম চাষ শুরু করেন। তিনি জানান, প্রথম স্পন প্যাকেট থেকে ২৫ হতে ৩০ দিনের মধ্যে ফলন আসে। ২ কেজির একটি স্পন প্যাকেট থেকে প্রায় ২ কেজি মাশরুম পাওয়া যায়। তিনি প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ কেজি মাশরুম বিক্রি করেন। প্রতি কেজি কাঁচা মাশরুম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও শুকানো মাশরুম ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বর্তমানে আব্দুল হালিম মাশরুম চাষ করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করছেন।

আব্দুল হালিম আরো বলেন, মাশরুম উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম বীজ (স্পন) উৎপাদন করেন তিনি। তার উৎপাদিত মাশরুম বীজ (স্পন) দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। মাশরুম খুবই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু সবজি এবং লাভজনক ব্যবসা। তার মাশরুম খামার দেখে অনেকে তার খামারের বীজ নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, এদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের উপযোগী। উপজেলায় বাণিজ্যিক ও ব্যক্তি উদ্যোগে ১২ টি পয়েন্টে মাশরুম চাষ হচ্ছে। তা থেকে প্রায় দুই মেট্টিকটন মাশরুম উৎপাদিত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৭, ২০২২ ২:১১ অপরাহ্ন
চুয়াডাঙ্গার পানের বাজারে দরপতন, কমছে আবাদ
এগ্রিবিজনেস

চুয়াডাঙ্গার প্রধান অর্থকারী ফসল পান। একসময় চুয়াডাঙ্গার মিষ্টি ও সাচি পানের সুনাম ছিল দেশজুড়ে। এখানকার পান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়ে থাকে। পান চাষে সফলতা পেয়ে চাষীরা স্বাবলম্বীও হয়েছেন। কিন্তু পান উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং লাভের অংকে লোকসান হওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেকে পানের আবাদ ছেড়ে দিচ্ছেন। এখন অন্য ফসলে ঝুঁকছেন তারা। নতুন করে বড় দরপতনে পান চাষ নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

কৃষি বিভাগ বলছে, পানের তুলনায় অন্য ফসলে ভালো লাভ পাওয়ায় অন্যান্য আবাদে কৃষকদের আগ্রহ বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছরই কমছে পানের আবাদ। ৫ বছর আগে চুয়াডাঙ্গায় ১ হাজার ৭৭৪ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছিল। এ বছর সে আবাদ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩৩ হেক্টর জমিতে। প্রতিবছরই কোনো না কোনো কারণে জেলায় কমছে পান বরজের সংখ্যা। ২০১৮ সালে ১৭৭৪ হেক্টর, ২০১৯ সালে ১৭৩০ হেক্টর, ২০২০ সালে ১৬৭০ হেক্টর, ২০২১ সালে ১৬০৯ হেক্টর ও ২০২২ সালে ১৬৩৩ হেক্টর। অথচ চুয়াডাঙ্গার প্রধান অর্থকারী ফসল এই পান পাতা।

আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের পানের বাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রির জন্য চাষিরা পান নিয়ে এসেছেন। বাজারে ক্রেতা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আগের মতো বাইরের বড় ক্রেতা তেমন একটা নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে যে পান প্রতিপণ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়, তা নেমে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ।

পানচাষিরা জানান, মাটি ও আবহাওয়া পান চাষের জন্য চুয়াডাঙ্গা বেশ উপযোগী। জেলার চার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পান চাষ হয়। এই অঞ্চলে সাধারণত দুই জাতের মিষ্টি পান ও সাচি পানের আবাদ করা হয়। আগের মতো যদি পান বিদেশে রপ্তানি করা যায় তাহলে তারা হয়তো আবার লাভের মুখ দেখবেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, অন্য ফসলে পানের চেয়ে ভালো লাভ মেলায় সেদিকে ঝুঁকছেন অনেকে। আধুনিক পদ্ধতিতে পান চাষে আগ্রহী করে তুলতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop