মৌলভীবাজারে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বোরো ধান কাটা শুরু
কৃষি বিভাগ
মৌলভীবাজারে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে জেলার বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় বোরো ধানের আশাতীত আবাদ হয়েছে। ভেঙে গেছে বোরো আবাদের অতীতের সব রেকর্ড। বাজারে ধানের চড়া দামই কৃষকদের উৎসাহ জুগিয়েছে বোরো আবাদে।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছ, প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে, এবছর বোরোর উৎপাদন ২ কোটি ৩০ লাখ ২শ’ ৮০ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে। কৃষকদের দাবি, ধানের নায্যমূল্য নির্ধারণ করে বিক্রির ব্যবস্থা করে দেবার।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুণা গ্রামের মো. ইউনুছ মিয়া নামে এক কৃষকের পাকা বোরো ধান কাটার মধ্য দিয়ে জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়ে ধান কাটার এই উৎসবে যোগ দেন জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও শিক্ষকরা।
এবছর জেলায় বোরোর বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান কাটা না গেলে পাহাড়ী ঢলে কাউয়াদীঘি, হাইল ও হাকালুকি হাওরের ফসল তলিয়ে যাবার আশঙ্কা তাদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, মৌলভীবাজারের ৭টি উপজেলায় ২০২১-২২ মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ২০০ হেক্টরে। ৭৫ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮ হাজার ৩০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৪৯ হাজার ২৪ হেক্টরে। বাকিটা স্থানীয় জাত। তবে স্থানীয় জাত কমেছে প্রায় ৫০ হেক্টর। চাল আকারে বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ২৮০ টন। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ৪.৩০ টন। জেলায় আবাদ করা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৭০ হেক্টর বেশি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, সঠিক সময়ে সার ও বীজ পাওয়ায় জেলায় বোরোর ফলন ভালো হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর আহসান জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে। কৃষকদের ধান কাটতে সব ধরণের সার্বিক সহায়তা করা হবে।