মাছ চাষে ভাগ্য বদল দুই শতাধিক পরিবারের
মৎস্য
মাছ চাষ করে ভাগ্য বদলে গেছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। এখান থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সরবরাহ হচ্ছে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে। চাষিরা লাভের মুখ দেখায় বর্তমানে মাছের এই চাষ ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশের এলাকাগুলোতেও।
ফরমালিন আতঙ্কে অনেকেই যখন মাছ কিনতে ভয় পাচ্ছেন। তখন সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলার ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের উৎপাদিত তাজা মাছ। এসব গ্রামে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই পুকুর আর পুকুর।
এসব পুকুরে চাষ হচ্ছে- রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প, তেলাপিয়া, পাংগাসসহ বিভিন্ন মাছ। পুকুর থেকে মাছ ধরার পর পানি ভর্তি ড্রামে করে তোলা হয় ট্রাকে। সেই ট্রাক চলে যাচ্ছে সাতক্ষীরার বিনোরপোতা, ডুমুরিয়ার আঠারোমাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
তালার কলাগাছি গ্রামের আদিত্য রায় বলেন, তিনি এবার ১০ বিঘা পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের আবাদ করেছেন। মাত্র এক বিঘা পুকুর থেকে বর্তমানে তার ১০ বিঘা পুকুরে মাছ চাষ হয়। অল্প দিনের ব্যবধানে তিনি বর্তমানে স্বাবলম্বী। তার মতো জেলার অনেক চাষিই স্বাবলম্বী হয়েছেন মাছ চাষ করে।
কলাগাছি গ্রামের অনিল সরকার, তপন সরকার, অমিত সরকারসহ কয়েকজন মাছ চাষি বলেন, মাছ চাষে ব্যাপক লাভ হয়। তবে জেলা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাজা মাছের ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। অন্যান্য চাষের চেয়ে মাছ চাষে বেশ লাভবান হওয়া যায়।
তালার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী বলেন, ইতোমধ্যে মাছ চাষিদের তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন সময়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রশিক্ষণসহ ঋণ সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।