৪:৪৭ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অক্টোবর ১, ২০২২ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষে ভাগ্য বদল দুই শতাধিক পরিবারের
মৎস্য

মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। এখান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সরবরাহ হচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে। চাষিরা লাভের মুখ দেখায় বর্তমানে মাছের এই চাষ ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকাগুলোতেও।

ফরমালিন আতঙ্কে অনেকেই যখন মাছ কিনতে ভয় পাচ্ছেন। তখন সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের উৎপাদিত তাজা মাছ। এসব গ্রামে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই পুকুর আর পুকুর।

এসব পুকুরে চাষ হচ্ছে- রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প, তেলাপিয়া, পাংগাসসহ বিভিন্ন মাছ। পুকুর থেকে মাছ ধরার পর পানি ভর্তি ড্রামে করে তোলা হয় ট্রাকে। সেই ট্রাক চলে যাচ্ছে সাতক্ষীরার বিনোরপোতা, ডুমুরিয়ার আঠারোমাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

তালার কলাগাছি গ্রামের আদিত্য রায় বলেন, তিনি এবার ১০ বিঘা পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের আবাদ করেছেন। মাত্র এক বিঘা পুকুর থেকে বর্তমানে তার ১০ বিঘা পুকুরে মাছ চাষ হয়। অল্প দিনের ব্যবধানে তিনি বর্তমানে স্বাবলম্বী। তার মতো জেলার অনেক চাষিই স্বাবলম্বী হয়েছেন মাছ চাষ করে।

কলাগাছি গ্রামের অনিল সরকার, তপন সরকার, অমিত সরকারসহ কয়েকজন মাছ চাষি বলেন, মাছ চাষে ব্যাপক লাভ হয়। তবে জেলা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাজা মাছের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। অন্যান্য চাষের চেয়ে মাছ চাষে বেশ লাভবান হওয়া যায়।

তালার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী বলেন, ইতোমধ্যে মাছ চাষিদের তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণসহ ঋণ সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ ৫:২৭ অপরাহ্ন
দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদায় বড় যোগান দেয় মাছ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদায় মাছ বড় যোগান দেয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের রজতজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের মৎস্যসম্পদকে গুরুত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন মাছ হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দ্বিতীয় বৃহত্তম খাত। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে মাছ ও প্রাণিসম্পদের গুরুত্ব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সে সময় তুলে ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মৎস্যসম্পদ আহরণের জন্য তার সময়ে বিদেশ থেকে মাছ ধরার ট্রলার আনা হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে সমুদ্র সংক্রান্ত আইন তৈরি করেছেন। এ আইনের উপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ আয়তনের সমুদ্র সীমায় আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই সমুদ্রসীমা আমাদের সুনীল অর্থনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। সুনীল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রচলিত ও অপ্রচলিত মাছ, সামুদ্রিক শৈবালসহ অন্যান্য সম্পদ।

মৎস্যবিজ্ঞানের ক্ষেত্র উন্মুক্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে মৎস্যবিজ্ঞানের ব্যপ্তি ও কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি। এ বিষয়ে দেশে গবেষণার প্রচুর সুযোগ ও বরাদ্দ রয়েছে। মৎস্যবিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। মৎস্য খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৎস্যবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। মৎস্য খাত উদ্যোক্তা তৈরি করছে। বেকারত্ব দূর করতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণ অর্থনীতি সচলে ভূমিকা রাখছে।

দেশে মাছের উৎপাদন ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টন উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও যোগ করেন, এক সময় বলা হত ভাতে-মাছে বাঙালি। তারপর একটা সময় বলা হত মাছের আকাল। বর্তমানে মাছের উৎপাদন অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মৎস্য খাতে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। সরকার এ খাতে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে, উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে ৩৭ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফিরিয়ে এনেছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক করা হয়েছে। কোন অঞ্চলে মাছের শূন্যতা দেখা দিলে জিন ব্যাংক থেকে মাছের পোনা সে অঞ্চলে অবমুক্ত করা হবে। ফলে দেশের কোথাও আর মাছের আকাল হবে না। এখন গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র পুষ্টিসম্মত পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা ও পৃষ্ঠপোষকতা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা এগিয়ে আসায় এটা সম্ভব হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মনির।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ ৩:৪৬ অপরাহ্ন
এক রাতেই মরে গেল প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ!
মৎস্য

পুকুরে ভেসে উঠল অসংখ্য মরা মাছ। এক রাতেই মরে গেল ৮ লাখের বেশি টাকার মাছ।

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁর ইউনিয়নের দাউল (করজবাড়ী) গ্রামে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এ ঘটনায় পুকুরের মালিক মো. গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মহাদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

কী কারণে এমনটি ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা তা পরিষ্কার নয় এখনও। তবে ভুক্তোভোগী গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এমনটি ঘটানো হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত কছিমুদ্দিনের ছেলে গোলাম কিবরিয়া কৃষি কাজের পাশাপাশি তার গ্রামেই নিজস্ব ৮৪ শতাংশ একটি পুকুরে মাছ চাষ করছেন। গত রোববার তিনি পরিবারসহ অন্যত্র বেড়াতে যাওয়ার সুযোগে রাতের কোন এক সময় কে বা কাহারা তার পুকুরে কীটনাশক বিষ প্রয়োগ করে।

সোমবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুকুরে এসে দেখতে পান, পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠেছে। বিষ প্রয়োগের ফলে পুকুরে থাকা ১১০ থেকে ১২০ মণ মাছ মারা যায়। এতে তার ৮ লাখের বেশি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

মৎস্যচাষী কৃষক গোলাম কিবরিয়া আরও জানান, পুকুরে পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১২ হাজার মাছ ছিল। প্রতিটি মাছের ওজন হয়েছিল প্রায় ১ কেজি। কিন্তুপূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার রাতের কোন এক সময় কে বা কাহারা আমার ক্ষতি করার লক্ষ্যে বিষ প্রয়োগ করে এ মাছগুলো নিধন করে।

মাতাজীহাট ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই আব্দুল মতিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুরে বিষ প্রয়োগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২২ ১২:২৭ অপরাহ্ন
কালকিনিতে ১৫ জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ
মৎস্য

“জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার নির্বাচিত ১৫টি জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার সকালে দেশীয় প্রজাতির ছোটমাছ ও কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম, উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদান, উপজেলা সহকারি কমিশন ভূমি মো. ইমরান খান, সদ্য যোগদানকারী উপজেলা সহকারি কমিশন ভূমি মো. কায়েসুর রহমান ও কালকিনি থানার ওসি মো. শামীম হোসেন প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২ ২:১৫ অপরাহ্ন
মাছ চাষে মুখে হাসি পাবনার চাষিদের
মৎস্য

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমী গ্রামে দুই বিলে মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলেছেন গ্রামবাসীরা। বিলের পার্শ্ববর্তী পাঁচ গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এক সময় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করতো। বর্তমানে মাছ চাষে ফিরতে শুরু করেছে সুদিন।

জানা যায়, দুটি বিলের একটির নাম চামগড়া অপরটি পদ্ম। দুটি বিল প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ ও তিন কিলোমিটার প্রস্ত। এ দুই বিলজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৪৫০টি পুকুর। প্রায় ১৫ বছর আগে এই বিলের জমির মালিকরা পুকুর খনন করে। প্রতি বছরই পুকুরের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

মাছ চাষিরা বলেন, এই দুই বিল মারমী গ্রামের বৃহৎ অংশ জুড়েই রয়েছে। পাশাপাশি সুলতানপুর, হাতিগড়া, বয়রা, শ্যামপুর গ্রামেও রয়েছে এ দুই বিলের সীমানা। বর্তমানে সেখানে মাছ চাষ করে প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

লাডুলি গ্রামের মাছচাষি শরিফুল ইসলাম মণ্ডল জানান, ৩৭ বিঘার বড় পুকুর সহ আরো ৮টি পুকুরে মাছ চাছ করি। আমার মতো অনেকেই এখানে মাছ চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। সকল খরচ বাদ দিয়ে বছরে প্রায় ১৫-২০ লাখ টাকা আয় হয়। তবে বর্তমানে মাছের খাদ্যের দাম বাড়ায় মাছ চাষিদের লাভের পরিমান কমেছে।

উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, ঈশ্বরদীতে মোট ২৪৭৬ পুকুর রয়েছে। দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমী ও সুলতানপুরসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে মাছের ব্যাপক চাষ হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে জমজমাট বাংলাদেশি মাছ
মৎস্য

সামুদ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে মাছ রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মাছ মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্রোজেন ব্যবসায়ীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সামুদ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থার অসুবিধাসহ বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে তারা এ ব্যবসা পরিচালনায় বাংলাদেশি পণ্যের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারছেন না। মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে তাদের এই ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা হলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সেখানে আশানুরূপ ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি ব্যবসায়িক হাবে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রচুর সাধারণ কর্মী বসবাস করেন এবং বড় ব্যবসায়িক কমিটি এখানে প্রসার করেছে। এখানে রয়েছে তাদের প্রচুর চাহিদা তবে এটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেখানে চাহিদা আছে সেখানে আমাদের জোগান নিশ্চিত করতে হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাপক চাহিদাসম্পন্ন ফ্রোজেন পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইলিশ, ইলিশের ডিম, পাবদা, কই, পাঙ্গাশ, মলা, কাচকি, শিং, লইট্টা, মৃগাল, গলদা ও বাগদা চিংড়িসহ আরও কয়েক জাতের মাছ। ব্যবসায়ীরা জানান, ইউরোপে বাংলাদেশের চিংড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকায় মধ্যপ্রাচ্যে নিয়ে আসা তা দুরূহ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দেশীয় শিমের বিচি, কচুর লতির চাহিদা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না আমিরাতের বাজারে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ ৩:৩০ অপরাহ্ন
ভোলার লালমোহনপ মাছের পোনা অবমুক্তকরণ
মৎস্য

জেলার লালমোহন উপজেলায় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টায় উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের রাজস্ব খাতের আওতায় উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মাসুমা বেগম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: রুহুল কুদ্দুস, উপজেলা এলজিইডি’র উপসহকারী প্রকৌশলী মো: বখতিয়ার হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, আজ উপজেলার পুকুরসহ মোট ২৬ টি পুকুর-জলাশয়ে ৩৫৭ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২ ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহে নারী খামারির খামারে বিষ, ৪০ হাজার পাঙ্গাস নিধন!
মৎস্য

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় এক নারী মৎস্য খামারির পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করা হয়েছে।

উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের পাড়াইল মোড়ে হ্যাপী মৎস্য খামারের তিনটি পুকুরে মঙ্গলবার ভোরে পাঙ্গাস ও দেশীয় মাছ মরে ভাসতে থাকে বলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান।

ভুক্তভোগি হ্যাপী কাউসার জানান,বিষপ্রয়োগে ৪০ হাজার পাঙ্গাস মাছ মরে ভেসে উঠেছে। প্রতিটা মাছ এক কেজির মতো ওজন ছিলো। এছাড়া এক লাখের উপরে দেশি মাছ মারা গেছে।

স্থানীয় মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর সে পুকুর থেকে মাছ চুরি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়।

এ কারণে সে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে থাকতে পারে বলে ধারণা হ্যাপির।

তিনি বলেন, “সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে ও লোন তুলে তিনটি পুকুরে মাছ ছেড়েছি। এক কোটি টাকার উপরে আমার ক্ষতি হয়ে গেলো। আজ আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। মাহবুবু ছাড়া আমাদের অন্য কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই, আমার এতো বড় ক্ষতি কেনো করলো? আমি তার বিচার চাই।”

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নাহিদা পারভিন জানান, “তিনটি পুকুরেই মাছ মরে ভেসে উঠেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো বিষক্রিয়ায় মাছগুলো মারা গেছে। তবে পরীক্ষা করা ছাড়া কারণ বলা যাবে না। বিষপ্রয়োগে মাছগুলো মারা হলে সেগুলো না খাওয়াই ভালো।”

এসআই আনোয়ার বলেন, “পুকুরগুলোতে সাদা হয়ে মাছ মরে রয়েছে। ধারণা করছি, বিষপ্রয়োগে সেগুলো মারা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
আত্রাইয়ে দেশি প্রজাতি মাছ সঙ্কটে শুঁটকি চাতাল
মৎস্য

উত্তরের মৎস্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে দেশি প্রজাতি মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে শুঁটকির ভরা মৌসুমেও শুঁটকি তৈরিতে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। এই পেশার সঙ্গে জড়িতদের জীবন ও জীবিকায় পড়েছে বিরুপ প্রভাব। ফলে ভালো নেই আত্রাইয়ের শুঁটকিপল্লী।

অবৈধভাবে মৎস্য আহরণের ফলে ক্রমেই কমতে শুরু করেছে দেশীয় প্রজাতির মাছের সংখ্যা। মৌসুমের শুরুতেই শুঁটকি তৈরির জন্য সাজ-সরঞ্জাম প্রস্তুত করা হলেও মাছের অভাবে সেগুলো এখন শূন্য ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অন্যান্য বারের মত এবারে এলাকায় তেমন বন্যা না হওয়ায় নদী ও খাল বিলের পানি কমে যাওয়ায় যে সময় দেশি মাছে বাজার সয়লাব থাকার কথা সে সময় দেখা মিলছে না দেশি মাছের। ফলে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

আত্রাই উপজেলায় প্রতিবছর প্রায় ৬০০ মেট্রিক টন শুঁটকি উৎপাদন হয়। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস থেকে শুঁটকি তৈরি শুরু হয়, চলে পৌষ-মাঘ মাস পর্যন্ত। এসময় টা ব্যস্ত সময় পার করেন শুঁটকি ব্যবসায়ীরা। শুঁটকি তৈরি ও বাজারজাত করে যে আয় হয় তা দিয়ে সারাবছর চলে যায় ব্যবসায়ীদের।

আত্রাই আহসানগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া গ্রামটি মূলত শুঁটকির গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আত্রাই আহসানগঞ্জ রেললাইনের দুইপাশেও কেডিসি সংলগ্ন এলাকায় মাচাতে শুঁটকি মাছ শুকানো হতো। কিন্তু এ বছর মাছের অভাবে অধিকাংশ মাচা ফাঁকা পড়ে আছে।

শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের উত্তরের জেলা সৈয়দপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, জামালপুর ও ঢাকায় সরবরাহ হয় নওগাঁর আত্রাইয়ের শুঁটকি। তবে প্রধান বাজার ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য। এই শুঁটকি প্রথমে সৈয়দপুর যায়। এরপর সেখান থেকে ট্রেনযোগে রপ্তানি করা হয় ভারতে। তবে গতবছর বন্যা না হওয়ায় এবং খাল-বিলের পানি শুকিয়ে আসায় দেশীয় মাছের উৎপাদন কমে গেছে। এতে শুঁটকি উৎপাদন নিয়ে হতাশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

শুঁটকি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় পুঁটি, টাকি ও খলিসা মাছ। এক মণ পুঁটি শুকিয়ে ১৫ কেজি, চার মণ টাকি থেকে এক মণ এবং তিন মণ খলিসা মাছ শুকিয়ে এক মণ শুঁটকি হয়। বর্তমানে শুঁটকি ছোট পুঁটি ১৫০ টাকা, বড় পুঁটি ৪০০ টাকা, টাকি ৪০০-৪৫০ টাকা এবং খলিসা ২০০-২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এবারে বন্যা না হওয়ায় নদী ও খাল-বিল প্রায় পানি শূন্য হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে দেশীয় প্রজাতি মাছের তীব্র সংকট। ফলে বাজারে মাছ কম কিন্তু মূল্য বেশি হওয়ায় শুঁটকি তৈরিতে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় শুঁটকি ব্যবসায়ীদের মনে নেই আনন্দ। তাদের মাঝে বিরাজ করছে চরম হতাশা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, শুঁটকির সঙ্গে জড়িতদের স্বাস্থ্যসম্মতভাবে শুঁটকি তৈরিতে গত বছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে অবৈধ মৎস্য আহরণ ও মা মাছ শিকার থেকে জেলেদের বিরত থাকতে হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জে মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগে আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন!
মৎস্য

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বিষ প্রয়োগে একটি মৎস্য খামারের আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে। 

অভিযোগে জানা যায়, জালার হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাধখলা গ্রামের মৃত হাসেন আলীর ছেলে মো. গোলাপ মিয়া নিজস্ব অর্থায়নে ৮ বছর যাবৎ ১ একর ১০ শতক জমিতে মৎস্য খামার তৈরি করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছেন। শনিবার রাতে দূর্বৃত্তরা পানিতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১১০০ কেজি মাছ নিধন করে।

রোববার সকালে মৎস্য খামারে শত শত মাছ পানির ওপর ভাসতে দেখে খামারের মালিক গোলাপ মিয়া কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এতে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop