৩:২৪ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২২ ৮:১১ অপরাহ্ন
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে “বিজ্ঞান ভিত্তিক মহিষ পালন এবং খামার ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক খামারী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
প্রাণিসম্পদ

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায়বিজ্ঞানভিত্তিক মহিষ পালন ও খামার ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক ৩ (তিন) দিনব্যাপী খামারী প্রশিক্ষণ শুক্রবার (২৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ খ্রিঃ) সমাপ্ত হয়েছে। গত বুধবার ২৩ই ফেব্রুয়ারী, ২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকালে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট এর বাস্তবায়নে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, কালীগঞ্জের সহযোগীতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নির্বাচিত সুফলভোগী ৫০ জন মহিষ খামারীদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের শুরু হয় গত বুধবার, শুভ উদ্বোধন করেন লালমনিরহাট জেলার জেলা প্রাণিস্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। উপজেলা প্রাণিস্পদ কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আব্দুল মান্নান।

তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌতম কুমার দেব। ককর্মশালার মাধ্যমে কালীগঞ্জ উপজেলার মহিষ খামারীগণ লাভজনক পদ্ধতিতে মহিষ লালন পালন, বয়সভিত্তিক বিভিন্ন মহিষের খাদ্য ব্যাবস্থাপনা, কাঁচা ঘাস প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভেজা খড় সংরক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তিসমূহ, গর্ভবতী, প্রসূতী, দুগ্ধবতী ও বাছুরের স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, মহিষের রোগ প্রতিরোধে করণীয়, টিকাপ্রদান ও কৃমিমুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা ও নিয়মাবলী, কৃমি প্রতিরোধে খামারীদের করণীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত মহিষের জাতসমূহ, দুধাল গাভী মহিষ, আদর্শ প্রজনন উপযোগি ষাঁড় মহিষ নির্বাচন সম্পর্কে খামারীরা সুনিপুণ ধারণা অর্জন করেন। এছাড়াও খামারীদেরকে সুষম দানাদার খাবার মিশ্রণ প্রক্রিয়া ও ইউএমএস (চিটা-খড়-ইউরিয়া) হাতে কলমে শেখানো ও ডেমোনেস্ট্রেশন করা হয়। খামারীরা ভবিষতে কাঁচা ঘাস সংরক্ষণ (সাইলেজ) প্রস্তুতি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। খামারীবাদ্ধব এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার কোর্স কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন বিএলআরআই-এর মহিষ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান মজুমদার।

উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মহিষ খামারীগন বিজ্ঞানভিত্তিক খামার ব্যাবস্থাপনা সম্পর্কে অর্জিত জ্ঞান বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই মহিষ খামার গড়ে তোলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। কর্মশালা শেষে খামারিগন মহিষের গুরুত্বপূর্ণ রোগের টিকা এবং উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের জন্য আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২২ ৪:২২ অপরাহ্ন
গবাদি পশুর খামার যেভাবে মাছিমুক্ত রাখবেন
প্রাণিসম্পদ

মাছির যন্ত্রণায় কেবল মানুষ বিরক্ত এমনটি নয়। বরং মাছির যন্ত্রণায় সবচেয়ে বেশি বিরক্ত এবং রোগাক্রান্ত হচ্ছে গবাদিপশু। কারণ এই মাছির মাধ্যমে খামারে বিভিন্ন রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। যা গবাদিপশুর অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই জন্য প্রতিটা গবাদিপশু খামারিকে খামার থেকে মাছি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানা খুবই দরকার। কারণ মাছি তাড়াতে না পারলে আপনার স্বপ্নের খামার থেকে প্রত্যাশিত আয় করতে পারবেন না।

খামার থেকে মাছি দূর করার উপায়:

মাছি তাড়ানোর সবচেয়ে ভালো কৌশল হলো খামারের আশে-পাশে গাছ লাগানো। বাতাসে গাছের নড়া-ছড়াতে খামারে মাছি আসবে কম। এছাড়া খামারে আশে-পাশে কিছু সবুজ বৃক্ষাদি থাকলে পরিবেশের জন্যও ভালো।

গবাদিপশুর মল-মূত্র নিয়মতি ও দ্রুত সেসব পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এগুলো জমা হলেই মাছি এসে জমাট বাঁধে। আর এটাই হলো মাছিদের ডিম পাড়ার উপযুক্ত জায়গা। একবারে ৭৫–১৫০টি ডিম পাড়ে এরা। ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোতে সময় লাগে মাত্র ২৪ ঘণ্টা।

লেবু টুকরো টুকরো করে ভেতরের অংশে অনেকগুলো লবঙ্গ গেঁথে দিন। লেবুর মধ্যে লবঙ্গের পুরোটা ঢুকাবেন শুধুমাত্র লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরে থাকবে। এরপর লেবুর টুকরাগুলো একটি প্লেটে করে খামারের কোণায় রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে মশা-মাছি, পোকামাকড় একেবারেই দূর হয়ে যাবে।

ব্যবহৃত চা-পাতা ফেলে না দিয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এইভাবে ওই চা পাতা ধুনোর বদলে ব্যবহার করুন। শুকনো চা পাতা পোড়ানো ধোঁয়ায় সমস্ত মশা, মাছি পালিয়ে যাবে।

রসুন বেটে পানিতে মিশিয়ে তরল করে পুরো খামারে স্প্রে করতে পারেন। এটা মশা তাড়াতে খুবই কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায়। খামারের মাছি তাড়াতে এর যেকোনো একটি উপায় প্রয়োগ করুন।

গরুর গায়ে স্প্রে করার জন্য ২ মিলি তারপিন তেল (অয়েল তারপিন, স্পিরিট তারপিন বা থিনার না), ২ গ্রাম কর্পুর (ন্যাপথালিন গুঁড়াও অনেকে দেন) এ দুইটা জিনিস ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে গরুর গায়ে স্প্রে করলে মাছি বসবে না।

মশা-মাছি কর্পুরের গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। একটি ৫০ গ্রামের কর্পুরের ট্যাবলেট একটি ছোট বাটিতে রেখে বাটিটি পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এরপর এটি খামারের কোনায় রেখে দিন।

তাৎক্ষণিকভাবেই মশা- মাছি গায়েব হয়ে যাবে। দুই দিন পর পানি পরিবর্তন করে নিন। আগের পানিটুকু ফেলে না দিয়ে ফার্মে ছিটিয়ে দিলে পোকামাকড় ও পিঁপড়ের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পাবেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২২ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
যেভাবে গড়ে তুলবেন মুরগির খামার
পোলট্রি

দেশের আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় উন্নত জাতের মুরগি পালনের দিকে জনগণ উৎসাহিত হয়ে ঝুঁকছেন খুব। অন্যদিকে জনগণের উৎসাহের সাথে সাথে সরকারও করছেন নানাবিধ সহযোগিতা। যার কারণে দেশে আমিষের ঘাটতি পূরণে গড়ে উঠেছে অনেকে মুরগি খামার। আর এই শিল্পে লাভ করতে হলে খামারিদের দরকার নিয়ম মোতাবেক খামার গড়ে তোলা। খামারের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে মুরগিতে লাভবান হওয়ার আর না হওয়া।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, উন্নত বিশ্বে বছরে মাথাপিছু ডিমের প্রাপ্যতা যেখানে ২০০; সেখানে আমাদের দেশে মাত্র ১৫ থেকে ১৬টি। এ ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে প্রত্যেক বসতবাড়িতে উন্নতজাতের মুরগি চাষ অপরিহার্য। উন্নত জাতের একটি মুরগি ছয় মাস বয়সে ডিমপাড়া শুরু করে এবং বছরে ২০০ থেকে ২৫০ ডিম দেয়। অন্যদিকে ব্রয়লার (মাংস উত্পাদক মুরগি) মুরগি দুই মাসেই দেড় থেকে দুই কেজি মাংস দেয়। বসতবাড়িতে অল্প শ্রম ও কম খরচে মুরগি পুষে পরিবারের প্রোটিন জাতীয় খাদ্যের ঘাটতি সহজেই মেটানো যায়।

মুরগির থাকার ঘর :  মুরগির থাকার ঘর উচ্চতায় চার ফুট, প্রস্থে সাড়ে ৪ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৬ ফুট করুন। এর ভেতরে ডিম পাড়ার খাঁচি, খাবার পাত্র ও পানির পাত্র রাখুন।
আরও খেয়াল রাখবেন
(১) ঘর সব সময় শুকনো ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
(২) খোলামেলা স্থানে ঘর বানাবেন
(৩) ঘরের মেঝে তিন ইঞ্চি পুরু হয় এ পরিমাণ তুস, কাঠের গুঁড়া বা বালির সঙ্গে আধা কেজি গুঁড়া চূর্ণ ভালোভাবে মিশিয়ে সমানভাবে বিছিয়ে দিন।
(৪) মেঝের কাঠের গুঁড়া বা তুস ৭ দিন পরপর ওলট-পালট করে দেবেন। স্যাঁতসঁতে হলে বা জমাট বেধে গেলে তা পরিবর্তন করে দেবেন। ঘরে আটকে না রেখে বাইরেও মুরগি পালন করতে পারেন।

খাদ্য : অধিক ডিম পেতে হলে মুরগিকে দৈনিক সুষম খাবার খেতে দেবেন, প্রত্যহ প্রতিটি মুরগিকে ১১৫ গ্রাম সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও ২৫ গ্রাম সবুজ শাক-সবজি বা কচি ঘাস কুচি কুচি করে কেটে খেতে দিন। আপনি নিজেই সুষম খাদ্য তৈরি করতে পারেন।

সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো নিম্নরূপ : খাদ্য উত্পাদন-গম/ভুট্টা ভাঙা বা চালের খুদ ৪০০ গ্রাম। গমের ভুসি ৫০ গ্রাম। চালের কুঁড়া (তুষ ছাড়া) ২৫০ গ্রাম। তিলের খৈল ১২০ গ্রাম। শুঁটকি মাছের গুঁড়া ১০০ গ্রাম। ঝিনুকের গুঁড়া ৭৫ গ্রাম। সুষম খাদ্য মোট ১,০০০ গ্রাম বা ১ কেজি।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা : আপনার মুরগিকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেবেন। পশুসম্পদ বিভাগ থেকে বিনামূল্যে রানীক্ষেত, কলেরা, বসন্ত রোগের প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ করতে পারেন। আরেকটু খেয়াল রাখবেন, আপনার মুরগি অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে পশু চিকিত্সালয়ের পরামর্শ নেবেন। অসুস্থ মুরগিকে চিহ্নিত করে তত্ক্ষণাত্ আলাদা করে রাখুন। তা ছাড়া রোগাক্রান্ত মুরগির বিষ্ঠা ও লালা সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখার ব্যবস্থা নেবেন।

আয়-ব্যয় : এক মোরগের সংসারের জন্য একটি ঘর (খাবার পাত্রসহ) তৈরি কর বাবদ প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ হবে এবং ঘর কয়েক বছর ব্যবহার করা যাবে। ছয় মাস বয়সের ৯টি মুরগি এবং ১টি মোরগের ক্রয়মূল্য ২ হাজার টাকা। ১ বছর পর এ ১০টি মুরগিকে প্রায় একই দামে বিক্রি করা যাবে। ডিম কিনলে ১টির দাম পড়বে ৮ টাকা। মুরগির বাচ্চা কিনলে ১টির দাম পড়বে ৩০ টাকা। ৯টির দাম হবে ২৭০ টাকা। প্রতি মাসে মুরগির খাবার ক্রয় বাবদ প্রায় ৮০০ টাকা ব্যয় হবে। যদি আপনি নিজেই মুরগির সুষম খাবার তৈরি করেন তাহলে খরচ আরও কম হবে। ৯টি মুরগি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬টি ডিম পাওয়া যাবে। ডিম বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে ১৪৪০ টাকা আয় করতে পারেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২২ ৪:৩৫ অপরাহ্ন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষিত ও আধুনিক জাতি বিনির্মাণ হোক প্রত্যয়- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষিত, বিজ্ঞানমনস্ক ও আধুনিক জাতি বিনির্মাণ হোক আমাদের প্রত্যয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুরের নাজিরপুরে মাটিভাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ প্রাঙ্গণে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি মঞ্চে আয়োজিত এক উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বারবার প্রয়োজন। শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব। দেশের শিক্ষা বিস্তারে তিনি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, অতীতে কোনদিন কোন প্রধানমন্ত্রী তা নিতে পারেননি। শিক্ষিত, বিজ্ঞানমনস্ক ও আধুনিক জাতি বিনির্মাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই”।

উন্নয়ন সমাবেশে মন্ত্রী আরো বলেন, “সম্মিলিতভাবে কাজ করলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। সেই সম্মিলিত কাজের উত্তরাধিকার বহন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ভালো থাকলে দেশের কোন অঞ্চলের উন্নয়নে বাধা হবে না। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ দেশের সর্বত্র রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টসহ ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে। এজন্য তিনি যে স্রোতে থাকেন সেই স্রোতে  সম্মিলিতভাবে থাকতে হবে”।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সভাপতিত্বে উন্নয়ন সমাবেশে  মাটিভাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. আ: সালাম, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, নাজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ আব্দুল লতিফ, পিরোজপুর জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহামুদ খান, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার ফেরদৌস রুনা,  নাজিরপুর উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু, মাটিভাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী নাজিরপুর উপজেলা স্বাধীনতা মঞ্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ নিয়ে স্থানীয় শিক্ষক ও সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার রায়ের একক সংগৃহীত এবং সম্পাদিত তথ্য ও আলোকচিত্রসমৃদ্ধ ৫ শতাধিক অ্যালবাম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বৈবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, মাটিভাঙ্গা মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি মঞ্চ উদ্বোধন, মাটিভাঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের চারতলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন এবং মাটিভাঙ্গা কলেজ প্রাঙ্গণে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২২ ২:৩০ অপরাহ্ন
মুরগি পালনে যা জানা থাকা জরুরী
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে মুরগি পালন বেশ লাভজনক পেশা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। খামারে মুরগি পালনে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। মুরগি পালনে যে ব্যবস্থাগুলো অবশ্যই থাকতে হবে সেগুলো খামারিদের জেনে রাখতে হবে।

মুরগি পালনে যে ব্যবস্থাগুলো অবশ্যই জানা থাকতে হবে:
মুরগির খামারে প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে। খামারে বিশুদ্ধ পানি না থাকলে মুরগিগুলো অসুস্থ হতে পারে। সেজন্য মুরগির খামারে লাভবান হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। মুরগির খামার অবশ্যই উঁচু স্থানে হতে হবে। তা না হলে বন্যার পানি উঠে খামারের মুরগি মারাও যেতে পারে। এছাড়াও খামার স্যাঁতস্যাঁতে কিংবা খামারে বিভিন্ন ধরণের রোগ দেখা দিতে পারে।

মুরগির খামারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। খামারের চারদিকে খোলামেলা পরিবেশ হতে হবে। খামারে পর্যাপ্ত আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা করতে না পারলে মুরগিতে বিভিন্ন রোগ-জীবাণু আক্রমণ হতে পারে। যা খামারের জন্য বেশ ক্ষতিকর। মুরগির খামার যে জায়গায় স্থাপন করতে হবে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলে খামারে মুরগি পালন সহজতর হবে এবং নানা জটিলতা কাটিয়ে ওঠা যায়।

মুরগির খামারে যাতায়াতের সুবিধা হয় এমন স্থানে খামার স্থাপন করতে হবে। এতে মুরগির খাদ্য পরিবহণ ও মুরগি বাজারজাত করা সুবিধাজনক হবে। এছাড়াও খামারে কোন সমস্যায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ৪:৩০ অপরাহ্ন
দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, “দেশি মাছ সংরক্ষণের সরকার কাজ করছে। দেশে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছিল। এ মাছ সংরক্ষণের সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা হারিয়ে যাওয়া ৩১ প্রজাতির মাছ গবেষণার মাধ্যমে নতুন করে ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। দেশের কোন প্রান্তে দেশীয় মাছের সংকট দেখা দিলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা এনে সংকটাপন্ন এলাকায় অবমুক্ত করা হবে। এতে কোনঅঞ্চলে হারিয়ে যাওয়া মাছ আবার ফিরে আসবে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুপরিকল্পিতভাবে মৎস্যসম্পদকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার কারণে।

তিনি আরো বলেন, “মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে বলবো পোনা মাছ যেন কেউ আহরণ না করে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে ছোট মাছ যেন নষ্ট না হয়ে যায়। মৎস্য খাতকে সবাই মিলে যত্নের সাথে লালন করতে হবে। দেশীয় মাছ ও শামুক যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে”।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরো বলেন, “একটা মা ইলিশ পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ ডিম দেয়। সরকারের উদ্যোগে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন বন্ধ করার কারণে এখন সারাদেশে বড় বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। শীত মৌসুমেও ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের উদ্যোগে মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে মৎস্যজীবী ও  জেলেদের  মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে”।

পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার  মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান ও বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান তালুকদার। মৎস্য ও  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হুমায়ুন কবীর, মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক এস এম আশিকুর রহমান, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরীসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে মন্ত্রী পিরোজপুর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে গাভী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি সদর উপজেলা পরিষদের শহীদ ওমর ফারুক মিলনায়তনে ৪৩তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা, ষষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড এবং বিজ্ঞান বিষয়ক অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ৪:০৭ অপরাহ্ন
অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদনে দেশী মুরগি পালন কৌশল
পোলট্রি

বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবার দেশী মুরগি পালন করে থাকে। এদের উৎপাদন ক্ষমতা বিদেশী মুরগির চেয়ে কম। উৎপাদন ব্যয়ও অতি নগণ্য। এটি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। এদের মাংস ও ডিমের মূল্য বিদেশী মুরগীর তুলনায় দ্বিগুণ, এর চাহিদাও খুবই বেশী। দেশী মুরগির মৃত্যুহার বাচ্চা বয়সে অধিক এবং অপুষ্টিজনিত কারনে উৎপাদন আশানুরূপ নয়। বাচ্চা বয়সে দেশী মোরগ-মুরগির মৃত্যুহার কমিয়ে এনে সম্পূরক খাদ্যের ব্যবস্থা করলে দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করা সম্ভব।

উল্লেখিত অবস্থার আলোকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশী মুরগি উৎপাদনে উন্নত কৌশল শীর্ষক প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করেছে। এ কৌশল ব্যবহার করে খামারিরা দেশী মুরগি থেকে অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদন করে পারিবারিক পুষ্টি ও আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে।

উদ্দেশ্য:
সম্পুরক খাদ্য, রানীক্ষেত ও বসন্তের প্রতিষেধক প্রদান করে এবং বন্য জন্তুর কবল থেকে মুক্ত রেখে দেশী মুরগি, বিশেষ করে ছোট বাচ্চার মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা যায়।
দেশী মুরগির দৈহিক ওজন ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

প্রযুক্তি ব্যবহারের পদ্ধতি:
প্রযুক্তিটি গ্রামীণ পর্যায়ে সকল গৃহস্থ পরিবারই ব্যবহার করতে পারবেন। খামারের আকার অনুযায়ী প্রত্যেক খামারীর জন্য মোরগ-মুরগির সংখ্যা

নিম্নে দেওয়া হলো-
খামারের আকার আবাদী জমির পরিমাণ (শতাংশ) মোরগ/মুরগি
ছোট ৫০ শতাংশ ১টি মোরগ ও ৩টি মুরগি
মাঝারী ও বড় ৫০ ও তার অধিক ১টি মোরগ ও ৬টি মুরগি

দেশীয় পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন:
অনেকেই জানতে চেয়ে ছিলেন যে সল্প মূলধন দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়। তাদের জন্য দেশি মোরগ হতে পারে একটি সময়পযোগি ব্যবসা। সল্প জায়গায় অল্প টাকা বিনিয়োগ করে সল্প সময়ে অধিক আয় করা যায়। বসত বাড়িতে মুরগি চাষ হচ্ছে একটি সহজ এবং লাভজনক কাজ। বাড়ির গৃহিণীরা খামার স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে। একটি মোরগ একটি মুরগির তুলনায় দ্রুত বাড়ে আর বাজারে দেশি মোরগের প্রচুর চাহিদা থাকায় মোরগ বিক্রি করতে তেমন বেগ পেতে হয়না এবং বাজারে ভাল দাম ও পাওয়া যায়।

দেশি মোরগ আবদ্ধ ও ছেড়ে পালন করা যায়। তবে ছেড়ে পালন করলে বেশি লাভবান হওয়া যায় কারন মোরগ নিজের খাদ্য নিজে কুড়িয়ে খায়।এরা মুক্ত আলো বাতাস বিশেষ করে প্রচুর সূর্য কিরণে বেড়ে উঠে যা তাদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করতে সাহায্য করে। এদের খাবারের জন্য তেমন কোন খরচ করতে হয় না।

মোরগ নির্বাচনঃ- দেশি মোরগ বা মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য তেমন কোন হ্যাচারি গড়ে ওঠেনি তাই নিজেকে ই দেখে শুনে সুস্থ সবল ও নিরোগ মোরগ সংগ্রহ করতে হবে। মূলত ৪০০-৬০০ গ্রামের মোরগ দিয়ে শুরু করলে ভাল ফলাফল আশা করা যায়। কারন ঐ সময়ের পর মোরগ গুলো দ্রুত বাড়ে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচর্যা পেলে ২ মাস পর মোরগ গুলোর গড় ওজন ২ কেজির উপর হবে। প্রতি কিলো দেশি মোরগের মূল্য কেমন আছে সেটা নাই বা বললাম। আপনারা নিজেরা লাভ-ক্ষতি বের করে নিন।

মুরগির ঘর তৈরির নিয়মঃ- মোরগের জন্য খোলামেলা ঘর হতে হবে। ১.৫ মিটার (৫ ফুট) লম্বা X১.২ মিটার (৪ ফুট) চওড়া এবং ১ মিটার (৩.৫ ফুট) উঁচু ঘর তৈরি করতে হবে। ঘরের বেড়া বাঁশের তরজা বা কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি করতে হবে। এছাড়া মাটির দেয়ালও তৈরি করা যাবে। বেড়া বা দেওয়ালে আলো বাতাস চলাচলের জন্য ছিদ্র থাকতে হবে। ঘরের চাল খড়, টিন বা বাঁশের তরজার সাথে পলিথিন ব্যবহার করে তৈরি করা যাবে। এরকম ঘরে ১০-১৫টি মোরগ পালন করা যায়।

খাবারঃ- বাড়ির প্রতিদিনের বাড়তি বা বাসী খাদ্য যেমন ফেলে দেওয়া এঁটোভাত, তরকারি,ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গম, ধান, পোকামাকড়, শাক সবজির ফেলে দেওয়া অংশ, ঘাস, লাতা পাতা, কাঁকর, পাথর কুচি ইত্যাদি মুরগি কুড়িয়ে খায়।

পরিচর্যাঃ- ছেড়ে পালন পদ্ধতিতে মুরগি পরিচর্যার জন্য সময় বা লোকজনের তেমন দরকার পড়ে না। তারপরও কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয়। সকালে মুরগির ঘর খুলে কিছু খাবার দিতে হবে। সন্ধ্যায় মুরগি ঘরে ওঠার আগে আবার কিছু খাবার দিতে হবে। ঘরে উঠলে দরজা বন্ধ করে দিতে হবে।মুরগির পায়খানা ঘরের মেঝেতে যেন লেপ্টে না যায় সেজন্য ঘরের মেঝেতে ধানের তুষ, করাতের গুঁড়া ২.৫ সে.মি. (১ ইঞ্চি) পুরু করে বিছাতে হবে। পায়খানা জমতে জমতে শক্ত জমাট বেঁধে গেলে বারবার তা উলট-পালট করে দিতে হবে এবং কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। এ পদ্ধতিতে দেশি মোরগ পালন করা গেলে প্রায় তেমন কোন খরচ ছাড়াই ভাল একটা মুনাফা পাওয়া যাবে।

দেশি মুরগি পালনে যত্ন নিতে হবে:
সাকুল্যে ৫-১০টি মুরগি। বাড়ির আশপাশে চরে বেড়িয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার, পোকামাকড়, কেঁচো, কচি ঘাসপাতা খায় তারা। সে অর্থে প্রতিপালনের কোনও খরচ নেই বললে চলে। আপাতদৃষ্টিতে লাভজনক মনে হলেও আসলে অতটা লাভ হয় না। ছাড়া মুরগি অন্যত্র ডিম পেড়ে আসে, কখনও রোগে মারা যায়। তাই দেশি মুরগির পালন লাভজনক করতে হলে কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, সে জাত নির্বাচনেই হোক বা রোগ পরিচর্যায়।

প্রথমে আসি মুরগির জাতে। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যেমন, রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প। রঘুনাথপুর, বালুরঘাটের রাজ্য মুরগি খামারে লাল বা আরআইআর এবং কালো বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ইদানীং কালে বনরাজা, গিরিরাজা, গ্রামরপ্রিয়া ইত্যাদি জাত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে।

মুরগি রাতে রাখার জন্য ঘর বানাতে হবে। মাটি থেকে সামান্য উপরে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে কম খরচে খড় বা টালি ঢেকে তৈরি ঘরগুলো যেন শুকনো, পরিষ্কার হয়। আর আলো-বাতাস খেলে। প্রতিটি পাখির জন্য গড়ে তিন বর্গফুট জায়গা ধরতে হবে।

দেশি মুরগি চরে বেড়িয়ে তার খাবার সংগ্রহ করে নিলেও এ ধরনের উন্নত জাতের মুরগির পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগাতে অল্প পরিমাণে সুষম খাবার দেওয়া প্রয়োজন। চালের গুঁড়ো (৩০০ গ্রাম), খুদ বা গম ভাঙা (২৮০ গ্রাম), সর্ষে/ তিল খোল ( ২০০ গ্রাম), মাছ বা সোয়াবিন গুঁড়ো (২০০ গ্রাম), ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশ্রণ যেমন সাপ্লিভিট এম (২০ গ্রাম) মিশিয়ে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু ৫০-৭০ গ্রাম হিসাবে অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে খেতে দিতে হবে। রাতে মুরগি রাখার যে ঘর আছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাত্রে জল ও খাবার দিতে হবে। যাতে সকালে ঘর থেকে বেরনো বা পরে ঘরে ঢোকার সময় ওই খাবার ও জল খাওয়া অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে ওষুধ গুলে খাওয়াতে সুবিধা হয়। মুরগির খাবার সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি দিন জমা রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে।

সংকরায়ণ পদ্ধতিতে দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত মোরগ রেখে প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটিয়ে দেশি মুরগির জিনগত উৎকর্ষতা বাড়ানো যায়। প্রতি ১০টি দেশি মুরগি পিছু ১টি উন্নত জাতের মোরগ রাখতে হবে। যে সংকর মুরগি জন্মাবে, তা দেশি মুরগির চেয়ে দ্রুত (৪-৫ মাস বয়সে) এবং প্রায় দ্বিগুণ (বছরে ১২০-১৪০টি) ডিম দেবে।

রোগব্যাধি মুরগি পালনের অন্যতম সমস্যা। তাই নিয়মিত মুরগির ঘর চুন বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে কৃমিনাশক ওষুধ (পাইপেরাজিন তরল বয়স অনুযায়ী ০.৫-১ মিলি) জলে গুলে খাওয়াতে হবে। রানিক্ষেত বা বসন্তের মতো কয়েকটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকাকরণ জরুরি। টিকা দেওয়ার দশ দিন আগে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। টিকাকরণ বিশেষত রানিক্ষেত টিকা ৭-১০ দিন বয়সে নাকে বা চোখে এক ফোঁটা, ৩০ দিন বয়সে আর এক বার, ২ মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ এবং আড়াই মাস বয়সে ডানার তলায় ০.৫ মিলি ইঞ্জেকশন অবশ্যই নিতে হবে। ঝিমুনি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা বা রক্ত পায়খানা নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকট্রিম ডিএস বা সেপম্যাক্স (১টি বড়ি ১০টি বড় বা ২০টি বাচ্চা মুরগির জন্য) খাবারে বা জলে গুলে ড্রপারে করে খাইয়ে দিতে হবে (৩/৫/৭ দিন)।

দেশী মুরগি বাণিজ্যিকভাবে পালন:
দেশী মুরগি বানিজ্যিকভাবে পালন কৌশল আয় বৃদ্ধি ও পারিবারিক পুষ্টির নিশ্চয়তা বিধানে দেশী মুরগী প্রতিপালন বিশেষ অবদান রাখতে পারে । আমরা সবাই বলে থাকি দেশী মুরগির উৎপাদন কম । কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ লক্ষ্য এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশী মুরগীর উৎপাদন দ্বিগুনের ও বেশী পাওয়া সম্ভব। দেশী মুরগি থেকে লাভ জনক উৎপাদন পওয়ায় বিভিন্ন কৌশল এখানে বর্ননা করা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে দেশী মুরগির ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজারে বিক্রি করার চেয়ে ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরী করে ৮-১২ সপ্তাহ বয়সে বিক্রি করলে লাভ বেশী হয়। এক সংঙ্গে ১০-১২ টি মুরগি নিয়ে পালন শূরু করতে হবে। তবে কখনও ১৫-১৬ টির বেশী নেওয়া ঠিক না । তাতে অনেক অসুবিধাই হয় । শুরুতে মুরগি গুলোকে কৃমি নাষক ঔষধ খাওয়ানোর পরে রানীক্ষেত রোগের টীকা দিতে হবে। মুরগির গায়ে উকুন থাকলে তাও মেরে নিতে হবে। প্রতিটি মুরগিকে দিনে ৫০-৬০ গ্রাম হারে সুষম খাদ্য দিতে হবে। আজকাল বাজারে লেয়ার মুরগির সুষম খাদ্য পাওয়া যায় । তা ছাড়া আধা আবদ্ধ এ পদ্ধতিতে পালন করলে লাভ বেশী হয়।

মুরগির সাথে অবশ্যই একটি বড় আকারের মোরগ থাকতে হবে। তা না হলে ডিম ফুটানো যাবে না । ডিম পাড়া শেষ হলে মুরগি উমে আসবে । তখন ডিম দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর ব্যবস্থা নিতে হয়।এক সঙ্গে একটি মুরগির নীচে ১২-১৪ টি ডিম বসানো যাবে। খামারের আদলে বাঁশ, কাঠ খড়, বিচলী তাল নারকেল সুপারির পাতা দিয়ে যত কম খরচে স্থানান্তর যোগ্য ঘর তৈরী করা সম্ভব তা করা যায়। ঘর তৈরীর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সঠিক মাপের হয় এবং পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে । বানানোর পর ঘরটিকে বাড়ীর সব চেয়ে নিরিবিলি স্থানে রাখতে হবে । মাটির উপর ইট দিয়ে তার উপর বসাতে হবে। তাহলে ঘর বেশী দিন টিকবে ।

ফুটানোর ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষনঃ- আরেকটি প্রয়োজনীয় ̧গুরুত্বপূর্ন কাজ। ডিম পাড়ার পর ডিম সসংগ্রহের সময় পেন্সিল দিয়ে ডিমের গায়ে তারিখ লিখে ঠান্ডা জায়গায় সংরক্ষন করতে হবে। ডিম পাড়া শেষ হলেই মুরগি কুঁচো হবে। গরম কালে ৫-৬ দিন বয়সের ডিম এবং শীত কালে ১০-১২ দিন বয়সের ডিম ফুটানোর জন্য নির্বাচন করতে হবে।

দেশী মুরগি পালন কৌশলের বিশেষ নজর দেয়ার ধাপ সমূহ:
উমে বসানো মুরগির পরিচর্যা করতে হবে। মুরগির সামনে পাত্রে সবসময় খাবার ও পানি দিয়ে রাখতে হবে যাতে সে ইচ্ছে করলেই খেতে পারে । তাহলে মুরগির ওজন হ্রাস পাবেনা এতে বাচ্চা তোলার পর আবার তাড়াতাড়ি ডিম পাড়া আরম্ভ করবে।

ডিম বসানোর ৭-৮ দিন পর আলোতে রাতের বেলা ডিম পরীক্ষা করলে বাচ্চা হয় নাই এমন ডিম ̧লো চেনা যাবে এবং বের করে অনতে হবে। বাচ্চা হওয়া ডিম ̧লো সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন মুরগি বিরক্ত না হয়।
প্রতিটি ডিমের গায়ে সমভাভে তাপ লাগার জন ̈ দিনে কমপেক্ষ ৫-৬ বার ওলট পালট করে দিতে হবে।
বাতাসের আর্দ্রতা কম হলে বিশেষ করে খুব গরম ও শীতের সময় ডিম উমে বসানোর ১৮- ২০দিন পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে হাতের আঙ্গুল ভিজিয়ে পানি স্প্রে করে দিতে হবে।
*ফোটার পর ৫-৬ ঘন্টা পর্যন্ত মাকে দিয়ে বাচ্চাকে উম দিতে হবে। তাতে বাচ্চা শুকিয়ে ঝরঝরে হবে।

বাচ্চা ফুটার পর বাচ্চার পরিচর্যা ও ডিম পাড়া মুরগির পরিচর্যা :- গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০-১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের (ব্রুডিং ) প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছূ আলাদা করে দিতে হবে।

বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে। উপরোক্ত বর্ণিত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।

মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায় । তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না । আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না ।প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০-৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩-৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪-৫ মাস পর পর আর. ডি. ভি . টীকা দিতে হবে।

দেশে একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০ -২৪দিন সময় নেয় । ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয় । বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০-১১০ দিন সময় নেয় । ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০- ১৩০ দিন সময় লাগে।

কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ -৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায় । এই পালন পদ্ধতিকে ক্রিপ ফিডিং বলে । * ক্রিপ ফিডিং পদ্ধতিতে বাচ্চা পালন করলে মুরগিকে বাচ্চা পালনে বেশী সময় ব্যায় করতে হয় না । ফলে ডিম পাড়ার জন্য মুরগি বেশী সময় দিতে পারে । এই পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটার সংখ্যা বেশী হয় । দেখা গেছে বাচ্চার মৃত্যুহারও অনেক কম থাকে। মোট কথা অনেক দিক দিয়েই লাভবান হওয়া যায় । এই পদ্ধতি বর্তমানে অনেকে ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ২:৪৩ অপরাহ্ন
হাঁসের ভ্যাকসিন শিডিউল
প্রাণিসম্পদ

অল্প পুঁজি ও কম রোগাক্রান্ত হওয়ার কারনে দিন দিন আমাদের দেশে হাঁস পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। হাঁসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল হলেও বেশ কিছু ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগে হাঁস মারা যেতে পারে। তাই হাঁস পালনের জন্য টিকা প্রদান বা হাঁসের ভ্যাকসিন সিডিউল খুব জরুরী।

হাঁস বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে আমাদের দেশে ডাক প্লেগ ও ডাক কলেরার কারনে হাঁসের মৃত্যুর রেকর্ড সবথেকে বেশী। তাই মূলত এই দুটি রোগের টিকা প্রদানের জন্য সরকারি ভাবে বলা হয়ে থাকে।

হাঁসের টিকা প্রদান কর্মসূচি নিচে দেওয়া হলোঃ

বয়স (দিন) টিকার নাম রোগের নাম টিকার ডোজ টিকা প্রাদানের স্থান
২০-২২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৪০-৪২ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৭০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
৯০ ডাক কলেরা ডাক কলেরা ১ মিলি বুকের চামড়ার নীচে
১০০ ডাক প্লেগ ডাক প্লেগ ১ মিলি বুকের বা রানের মাংসে

*এরপর প্রতি চার মাস অন্তর ডাক প্লেগ টিকা এবং ৬ মাস অন্তর ডাক কলেরা টিকা প্রদান করাতে হবে।

*উল্ল্যেখ্য বার্ড ফ্লুর প্রভাব বেশী থাকলে চার মাসে বার্ড ফ্লু টিকা দিতে হবে।

হাঁসের ভ্যাকসিন দেওয়ার নিয়ম:

ডাক প্লেগ ১০০ ডোজের ভ্যাকসিন ১০০ মিলি পরিস্কার পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ভ্যাকসিন গান অথবা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রইয়োগ করা হয়। ডাক কলেরার ভ্যাকসিন লাইভ হলে একই নিয়মে দিতে হবে। কিল্ড হলে সরাসরি প্রয়োগ করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২ ১:২৪ অপরাহ্ন
গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে যেভাবে তৈরি করবেন দানাদার খাদ্য
প্রাণিসম্পদ

আমাদের দেশে এখন গ্রামাঞ্চলের প্রায় পরিবারগুলো গাভী পালনের দিকে ঝুঁকছেন। গাভী থেকে একদিকে পাওয়া যাচ্ছে বাছুর আর অন্যদিকে পাওয়া যায় পুষ্টিকর দুধ। যা দিয়ে অর্থনৈতিক সংকটও নিরসন করতে পারেন গ্রামের মানুষগুলো। তবে আমাদের অধিকাংশ খামারিরা জানেনা কিভাবে যত্ন নিতে হবে গাভীর। গাভীর স্বাস্থ্য উন্নত করতে করণীয় সম্পর্কে তারা খুব বেশি বিজ্ঞ নয়। তারা জানেন কিভাবে তৈরি করা লাগে গাভীর দানাদার খাবার।

গাভীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে দানাদার খাদ্য তৈরির উপায়ঃ

প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
সবুজ ঘাস, খড়,পানি এবং দানাদার খাদ্য।
১০০ কেজি দৈহিক ওজন বিশিষ্ট একটি গাভীর জন্য সাধারণত ১-২ কেজি খড়, ৫-৬ কেজি সবুজ ঘাস এবং ১-১.৫ কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হয়।

দানাদার খাদ্য মিশ্রনে-
চাউলের কুঁড়া ২০%, গমের ভূষি ৫০%, খেসারি ভাঙ্গা ১৮%, খৈল ১০%, খনিজ মিশ্রণ ১%, আয়োডিন লবন ১%
গাভী যদি দুধ উৎপাদন করে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রথম ১ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ৩ কেজি দানাদার খাদ্য এবং পরবর্তী প্রতি ৩ লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য ১ কেজি হারে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হবে।

নিচে ২৫০ থেকে ৩০০ কেজি দৈহিক ওজনের দুগ্ধবতী গাভীর জন্য সুষম খাদ্য তালিকা দেওয়া হল-

উপাদান দৈনিক দেয়ার পরিমাণঃ
দানাদার খাদ্য মিশ্রণ ৪-৭ কেজি, কাঁচা সবুজ ঘাস ৯-১২ কেজি,পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং শুকনো খড় ৩-৪ কেজি।

গাভীর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে খাদ্যে পাচ্যতা, পুষ্টিগুণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২২, ২০২২ ৩:৩৫ অপরাহ্ন
সুবর্ণচরে “আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের আওতায় খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

“আধুনিক প্রযুক্তিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস উৎপাদনে দেশব্যাপী খামারীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১শে জানুয়ারি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস হলরুমে সুফলভোগী খামারিদের অংশগ্রহনে ৩ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ এই খামারী প্রশিক্ষণে খামারিদের আধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম খরচে গরু হৃষ্টপুষ্টকরনের মাধ্যমে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে উৎপাদন, গবাদিপশুর বাসস্থান, পালন ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেন। সুফলভোগী ২৫ জন খামারীর অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয় যেখানে খামারীগণে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল দেখার মত।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী এক খামারি জানান, “এখানে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারছি, গরু লালন পালনে আগের থেকে খরচ অনেক কম হচ্ছে, ফলে লাভের মুখ দেখছি । এই প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে ঔষধ পাচ্ছি এই প্রকল্প আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে ।”

প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক খামারীকে ২ কেজি করে ভিটামিন ও কৃমির ঔষধ বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop