১১:৪৮ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২২ ৩:৫৮ অপরাহ্ন
টানা বৃষ্টিতে জমিতে গম পঁচে চারাগাছ, বিপাকে কৃষক
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে টানা ২ সপ্তাহের বৃষ্টির কারনে জমিতেই গম পচে আবার সেই গম থেকে চারাগাছ বের হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। গম চাষে করে লাভতো দুরের কথা খরচের টাকা তুলতে না পারায় দুঃচিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৯৫ হেক্টর বেশি জমিতে অর্থাৎ ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছিল স্বপ্ন পূরণের হাসি।

কিন্তু ২ সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টির কারনে কৃষকরা গম কাটতে নাপারায় ক্ষেতেই গম থেকে চারাগাছ উৎপন্ন হওয়ায় চাষিরা বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সন্মুক্ষিন হয়েছেন।

উপজেলার চরভ‚রুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল জলিল জানান, তিনি প্রায় সাড়ে ৮ বিঘা জমিতে গম চাষ করেছেন। এরমধ্যে ২বিঘা জমির গম কেটেছেন। ২ বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৩৬ মণ গম। লাগাতার বৃষ্টির কারণে অবশিষ্ট জমির গম কাটতে নাপারায় জমিতেই গমের চারা গজিয়েছে এবং যে সমস্ত গমের চারা গজায়নি সেগুলো পচে গেছে।

তিনি বলেন, সার, পানি ও বীজ বাকীতে নেয়া হয়েছে। গম বিক্রি করে বাকী পরিশোধ করার কথা থাকলেও এখন তিনি দেনা পরিশোধ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন। একই গ্রামের জাহেদুল আলম জানান, তিনি গম কেটে ক্ষেতে শুকানোর জন্য আটি বেধে রেখে ছিলেন। অতিবৃষ্টির কারনে গমের আটি থেকে চারাগাছ বের হওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন। ইসলামপুর গ্রামের মিজান শিকদার, বাবুল হোসেন, দক্ষিন তিলাই গ্রামের আব্দুর রহমান, আকবর আলী সহ অনেক কৃষকের একই অবস্থা। তারা জানান, এইউনিয়নে প্রায় শতাধিক কৃষকের জমির গম নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা দুঃচিন্তায় পড়েছেন।

গমের পাইকারি ব্যবসায়ী আজম আলী ও আব্দুর রহমান জানান, প্রতিমণ গম ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা দরে প্রায় দেড় হাজার মণ কাচা গম কিনে গোডাউনে রাখা আছে। গত ২ সপ্তাহের লাগাতার বৃষ্টিতে গম গুলো রোদে শুকাতে না পারায় গম জমাট বেধে পোকা ধরেছে। কিছু গম পচে গেছে। এতে লাভ তো দ‚রের কথা আসল তুলতে পারবো কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলার বেশিরভাগ গম কাটা হয়েছে। কিছু গম কাটতে বিলম্ব হওয়ায় বৃষ্টির কারণে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

 

 

সূত্রঃ মানবকণ্ঠ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৩, ২০২২ ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
লাল ও মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়
কৃষি বিভাগ

মিষ্টি তরমুজ কিভাবে চিনব? এই প্রশ্ন এখন খুবই কমন কারণ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। এই গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা তরমুজের রস দূর করতে পারে ক্লান্তি। তরমুজ শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। শরীরে এনার্জি তৈরি করে দেয়। গরমে এই ফলটির চাহিদাও তেমনই থাকে। তরমুজে ২১ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৮ শতাংশ ভিটামিন এ, ৫ শতাংশ পটাশিয়াম, ৪ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩ শতাংশ ভিটামিন বি১, বি৫ এবং বি৬ আছে। ত্বক ও চুল প্রাকৃতিভাবে সুন্দর রাখে তরমুজে থাকা ভিটামিন এ ও সি। এর অ্যা‌ন্টিঅ‌ক্সি‌ডেন্ট ক্যান্সার প্র‌তি‌রোধী ও  তারুণ্য ধ‌রে রাখ‌তে খুবই  কার্যকরী।

তবে তরমুজ কিনতে গিয়ে ঠকে যাবেন না আবার! অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে ভালো মনে হলেও কাটার পর দেখা যায় তরমুজ ফ্যাকাশে, খেতেও পানসে।

জেনে নিন কীভাবে চিনবেন লাল এবং মিষ্টি তরমুজঃ

১: তরমুজের মাথার দিক খেয়াল করুন। যদি দেখেন হলুদ রঙ ধরেছে, তাহলে তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা।

২: তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন। যদি ভিতরটা ফাঁপা মনে হয় তাহলে বুঝবেন তরমুজ এখনও কাঁচা রয়েছে। পাকা তরমুজে প্রচুর রস থাকে। ফলে তরমুজ ভারি হয়।

৩: তরমুজের গায়ে টোকা দিন। অতিরিক্ত ভারি আওয়াজ (ঠন ঠন অাওয়াজ) হলে বুঝবেন তরমুজ বেশি পেকে গেছে।

৪ঃ তরমুজের আকৃতি খেয়াল করুন। যদি তরমুজ পুরো সমান হয়, তাহলে বুঝবেন পাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৫ঃবাইরের উজ্জ্বল রঙ দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ়, কালচে হয় দেখতে। চকচ‌কে উজ্জল রং হ‌লে সে‌টি কাঁচা তরমুজ।

৬ঃ খুব বড় বা খুব ছোট তরমুজ না কিনে মাঝারি আকারের তরমুজ কেনাই ভালো।

সতর্কতা: রাস্তার মোড়ে মোড়ে বা বাজারে খোলা অবস্থায় রাখা কাটা তরমুজ খাবেন না। তরমুজ কেটে ফ্রিজে ভরে রাখবেন না। এতে খাদ্য উপাদান কমে যায়। যেকোন ফল কেটে খোলা অবস্থায় রাখবেন না। এতে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজে শাঁস অধিক লাল করার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম রং ভিতরে প্রবেশ করিয়ে থাকে এমন তরমুজ কিনবেন না খাবেন না। তরমুজ কাটার পর শাঁস হাতে লাগলে কিছু রং হাতে লাগে এ তরমুজটি খাবেন না।

কতটুকু খাবেনঃ তরমুজের এত গুণ থাকা সত্ত্বেও একবারে খুব বেশি তরমুজ খাওয়া ঠিক নয়। গবেষক ও পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ ক্যালরি থাকে। এ ছাড়া প্রতি ১০০ গ্রামে ৩.৩ গ্রাম চিনি থাকে। তরমুজে যেহেতু পানির পরিমাণ বেশি, তাই ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খাওয়া অনেকের কাছে সহজ মনে হতে পারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১২, ২০২২ ৮:৩৭ অপরাহ্ন
ভোলায় পেঁয়াজের খামারে কৃষিমন্ত্রীর পরিদর্শন
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিকঃ ভোলায় পেঁয়াজের খামার পরিদর্শন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি.। আজ তিনি সদর উপজেলার চর মনশায় ১৪ একরের একটি পেঁয়াজের ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এ সময় কৃষকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ মসলা ফসল। আমাদের দেশে বছরে এর চাহিদা ৩৩ লাখ টন। উৎপাদন ২২-২৩ টন। বাকিটা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এজন্য কোনো কোনো সময় এর দাম বেড়ে যায়। আমরা চাই বাংলাদেশকে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।যেহেতু ভোলায়ও ভালো পেঁয়াজ হয়। তাই এখানে এর আবাদ বাড়ানো দরকার। সেই সাথে অন্যান্য ফসলও আবাদ করতে হবে। তাহলে ভোলায় কৃষিতে বিপ্লব হবে।

এসময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন কৃষি সচিব মো.সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, ডিএইর পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক তৌফিক ই-লাহি চৌধুরী, ডিএই ভোলোর উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী জেলা পরিষদ সম্মেলনক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কর্মকর্তা ও কৃষকের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১২, ২০২২ ৬:০২ অপরাহ্ন
ভোলায় সূর্যমুখীর গ্রামপ্রদর্শনী পরিদর্শন করলেন কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ভোলা সদরে সূর্যমুখীর গ্রামপ্রদর্শনী পরিদর্শন করলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এম.পি.। রবিবার (১০ এপ্রিল) সদর উপজেলার কন্দ্রকপুর গ্রামে উপজেলা কৃষি অফিস এবং তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, পেঁয়াজ, সয়াবিন, সূর্যমুখীসহ অন্যান্য ফসল দেখলাম। খুবই ভালো লাগল। এখানকার কৃষিকে আরো উন্নত করতে চাই, যাতে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হয়। আর তা বাস্তবায়ন হলে কৃষকের নেতৃত্বেই ভোলার চেহারা পরিবর্তন হয়ে যাবে।

কৃষকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী বছর আপনাদের জন্য সূর্যমুখীর মাড়াই যন্ত্রের ব্যবস্থা করা হবে। তখন সূর্যমুখী হতে তেল ভাঙ্গানোর আর কোনো অসুবিধা থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিএইর পরিচালক (প্রশিক্ষণ উইং) মো. তাওফিকুল আলম, জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহি চৌধুরী, আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, ডিএই ভোলার উপপরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির, প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সদরের উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, প্রদর্শনীচাষি ইস্কান্দার আলী মিজি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে গণ্যমান্য ব্যাক্তিসহ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১২, ২০২২ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
সারের ভর্তুকিতে লাগছে ৩০ হাজার কোটি টাকা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

এবছর দেশে সারের ভর্তুকিতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা এবং ইতোমধ্যে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

এসময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, কৃষিসচিব সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলাইকৃষ্ণ হাজরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে সারের ভর্তুকিতে এ বছর ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার কোটি টাকা, যা গতবছরের তুলনায় চার গুণের বেশি। বিগত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকিতে লেগেছিল ০৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা ও যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বলেছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম মার্চ মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বিশ্বে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা আরও বেড়েছে। কানাডার মতো উন্নত দেশ যারা খাদ্য রপ্তানি করে সেখানে মানুষ লাইনে ধরে রুটির প্যাকেট কিনছে। একজনকে ২ প্যাকেটের বেশি রুটি ও ৫ লিটারের বেশি ভোজ্যতেল দিচ্ছে না। পরিবারের সবাই ছেলে-মেয়ে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রুটি-তেল কিনছে।

এ অবস্থায়, দেশে কৃষির উৎপাদন ও ফলন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনক্রমেই খাদ্যের জন্য বিদেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। খাদ্য নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেলক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

ড. রাজ্জাক আরও বলেন, বছরে সারে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া সারা বিশ্বের বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোন দেশে এতো ভর্তুকি দেয়ার উদাহরণ নেই। ভর্তুকি কমাতে বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপও রয়েছে। কিন্তু কৃষকদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকের স্বার্থে ও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থার আপত্তি উপেক্ষা করে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সারের দাম তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষক পর্যায়ে সারের মূল্য বৃদ্ধি করে নি। অব্যাহতভাবে ভর্তুকি দিয়ে সুলভমূল্যে সার সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনের ধারা বজায় রেখেছে।

বর্তমানে সারের মজুদ ও চাহিদা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে দেশে সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। সারের কোন সংকট নেই।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি’র শাসন আমলে সারসহ কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও কৃষকেরা সার পায় নি। সারের জন্য কৃষকদের জীবন দিতে হয়েছিল। সারের জন্য বিএনপি সরকার ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। বিপরীতে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সারের উৎপাদন ও আমদানি অব্যাহত রেখেছে। গত ১৩ বছরে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের কোন সংকট হয়নি।

এর আগে সভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য মোট রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৬৭ লাখ টন। এর মধ্যে ইউরিয়া ২৬ লাখ টন, টিএসপি ৭ লাখ টন, ডিএপি ১৫ লাখ টন, এমওপি সাড়ে ৭ লাখ টন, জিপসাম সাড়ে ৫ লাখ টন, জিংক সালফেট ১ লাখ ৪১ হাজার টন এবং বাকীগুলো জিপসাম, বোরন প্রভৃতি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১২, ২০২২ ১২:২৮ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীতে বিলীন কৃষকের স্বপ্ন
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামে অসময়ের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের কাঙ্খিত ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। আর কদিন পরেই যে ফসল ঘরে তুলে ঋণের বোঝা কমাতে চেয়েছিল, সেই ফসল হারিয়ে এখন দিশেহারা কৃষকেরা।

কৃষকেরা জানালেন, আবার বৃষ্টি হলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বলছে, আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের কৃষকদের তালিকা করছি।

এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলার ৫ উপজেলায় ২৭৩ হেক্টর বোরো ধান, পেঁয়াজ, তরমুজ, পাট, ভুট্টা, চীনাবাদাম, শাক-সবজির ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে বলে জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

তিস্তার নিচু চরে লাগানো চাষিদের বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে এখন পচা গন্ধ ছড়িয়েছে। এবারে চাষিরা বাদাম, পিঁয়াজ, পটল, ঝিঙা, মরিচ, করলা, শসা, চিচিঙ্গা, কালজিরা, ধনিয়া, পালং শাকের বীজ, মিষ্টি কুমড়া, বোরোধানসহ বিভিন্ন ফসল লাগিয়েছিল। চৈত্র মাসের এই অসময়ের বৃষ্টিতে এখন হাঁটু পানির নীচে সেগুলো অবস্থান করছে। ধার-দেনা আর ঋণ করে সার, কীটনাশক, ওষুধ, বীজ কিনে লাখ-লাখ টাকা খরচ করে এখন কৃষকের কাটছে নির্ঘুম রাত।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রশিদ জানান, প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করে আড়াই একর জমিতে পিঁয়াজ আবাদ করেছি। মাত্র ৮ মণ পিঁয়াজ তুলতে পেরেছি। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সব তলিয়ে গেছে। এখন আমার আসল টাকাই উঠল না।

কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, বন্যায় শুধু ফসলের ক্ষতি করেনি। আমার দেড় একর বোরোধানি জমি তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন বাড়িও ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। এখন যাই কই, আর খাইবা কী!

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ জানান, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রস্তুত করা শুরু হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত বেশি হলে ক্ষতির সম্ভাবনা আরো বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আউশ মৌসুমে সরকারি প্রণোদনায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১১, ২০২২ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ভোলার লবণাক্ত জমিতে ধান, ভু্ট্টা, তেলফসল, ফলমূল আবাদের অপার সম্ভাবনা: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

ভোলার লবণাক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে ব্রি ধান 67, বিনা ধান 10। ভু্ট্রা, মুগ, সয়াবিন, সূর্যমুখী, শশার আবাদ দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া, পেঁয়াজ, বার্লি, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি ফসল চাষ খুবই সম্ভাবনাময়। সরকারের প্রণোদনা পুনর্বাসন র্কাযক্রমের ফলে এসবের আবাদ দিন দিন বাড়ছে।

এসব ফসলের আবাদ ও সম্ভাবনা সরেজমিনে দেখতে রবিবার ( ১০ এপ্রিল) ভোলার সদর উপজেলার চর মনশা গ্রামে সমন্বিত ফল বাগান, বারোমাসি আম, সূর্যমুখী, চিনাবাদমসহতেল জাতীয় ফসল ও পেঁয়াজের মাঠ পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

মন্ত্রী বলেন, ভোলার মাটি উর্বর। এখানে আমাদের বিজ্ঞানীরা ধান, পেঁয়াজ, ঢেড়স, বেগুন, আম, লিচুসহ বেশ কিছু ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। এসব জাতের ফলন বেশি। এসব ফসল যদি সফলভাবে ফলানো যায়, তবে কৃষক লাভবান হবেন। কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়বে, পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে না।

মাঠে কর্মরত কিছু কৃষি শ্রমিকের সাথে মতবিনিময় করেন এসময় কৃষিমন্ত্রী। তাদের কাছে মজুরি, চালের দাম ও কোন অভাব আছে কিনা জানতে চান মন্ত্রী। শ্রমিকেরা জানান, তারা সকাল ০৭টা থেকে বিকাল ৬ পর্যন্ত কাজ করে দিনে ৫০০-৫৫০ টাকা মজুরি পান, মোটা চালের দাম ৪০-৪৫ টাকা আর খাদ্যের কোন অভাব নেই।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আগে এক দিনের মজুরি দিয়ে শ্রমিকেরা ২-৩ কেজি চাল কিনতে পারতো, আর এখন কিনতে পারে কমপক্ষে ১০ কেজি চাল। করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে খাদ্যপণ্যের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাবে দেশে কিছুকিছু নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই, কোনো মানুষ না খেয়ে নেই।’ অথচ কিছু অর্থনীতিবিদ, সুশীলসমাজ ও বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা সারা দিন ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন দেশ ডুইবা গেল, মানুষ না খাইয়া মরতেছে। মনে হয় যেন একটা দুর্ভিক্ষ চলতেছে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, কৃষিতে বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও কৃষককে লাভবান করা। কিন্তু মুনাফাখোর, পাইকার-আড়তদার, মধ্যস্বত্বভোগী, সামাজিক সমস্যা, চাঁদাবাজি প্রভৃতির কারণে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পায় না। মধ্যস্বত্বভোগী সারা পৃথিবীতেই আছে। কৃষকেরা তো সরাসরি কাওরান বাজারে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না, কাউকে না কাউকে মাঝখানে দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগী যাতে কৃষক এবং ভোক্তাকে শোষণ ও ঠকাতে না পারে, তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এটি নিশ্চিত করতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

পরিদর্শনকালে কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো: শাহজাহান কবীর, ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১১, ২০২২ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
পেঁয়াজে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা নয় রপ্তানিও করতে পারব: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি বিভাগ

ভোলার লবণাক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে ব্রি ধান ৬৭, বিনা ধান ১০ । ভু্ট্রা, মুগ, সয়াবিন, সূর্যমুখী, শশার আবাদ দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া, পেঁয়াজ, বার্লি, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি ফসল চাষ খুবই সম্ভাবনাময়। সরকারের প্রণোদনা পুনর্বাসন র্কাযক্রমের ফলে এসবের আবাদ দিন দিন বাড়ছে।

এসব ফসলের আবাদ ও সম্ভাবনা সরেজমিনে দেখতে রবিবার ( ১০ এপ্রিল) ভোলার সদর উপজেলার চর মনশা গ্রামে সমন্বিত ফল বাগান, বারোমাসি আম, সূর্যমুখী, চিনাবাদমসহতেল জাতীয় ফসল ও পেঁয়াজের মাঠ পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

এসময় মন্ত্রী বলেন, বছরে ৮-১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমাদের আমদানি করতে হয়। আমাদের প্রয়োজনের সময় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়, দেশে দাম বেড়ে যায়। আমরা পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। ভোলায় বারি উদ্ভাবিত বারি-৪ পেঁয়াজের ফলন ভাল, সুস্বাদু। এটিকে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে দিবো। পেঁয়াজে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, ২-৩ বছর পরে পেঁয়াজ রপ্তানিও করতে পারব।

পরিদর্শনকালে কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক মো: শাহজাহান কবীর, ভোলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৯, ২০২২ ১:৩৮ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জে সেচ সংকটে ইরি-বোরো চাষ, বিপাকে কৃষক
কৃষি বিভাগ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আশংকাজনক হারে ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অনেকেই ৮ থেকে ১০ ফুট গর্ত বা কুয়া করে সেচ মেশিন বসিয়ে সেচকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার পরেও ঠিকমতো পানি না আসায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। এতে সেচ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ইরি-বোরো কৃষকরা।

ভূ-গর্ভস্থ্য পানির স্তর এভাবে নামতে থাকলে সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, গাইবান্ধার গেবিন্দগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম এলাকা তুলনামূলক উচু এবং লাল মাটি হওয়ায় খরা মৌসুমে সেচ মেশিনে পানি কম পাওয়া যায়। কিন্ত বর্তমান মৌসুমে পানির স্তর আশংকাজনক হারে আরও নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক সেচ মেশিনে পানি ওঠছে না। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ইরি ও বোরো ধানসহ অনান্য ফসলের আবাদ।

সাপমারা ইউনিনের চক রহিমাপুর, রামপুরা, সাহেবগঞ্জ, মেরী, মাদারপুর, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, কলোনী, ভেলামারী, কৌচাসহ বেশ কিছু এলাকায় ৮ ফুট, কোথায় ১০ ফুট কূপ খনন করে পাম্প বসিয়ে পানি তুলছেন কৃষকেরা

মাদারপুর গ্রামের কৃষক ধনু মন্ডল বলেন, গত বছর ৫ ফুট গভীর গর্তে শ্যালো মেশিন বসিয়ে পানি তুলে ছিলাম। এবছর আরও ৩ ফুট গভীর গর্ত করে পানি তুলতে হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা ই মাহমুদ বলেন, ইরি-বোরো চাষে পানির সংকট নিরসনের জন্য বিএডিসি সেচ প্রকল্প ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন এলাকা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৮, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
পানিকচু বাণিজ্যিক চাষাবাদ প্রযুক্তি
কৃষি বিভাগ

সবজি হিসেবে বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কচুর ব্যবহার বেশ পুরনো। ধারণা করা হয় প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চল, শ্রীলংকা, সুমাত্রা ও মালয় অঞ্চল কচুর উৎপত্তিস্থল। বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ধর্মীয় আচার ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজে কচুর ব্যবহার অতি প্রাচীন। সুদীর্ঘকাল ধরে সবজি ও ভেষজ হিসেবে কচু ব্যবহৃত হচ্ছে। কচুতে প্রচুর পরিমাণ শ্বেতসার, লৌহ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ ও সি রয়েছে।

সাধারণত যে কচু স্বল্প পানিতে চাষ করা যায় তাকে পানিকচু বলা হয়। আমাদের দেশে স্থান ভেদে পানিকচুর নাম ভিন্ন যেমন নারকেলি কচু, শোলা কচু, জাত কচু, বাঁশকচু, কাঠকচু ইত্যাদি। তবে পানি কচু নামেই সর্বাধিক পরিচিত। পানিকচুর লতি ও কাণ্ড সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্ষার শেষে যখন বাজারে সবজির ঘাটতি দেখা দেয় তখন জুন-সেপ্টেম্বর মাসের বাজারে পানি কচুর লতি বেশ জনপ্রিয়।

পুষ্টি মূল্য: কচুতে ভিটামিন এ এবং প্রচুর পরিমানে লৌহ থাকে।

ব্যবহার: যে সমস্ত কচু দাড়াঁনো পানিতে চাষ করা যায় তাকে পানি কচু বলে। আমাদের দেশে কচু একটি সুস্বাদু সবজি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের পানি কচুর বিভিন্ন নাম রয়েছে যেমন নারিকেল কচু, জাত কচু, বাশঁ কচু ইত্যাদি।

উপযুক্ত জমি ও মাটি: পলি দোআঁশ ও এটেল মাটি পানি কচু চাষের জন্য উপযুক্ত ।

জাত পরিচিতি:

জাতের নাম/লতিরাজ:

বৈশিষ্ট্য: লতি লম্বায় ৯০-১০০ সেমি. সামান্য চেপ্টা, সবুজ । লতি সিদ্ধ করলে সমানভাবে সিদ্ধ এবং গলা চুলকানি মুক্ত হয়। বোঁটা এবং পাতার সংযোগস্থলের উপরিভাগের রং বেগুনি। জীবনকাল ১৮০-২১০ দিন। বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এর চাষাবাদ করা যায়।

ফলন/(টন/হেক্টর:

লতি : ২৫-৩০
কান্ড : ১৮-২

চারা রোপণ: আগাম ফসলের জন্য কার্তিক (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেস্বর)| নাবী ফসলের জন্য মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে লাগানো যায়। দক্ষিণাঞ্চলে বৎসরের যেকোন সময় লাগানো যায়। প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি লতা রোপণের জন্য প্রয়োজন। জমি ভালভাবে তৈরি করে লাইন থেকে লাইন ২ ফুট (৬০ সে.মি) এবং গাছ থেকে গাছ ১.৫ ফুট (৪৫ সে.মি) রাখতে হবে।

সার ব্যবস্থাপনা:
সারের নাম        সারের পরিমাণ ( প্রতি শতকে)
ইউরিয়া             ৬০০ গ্রাম
টিএসপি             ৫০০ গ্রাম
এমওপি              ৭৫০ গ্রাম
গোবর               ৫০ কেজি

গোবর, টিএসপি এবং এমওপি সার জমি তৈরির শেষ সময়ে প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ২-৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হয়, তবে প্রথম কিস্তি রোপণের ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করা দরকার।

সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:পানি কচুর গোড়ায় দাড়াঁনো পানি রাখতে হবে এবং দাঁড়ানো পানি মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে হবে। লতিরাজ জাতের জন্য দাঁড়ানো পানির গভীরতা ৮-১০ সে.মি হওয়া দরকার।

রোগ ব্যবস্থাপনা:কচুর পাতার মড়ক রোগ

ক্ষতির নমুনা:পাতার উপর বেগুনি থেকে বাদামি রংয়ের গোলাকার দাগ পড়ে। পরবর্তীতে এ সমস্ত দাগ আকারে বেড়ে একত্রিত হয়ে যায় এবং পাতা ঝলসে যায়। পরে তা কচু ও কন্দে বিস্তার লাভ করে।

অনুকূল পরিবেশ:উচ্চ তাপমাত্রা, আর্দ্র আবহাওয়া ও পর পর ৩-৪ দিন বৃষ্টি থাকলে এ রোগের মাত্রা খুব বেড়ে যায়।

ব্যবস্থাপনা:রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম রিডোমিল এম জেড-৭২ ডব্লিউ অথবা ডাইথেন এম ৪৫ মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ৩ থেকে ৪ বার প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগ করার আগে ট্রিকস মিশিয়ে নিতে হয়।

ফসল সংগ্রহ:রোপণের ২ মাস পর থেকে ৭ মাস পর্যন্ত লতি হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop