৬:২৫ পূর্বাহ্ন

সোমবার, ২ জুন , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ৪:৩১ অপরাহ্ন
খুলনার ডুমুরিয়ায় “আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের আওতায় খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

খুলনার ডুমুরিয়ায় “আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ” প্রকল্পের অর্থায়নে খামারি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী খুলনার ডুমুরিয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে সুফলভোগী খামারিদের অংশগ্রহনে ৩ দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে এই খামারী প্রশিক্ষণে খামারিদের আধুনিক বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কম খরচে গরু হৃষ্টপুষ্টকরনের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন, গবাদিপশুর বাসস্থান, পালন ব্যবস্থাপনা, রোগবালাই প্রতিরোধ ও দমন বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেন।সুফলভোগী ২৫ জন খামারীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি সম্পন্ন হয়।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী এক খামারি জানান, গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিভাবে স্বল্প খরচে গরু পালন করা যায় এবং ঔষধ ব্যবহার করে রোগ-জীবাণু থেকে কীভাবে খামারকে রক্ষা করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন থেকে আধুনিক উপায়ে খুব সহজেই গরু মোটাতাজা করে লাভবান হতে পারব।

প্রশিক্ষণ শেষে সুফলভোগী প্রত্যেক খামারীকে ভিটামিন ও কৃমির ঔষধ বিতরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ৩:১৬ অপরাহ্ন
সোনালি মুরগির খামারে ডিমের উৎপাদন বাড়াবেন যেভাবে
পোলট্রি

বর্তমান সময়ে ব্যাপকহারে মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। খামারে অনেকেই সোনালি মুরগি পালন করে থাকেন। অনেকেই ডিম উৎপাদনের জন্য সোনালি মুরগি পালন করে থাকেন। খামারে লাভবান হওয়ার জন্য ডিম উৎপাদন বাড়ানো জরুরী।

সোনালি মুরগির খামারে ডিমের উৎপাদন বাড়ানোর কৌশলঃ
মুরগির খামার নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। খামারের ভেতরে যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না সৃষ্টি হয়। খামারটি সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করতে হবে।সোনালি মুরগি পালনে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য সবার আগে খাদ্য ব্যবস্থায় দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য প্রদানের ভিত্তিতে মুরগির ডিমের উৎপাদন নির্ভর করে থাকে। তাই সোনালি মুরগিকে সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করতে হবে।

সোনালি মুরগি পালনে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য লেয়ারের মতই আলোকসূচি মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে আলোকসূচিতে কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।সোনালি মুরগির খামারে সব সময় আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এজন্য খামারটি খোলামেলা স্থানে হলে ভালো হয়। খামারে নিয়মিত ভ্যাকসিন দিতে হবে। সময়মতো মুরগিকে কৃমিমুক্ত করতে হবে। মাঝে মাঝে মুরগির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।

খামারে লক্ষ্য করুন কোন মুরগিগুলো ডিম দিচ্ছে আর কোন গুলো দিচ্ছে না। যেগুলো থেকে ডিম পাচ্ছেন না সেগুলোকে আলাদাভাবে পরিচর্যা করতে হবে।খামারে খাদ্যের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। খামারের ভেতরে কিছু দূর পর পর পানির পাত্র দিতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৫, ২০২২ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

মাছ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বিদেশে রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শুক্রবার (০৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টেলিভিশনের স্টুডিওতে এসিআই দীপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান, সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, “কৃষি বাঙালির প্রাণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে কৃষককে বাঁচাতে হবে। আর কৃষকের প্রাণ হচ্ছে কৃষি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কৃষির একটি বড় খাত। এ খাতে আমরা অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছি। মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, আমরা এখন বিদেশে রপ্তানির পর্যায়ে পৌঁছেছি”।

তিনি আরো বলেন, “পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটানো, বেকারত্ব দূর করা, কর্মোদ্যোক্তা তৈরি করা এবং নতুন আঙ্গিকে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখার ক্ষেত্রে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত ব্যাপক ভুমিকা পালন করছে। সে ভূমিকার সফল ও সার্থক ক্যাপ্টেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে”।

অনুষ্ঠানে সেরা মাঠ ফসল উৎপাদনকারী কৃষক, সেরা গবাদিপশুর খামারি, সেরা ফল বাগানি, সেরা সমবায় কৃষি, সেরা সবজি চাষি, সেরা পোল্ট্রি খামারি, সেরা মৎস্য চাষি, সেরা কৃষি উদ্ভাবক, সেরা কৃষি উদ্যোক্তা নারী ও সেরা কৃষি উদ্যোক্তা পুরুষসহ মোট ১০টি শ্রেণিতে কৃষি উদ্যোক্তা, খামারি ও উদ্ভাবকদের পুরস্কৃত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩, ২০২২ ৪:২৬ অপরাহ্ন
গবেষণায় বিএলআরআইকে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

গবেষণায় বিএলআরআইকে সনাতনী পদ্ধতি বদলে ফেলে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে বলে আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৪ তম সভায় সভাপতির বক্তব্য মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এসময় তিনি আরো বলেন, “আমাদের গবেষণালবদ্ধ ফলাফলের মাধ্যমে উৎপাদিত সামগ্রী গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে সংযুক্ত করে নামকরণ করতে হবে। তা না হলে গবেষণার ফলাফল, কৃতিত্ব কিছুই আমাদের নামে থাকবে না”।

মার্চ বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ মুক্তির সংগ্রামের জন্য ডাক দেন। কার্যত এ দিন থেকেই বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেন। পরবর্তীতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। অন্যদিকে ১৭ মার্চ আমাদের জাতির পিতার জন্ম দিবস। এ মাসে লক্ষ্য থাকবে বিএলআরআইসহ আমাদের সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক, উন্নত, সমৃদ্ধ ও বিকশিত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ, পদোন্নতি ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে”।


বিএলআরআই এর বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী বলেন, “গতানুগতিক গবেষণা নয়, গবেষণা হতে হবে নতুনত্ব সামনে নিয়ে আসার জন্য। গবেষণার গতি স্তিমিত হতে পারবে না। দেশের উন্নয়নের গতি বজায় রাখতে বিএলআরআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় সনাতনী পদ্ধতি বদলে ফেলে আধুনিক ও উন্নত পদ্ধতি সন্নিবেশ করতে হবে। গবেষণার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করতে হবে”।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএলআরআই এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মোছাঃ শামীমা আক্তার খানম এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বোর্ডের ভাইসচেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য ও বোর্ড সদস্য শরিফা খান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বোর্ড সদস্য ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বোর্ড সদস্য ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, বিএলআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ও বোর্ড সদস্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগণ গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ও বোর্ড সদস্য ইয়াসমিন রহমান, বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বোর্ড সদস্য ড. মো. জিল্লুর রহমান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণারয়ের অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি ও এস এম ফেরদৌস আলম সভায় যোগদান করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২, ২০২২ ১১:২২ অপরাহ্ন
বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী বিশ্ব ব্যাংক
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে অব্যাহত সহযোগিতা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। বুধবার (০২ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সাথে তার দপ্তর কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন (Mercy Miyang Tembon) এর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও সুবোল বোস মনি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা,বিশ্ব ব্যাংকের এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড গ্লোবাল প্রাকটিসের গ্লোবাল ডিরেক্টর মার্টিন ভ্যান নিউকপ (Martien Van Nieuwcoop), বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট ক্রিশ্চিয়ান বার্গার (Critian  Berger), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম ও প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. মো. গোলাম রব্বানী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সম্পদ প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অতীতের চেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। করনোসহ কিছু প্রাথমিক জটিলতায় এ প্রকল্পের কাজ সাময়িকভাবে ধীরগতিতে হলেও এখন আর তা নেই। প্রকল্পের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় ৪ হাজার ২০০ প্রণিসম্পদ সেবা প্রদানকারী নির্বাচন করা হয়েছে,১ হাজার ৫০০ খামারির মধ্যে মিল্ক ক্রিম সেপারেটর মেশিন বিতরণ করা হয়েছে, ৯০ হাজারের অধিক খামারিকে সম্পৃক্ত করে ৩ হাজার প্রডিউসার গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় প্রাণী চিকিৎসা সেবা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ৩৬০টি মোবাইল ফ্যাক্টরি ক্লিনিক ক্রয় করা হয়েছে যার মধ্যে সম্প্রতি ৬১টি বিতরণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় স্লটার হাউস তৈরির মাঠ পর্যায়ের অনেক কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে। তাছাড়াও এ প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা, প্রাণিসম্পদ বীমা নীতি প্রণয়ন, প্রাণীদের নিবন্ধন ও পরিচিতি প্রদান করার সিস্টেম ও ডাটাবেজ উন্নয়নের কাজ চলছে”।

“সম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত তথা পোল্ট্রি, ডেইরিসহ নানা খাতে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে পরিচালিত প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হবে”-মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

মার্সি মিয়াং টেম্বন এ সময় বলেন, “বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে দেখে শিখছে। বিশেষ করে এ দেশের কৃষি খাত অনেক এগিয়ে গেছে। তবুও এ খাতে বিশেষ করে প্রাণিসম্পদ খাতে আরও অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে। এ খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরো অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ গতিশীল করা প্রয়োজন”।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২২ ৪:০১ অপরাহ্ন
ছাগল মোটাতাজা করবেন যেভাবে
প্রাণিসম্পদ

বর্তমানে ছাগলের খামারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। এর মাধ্যমে সফলতা তথা স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক চাষি। তবে এই ছাগল যদি হয় আরো মোটাতাজা তাহলে এর ফলাফল আসবে আরো বেশি। তাই যারা ছাগল পালন করেন তাদের ছাগল মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি জানা দরকার। তাহলে আরো লাভবান হতে পারবেন এই পেশায়।

ছাগল মোটাতাজাকরণের মাধ্যমে সফল হওয়ার উপায়:
ছাগল পালন করে লাভবান হওয়ার জন্য ভাল মানের ছাগল বাছাই করা সবচেয়ে জরুরী। ছাগল পালন করতে রোগমুক্ত কিন্তু শুকনো শরীরের ছাগল নির্বাচন করতে হবে। এতে এই ছাগলকে পরিচর্যা ও খাদ্য প্রদানের মাধ্যমে সহজেই মোটাতাজা করা যায়। আর এই মোটাতাজা করা ছাগল থেকে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। ভাল মানের ব্রিড সংগ্রহ করতে না পারলে উন্নত মানের ছাগল পাওয়া যায় না। আর ভাল মানের ছাগল সংগ্রহ করার মাধ্যমেই ছাগল পালনে লাভবান হওয়া যায়।

ছাগল পালনে লাভবান হওয়ার জন্য ছাগলের কৃমি দমন করা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। ছাগলকে সঠিক সময়ে কৃমি মুক্ত করাতে না পারলে ছাগলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি হয়ে থাকে। তাই ছাগলকে প্রতি ৪ মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে।ছাগলকে রোগমুক্ত রাখার জন্য ছাগলকে সময়মতো সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ছাগলকে প্রতি বছর রোগের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন রোগের ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে।

ছাগলকে মোটাতাজা করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়কাল নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে একটি সময় অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
এছাড়া ছাগলের খামার থেকে লাভবান হওয়ার জন্য ছাগলকে খাদ্য প্রদান করা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত ছাগলের খাদ্য ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করেই ছাগলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে থাকে। তাই ছাগল পালনে লাভবান হবে খাদ্য ব্যবস্থার উপর জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ছাগলের বয়স অনুযায়ী খাদ্য তালিকা করতে হবে।

ছাগলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য ছাগলকে যথাসম্ভব ছেড়ে দিয়ে পালন করতে হবে। এর ফলে যেমনি ছাগলের শরীর সুস্থ থাকবে তেমিন আনুসাঙ্গিক খরচও কমে আসবে অনেকগুনে। ছাগল পালনে লাভবান হওয়ার জন্য নিয়মিত ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। প্রয়োজনে নিয়মিত ছাগলের ওজন মাপতে হবে।

ছাগলের নিয়মিত কিছু দুর্ঘটনা ও সাধারণ রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা পালনকারীদের জেনে রাখতে হবে। এর ফলে সামান্য সমস্যাতেই ডাক্তার ডাকতে হবে না। যার কারণে চিকিৎসা খরচ থেকে বেঁচে যাওয়া যায়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২২ ১২:৩৫ অপরাহ্ন
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ফার্মা এন্ড ফার্ম’র খামারি সেমিনার অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

” আধুনিক পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরন ও করনীয়” বিষয়ক ফার্মা এন্ড ফার্ম’র একটি খামারি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জে উক্ত খামারি সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

বিল্লাল হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত খামারি সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্মা এন্ড ফার্ম’র রিজিওনাল ম্যানেজার আশরাফুল হক বজলুএসময় তিনি অল্প সময়ে, অল্প পুজিতে আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরন করে কিভাবে অধিক লাভ করা যায় তা একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় গরু নির্বাচন থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপগুলো আলোচনা করেন। এ সময় তিনি পরজীবি মুক্তকরন (Shitril, Vermishin Inj.), হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক(Rumitop, Rumiguard, Shinora Bolus), প্রিবায়োটিকস (A-Max Xtra), প্রোবায়োটিক (Bio-Top), রুচিবর্ধক (SI Rufort), পুষ্টিগুণ(Toposol Inj), ভিটামিন(Si Multivita, B-Comp Inj.), এমাইনো আ্যাসিড(SI Multivita) সমৃদ্ধ ইত্যাদি প্রোডাক্টস নিয়ে আলোচনা করেন।

খামারিদের প্রশ্নোত্তর পর্বে ফার্মা এন্ড ফার্ম’র রিজিওনাল ম্যানেজার আশরাফুল হক বজলু ডেইরিতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাচা ঘাস ও ব্যালেন্সড রেশনের পাশাপাশি ফার্মা এন্ড ফার্ম’র SI Milk more Bolus এবং Milk more powder ব্যবহার ও গুনগতমান সম্পূর্ণ প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন।

উক্ত খামারি সেমিনারটিতে আরো উপস্থিত ছিলেন এরিয়া ম্যানেজার, মার্কেটিং অফিসার ও খামারীবৃন্দ।

 

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ৪:৪১ অপরাহ্ন
দক্ষ জনশক্তি তৈরির শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে সরকার- শ ম রেজাউল করিম
প্রাণিসম্পদ

শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয় বরং দক্ষ জনশক্তি তৈরির শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।

সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নে শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এস এম রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ, নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ বেপারী, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, স্থানীয় অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, “উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে শিক্ষা বিস্তারের কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন বিভাগে ও জেলায় মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। তিনি প্রতি জেলায় সরকারি পর্যায়ে আধুনিক মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে দেবেন”।

তিনি আরো বলেন, “শিক্ষা বিস্তারে এতো অর্থ বরাদ্দ দেশের ইতিহাসে অতীতের কোন সরকার দেয়নি। যেটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দিয়েছে। শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি মনে করেন শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তাদের পেছনে রেখে একটি জাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারে না”।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, “আমরা শিক্ষানির্ভর, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠন করতে চাই। শুধু সার্টিফিকেট নির্ভর শিক্ষা নয় বরং শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। যে শিক্ষা একজন ব্যক্তিকে কারিগরিভাবে সক্ষম করে তুলবে, স্বাবলম্বী করে তুলবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। সে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে”।

এর আগে মন্ত্রী পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় শ্রীরামকাঠী ইউপি-কালীবাড়ি হাট সড়ক কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সন্নিকটে বক্স কালভার্ট নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং শ্রীরামকাঠী মহাবিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ৪:৩২ অপরাহ্ন
গবাদিপশুর দানাদার খাদ্য ব্যবহারে যা করবেন
প্রাণিসম্পদ

আমরা গবাদিপশুর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য দানাদার খাবারের সাথে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেল ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দিয়ে থাকি। এই গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে দানাদার খাদ্যের প্রচলন আমাদের দেশে ব্যাপক। তবে শুধুই দানাদার খাদ্য গবাদিপশুর প্রকৃত খাবার নয়।

দানাদার খাদ্য ব্যবহারের কৌশল:

শুরুতেই যে বীজগুলো(যেমন- গম, ভুট্টা ইত্যাদি) অঙ্কুরিত করবেন সেগুলো ভালভাবে পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে পরিস্কার পানিতে বীজ গুলোকে গমের ক্ষেত্রে ৮-১২ঘণ্টা এবং ভুট্টার ক্ষেত্রে ২০-২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এভাবে ভিজিয়ে রাখার পর বীজগুলোকে পুনরায় পানিতে কয়েকবার করে ধুয়ে নিন এবং শষ্যদানা থেকে পানি ছেঁকে নিন।
এবারে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিন এবং এটি দিয়ে বীজসমৃদ্ধ পাত্রটি ঢেকে ফেলুন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে শষ্যদান পুটলি বেধে ছায়াযুক্ত এমন একটি স্থানে রেখে দিন যেখানে তাপমাত্রা খুব বেশি নয়।

এভাবে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আপনার শষ্যদানা অঙ্কুরিত হবে।এবার অঙ্কুরিত শস্যদানা ধুয়ে নিয়ে গবাদীপশুকে পরিবেশন করুন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২২ ১:৫৫ অপরাহ্ন
ছাগল পালনে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা
প্রাণিসম্পদ

গরু-ছাগল পালন এখন একাংশ মানুষ তাদের অর্থনৈতিক চাকা পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসাবে নিয়েছেন। বিশেষ করে কম দামে কিনতে পাওয়া যায় ছাগল। যা মোটামুটি গ্রামের প্রতিটা কৃষকের আছে। তারা ছাগল পালনে বড় কিছু করার প্রত্যাশায় এতে শ্রম দিয়ে থাকে। তবে এই শ্রমকে সফল করতে লাগবে অনেকগুলো পদ্ধতি। তম্মধ্যে অন্যতম হলো ছাগলকে খাওয়াতে হবে নিয়মিত কাঁচা ঘাস। কারণ ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে। এছাড়াও ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নানা উপকার পাওয়া যায়।

ছাগলকে কাঁচা ঘাস কেন খাওয়ানো প্রয়োজন:

১। মনে রাখবনে কাঁচা ঘাস কিনতে হয় না। এটি তৈরি হয় প্রাকৃতিক উপায়ে। যার কারণে এতে খরচ নেই বললেই চলে। আর তাই অর্থনৈতিক দিক বিবেচেনায় ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানো উচিত।

২। নিয়মিত ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ছাগলের শারীরিক পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং ছাগল বেশি পরিমাণ দুধ প্রদান করতে সক্ষম হয়ে থাকে।

৩। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় বাচ্চা মৃত্যুর হার অনেকগুনে কমে যায়। নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাদ্য হিসেবে ছাগলকে খাওয়ালে বাচ্চার মৃত্যু কম হয়।

৪। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলের শরীর সঠিক সময়ে প্রজননে সক্ষম হয়। এর ফলে ছাগলের প্রজননের জন্য কৃত্রিম পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফল হওয়া যায়।

৫। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলকে দানাদার খাদ্য কম দেওয়া লাগে। সেজন্য ছাগলকে দানাদার খাদ্য প্রদান করতে হয় না। তাই ছাগলের জন্য দানাদার খাদ্য কেনার টাকা বেঁচে যায়।

৬। ছাগলকে নিয়মিত কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগল যখন বাচ্চা জন্ম দেয় তখন বাচ্চার ওজন সঠিক পাওয়া যায়। বাচ্চা সুস্থ সবল হয়ে জন্ম নেয়।

৭। কাঁচা ঘাস ছাগলকে নিয়মিত খাওয়ালে ছাগলের মৃত্যুর হার অনেকগুনে কমে যায়। কাঁচা ঘাস ছাগলকে নিয়মিত খাওয়ালে ছাগলের জীবনীশক্তি বৃদ্ধি পায়। আর এর ফলে ছাগল অকালে মরা থেকে রক্ষা পায়।

৮। ছাগলকে কাঁচা ঘাস খাওয়ালে ছাগলের চিকিৎসা খরচ অনেকগুনে কমে যায়। কাঁচা ঘাস খাওয়ার ফলে ছাগল জটিল কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়না। এর ফলে ছাগলের চিকিৎসার খরচ বেঁচে যায়।

ঘাস চাষ:
ছাগলের জন্য ইপিল ইপিল, কাঁঠাল পাতা, খেসারি, মাসকলাই, দুর্বা, বাকসা ইত্যাদি দেশি ঘাসগুলো বেশ পুষ্টিকর। এছাড়া উচ্চফলনশীল নেপিয়ার, স্পেনডিডা, এন্ড্রোপোগন, পিকাটউলুম ইত্যাদি ঘাস চাষ করা যায়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop