৭:৪১ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২২ ১:৩১ অপরাহ্ন
উজানের ঢলে মাদারীপুরে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি
কৃষি বিভাগ

উজানের ঢলে পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী চরাঞ্চলের শত শত বিঘা জমির ধানক্ষেত প্লাবিত হয়েছে।

কয়েকদিন ধরে পদ্মায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি, বন্দরখোলা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েকশ’ বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে।

একদিকে, ঋণের বোঝা; অন্যদিকে, তলিয়ে যাওয়া ফসল ঘরে তুলতে মজুরি পরিশোধের জন্য নেই পকেটে টাকা। ফলে নিজেরা মিলে যে যতটুকু পারছেন, পানির মধ্য থেকে পাকা ও আধপাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। যদিও এরই মধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে, বলছেন তাঁরা।

কৃষি বিভাগ থেকে এসকল এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের মতে ১ হাজার ৫ শ বিঘা ধান তলিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও কৃষকদের দাবী আরও অনেক বেশি।

এক কৃষক জানান, তিনি দশ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ছয় বিঘা জমির ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। আর সবই তলিয়ে আছে পানির মধ্যে। টাকা নেই। তাই সেগুলো কাটারও লোক নেই। শেষ পর্যন্ত হয় তো পানিতেই পচে যাবে আধা পাকা সে সব ধান।

শিবচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ শ বিঘার ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষকরা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলছেন। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামীতে তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২২ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
কানাইঘাটে কৃষি অফিসের উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

মোঃ আবুল হারিসঃ সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের চাতল হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সাতবাঁক ইউনিয়ন এর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃআবুল হারিছ এর পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাতবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাইয়িব শামিম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোশাররফ হোসেন খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান,মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ফরহাদ মিয়া,উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ এমদাদুল হক ও ৩ নং দিঘির পার পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী মুহিন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা চিন্ময় কুমার চন্দ,নজরুল ইসলাম,আজাদ মিয়া,আরজু মিয়া,কৃষক প্রতিনিধি হাজি আব্দুল মন্নান, হুমায়ুন কবির সুহেব,ইজ্জাদুর রহমান সহ প্রায় ৫০ জন কৃষক।

পরে অতিথি বৃন্দ ৩ নং দিঘির পার ইউনিয়নের ধনমাইর মাটি গ্রামে অনুরূপ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২২ ৪:৩০ অপরাহ্ন
পদ্মার পাড়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জাপানি মিষ্টি আলুর চাষ
কৃষি বিভাগ

বৈচিত্র্যময় ফসলের ভান্ডার খ্যাত শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় চাষ হচ্ছে রপ্তানিযোগ্য নতুন জাতের জাপানি মিষ্টি আলুর। নতুন এই জাতের মিষ্টি আলুর ফলন অনেক বেশি, এছাড়া আকারে বড়, খেতেও সুস্বাদু।

জাজিরার পদ্মা নদীর তীরবর্তী পালেরচর, কুন্ডেরচর, পূর্বনাওডোবা ও নাওডোবা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে বর্তমানে দেখা মিলছে ওকিয়ানা, কোকেই১৪ এবং মুরাসাকি নামের মিষ্টি আলুর প্রদর্শনী। কিছুদিন পরেই খেত থেকে তোলা হবে এসব আলু।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নতুন জাতের আলুর চাষ শুরু হয়েছে। এগুলো জাপানে রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

পুষ্টি মানে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ফাইবার রয়েছে। মিষ্টি আলু সাধারণত সাদা ও লাল চামড়ার হয়ে থাকে।

এর মধ্যে রঙিন আবরণের মিষ্টি আলুর পুষ্টি মানে অপেক্ষাকৃত বেশি। একটি মাঝারি মানের আলুতে আছে ১০০ ক্যালরি শক্তি , ২ গ্রাম প্রোটিন, ২২ গ্রাম শ্বেতসার, ৩ গ্রাম আঁশ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে জাজিরাতে পরীক্ষামূলক ভাবে ৩০০ শতাংশ জমিতে নতুন জাতের আলুর চাষ শুরু হয়েছে। প্রথম চাষাবাদেই সফলতা পাওয়া গেছে। এগুলো জাপানে রফতানির উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

পালের চর ইউনিয়নের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাগো দ্যাশে তো আগে এই কালারের মিষ্টি আলু দে নাই। তয় কৃষি অফিস থেকে এই মিষ্টি আলু দিছি। আশাবাদী ভালো ফল পামু। আমাগো দেইখা এলাকায় অনেক কৃষক ভিনদেশি এই আলু চাষ করতে চাইতাছে।’

জাজিরা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘মিষ্টি আলু অত্যন্ত পুষ্টি মান সমৃদ্ধ একটি কন্দাল ফসল। কিন্তু আমাদের দেশে এটি খাওয়ার খুব বেশি প্রচলন নেই। কৃষকদের উপকরণ, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার পাশাপাশি মাঠ প্রদর্শনী এবং কৃষকদের সচেতন করতে মাঠ দিবস করা হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক যে অর্থনৈতিক কর্ম চাঞ্চল্য শুরু হবে এতে নতুন সংযোজন হতে পারে আমাদের এই মুরাসাকি, ওকিয়ানা এবং কোকেই ১৪ জাতের মিষ্টি আলু। ফলে একদিকে কৃষক লাভবান হবেন, অন্য দিকে খাদ্যতালিকায় এর অন্তর্ভুক্ত আমাদের পুষ্টি মান বাড়াতে সহায়তা করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২২ ২:২২ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে গাছ থেকে ফল না আসায় বিপাকে তরমুজ চাষীরা
কৃষি বিভাগ

মৌসুমী ফল তরমুজের চাষ করে বিপাকে পড়েছেন ফরিদপুরের চাষিরা। বীজ থেকে ভালো গাছ হলেও গাছে কোনো ফল ধরেনি। ফলে আবাদের পুরো অর্থই লোকসান তাদের। চাষিদের দাবি, খারাপ বীজ দেয়ার কারণেই এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

চাষীরা জানান, ডিলারের কাছ থেকে বীজ নেয়ার সময় কথা ছিল ৬০ দিনে ফলন আসবে। কিন্তু ৩ মাস পার হলেও গাছে কোনো ফল না আসায় এখন জমি থেকে গাছ তুলে ফেলছেন তারা।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চাষি মো. তুহিন বলেন, লাভের আশায় তিন একর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছিলাম। তরমুজ গাছ হলেও কোনো ফল আসেনি তার জমিতে। এখন দেনা শোধ করব কীভাবে সেই চিন্তায় আছি। একই এলাকার চাষি কামাল মোল্যা, শহীদ মোল্যা, মোশাররফ মোল্যাসহ অন্যান্য তরমুজ চাষিরও একই অবস্থা।

তারা জানান, প্রতি বিঘা তরমুজ চাষ করতে তাদের খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা ধার করে তারা তরমুজ আবাদ করেছেন। কিন্তু এখন দেনা শোধ তো দূরে থাক, পরবর্তী ফসল আবাদের জন্য কোনো টাকাই তাদের হাতে নেই।

দত্ত বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী তাপস কুমার দত্ত জানান, কোম্পানি যেভাবে প্যাকেট করে পাঠিয়েছে আমরা সেভাবে বিক্রি করেছি। আমরা তো আর ভাল মন্দ জানি না। তবে ঘটনাটি তিনি কোম্পানিকে জানিয়েছেন বলে জানান।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হযরত আলী জানান, কৃষি বিভাগ খোঁজ খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের কিভাবে সাহায্য করা যায় তা দেখবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২২ ২:৫০ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন, তবুও লোকসানে কৃষক
এগ্রিবিজনেস

কুষ্টিয়ায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ মণ। এখন মাঠে মাঠে সেই পেঁয়াজ তোলার ধুম পড়েছে। কিন্তু ভাল ফলন নিয়েও হাসি নেই কৃষকের মুখে। কারন, বাজার হঠাৎ করেই নিম্নমুখী । এতে লোকসানে পড়েছে জেলার পোঁয়াজ চাষীরা। একদিকে বাম্পার ফলন ও অন্যদিকে বিদেশ থেকে আমদানির ফলে পেঁয়াজের দাম নেমে এসেছে ১৫ থেকে ১৭ টাকা কেজি দরে।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। জেলায় এবার ১৩ হাজার ৭শ ৩৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি।

কৃষকেরা জানান, গত বছরের চেয়ে কম দামে পেঁয়াজের বীজ ক্রয়, চারার মূল্য কম, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা এবার ব্যাপকহারে পেঁয়াজ রোপন করছেন।

কৃষকেরা আরও জানান, যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে তাতে করে পেঁয়াজের মূল্য বাজারে কম হওয়ায় তারা লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বেশি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছে কৃষকরা। তাই তাদের দাবি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করার। তা না হলে লোকসান আরো বেড়ে যাবে।

এদিকে বিদেশ থেকে আমদানির ফলে চাষিদের পাশাপাশি পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন চরম লোকসানে।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক বিষ্ণুপদ সাহা জানান, এবার প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। পেঁয়াজের বাম্পার ফলনও হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে তিনি কৃষকদের বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরামর্শ দেন। সেক্ষেত্রে তারা একটি সময় ভালো দাম পেতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২২ ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: খাদ্যমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ধানক্ষেত পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, এবার আমরা আশা করেছিলাম গত বছরের চেয়ে ফলন কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় ৭০-৮০ ভাগ ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার ফলে যেগুলো ধান অপুষ্ট আছে সেগুলো ধান থেকে ফলন পাওয়া যাবে না। তাই এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের আউশ ধান চাষের উপর জোড় দেওয়ার আহবান জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন,ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনে কৃষি বিভাগ ও খাদ্য বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন এলাকায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে ও হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ধান কি পরিমাণ হারভেস্টার করা যাবে এই রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেওয়ার জন্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রাজশাহী জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারি, নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২২ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
বশেমুরকৃবির উদ্ভাবিত সয়াবিনের নতুন দু’টি জাতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা
কৃষি বিভাগ

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগ উদ্ভাবিত সয়াবিনের দুটি জাত (বিইউ সয়াবিন-১ ও বিইউ সয়াবিন-২) নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের কৃষকের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

রাজকীয় নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় সলিডারিডাড নেটওয়ার্কের সহায়তায় এই দুটি জাতকে বিনা ও বারী কর্তৃক উদ্ভাবিত অপর তিনটি জাতের সঙ্গে চাষ করা হয়। সলিডারিডাড উল্লেখিত জেলার ৩৫ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য কারিগরি সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

বশেমুরকৃবি উদ্ভাবিত সয়াবিনের জাত দুটি (বিইউ সয়াবিন-১ ও বিইউ সয়াবিন-২) বিনা ও বারী জাতের চেয়ে অধিক ফলনশীল, জীবনকাল কম, খাদ্যমান (প্রোটিন ও তেল) বেশি ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু। বশেমুরকৃবি’র উদ্ভাবিত সয়াবিনের এ জাত দু’টি ইতোমধ্যে দেশের নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার শত শত কৃষকের মাঠে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

বশেমুরকৃবির জনসংযোগ বিভাগের উপ রেজিস্ট্রার মো. মজনু মিয়া জানান, চলতি বছর উল্লেখিত জেলাসমূহে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ব্যাপকভাবে উন্নত সয়াবিন চাষাবাদ করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াসউদ্দীন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন গবেষণার পর সয়াবিনের এ দুটি জাত উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। গত রবিবার ও সোমবার তিনি নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে সয়াবিনের মাঠগুলো ঘুরে দেখেছেন। এ সময় তারা মাঠ দিবসের মতবিনিময় সভায়ও অংশগ্রহণ করেন। সভায় কৃষকের অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ও সমস্যা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

তিনি জানান, চলতি বছর ওই এলাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে এ জাতের সয়াবিন চাষাবাদ করা হচ্ছে। শুধু সয়াবিন নয়, বশেমুরকৃবি উদ্ভাবিত অন্যান্য ফসল (সবজি, ফল, ধান) ওই এলাকার কৃষকের মাঠে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সলিডারিডাড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও অন্যান্য সংশ্নিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ করেছেন।

উপাচার্য আরো বলেন, আগামী দিনে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় সয়াবিনের উন্নত জাতগুলো উপকূলীয় অঞ্চলে এক লাখ চাষির মধ্যে সম্প্রসারণ করবে, যা প্রতি বছর দুই লাখ মে. টন সয়াবিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২২ ২:৫৫ অপরাহ্ন
বাঙ্গির দাম পেয়ে খুশি নাটোরের চাষীরা
কৃষি বিভাগ

নাটোরের রমজান মাস লক্ষ্য করে বাঙ্গি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন নাটোরের চাষীরা। পানির ঘাটতি পূরণে ইফতারের উপাদান হিসেবে বেশী চাহিদা বাঙ্গীর। ফলে ভালো দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ভালো মানের বাঙ্গি উৎপাদন করতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

খরা ও গরম আবহাওয়ায় রসালো ফল বাঙ্গীর বাড়তি চাহিদা থাকে বাজারে। আর রোজা এলে এর চাহিদা বেড়ে যায়। ইফতারে রোজাদারের পানির ঘাটতি পূরণ করে বাঙ্গী। গেলো কয়েক বছর ধরে ফলটি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন নাটোরের কৃষকরা। এবছরও সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ও বড়াইগ্রামের ভবানীপুর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাঙ্গীর ব্যাপক ফলন হয়েছে। রোজার শুরু থেকেই বাঙ্গী বাজারে বিক্রি করছেন কৃষকরা। ভাল দাম পাওয়ায় খুশি তারা।

কৃষকেরা বলেন,  রমজান মাসে রোজাদারদের কাছে বাঙ্গি একটি জনপ্রিয় খাবার। এ মাসে বাঙ্গির চাহিদা বেড়ে যায়। দামও ভালো পাওয়া যায়।  আগামী সাতদিনের মধ্যে পুরোপুরি বাঙ্গি বাজারে উঠবে। তখন দাম কিছুটা কম হবে। এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত বাঙ্গি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।

গতবছর নাটোরে ৮৬৮ হেক্টর জমিতে বাঙ্গী চাষ করে ২২ হাজার ১৩৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়। এবার ১১শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে রসালো এই ফলের চাষ করেছেন কৃষকরা।

নাটোর সদর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, ন্যায্য দাম পাওয়ায় বাঙ্গী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। আর সাথী ফসল হিসেবে আবাদের সুযোগ থাকায়, অনেকের বাড়তি আয় হচ্ছে। এতে সব ধরণের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২২ ১:৩৫ অপরাহ্ন
বরিশাল মেট্টোপলিটন এলাকায় কৃষকের মাঝে আউশ প্রণোদনা বিতরণ
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরিশাল মেট্টোপলিটন এলাকায় কৃষকের মাঝে আউশের প্রণোদনা বিতরণ  করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল নগরীর খামারবাড়িতে মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসের উদ্যোগে এই বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হারুন-অর-রশীদ।

বরিশাল সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার  সোমা রাণী দাস।

প্রধান অতিথি বলেন, আউশ চাষে খরচ কম। তাই লাভজনক। বরিশাল অঞ্চলে আউশ আবাদ বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ আছে।  সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। পতিত জমিতে আউশ আবাদে মনোযোগী হতে তিনি কৃষকদের আহবান জানান।

মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার সোমা রাণী দাস জানান, তার এলাকায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১শ’জন কৃষককের প্রত্যেককে ১ বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে ৫ কেজি হারে ব্রি ধান৪৮’র বীজ বিতরণ করা হয়। সে সাথে ২০ কেজি করে ডিএপি এবং এমওপি সার দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, আউশ ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে  চলতি খরিফ-১ মৌসুমে এই প্রণোদনা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২০, ২০২২ ৮:২২ অপরাহ্ন
বরগুনার আমতলীতে সূর্যমুখী বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বরগুনায় সূর্যমুখীর ফলনে সারের প্রভাব এবং বীজ মাড়াই কাজে যন্ত্রের ব্যবহার বিষয়ক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ জেলার আমতলী উপজেলার নীলগঞ্জে বিএআরআই’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পটুয়াখালীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাইনুল ইসলাম এবং কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক।

স্থানীয় কৃষক আব্দুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রদর্শনীচাষি জাকির মুসুল্লি, নিজাম হাওলাদার, কিষাণী আয়েশা বেগম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, সূর্যমুখীর আশানুরূপ ফলনের জন্য সুষমসার ব্যবহার জরুরি। তাই হেক্টরপ্রতি ২ শ’৩০ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হবে। অন্যান্য সারের মধ্যে ২ শ’ কেজি টিএসপি, ১ শ’ ৮০ কেজি এমওপি, ১ শ’ ৬০ কেজি জিপসাম এবং বোরন প্রয়োজন ১০ কেজি হারে। সেই সাথে দরকার সময়মত পরিচর্যার।

তিনি আরো বলেন, সূর্যমুখীর বীজ হাতে মাড়াই করা কষ্টকর। তবে যন্ত্রের সাহোয্যেও মাড়াই করা যায়। একটি যন্ত্র ১৫ জনে কাজ করতে সক্ষম।

মাঠ দিবসে অর্ধশতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop