৯:১৯ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ১৮ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৬:০৪ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে দু’দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে আজ উচ্চ ফলনশীল, রপ্তানিযোগ্য নতুন জাতের আলুর সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিপণন ও রপ্তানি কলা কৌশল শীর্ষক দু’দিনব্যাপী অংশীজন প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

সোমবার(২৬ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ আলু বীজ হিমাগারের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদার করণ প্রকল্প আয়োজিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ বিএডিসির উপ-পরিচালক দীপঙ্কর রায়।

প্রথম দিনের প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মহসীন হাওলাদার , বিএডিসির উপ-পরিচালক দীপঙ্কর রায়, সহকারী পরিচালক মো. ইমাম হুসাইন।

এ প্রশিক্ষণে নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বীজ আলু উৎপাদনকারী কৃষক, বীজ ডিলারসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জন অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হযে প্রকল্প পরিচালক মো. আবীর হোসেন অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। মঙ্গলবার বিকালে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
চায়না লেবু চাষে লাখপতি বুলবুল
কৃষি বিভাগ

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সিংগা গ্রামের বুলবুল আহমদ চায়না লেবু চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। এই উপজেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় লেবুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। লেবু চাষের পাশাপাশি জমিতে ধান, গরুর খামার, গরুর খাবারের জন্য ঘাস চাষ করছেন।

জানা যায়, বুলবুল আহমেদ নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করেছেন তিনি। গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর চায়না লেবু চাষ শুরু করেন। লেবু চাষের পাশাপাশি জমিতে ধান, গরুর খামার, গরুর খাবারের জন্য ঘাস চাষ করছেন তিনি। তার কৃষি কাজের প্রতি মনোনিবেশ ও সফলতা দেখে অনেকেই কৃষি কাজে উৎসাহি হচ্ছেন।

জানা যায়, উঁচু জমিতে সারিবদ্ধভাবে লেবুগাছ লাগিয়েছেন। জমির চারপাশে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। খেতের পাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। বুলবুল নিজেসহ কিষানিরা জমির আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যা করছেন।

লেবুচাষি বুলবুল বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আমার প্রায় ৪০ শতক জমিতে চায়না লেবুর চাষ করেছি। প্রায় তিন শতাধিক লেবুগাছে এবছর প্রচুর ফল এসেছে। এক দিন পরপর ১ থেকে দেড় হাজার লেবু তুলে লোহাগড়া বাজারে ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি করি। এতে মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করতে পারি। আশা করছি এ বছর লেবু বিক্রি করে খরচ বাদে প্রায় ৪ লাখ টাকা লাভ হবে।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, এই উপজেলার মাটি লেবু চাষের জন্য অত্যন্ত উর্বর। চায়না লেবুতে রস বেশি হয়। এই গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম। কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়। আর গাছ যত বড় হবে, গাছে ততবেশি লেবু ধরবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে সাতক্ষীরার যুবকদের!
এগ্রিবিজনেস

সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ। বাণিজ্যিকভাবে কুলের চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় বলে যুবকরা কুল চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার জমি ও আবহাওয়া কুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে কুলের চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। দিন দিন এই এলাকায় কুল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা যায়, এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে কুলের চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। এখানকার উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।

কুল চাষি হাবিবুর রহমান জানান, আগের বছরের তুলনায় এ বছর কুলের চাষও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কুলের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি ফলন বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এবার বছর পাইকারি হারে ৭০-৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দাম ভালো পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন ও কুল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

আরেক কুল চাষি পাঞ্জাব আলী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরেই কুল চাষ করে আসছেন তিনি। চলতি মৌসুমেও ৩ বিঘা পরিমাণ জমিতে নারকেল ও আপেল কুল চাষ করেছেন। জমি নিজের হওয়াতে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম। কুল গাছে ভিটামিন স্প্রে, সার ও পোকা দমন ঔষধ ব্যবহারে তিন বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে কুল বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন এবার বেশ লাভবান হবেন।

সাতক্ষীরা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কুল চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন। কুল চাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা করছেন বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:০১ অপরাহ্ন
মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
কৃষি বিভাগ

মেহেরপুরে মৌমাছির কামড়ে হায়দার আলী (৫৩) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হায়দার আলী গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের বাসিন্দা।

আহতরা হলেন, ফজলু (৪০), মাসুম(১৮), হায়াত আলী (৬০) ও মোহাম্মদ আলী (৫৫)। তাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস আলী জানান, সাহারবাটি মাঠের একটি গাছে মৌমাছি বাসা বেঁধেছিল। সেখানে একটি বাজপাখি বার বার হানা দিচ্ছিল। এসময় মৌমাছিরা মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের ওপর ধেয়ে আসে। মৌমাছিরদল হায়দার আলীসহ অন্যান্যদের কামড় দেয়।পরে মৌমাছির কামড়ে আহত হয়ে হায়দার আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অন্যান্যদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবীর হাসান জানান, মৌমাছির কামড়ে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যান্যরা এখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। এ বছর জেলার ৯টি উপজেলার ৪৫০টি চরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে হলুদের সমারোহ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সরিষা চাষে কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। এতে খরচ কম। অন্য শস্যের তুলনায় সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন সরিষা চাষের দিকে।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ‘আমি ৩ বিঘা জমিতে সর্ষের আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ ভালো দেখা যাচ্ছে। সর্ষে ক্ষেতে কোনো প্রকার রোগবালাই না হলে লাভবান হবো।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় গত বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় এ বছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর তরুণরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন মধু চাষে
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ গ্রামের যুবক সুমন আলী। একসময় ছিলেন কাঠমিস্ত্রী। এরপর ২০১৩ সাল থেকে সরিষা ক্ষেতে মধুচাষ করছেন। সরিষার মাঝে মৌমাছির সাহায্যে মধুচাষ করেই সুমন এখন সাবলম্বী। মধুচাষ করেই নিজের বাড়িটিও পাকা করেছেন। এবারও আশা করছেন আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রির।

মধুচাষি সুমন জানান, রাজশাহীর বিসিক এলাকা থেকে মধু সংগ্রহরে বক্স তৈরি করে আনেন। এরপর মধু সংগ্রহের ট্রেনিং নিয়ে চাষ করা শুরু করেন। এবারও ৫০টির বেশি বক্স বসিয়েছেন। গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই মন মধু সংগ্রহ করছেন।

সুমন বলেন, আমাদের এখনকার উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয় ও মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে প্রতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি হয়।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় মৌচাষ করছেন মোঃ মমিন, নারায়ণ মন্ডল, হৃদয় মন্ডল, রুবেল, আলিম। মৌচাষি মোঃ মমিন বলেন, নাটোর এলাকা থেকে রানি মৌমাছি সংগ্রহ করে এবার ২০টি বক্সে মধু চাষ করছি। প্রতিটি বক্সে ৫টি করে চাক আছে। এগুলো থেকেই গতবার ভালো আয় হয়েছে। এবারও ভালো লাভের আশা করছেন তারা।

মমিন বা সুমনই নয়, রাজশাহীতে এখন অন্তত ৫০জন তরুণ মধুচাষি মধু চাষ করছে। কম খরচে মধু উৎপাদন করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। এতে করে ভাগ্য বদল ও সাবলম্বী হচ্ছেন বেকার তরুণরা। একদিকে বাণিজ্যিক এই মধু আহরণে মৌ চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ছে সরিষা উৎপাদন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর। সেখানে রাজশাহী জেলাতে সরিষা চাষ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে ৬৭ হাজার ৫০০ মেট্রিটন সরিষা উৎপান হতে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। রাজশাহীতে এবার প্রথমিক পর্যায়ে ৩ হাজার ৪০২টি মধু চাষের বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বক্স থেকে ৪০ হাজার ৮০০ কেজি মধু উৎপাদন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ২৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মৌ চাষি এসে মধু সংগ্রহ করছেন। এদিকে মৌ চাষ শুরু হওয়ার পর সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ মণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৭:৫৪ অপরাহ্ন
বরগুনায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
কৃষি বিভাগ

জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সূর্যমুখী ফুলের আবাদ ও উৎপাদনের দিক থেকে বরগুনা জেলা দেশে অন্যতম।

এছাড়াও জেলার ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা হিসেবে।

বরগুনা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ডাল ও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এসব ফসলের মধ্যে ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, বোরো ধান, বোরো হাইব্রিড, মুগডাল ও খেসারি ডাল রয়েছে।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, এবার চাষিরা গত বছরের তুলনায় হঠাৎ করে সূর্যমুখীর চাষে ঝুঁকছেন। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবার সূর্যমুখী বীজের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এবার কৃষি বিভাগ চাষিদের সূর্যমুখী বীজ প্রণোদনা দিয়েছে। এতে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। আর কৃষক পর্যায়েও কিছু বীজ মজুদ আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতি বছর ২৮ হাজার কোটি টাকার সয়াবিন তেল আমদানি হয়। তেলের আমদানি কমাতে সরকার এর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাতে করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। সূর্যমুখীর গাছ জ্বালানির কাজেও ব্যবহার হয়। আগামীতে এর চাষ আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

কৃষিবিদ বদরুল আলম জানিয়েছেন, সূর্যমুখী তেলে আছে মানবদেহের জন্য উপকারী ওমেগা ৯ ও ওমেগা ৬ ও ফলিক অ্যাসিড। শতকরা ১০০ ভাগ উপকারী ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও পানিসহ এ তেল ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলমুক্ত। এ ছাড়া ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, মিনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যুক্ত এ তেল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
শীতকালীন সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছেন টাঙ্গাইলের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

টাঙ্গাইলে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির কোনো ক্ষতি হয়নি। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান কৃষক। আধুনিক পদ্ধতিতে একই জমিতে একাধিক ও বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে কৃষক অধিক লাভবান হচ্ছেন। আর উৎপাদিত সবজির বাজারদর ভালো পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে সবজি চাষ।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের লোকেরপাড়া ইউনিয়নের পাঁচটিকড়ি, বীরসিংহ, বকশিয়া, আতাইলশিমুলসহ প্রায় গ্রামেই চাষ হচ্ছে শীতকালীন সবজি। কৃষকরা একই জমিতে টমেটো, পাতা কপি, ধনিয়া পাতার পাশাপাশি চারা বিক্রি করেও লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি অফিস সূত্র মতে, এবছর , টাঙ্গাইলে ১২ উপজেলায় ১০ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঘাটাইল উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় সবজি চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

পাঁচটিকড়ি গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, এবছর আমি ২৮ শতাংশ জমিতে ফুলকপির পাশাপাশি মরিচ ও টমেটোর চারা রোপন করেছি। সবজির পাশাপাশি লাখ টাকার ফুলকপি ও টমেটো, মরিচ এবং ফুলকপির চারা বিক্রি করেছি।

তিনি আরো বলেন, এবছর জমিতে সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। পাশাপাশি সবজির বাজারদরও ভালো। ইতোমধ্যে চারা ও সবজি বিক্রি করে লাখ টাকার মতো আয় হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ করবো।

ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, আমদের উপ-সহকারিরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিবেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ দুলাল উদ্দিন জানান, শীতকালীন সবজির বাজার মূল্য ভালো। চাষিরা বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। ব্যাপক ফলনও পেয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি সবজি উৎপাদন হবে। বাজারদর ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ফলে দিন দিন শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার কৃষকরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৯:২১ পূর্বাহ্ন
বোরো মৌসুমে বিনামূল্যের সার-বীজ পাবে ২৭ লাখ কৃষক
কৃষি বিভাগ

দেশে বোরো মৌসুমে ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ১৭০ কোটি টাকার প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। এ প্রণোদনার আওতায় তিন ক্যাটাগরিতে ২৭ লাখ কৃষককে বিনামূল্যের সার-বীজ দেওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রায় ৮২ কোটি টাকার প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে ১৫ লাখ কৃষকের প্রত্যেককে ২ কেজি করে বীজধান দেওয়া হচ্ছে।

উচ্চফলনশীল জাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১২ লাখ কৃষককে সার ও বীজ দেওয়া হচ্ছে, এতে ব্যয় হবে প্রায় ৭৩ কোটি টাকা। একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাচ্ছেন।

এছাড়া ধান লাগানো ও কাটার জন্য ১৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ৬১টি জেলায় ১১০টি ব্লক বা প্রদর্শনী তৈরি করা হবে। প্রতিটি প্রদর্শনী হবে ৫০ একর জমিতে, খরচ হবে ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে ইতোমধ্যে এসব প্রণোদনার ৫০ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি কাজগুলোও চলমান রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২০, ২০২২ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
চাপাইনবাবগঞ্জে ধনেপাতার বাম্পার ফলন, দামে হতাশ চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

চলতি মৌসুমে ধনেপাতার আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন চাষিরা। সারাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ধনেপাতার সুনাম রয়েছে। এখানকার ধানেপাতা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। তবে বর্তমানে ধনেপাতার ভালো বাজারদর না পেয়ে হতাশ চাষিরা।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ধানেপাতার চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক কম। কম চাষের পাশাপাশি ধনেপাতার দাম কমেছে বিঘায় ১০-১৫ হাজার টাকা। বাজারদর কম থাকায় চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার দেবিনগরের ধনেপাতা চাষি মনিরুল ইসলাম জানান, আমি গত ১০ বছর যাবত ধনেপাতা চাষ করছি। গত বছর পাইকারদের কাছে ২৫-৩৫ হাজার টাকায় প্রতি বিঘা ধনেপাতা বিক্রি করলেও এবছর ২০-২৫ হাজার টাকায়ও বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এবছর সার, ডিজেল, বীজ সব কিছুর দাম বেশি। আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার ইসলামপুর এলাকার ধনেপাতা ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা জানান, প্রায় ৪০ বছর যাবত ধনেপাতার ব্যবসা করছি। এবছরও কৃষকদের থেকে ১ বিঘা জমির ধনেপাতা কিনেছি। ধনেপাতার সরবরাহ শুরু করেছি। আশা করছি কয়েক লাখ টাকা আয় করতে পারবো।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর ধনেপাতার আবাদ কম হয়েছে। এবছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৯৫ হেক্টর জমিতে ধনেপাতার চাষ হয়েছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop