১১:০৯ পূর্বাহ্ন

শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩ ১:০৩ অপরাহ্ন
কয়েলের আগুনে পুড়ে মরল ৩ গরু
প্রাণিসম্পদ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে কয়েলের আগুনে পুড়ে তিনটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের রাবাইতারী গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে ওই গ্রামের নাদের আলীর ঘরে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নাদের আলীর চারটি টিনশেড ঘর, গোয়াল ঘর, রান্না ঘর এবং গোয়ালে রাখা তিনটি গাভী পুড়ে যায়। আগুন পার্শ্ববর্তী আব্দুল কাদের ও মজিদুলের ঘরে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই আব্দুল কাদেরের দুটি, মজিদুলের একটি ঘর, আসবাবপত্র, ধানচাল, নগদ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়। পরে ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন: মৌচাকে বহুতল ভবনে আগুন

ফুলবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের ফাইটার বুলবুল আহমেদ জানান, গভীর রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কয়েলের আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মুকুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রাথমিকভাবে চেয়ারম্যান পাঁচ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার সহায়তা দিয়েছেন। বিকেলে ইউএনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক ছয় লাখের বেশি টাকার ক্ষতি হয়েছে।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩ ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা পেলেন মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আরটিভি এনআরবিসি ব্যাংক কৃষি পদক ২০২৩ এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আরটিভির বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে আজীবন সম্মাননার ক্রেস্ট তুলে দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং আরটিভির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম।

সম্মাননা স্মারক গ্রহণ শেষে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জীবন একটি চলমান প্রক্রিয়া। দ্রুততার সঙ্গে নিঃশেষ হওয়ার পথে এগিয়ে যাওয়া। এ ক্ষণিক সময়ের ভেতরে যদি কিছু অবদান রেখে যাওয়া যায় সেখানেই আত্মতৃপ্তি। আমার মনে হয় কিছুই করি নি, কিন্তু একটা চেষ্টা আছে। সে চেষ্টাকে আরটিভি পরিবার সম্মানিত করার মাধ্যমে কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করেছে।

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশে একজন প্রধানমন্ত্রী নিজেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন গণভবনের কৃষির মাধ্যমে। আমাদের শেকড় কৃষিতে। আমাদের মৌলিক সত্ত্বার উৎস কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশ। ধান উৎপাদন, মাছ উৎপাদনসহ কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আমরা সমৃদ্ধ।

তিনি আরো যোগ করেন, কৃষিকে কিভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যাবে, কৃষির উৎপাদিত সামগ্রী কিভাবে প্রক্রিয়াজাত করা যাবে, বহুমুখী ব্যবহার করা যাবে, দুধ দিয়ে কত প্রকার পণ্য তৈরি করা যায়, মাংস থেকে কত প্রকার পণ্য তৈরি করা যায় এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। এভাবে কৃষিপণ্যের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, প্রাণিজ আমিষের যোগান আসে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম থেকে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সাথে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী সম্পৃক্ত। উৎপাদন, বিপণন ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় এ খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় দেড় কোটি মানুষ সম্পৃক্ত।
এক সময় দেশে মাছের আকাল ছিল। এখন পৃথিবীর ৫২ টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। ভারত-মিয়ানমার থেকে পশু না আসলে কোরবানির সময় ভয়াবহ অবস্থা হতো। আজ প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এমন পর্যায়ে যে কোরবানির হাটে এক দশমাংশ পশু উদ্বৃত্ত থাকছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতা, সহায়তা, পরিকল্পনা এবং অপরাপর ভর্তুকির পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগের কারণে এসব সম্ভব হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, আরটিভির চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম, এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন, আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ৮ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানকে আরটিভি এনআরবিসি ব্যাংক কৃষি পদক ২০২৩ প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৯:০২ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর অংশ হিসাবে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বর্তমান সরকার সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও বেশি বিকশিত করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তারা সম্পৃক্ত হয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন, কার্যকর ও ফলপ্রসূ প্রাণিমেলা আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাদের অনুপ্রাণিত করা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই এ খাতকে তিনি সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকেন। এ জন্য শিক্ষিতরা এখন খামারি হচ্ছেন, বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে এসে খামার স্থাপন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন রকম প্রাণী উৎপাদন ও বিপণন করে নিজে যেমন উদ্যোক্তা হচ্ছেন তেমনি অপরের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান গতানুগতিকতার বাইরে এসে সৃজনশীলতার মধ্য থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে সৃজনশীলতার অংশ হিসাবে গতানুগতিকার বাইরে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। হাসপাতালে সব প্রাণীকে নেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য প্রাণীর কাছে হাসপাতাল নিয়ে যেতে আমরা মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদকরা বিপন্ন অবস্থায় ছিল। সরকার বিশেষভাবে পরিবহন ও বিপণনের ব্যবস্থা করেছে। ভোক্তাদের দোরগোড়ায় মাছ, মাংস,দুধ ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন ও বিপণন কোনভাবে যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার আলোকে। করোনার সময় ও গত রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র করে মানুষের দ্বারে দ্বারে তার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো জানান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। যারা উৎপাদক তাদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহায়তা করা হচ্ছে, যাতে তারা একসময় স্বাবলম্বী হতে পারে, উদ্যেক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। শুধু প্রশিক্ষণই নয় বরং খামারিদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা স্বনির্ভর ও সক্ষম হতে পারে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য মাহবুব হাসান প্রমুখ।

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া নির্বাচিত সেরা উদ্যেক্তা ও খামারিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৮:৩৪ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করছে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মেধাবী জাতি গঠনে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল মিল্ক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, একটি জাতি মেধাবী না হলে সে দেশ কোনদিন এগিয়ে যেতে পারে না। এটি সবচেয়ে ভালো বোঝেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আজ জাতিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষার উন্নয়নে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কারিগরি শিক্ষার প্রসার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ, গবেষণায় বরাদ্দসহ শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা যাতে গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরে আনন্দের মধ্যে লেখাপড়া করতে পারে সেজন্য তাঁর সরকার স্কুল দৃষ্টিনন্দন করা, খেলাধুলার ব্যবস্থা করা, ডিজিটাল ব্যবস্থা করাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ভালো খাবার প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান খাদ্য দুধ। নিয়মিত দুধ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। নিয়মিত দুধ খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। এ জন্য শিক্ষার্থীরা মেধা বিকাশে দুধ খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের ভালো খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ আলোকেই স্কুল মিল্ক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাণিজ পুষ্টির যোগান পাবে, সুস্থ-সবলভাবে বেড়ে উঠবে। যার মাধ্যমে একটি মেধাবী জাতি গড়ে উঠবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপন্ন মানুষদের বেদনা বোঝেন। সেজন্য তিনি ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান দূর করতে কাজ করছেন। তিনি উন্নয়নের সমতা নিশ্চিত করতে চান। সেজন্য শহরের মতো গ্রামেও সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোটা জাতিকে নিয়ে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধের গুরুত্ব অনুধাবন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কোমলমতি শিশুদের মাঝে স্কুল মিল্ক কর্মসূচির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর দূর সরবরাহের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিশুদের সুস্থ, সবল ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার এক নতুন অধ্যায় সংযোজন হবে। যা আগামী দিনে শিশুদের বিদ্যালয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে। বিশেষ করে দরিদ্র অঞ্চলে স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে এ কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম এবং স্কুল মিল্ক কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. গোলাম রব্বানী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের দুধ পান করানোর মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরে ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫১জন শিক্ষার্থীকে দুধ পান করানো হয়।

সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বছরব্যাপী বিনামূল্যে দুধ পান করানোর এ পাইলট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ উদ্বোধনের পরপরই ৫০টি স্কুলে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে এবং এ বছরের মধ্যেই অন্যান্য স্কুলে ক্রমান্বয়ে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬১ জেলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীকে স্কুল খোলা থাকার দিনগুলোতে টিফিনের সময় দুধ প্রদান করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৮:২৮ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে  বলে মন্তব্য করেছেন জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। আজ রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর অংশ হিসাবে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বর্তমান সরকার সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগে  প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও বেশি বিকশিত করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তারা সম্পৃক্ত হয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন, কার্যকর ও ফলপ্রসূ প্রাণিমেলা আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সারাদেশে উদ্যোক্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাদের অনুপ্রাণিত করা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাই এ খাতকে তিনি সব সময় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকেন। এ জন্য শিক্ষিতরা এখন খামারি হচ্ছেন, বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে এসে খামার স্থাপন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে চাকরির পেছনে সময় নষ্ট না করে বিভিন্ন রকম প্রাণী উৎপাদন ও বিপণন করে নিজে যেমন উদ্যোক্তা হচ্ছেন তেমনি অপরের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান গতানুগতিকতার বাইরে এসে সৃজনশীলতার মধ্য থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে সৃজনশীলতার অংশ হিসাবে গতানুগতিকার বাইরে কাজ করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।  হাসপাতালে সব প্রাণীকে নেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য প্রাণীর কাছে হাসপাতাল নিয়ে যেতে আমরা মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করেছি।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালে প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদকরা বিপন্ন অবস্থায় ছিল। সরকার বিশেষভাবে পরিবহন ও বিপণনের ব্যবস্থা করেছে। ভোক্তাদের দোরগোড়ায় মাছ, মাংস,দুধ ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন ও বিপণন কোনভাবে যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার আলোকে। করোনার সময় ও গত রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র করে মানুষের দ্বারে দ্বারে তার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

শ ম রেজাউল করিম আরো জানান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হচ্ছে। যারা উৎপাদক তাদের বিভিন্ন গ্রুপে প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহায়তা করা হচ্ছে, যাতে তারা একসময় স্বাবলম্বী হতে পারে, উদ্যেক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। শুধু প্রশিক্ষণই নয় বরং খামারিদের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা ও সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে, যাতে তারা স্বনির্ভর ও সক্ষম হতে পারে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ সদস্য মাহবুব হাসান প্রমুখ।

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া  নির্বাচিত সেরা উদ্যেক্তা ও খামারিদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৩ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
সিলেট সদরে “প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী – ২০২৩” অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

সিলেট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত এবং এলডিডিপি প্রকল্পের সহযোগীতায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে । শনিবার সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিল্লাত আহমদ চৌধুরী, জেলা হাসপাতালের ভিএস ডা. মো. মাহবু্ুবুল আলম ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন “প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী – ২০২৩” বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও সিলেট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাহিদ আরজুমান বানু। এর আগে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ থেকে একটি র‌্যালী চৌহাট্টা পয়েন্ট প্রদক্ষিন করে। র‌্যালী পরবর্তী পায়রা উড়িয়ে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়।

এবারের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে অর্ধশতাধিক স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির গাভী, ষাড়, বকনা বাছুর, ছাগল, ভেড়া, গাড়োল, তিতির, টার্কি, কবুতর, পোষা প্রাণী প্রদর্শিত হয়েছে। বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারী খামারীদের মধ্যে চেক, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক এবং সিলেট সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ
কর্মকর্তা ডা. নাহিদ আরজুমান বানু।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৩ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহে এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস এর ৪র্থ ডিপো উদ্ধোধন
প্রাণিসম্পদ

ময়মনসিংহের উদ্বোধন হলো এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস লিমিটেড এর ৪র্থ আঞ্চলিক ডিপোর। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি-২০২৩) শহরের শম্ভুগঞ্জ গোলচত্বর হালুয়াঘাট রোডে এই শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় । অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস্ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক মোল্লা । বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাঃ কাজিম উদ্দিন (অবসর প্রাপ্ত সৈনিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াজেদ আহম্মেদ অনিক – পরিচালক, এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস্ লিমিটেড; ওয়াকিল আহম্মেদ অপু – পরিচালক, এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস্ লিমিটেড । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এনাম হ্যাচারি এন্ড লিমিটেডের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনাম হ্যাচারি এন্ড ফিডস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক মোল্লা বলেন, “এনাম হ্যাচারী এন্ড ফিডস্ লিমিটেড, অল্প খরচে মুনাফা বেশি, এনাম ফিডে খামারী খুশি, করব খামার গর্ব দেশ , এনাম ফিডে বাংলাদেশ ,সুষম ফিডের ন্যায্য দাম, এনাম ফিডের অনেক সুনাম। এই ফিডস্ খাওয়ালে ডিম ও মাংস বৃদ্ধি পাবে, তাই আশা করছি আপনারা সবাই এই ফিড খাওয়াবেন ।”
প্রতিষ্ঠানটির এজিএম (সেলস ও টেকনিক্যাল) ডাঃ মোঃ শাহজামাল হোসাইন সবুজ বলেন, “২রা জানুয়ারি ২০০৯ সালে আমাদের কোম্পানী যাত্রা শুরু করে, বর্ণাঢ্য আয়োজনে সফলতার ১ যুগ পূর্তি উদযাপন এবনং পাশাপাশি ২য় প্লান্টের উদ্বোধন হয় ২রা জানুয়ারি ২০২১ এ।  আজ আমরা ১৪ তম বছরে পোল্ট্রি শিল্পের ক্রান্তি লগ্নে প্রান্তিক খামারি-ডিলারদের আরো কাছে আসতে সারা দেশে অঞ্চল ভিত্তিক ডিপো স্থাপনের কাজ অব্যাহত রেখেছি, যার অংশ হিসেবে ৪র্থ ডিপো হিসেবে- ময়মনসিংহ ডিপো উদ্ধোধনের আজ মাহেন্দ্র ক্ষন। আপনাদের উপস্থিতি এ অনুষ্ঠান কে সত্যিকার অর্থে প্রানবন্ত করেছে। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি এবং আগামী দিনগুলোতে আপনাদের পাশে থেকে কাজ করতে আশাবাদী ।”
অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য প্রদান করেন আব্দুল মান্নান (ডিজিএম), আমির হুসাইন, এজিএম (সেলস ও মার্কেটিং) ও মোঃ শরীফুল হাসান ভূঁইয়া ।
শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৮:৩৭ অপরাহ্ন
আজ থেকে শুরু প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
প্রাণিসম্পদ

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হলো দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। ‘স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ শিরোনামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশে এ সপ্তাহ শেষ হবে আগামী ১ মার্চ।

আকর্ষণীয় এ প্রদর্শনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। আর সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)

জানা গেছে, দর্শনার্থীরা বিনা ফিতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারবেন। দেশের বিভিন্ন উন্নত জাতের গরু, মহিষ, ছাগল-ভেড়া, দুম্বা, ঘোড়া, কবুতর, খরগোশ, কুকুর, বিড়াল, হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত নানা ধরনের প্রাণির দেখা মিলবে এ প্রদর্শনীতে। প্রদর্শনীতে বরাবরের মতোই দেশের সবচেয়ে সুন্দর ও বড় সাইজের গরু-মহিষ, ছাগল-ভেড়ার র‌্যাম্প শো থাকছে দর্শনার্থীদের উপভোগ্য। এছাড়া প্রদর্শনী চত্ত্বরে থাকছে নানা রকম সুস্বাদু মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্য ও খাবার।

শনিবার সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। রোববার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবেও থাকার কথা মন্ত্রীর। এছাড়া আগামী ১ মার্চ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

আরও পড়ুন : প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন জানান, সারা দেশের বড় বড় গরু, ছাগল, মহিষ, হাস-মুরগি এবং পোষা প্রাণির প্রায় ২৫০ জন খামারি অংশ নিচ্ছেন এ প্রদর্শনীতে। এতে স্টল থাকছে ৩০০টি। খামারিরা তাদের খামারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও বড় সাইজের ষাড় গরু নিয়ে অংশ নেবেন এ প্রদর্শনীতে। দেশের সবচেয়ে বড় দুধের গাভী, যেগুলো ৪০-৫৫ লিটার পর্যন্ত দিনে দুধ দেয়-এসব গাভী-বাছুরও থাকবে প্রদর্শনীতে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৭:৫৯ অপরাহ্ন
খামার মালিক কলেজছাত্রী দিলরুবা
পোলট্রি

দিলরুবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে। পিতা হেলাল উদ্দিন পেশায় একজন কৃষক। গৃহিণী মা ও দুই বোন এক ভাইকে নিয়ে দিলরুবাদের সংসার। নিজে কাঁধে মাটি তুলে টিন সেট ঘরে মাটি ভরাট করেন। নির্মাণ ও মুরগির সেট তৈরিসহ যাবতীয় কাজে মিস্ত্রিদের সহযোগিতা করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে তিল তিল করে করে গড়ে তুলেছেন হাঁস ও মুরগির খামার।

২০২১ সালের শুরুর দিকে এক হাজার ব্রয়লার মুরগি নিয়ে খামারের যাত্রা করেন দিলরুবা। এরই পাশাপাশি ২০০ হাঁস পালন শুরু করেন। খামারে হাঁস-মুরগির দেখাশোনা, খাওয়ানো, ওষুধপত্র সবই নিজ হাতে করেন। আবার লেখাপড়ায়ও পিছিয়ে নেই দিলরুবা। ২০২০ সালে হোসেনপুর উপজেলার মেছেড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৩.১৫ পেয়ে উর্ত্তীণ হয়েছেন। এখন হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দেবেন তিনি। তাই পড়ার চাপ বেশি। তবু থেমে নেই তার পথচলা।

দিলরুবা জানান, প্রথমে এক দিন বয়সি পোলট্রি মুরগির বাচ্চা ২৫-৩০ টাকায় কিনে শেডে তুলি। পোলট্রিতে ৪৫ গ্রামের এক দিন বয়সি একটি বাচ্চাকে প্রতিদিন ১৫ গ্রাম খাবার খাওয়াতে হয়। তিন থেকে পাঁচ ও বিশ থেকে বাইশ দিনের বাচ্চাকে রানীক্ষেত ও ব্রংকাইটিস এবং সাত থেকে দশ ও চৌদ্দ থেকে সতেরো দিনের ভেতরের গাম্বুরু ভ্যাকসিন দিতে হয়। এই কাজগুলো আমি নিজেই করি। মুরগিকে বিক্রির উপযোগী করতে প্রতিদিন খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হয়। ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ দিন মুরগির ১৮০ গ্রাম খাবারের প্রয়োজন হয় এবং ওজন হয় ২ কেজির মতো। তখন মুরগিগুলোকে ওজন করে ডিলারের কাছে পাইকারি বিক্রি করে দেই।

দিলরুবাা জানান, এক হাজার মুরগিকে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে খাবার, ওষুধ, তুস, বিদুৎ বিলসহ বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী মোট খরচ হয় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর ১ হাজার মুরগির বর্তমান বাজারদরে বিক্রি করতে পারলে আমার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি। এখন প্রতি মাসের আনুষঙ্গিক ব্যয় মিটিয়েও বাড়তি উপার্জন হচ্ছে। এ দিয়ে সংসার খরচ, আমার ও ভাইবোনদের লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছি।

দিলরুবা জানান, মহামারি করোনায় কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় ইউটিউব দেখে মুরগির খামার গড়ে তোলার ইচ্ছা পোষণ করি। কৃষিকাজ ও হাঁস-মুরগি পালন করা আমার ভালো লাগে। এত কাজের চাপেও আমার লেখাপড়ার কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আমার আর্থিক অবস্থা এবং পোলট্রি খামার দেখে এলাকার অনেক বেকার ছেলে পোলট্রি ও গবাদিপশুর খামার করছেন। তিনি বলেন, সহজ শর্তে কোনো ব্যাংক-বিমা কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঋণ প্রদান করলে আগামীতে একটি বড়মাপের গবাদিপশুর খামার স্থাপন এবং মুরগির খামারটি আরো বেশি প্রসারিত করার ইচ্ছে আছে। একই সঙ্গে এলাকার বেকার ছেলেদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করারও ইচ্ছে রয়েছে। চাকরি নামের সোনার হরিণের পেছনে না ঘুরে একটু বুদ্ধি খাটালে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিকভাবে লাভবানও হওয়া যায়।

দিলরুবা একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এলাকাতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে তিনি যে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তার জন্য এলাকায় তার সুনাম ও সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৩ ৩:২৭ অপরাহ্ন
প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সারাদেশে প্রাণিসম্পদের বিস্তৃতির মাধ্যমে সুস্বাদু মাংস বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে সারাদেশে প্রাণিসম্পদকে বিস্তৃত করে সুস্বাদু মাংস আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো। এ জন্য প্রস্তুতি হিসাবে রোগমুক্ত গবাদিপশু উৎপাদনে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। প্রাণীর কাছে হাসপাতাল পৌঁছে যাবে, প্রাণীকে হাসপাতালে আসতে হবে না।

দেশে উৎপাদিত মাংস নিরাপদ উল্লেখ করে এসময় মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে কিছু লোক বলল ফার্মের মুরগি ক্ষতিকর। এগুলো খাওয়া যাবে না। কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগি কোনভাবেই মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। গবেষণা মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুবর্ণ মুরগি উদ্ভাবন করেছে, যার স্বাদ, গন্ধ, রং দেশি মুরগির মতো। দেশে উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংস ক্ষতিকর কিনা তা পরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ায় বেকারত্ব লাঘব হয়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এছাড়া গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হয়েছে। এ খাতে বিনিয়োগকারীরা উদ্যোক্তা হয়ে গর্বের সাথে বলেন, আমি বেকার না, আমি উদ্যোক্তা, আমার খামার আছে। এভাবে আমরা পোল্ট্রি, ডেইরি তথা লাইভস্টক খাতকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। যার সূচনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার নেতৃত্বেই সর্বপ্রথম উন্নত প্রজাতির গবাদিপশু দেশে আনা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরও বলেন , একটা সময় কোরবানির আগে দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো, ভারত-মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু না আসলে কোরবানি করা সম্ভব হবে না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং প্রধানত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনায় এবং তার সরকারের পরিকল্পনা, সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাণিসম্পদ খাত আজ বিকশিত হয়েছে। এখন আর বিদেশ নির্ভর নয় বরং কোরবানির সময় বাজারে এক দশমাংশ পশু অবিক্রিত থাকে। এ সাফল্য হঠাৎ করে আসেনি। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করা, অনুপ্রাণিত করা ও সহায়তা করায় রাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল।

মানুষের মৌলিক চাহিদার একটা অংশ খাবারের নিশ্চয়তা প্রাণিসম্পদ খাত থেকে আসছে। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার মানুষের খাবারের চাহিদা মিটিয়েছে, উৎপাদনকারীদের সহায়তা করেছে, বিপণন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে। করোনার মধ্যে ভ্রাম্যমান বিক্রয়ে অভাবনীয় সাফল্য ছিল। মানুষের দোরগোড়ায় দুধ, ডিম, মাছ, মাংস বিক্রয় করা হয়েছে। রমজানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস ব্যবস্থা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে- জানান মন্ত্রী।

তিনি আরো জানান পোল্ট্রি ফিড, অ্যানিমেল ফিডসহ এ খাতে যারা অন্য কারখানা করতে চায়, বিদেশ থেকে তাদের যে উপাদান আনতে হয় তার উপর কর রেয়াত দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে যারা দেশে কারখানা স্থাপন করতে চায় তাদের মেশিনারিজ আমদানির উপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। স্বল্প সুদে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে খামারিদের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে যেখানে যে সহযোগিতা দরকার, শেখ হাসিনা সরকার পাশে রয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি খাত সম্মিলিতভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, সরকার প্রাণিসম্পদ খাতের খামারি ও উদ্যোক্তাদের পাশে আছে।
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরলে বোঝা যাবে এ খাতে কত বিস্ময়কর বিপ্লব হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং খামারিদের সাথে মতবিনিময় করেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop