১:২৩ পূর্বাহ্ন

মঙ্গলবার, ৬ মে , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ৫:৩১ অপরাহ্ন
অনুমোদন পেল উদ্ভাবিত ধানের আরও তিনটি জাত
কৃষি গবেষনা

জাতীয় বীজবোর্ডের অনুমোদন পেল বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত আরো তিনটি নতুন ধানের জাত। গতকাল সোমবার জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৮তম সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্রি উদ্ভাবিত নতুন তিনটি জাতের মধ্যে ব্রি ধান ১০৩ আমন মৌসুম, ব্রি ধান ১০৪ ও ব্রি হাইব্রিড ধান ৮ বোরো মৌসুমের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ধানের জাতগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) ব্রি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান ১০৩ আমন মৌসুমের একটি জাত। জাতটির কৌলিক সারি BR (Bio) 8961- AC26-16। ব্রি ধান ২৯-এর সঙ্গে FL378 এর সংকরায়ণ করা এবং পরবর্তী সময়ে F1 generation-এ অ্যান্থার কালচার পদ্ধতি (জীবপ্রযুক্তি) ব্যবহার করে এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। এ জাতটির পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১২৫ সেমি। ডিগ পাতা খাড়া। দানা লম্বা ও চিকন। ১০০০ পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩.৭ গ্রাম। ধানে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪%। এ জাতটির গড় জীবনকাল ১৩২ দিন। ধানের গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬.২ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে জাতটি প্রতি হেক্টরে ৮.০ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।

ব্রি ধান ১০৪-এর কৌলিক সারি বিআর ৮৮৬২-২৯-১-৫-১-৩। কৌলিক সারিটি ব্রিতে ২০০৭ সালে আইআর ৭৪০৫২-২১৭-৩-৩-এর সঙ্গে বিআর ৭১৫০-১১-৭-৪-২-১৬- এর সংকরায়ণ করে এবং পরবর্তীকালে বংশানুক্রম সিলেকশনের (Pedigree Selection) মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়। ব্রি গাজীপুরের গবেষণা মাঠে হোমোজাইগাস কৌলিক সারিটি নির্বাচন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত হোমোজাইগাস কৌলিক সারিটি পাঁচ বছর ফলন পরীক্ষার পর ২০১৯ সালে ব্রির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর গবেষণা মাঠে ও ২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের মাঠে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

২০২১ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি কর্তৃক স্থাপিত প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় বেশি ফলন দিয়েছে। (পিভিটি) সন্তোষজনক হওয়ায় জাতীয় বীজ বোর্ডের মাঠ মূল্যায়ন দল কর্তৃক সুপারিশের পর জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৮ তম সভায় ব্রি ধান ১০৪ বোরো মৌসুমের উন্নত গুণাগুণসম্পন্ন জাত হিসেবে ছাড়করণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ব্রি ধান ১০৪-এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা, পাতার রং সবুজ। পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ৯২ সেন্টিমিটার। জাতটির গড় জীবনকাল ১৪৭ দিন। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ২১.৫ গ্রাম। এ জাতের ধান বাসমতি টাইপের তীব্র সুগন্ধিযুক্ত। এ ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৯.২ ভাগ। এছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৮.৯ ভাগ এবং ভাত ঝরঝরে।

এ জাতের জীবনকাল ব্রি ধান ৫০-এর প্রায় সমান। ধানের গুণগত মান ভালো অর্থাৎ চালের আকার আকৃতি অতিরিক্ত লম্বা চিকন (Extra Long Slender) (৭.৫ মি.মি. লম্বা) এবং রং সাদা। প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় ১০টি অঞ্চলে ব্রি ধান৫০-এর চেয়ে ব্রি ধান ১০৪-এর ফলন প্রায় ১১.৩৩% বেশি। পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শীর্ষ ছয় স্থানে। এটি ব্রি ধান ৫০-এর চেয়ে ১৭.৯৪% বেশি ফলন দিয়েছে।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৭, ২০২২ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিমের বাম্পার ফলনে খুশি জয়পুরহাটের কৃষকরা!
কৃষি বিভাগ

উত্তরবঙ্গের জেলা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় শিমের চাষ বেড়েছে। এই উপজেলার মাটি শিমসহ সব ধরনের সবজি উৎপাদনের জন্য উপযোগী হওয়ায় দিন দিন সবজির চাষাবাদে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন। এছাড়া শিম চাষে খরচ কম ও বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা শিম চাষে ঝুঁকেছেন।

জানা যায়, আগে কৃষকরা তাদের বাড়ির আশেপাশে ও পরিত্যক্ত জায়গায় শিম গাছ লাগতেন। বর্তমানে কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে জমিতে বাঁশের খুটি ও সুতা দিয়ে মাচা বানিয়ে শিম, লাউ, পটল, করলাসহ আরো অনেক সবজির চাষাবাদ করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সবজি চাষে লাভবান হওয়া যায়। তাই কৃষকরা দিন দিন সবজি চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের চাম্পাতলীর শিম চাষি আবু বক্কর বলেন, আমি প্রথমে করলা চাষ করেছিলাম। করলার চাষের শেষের দিকে ওই একই জায়গায় শিমের বীজ রোপন করেছি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শিমের বাজারদর ভালো। কিছুদিনের মধ্যে শিম তুলে বিক্রি করতে পারবো। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

একই গ্রামের কৃষক উমর আলী বলেন, আমি এবছর ১ বিঘা জমিতে শিমের চাষ করেছি। শিম চাষে আমার ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। শুরুতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পারলেও এখন দাম কিছুটা কম। বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। তাতে মোটামুটি লাভের আশা করছি। তবে আগের আগের দামে বিক্রি করতে পারলে বেশি লাভ হতো।

পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. লুৎফর রহমান বলেন, পাঁচবিবি উপজেলায় রয়েছে প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে আন্তঃফসল হিসেবে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হচ্ছে। কৃষকরা আলুর সঙ্গে ভূট্টা, আলুর সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া, বেগুণের সঙ্গে মরিচ আবার একই সঙ্গে লাল শাক, কলমি, পালং শাক, শিম, পেঁয়াজ ইত্যাদি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বিশেষ করে এই মৌসুমে সবজির মধ্যে শিম চাষে কৃষকরা বেশি লাভবান হতে পারছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৬:১৩ অপরাহ্ন
শেরপুরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
কৃষি বিভাগ

এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় শেরপুর জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। স্বল্প সময়ে চাষ হয়, উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় আমন ধান কাটার পর জমি পতিত না রেখে জমিতে সরিষা উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকেরা। এতে করে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশে তেলের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। এছাড়াও কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধিতে জেলার ৫টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার মোট ২৫০০০ হাজার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষককে সরিষার বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

জেলার শ্রীবরদী ও নকলা উপজেলায় প্রচুর আগাম সরিষার চাষ হয়েছে। সদর উপজেলার চরাঞ্চল গুলোতেও দেখা মেলে একই চিত্র। মাঠের পর মাঠ সরিষা ক্ষেতে হলুদ ফুল এসেছে। যেন হলুদ কাপড়ের চাঁদর বিছানো হয়েছে দিগন্তজুড়ে। তবে যারা দেরিতে বীজ বপন করেছেন সেই সরিষা ক্ষেত গুলোতে কেবল ফুল আসতে শুরু করেছে। সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের ৬নং চর ও ৭ নং চর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে অন্য চিত্র। এখানের অনেক কৃষক শীত কালীন সবজি হিসেবে খাওয়ার জন্য আগাম সরিষা চাষ করেছেন। সেই শাক বিক্রি করে আবার সরিষা উৎপাদনের জন্য নতুন করে বীজ বপন করছেন।

এ বছর জেলার ৫টি উপজেলায় ৮হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আগাম সরিষা চাষ হয়েছে। যার মোট উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২হাজার মেট্রিকটন। হেক্টরপ্রতি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৪ মেট্রিকটন। এছাড়াও জানাযায়, শেরপুরে গত বছর ৮হাজার মেট্রিকটন সরিষা উৎপাদন হয়েছে। এবার প্রায় ৪হাজার মেট্রিকটন উৎপাদন বের্শি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

কামারের চর ইউনিয়নের ৬নং চর গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আমি দেড় বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এর মধ্যে অর্ধেক জমি থেকে সরিষার শাক হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দিয়েছি। বাকিটুকা রেখেছি তেল বানানোর জন্য।

কুড়িকাহনিয়া ইউনিয়নের ইন্দিলপুর গ্রামের কৃষক আমির হোসেন জানান, সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর সরিষার দাম বাড়বে খবর পেয়ে আমরা সবাই বেশি পরিমান জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করি দামও ভালো পাবো। তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, উৎপাদন বাড়লে ব্যাবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে ফেলে। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। আশা করি সরকার বিষয়টা দেখবে।

শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুকল্প দাস জানান, তেলের ঘাটতি পূরণের জন্য দেশে তেল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। তেল ফসলের মধ্যে সরিষা অন্যতম। সরকার আগামী দুই বছরের মধ্যে সয়াবিনের উপর ৪০% চাপ কমাতে এবং সয়াবিন তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা চাষের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আমরা কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ সৃর্ষ্টির জন্য স্বপ্ল মেয়াদী রুপা আমন ধানের চাষ করার পরামর্শ দিয়েছি। যার ফলে কৃষক দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কেটে সরিষা আবাদ করতে পেরেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ ৬:০৪ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে দু’দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে আজ উচ্চ ফলনশীল, রপ্তানিযোগ্য নতুন জাতের আলুর সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিপণন ও রপ্তানি কলা কৌশল শীর্ষক দু’দিনব্যাপী অংশীজন প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

সোমবার(২৬ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ আলু বীজ হিমাগারের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদার করণ প্রকল্প আয়োজিত এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ বিএডিসির উপ-পরিচালক দীপঙ্কর রায়।

প্রথম দিনের প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মহসীন হাওলাদার , বিএডিসির উপ-পরিচালক দীপঙ্কর রায়, সহকারী পরিচালক মো. ইমাম হুসাইন।

এ প্রশিক্ষণে নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার বীজ আলু উৎপাদনকারী কৃষক, বীজ ডিলারসহ সংশ্লিষ্ট ৩০ জন অংশ নিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হযে প্রকল্প পরিচালক মো. আবীর হোসেন অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। মঙ্গলবার বিকালে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
চায়না লেবু চাষে লাখপতি বুলবুল
কৃষি বিভাগ

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সিংগা গ্রামের বুলবুল আহমদ চায়না লেবু চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। এই উপজেলার মাটি অত্যন্ত উর্বর হওয়ায় লেবুর ব্যাপক ফলন হয়েছে। লেবু চাষের পাশাপাশি জমিতে ধান, গরুর খামার, গরুর খাবারের জন্য ঘাস চাষ করছেন।

জানা যায়, বুলবুল আহমেদ নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করেছেন তিনি। গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর চায়না লেবু চাষ শুরু করেন। লেবু চাষের পাশাপাশি জমিতে ধান, গরুর খামার, গরুর খাবারের জন্য ঘাস চাষ করছেন তিনি। তার কৃষি কাজের প্রতি মনোনিবেশ ও সফলতা দেখে অনেকেই কৃষি কাজে উৎসাহি হচ্ছেন।

জানা যায়, উঁচু জমিতে সারিবদ্ধভাবে লেবুগাছ লাগিয়েছেন। জমির চারপাশে জাল দিয়ে ঘেরা রয়েছে। খেতের পাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। বুলবুল নিজেসহ কিষানিরা জমির আগাছা পরিষ্কার ও পরিচর্যা করছেন।

লেবুচাষি বুলবুল বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী আমার প্রায় ৪০ শতক জমিতে চায়না লেবুর চাষ করেছি। প্রায় তিন শতাধিক লেবুগাছে এবছর প্রচুর ফল এসেছে। এক দিন পরপর ১ থেকে দেড় হাজার লেবু তুলে লোহাগড়া বাজারে ৩-৪ হাজার টাকায় বিক্রি করি। এতে মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকার লেবু বিক্রি করতে পারি। আশা করছি এ বছর লেবু বিক্রি করে খরচ বাদে প্রায় ৪ লাখ টাকা লাভ হবে।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানান, এই উপজেলার মাটি লেবু চাষের জন্য অত্যন্ত উর্বর। চায়না লেবুতে রস বেশি হয়। এই গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব কম। কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যায়। আর গাছ যত বড় হবে, গাছে ততবেশি লেবু ধরবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
কুল চাষে আগ্রহ বাড়ছে সাতক্ষীরার যুবকদের!
এগ্রিবিজনেস

সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ। বাণিজ্যিকভাবে কুলের চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় বলে যুবকরা কুল চাষে ঝুঁকছেন। এখানকার জমি ও আবহাওয়া কুল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ফলে কম খরচ ও কম পরিশ্রমে কুলের চাষ করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। দিন দিন এই এলাকায় কুল চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জানা যায়, এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে কুলের চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জেলায় কুলের চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করছে। এখানকার উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়।

কুল চাষি হাবিবুর রহমান জানান, আগের বছরের তুলনায় এ বছর কুলের চাষও বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কুলের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাশাপাশি ফলন বেশ ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এবার বছর পাইকারি হারে ৭০-৮০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দাম ভালো পেলে কৃষকরা লাভবান হবেন ও কুল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

আরেক কুল চাষি পাঞ্জাব আলী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরেই কুল চাষ করে আসছেন তিনি। চলতি মৌসুমেও ৩ বিঘা পরিমাণ জমিতে নারকেল ও আপেল কুল চাষ করেছেন। জমি নিজের হওয়াতে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম। কুল গাছে ভিটামিন স্প্রে, সার ও পোকা দমন ঔষধ ব্যবহারে তিন বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে কুল বিক্রি শুরু করেছেন। তিনি আশা করছেন এবার বেশ লাভবান হবেন।

সাতক্ষীরা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার কুল চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন। কুল চাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা করছেন বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:০১ অপরাহ্ন
মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যু
কৃষি বিভাগ

মেহেরপুরে মৌমাছির কামড়ে হায়দার আলী (৫৩) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হায়দার আলী গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের বাসিন্দা।

আহতরা হলেন, ফজলু (৪০), মাসুম(১৮), হায়াত আলী (৬০) ও মোহাম্মদ আলী (৫৫)। তাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্বাস আলী জানান, সাহারবাটি মাঠের একটি গাছে মৌমাছি বাসা বেঁধেছিল। সেখানে একটি বাজপাখি বার বার হানা দিচ্ছিল। এসময় মৌমাছিরা মাঠে কাজ করা শ্রমিকদের ওপর ধেয়ে আসে। মৌমাছিরদল হায়দার আলীসহ অন্যান্যদের কামড় দেয়।পরে মৌমাছির কামড়ে আহত হয়ে হায়দার আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অন্যান্যদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবীর হাসান জানান, মৌমাছির কামড়ে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যান্যরা এখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক মৌমাছির কামড়ে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:১০ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। এ বছর জেলার ৯টি উপজেলার ৪৫০টি চরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে হলুদের সমারোহ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, সরিষা চাষে কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। এতে খরচ কম। অন্য শস্যের তুলনায় সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন কম হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন সরিষা চাষের দিকে।

পাঁচগাছি ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ‘আমি ৩ বিঘা জমিতে সর্ষের আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ ভালো দেখা যাচ্ছে। সর্ষে ক্ষেতে কোনো প্রকার রোগবালাই না হলে লাভবান হবো।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় গত বছর ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছিল। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় এ বছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করা হচ্ছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর তরুণরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন মধু চাষে
কৃষি বিভাগ

রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ গ্রামের যুবক সুমন আলী। একসময় ছিলেন কাঠমিস্ত্রী। এরপর ২০১৩ সাল থেকে সরিষা ক্ষেতে মধুচাষ করছেন। সরিষার মাঝে মৌমাছির সাহায্যে মধুচাষ করেই সুমন এখন সাবলম্বী। মধুচাষ করেই নিজের বাড়িটিও পাকা করেছেন। এবারও আশা করছেন আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রির।

মধুচাষি সুমন জানান, রাজশাহীর বিসিক এলাকা থেকে মধু সংগ্রহরে বক্স তৈরি করে আনেন। এরপর মধু সংগ্রহের ট্রেনিং নিয়ে চাষ করা শুরু করেন। এবারও ৫০টির বেশি বক্স বসিয়েছেন। গড়ে প্রতি সপ্তাহে তিনি আড়াই মন মধু সংগ্রহ করছেন।

সুমন বলেন, আমাদের এখনকার উৎপাদিত মধুগুলো ২১ থেকে সাড়ে ২২ গ্রেডের হওয়ায় স্থানীয় ও মার্কেটে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের সব খরচ বাদ দিয়ে গড়ে প্রতি মৌসুমে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার মধু বিক্রি হয়।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের উত্তরপাড়ায় মৌচাষ করছেন মোঃ মমিন, নারায়ণ মন্ডল, হৃদয় মন্ডল, রুবেল, আলিম। মৌচাষি মোঃ মমিন বলেন, নাটোর এলাকা থেকে রানি মৌমাছি সংগ্রহ করে এবার ২০টি বক্সে মধু চাষ করছি। প্রতিটি বক্সে ৫টি করে চাক আছে। এগুলো থেকেই গতবার ভালো আয় হয়েছে। এবারও ভালো লাভের আশা করছেন তারা।

মমিন বা সুমনই নয়, রাজশাহীতে এখন অন্তত ৫০জন তরুণ মধুচাষি মধু চাষ করছে। কম খরচে মধু উৎপাদন করে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। এতে করে ভাগ্য বদল ও সাবলম্বী হচ্ছেন বেকার তরুণরা। একদিকে বাণিজ্যিক এই মধু আহরণে মৌ চাষিরা যেমন লাভবান হচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ছে সরিষা উৎপাদন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, রাজশাহীতে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর। সেখানে রাজশাহী জেলাতে সরিষা চাষ হয়েছে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে ৬৭ হাজার ৫০০ মেট্রিটন সরিষা উৎপান হতে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। রাজশাহীতে এবার প্রথমিক পর্যায়ে ৩ হাজার ৪০২টি মধু চাষের বক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বক্স থেকে ৪০ হাজার ৮০০ কেজি মধু উৎপাদন হতে পারে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ২৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়েছে। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার মৌ চাষি এসে মধু সংগ্রহ করছেন। এদিকে মৌ চাষ শুরু হওয়ার পর সরিষার ফলন বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ মণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ৭:৫৪ অপরাহ্ন
বরগুনায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
কৃষি বিভাগ

জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সূর্যমুখী ফুলের আবাদ ও উৎপাদনের দিক থেকে বরগুনা জেলা দেশে অন্যতম।

এছাড়াও জেলার ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে প্রণোদনা হিসেবে।

বরগুনা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এ ছাড়া জেলার ছয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ডাল ও তেল জাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৩৯ হাজার ১০০ কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এসব ফসলের মধ্যে ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, বোরো ধান, বোরো হাইব্রিড, মুগডাল ও খেসারি ডাল রয়েছে।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম জানান, এবার চাষিরা গত বছরের তুলনায় হঠাৎ করে সূর্যমুখীর চাষে ঝুঁকছেন। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এবার সূর্যমুখী বীজের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এবার কৃষি বিভাগ চাষিদের সূর্যমুখী বীজ প্রণোদনা দিয়েছে। এতে ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। আর কৃষক পর্যায়েও কিছু বীজ মজুদ আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতি বছর ২৮ হাজার কোটি টাকার সয়াবিন তেল আমদানি হয়। তেলের আমদানি কমাতে সরকার এর চাষ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তাতে করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। সূর্যমুখীর গাছ জ্বালানির কাজেও ব্যবহার হয়। আগামীতে এর চাষ আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

কৃষিবিদ বদরুল আলম জানিয়েছেন, সূর্যমুখী তেলে আছে মানবদেহের জন্য উপকারী ওমেগা ৯ ও ওমেগা ৬ ও ফলিক অ্যাসিড। শতকরা ১০০ ভাগ উপকারী ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ও পানিসহ এ তেল ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলমুক্ত। এ ছাড়া ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, মিনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যুক্ত এ তেল হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop