১০:২৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : জুন ২৫, ২০২২ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
পদ্মাসেতু: বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের মাছ ব্যবসায়ীরা
মৎস্য

উপকূলের অন্যতম একটি জেলার নাম বরগুনা। এর চারদিক নদীবেষ্টিত। বরগুনা সমুদ্র উপকূলের জেলা হওয়ায় এখানকার অধিকাংশ মানুষের পেশা জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী। তাই এরা মৎস্যশিল্পকে কেন্দ্র করেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

এ জেলার অধিকাংশ মানুষ মৎস্য ও কৃষি কাজের উপর নির্ভর। তবে এ জেলায় যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় জেলেরা তাদের মাছের সঠিক দাম পান না। তবে পদ্মাসেতু চালু হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন আড়তদার ও পাইকাররা।

আড়তদাররা জানিয়েছেন, তাদের আড়ত থেকে এখন এক চালান মাছ ঢাকায় বিক্রি করতে মৎস্য পাইকারদের দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে যায়। আর স্বপ্নের পদ্মাসেতু চালু হলে তারা সকালে মাছ কিনে বিকেলে ঢাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এতে মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের সেই মাছের ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশা করছেন।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকার আলম মিয়া জানান, বর্তমানে ঢাকার চাহিদা দেখে মাছ কেনেন তারা। তবে কেনা মাছ নিয়ে তাদের পদ্মা পাড়ি দিতে অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেক সময় পদ্মা পাড়ি দিতে এক থেকে দু’দিনও চলে যায়। এতে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হয় বারবার।

তবে পদ্মাসেতু চালু হলে সকালে মাছের চাহিদা বুঝে বিকেলের মধ্যে সে মাছ ঢাকায় বিক্রি করা যাবে। এতে দাম নিয়ে বেশি দরকষাকষি করতে হবে না তাদের।

অবতরণ কেন্দ্রের আরেকজন পাইকার বাদশা মিয়া বলেন, সব পাইকাররাই নির্দিষ্ট পুঁজি নিয়ে মাছ কেনাবেচা করে। একবার মাছ কিনলে তার সে পুঁজি মাছে আটকে যায়। মাছ বিক্রি করতে পারলে লাভসহ পুঁজি ফিরে আসে, তখন দ্বিতীয়বার মাছ কিনতে পারেন ওই পাইকার। পদ্মাপাড়ে ফেরি পার হতে দুই-একদিন সময় লাগে। তাই একবার মাছ কেনার পর দ্বিতীয়বার কিনতে সময় লাগে দুই থেকে তিনদিন। এতে লোকসান যেমন জেলেদের, তেমনি পাইকারদেরও।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মাসে ১০ থেকে ১৫ বার মাছ পাঠাতে পারি। আর পদ্মাসেতু চালু হলে প্রতিদিন মাছ পাঠাতে পারবো। এতে জেলে ও পাইকার উভয়ের আয় বাড়বে।

সমুদ্রগামী ট্রলার এফবি মায়ের দোয়ার মাঝি কাদের হাওলাদার জানান, মাছ বেচতে গেলেই পাইকাররা দাম বলতে চায় না। মাছ পাঠাতে দেরি হওয়ায় মাছের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, তাই ভালো মাছ নিয়ে গেলেও স্বল্পমূল্যে মাছ কেনেন পাইকাররা। এতে উত্তাল সমুদ্র দাপিয়ে মাছ ধরেও ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে পারছিলেন না জেলেরা। তবে তাদের আশা, পদ্মাসেতু চালু হলে এই বাধা আর থাকবে না। বাজারে তখন পাইকার সংখ্যা বাড়বে। ভালো দামে মাছ বিক্রি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারবেন জেলেরা।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, উপকূলের জেলেরা তাদের মাছ ভালো দামে বিক্রি করতে পারলে অর্থনৈতিক অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন ঘটবে বলে আমি আশা রাখছি। এ কারণে তখন তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সাথে সৌখিন সামগ্রীটাও কিনতে পারবেন। এ কারণে পদ্মাসেতু চালু হলে শুধু যে মৎস্যজীবীদের উপকার হবে তা নয়, সামগ্রিক দক্ষিণাঞ্চলের সব ব্যবসায়ীদের মান উন্নয়ন হবে বলে বিশ্বাস রয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ৩:১৮ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনবে-
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু ,বাকৃবি: পদ্মা সেতু চালু হওযার ফলে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা আসবে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। বিশেষ করে এ এলাকার কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং অল্প সময়ে কৃষি পণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারবে। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হ্ওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে ব্যাপকভাবে। খুলনা ও বাগেরহাটের মাছ, যশোরের সবজি আর ফুল, পটুয়াখালীর মুগডাল-তরমুজ-মাছ, মাদারীপুরে প্রচুর পেঁয়াজ-মসুর-সরিষা, বরিশালের ধান ও পানসহ পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের ও আওযামীপন্থী শিক্ষক সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান এর সভাপতিত্বে বাকৃবি শিক্ষক কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে মাগুরার লিচু চাষীরাই আগামী বছর থেকে প্রতি মৌসুমে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বাড়তি লিচু বিক্রি করতে সক্ষম হবেন। লিচুর পাশাপাশি মাগুরায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি, ১২ হাজার হেক্টরে পেঁয়াজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জমিতে কাচামরিচের চাষ হয়।

পাট-পেঁয়াজ আবাদে দেশের মধ্যে অন্যতম ফরিদপুর জেলা। এসব পণ্য দ্রæত ঢাকার বাজারে পাঠানো সম্ভব হবে। যশোর ও ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ের কদর আছে দেশ জুড়ে। এখানকার পরিত্যক্ত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গাছের বাগানও করা যেতে পারে।

এখন অঞ্চলগুলোতে রপ্তানিমুখী কৃষি ভিত্তিক পণ্যগুলোর জন্য জোন চিহ্নিত করতে হবে। দেশে কৃষি পণ্যের জন্য উপযুক্ত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । কৃষির পাশাপাশি কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত না করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে ভারী শিল্প কারখানা, সমৃদ্ধ হবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিসহ পুরো বাংলাদেশ।

কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানিমুখী কৃষিকে আরো সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা অতি দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। সার্বিকভাবে বলা যায়, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানকার কৃষকদের জীবন ও জীবিকায় সূচনা হবে এক নতুন অধ্যায়ের।

প্রফেসর ড. মোঃ রমিজ উদ্দিন বলেন, এছাড়া প্রাণিসম্পদ খাতে পদ্মা সেতুর ভূমিকা হবে উল্লেখযোগ্য। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো তে বিশেষকরে শরীয়তপুর এই বছরে উৎপাদন হয় ৮১ হাজার টন মাংস ও ১ লাখ ৫ হাজার টন দুধ।প্রতি বছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪২ হাজার টন মাংস ও ৩২ হাজার টন দুধ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এতদিন ফেরিঘাটের ভোগান্তির কারণে উদ্বৃত্ত এসব মাংস ও দুধ ঢাকায় বিক্রি করা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে বাড়তি মাংস ও দুধ বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে খামারিদের। এখন সেতু চালু হলে মাত্র ২ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাবে এসব দুধ ও মাংস।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি খাত থেকে এরকম বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। প্রচলিত পদ্ধতিতে যে পরিমাণ চিংড়ি উৎপাদিত হচ্ছে তার বর্তমান স্থানীয় বাজার মূল্য হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকার মত। চাষ পদ্ধতি একটু উন্নত করে আধা-নিবিড় প্রক্রিয়ায় চাষ করলে চিংড়ির উৎপাদন ৭ গুণ বাড়াানো সম্ভব, এবং যার ফার্মগেট মূল্য হচ্ছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। যা দেশের জাতীয় বাজেটের প্রায় এক-চতুর্থাংশ। মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশে চিংড়ি খামারের আয়তন ও উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ২৫৭৮৮৮ হেক্টর ২৭০১১৪ মেট্রিক টন। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য। সামগ্রিক কৃষিক্ষেত্রে চিংড়ি একমাত্র রপ্তানিযোগ্য পণ্য যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

চিংড়ি উৎপাদনের ৯০% এরও বেশি উৎপাদিত হয় খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে। প্রচলিত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত কম, যা বর্তমানে হেক্টর প্রতি এক মেট্রিক টনের মত। প্রচলিত পদ্ধতির এই চিংড়ি খামারগুলোতে আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করলে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৭ থেকে ৮ টনে উন্নীত করা সম্ভব। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথে সাথেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিংড়ি চাষ এলাকায় ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পদ্মা সেতুর সুদূর প্রসারী প্রভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় চাষীদের সাথে বিভিন্ন শ্রেণীর উদ্যোক্তাদের তথ্য ও জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। তাতে করে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত চিংড়ি খামারের উৎপাদনশীলতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে চিংড়ি উৎপাদিত হবে এবং বিদেশে চিংড়ি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

রপ্তানি বাজার এর পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বিশেষ করে রাজধানী শহর থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে চিংড়ির সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, চাষিরা অধিক মূল্য পাবে এবং লাভবান হবে। অনেক দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তা বিশেষ করে আধুনিক চিংড়ি চাষী, মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী, ঔষধ সরবরাহকারী, মাছ-চিংড়ি বিপণনকারী, রপ্তানিকারক, ইত্যাদি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারা এ সমস্ত অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন।

শিক্ষক নেতারা এসময় আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসীম সাহসিকতা ও দৃঢ় আতœবিশ্বাসের অবিশ্বাস্য এক রূপকথা পদ্মা সেতু। দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র ভেদ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বাংলাদেশের সক্ষমতাকে আরও একবার জানান দিয়েছেন বিশ্ববাসীকে। তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি বাঙালি জাতির গৌরব, মর্যাদা আর অহঙ্কারের প্রতীক। এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে জড়িয়ে আছে বাঙালি জাতির আবেগ ও জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় ও দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি।

অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মো: জয়নাল আবেদীন, বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সুবাস চন্দ্র দাস, প্রফেসর ড. মো এনামুল হক, প্রোক্টর প্রফেসর ড.মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন প্রফেসর ড. মো: হারুন-অর-রশিদসহ বাকৃবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এর শিক্ষক মন্ডলী এবং বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২৩, ২০২২ ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
বন্যায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়লেন কিশোরগঞ্জের মাছের খামারিরা
মৎস্য

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের পানাহার গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান ভূঁইয়া। গাজীপুরে ইলেকট্রিক ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য গড়ে তুলেন মাছের বিশাল খামার। খামারের ওপর নির্ভশীল ছিল আরো ১৬ জন নারী-পুরুষের সংসার। কিন্তু বহু কষ্টে গড়ে তোলা খামারটি এক দিনেই বন্যার পানিতে তছনছ হয়ে গেছে। পানির সাথে ভেসে গেছে তার ৬০ লাখ টাকার মাছ। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার মাছের খাবার নষ্ট হয়ে গেছে পানিতে। তিনি এখন সর্বস্বান্ত। খামার পাড়ের কলাবাগান, পেঁপে বাগানেও পানি উঠে গেছে।

খামারে দেখা যায়, খামারের সবগুলো পাড়ে হাঁটুসমান পানি। খামারের ওপর দিয়ে প্রবল স্রোত বয়ে যাচ্ছে। খামারের পাড় রক্ষার জাল এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে। খামার আর হাওরের পানি এখন একাকার। হু হু করে পানি বেড়ে যাওয়ায় এক দিনেই সব মাছ বেরিয়ে গেছে।

তার মতো সারা জেলায় বানের পানিতে ভেসে গেছে ৭৪০ জন মৎস্য খামারির স্বপ্ন।

জেলা মৎস্য অধিদফতর জানায়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটির বেশি।তবে বেশ কিছু এলাকা ঘুরে ও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সাথে কথা বলে ধারণা করা গেছে, খামারের সংখ্যা ও ক্ষতির পরিমাণ আরো কয়েকগুণ বেশি হবে।

সাইদুর বলেন, ‘আমার খামারে এখন কোনো মাছ নেই। একদম পথে বসে গেছি। যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। এখন কিভাবে ঘুরে দাঁড়াব। সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ না দেয়া হলে বিপর্যয়ে পড়ে যাব।’

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার পাল জানান, বন্যায় জেলার এই ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব প্রাথমিক পর্যায়ের। ক্ষয়ক্ষতির খবর আরো আসছে। এর পরিমাণ আরো বাড়বে। প্রতি দিনই জেলার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বন্যায় সব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়া হলেও মৎস্য খামারিদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় না। এবারের বন্যায় ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ক্ষতিপূরণ না দেয়া গেলে তারা মাছ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২২, ২০২২ ২:১০ অপরাহ্ন
নদীতে নয়, পুকুরেই ধরা পড়ল ইলিশ!
মৎস্য

নদীতে নয়, এবার পুকুরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ইলিশ মাছ। বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের ছোট মোকামিয়া গ্রামের একটি পুকুরে সাতটি ইলিশ মাছ পাওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি ইলিশের গড় ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম।

জানা যায়, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার স্থানীয় সাবেক নারী ইউপি সদস্য রিজিয়া বেগমের পুকুরে সোমবার বেলা ১১টায় জেলেরা মাছ ধরতে নামলে তাদের জালে একেক করে ৭টি তাজা ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তাজা ইলিশ দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমান।

রিজিয়ার ছেলে মঈনুল ইসলাম বলেন, পুকুরে ইলিশ পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এর আগে আমরা কখনো পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। তবে বিষয়টি অবাক করার মতো। পুকুরে কীভাবে ইলিশ এলো তা আমাদের জানা নেই। আমরা কেউ ইলিশ মাছ পুকুরে চাষ করিনি।

স্থানীয় প্রবীণ জেলে আবদুর রব সিকদার বলেন, নদীর সঙ্গে ওই পুকুরের কোনো সংযোগ নেই। তারপরও ইলিশ পাওয়া গেল। হয়ত বৃষ্টির সঙ্গে নদীর পানিতে থাকা ইলিশের রেণু কোনো না কোনোভাবে পুকুরে প্রবেশ করেছে।

বেতাগী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল গফফার বলেন, পুকুরে ইলিশ হয় বিষয়টি এমন নয়। জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশও প্রবেশ করতে পারে। তবে এখন দেশে পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে গবেষণা চলছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২১, ২০২২ ২:২৫ অপরাহ্ন
ধরা পড়ল বিশ্বর সবচেয়ে বড় মিঠাপানির মাছ!
মৎস্য

কম্বোডিয়ার মেকং নদীতে ৩০০ কেজি ওজনের একটি মাছ ধরা পড়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্থানীয়ভাবে ‘বোরামি’ নামে পরিচিত এ মাছটি এখন পর্যন্ত নথিভুক্ত হওয়া ‘সবচেয়ে বড়’ মিঠা পানির মাছ।

সোমবার (২০ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৩ জুন দৈত্যাকার আকৃতির ৩০০ কেজি ওজনের মাছটি ধরা পড়ে। এর আগে, ২০০৫ সালে থাইল্যান্ডে ২৯৩ কেজি ওজনের একটি ক্যাটফিশ ধরা পড়ে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ওই ক্যাটফিশই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিঠাপানির মাছ।

যদিও বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিঠা পানির মাছের কোনো সরকারি রেকর্ড বা ডাটাবেস নেই।

এদিকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মেকং নদী জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ হলেও অতিরিক্ত মাছ ধরা, বাঁধ এবং দূষণ নদীটির ভঙ্গুর বাস্তুসংস্থানকে আরও হুমকির মুখে ফেলেছে। এটি তিব্বত মালভূমি থেকে চীন, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, লাওস, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম হয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জীববিজ্ঞানী ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেব হোগানের মতে, ‘ছয়টি মহাদেশের নদী ও হ্রদে বিশালাকার মাছ নিয়ে গবেষণার ২০ বছরে, এটিই সন্ধান পাওয়া সবচেয়ে বড় মিঠাপানির মাছ। এর আগে বিশ্বের আর কোথাও এত বড় মাছ ধরা পড়ার কোনো রেকর্ড নেই।’

হোগান বলেন, ‘এই মাছটি খুঁজে পাওয়া এবং তা নথিভুক্ত করতে পারা অসাধারণ ঘটনা, যা আশা জাগায়। এটি আরও বেশি ইতিবাচক কারণ, মাছটি বর্তমানে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা মেকং নদীতে ধরা পড়েছে।’

গত ১৩ জুন রাতে কম্বোডিয়ার কোহ প্রিয়াহ দ্বীপের স্থানীয় একজন জেলের জালে ধরা পড়ে মাছটি। পরে খবর পেয়ে গবেষকরা সেখানে যান। এরপর জানা যায়, মাছটি ৩ দশমিক ৯৮ মিটার লম্বা, ২ দশমিক ২ মিটার চওড়া এবং ওজন ৩০০ কেজি।

ভবিষ্যত গতিবিধি ট্র্যাক করার জন্য একটি ‘অ্যাকোস্টিক ট্যাগ’ লাগানোর পরে মাছটিকে আবারও নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ২০, ২০২২ ৪:৪৬ অপরাহ্ন
সিলেটে বন্যা, মাছচাষে ১৪০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি
প্রাণ ও প্রকৃতি

সিলেটে মাছচাষে ১৪০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। সুনামগঞ্জের খামারিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রায় ৩২ হাজার ৮০২ জন খামারি ৫ হাজার ২৫৮ হেক্টর জমিতে কার্পজাতীয় মাছের চাষ করছিলেন। দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের মৌসুমি বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় ও আসামের ঢাল থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় তাদের আর্থিক লাভের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

সিলেটে মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ‘এটি একটি প্রাথমিক প্রাক্কলন। খামারিদের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে। কারণ সুনামগঞ্জের প্রায় সব খামারই পানিতে ভেসে গেছে।’

স্থানীয় খামারিরা এমন এক সময় এ ধরনের ক্ষতির শিকার হলেন, যখন এ অঞ্চলে মাছ চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছিল। দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে এবং সঙ্গে বেড়েছে প্রোটিনের চাহিদা। ফলে অনেকেই আশা করছিলেন এই বর্ধিত চাহিদার সুযোগে বাড়তি লাভ করতে পারবেন।

২০১৯-২০ অর্থবছরে চাষের মাছে ভালো প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। সেই অর্থবছরের মত ৪৫ লাখ টন উৎপাদিত মাছের ৫৭ শতাংশই এসেছে কালচার্ড ফিস (চাষের মাছ) থেকে। যেটি প্রোটিনের সাশ্রয়ী উৎস হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

মৎস্য অধিদপ্তর  এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সে বছর মাছ চাষের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম উৎপাদক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল।

এক দশক আগে, কালচার্ড মাছের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৫০ হাজার টন। মৎস্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি মোট উৎপাদনের প্রায় ৪৭ শতাংশ।

সিলেটে দেশের কালচার্ড মাছের মোট উৎপাদনের ৩ শতাংশ উৎপাদিত হয়।

কর্মকর্তারা জানান, উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন কার্যক্রম মূলত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সীমাবদ্ধ। সেখানে খামারিরা মাগুরমাছ ও মিঠাপানির চিংড়ি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

সহকারী পরিচালক মোতালেব হোসেন জানান, এ অঞ্চলে কার্পের পাশাপাশি তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছের চাষ ইতোমধ্যে প্রচলিত আছে।

কর্মকর্তারা জানান, বন্যার কারণে খামারে সৃষ্ট ক্ষতি একইসঙ্গে খামারি ও ভোক্তা উভয়কেই প্রভাবিত করবে।

মোতালেব হোসেনের মতে, খামারিদের উচিৎ বন্যার হাত থেকে তাদের মৎস্য খামারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য জাল ব্যবহার করা।

শীর্ষ পোল্ট্রি ও ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম. মশিউর রহমান জানান, সিলেটে তাদের ২টি হ্যাচারি ও ২টি মাছের খামার আছে।

‘আমরা আগে বন্যার পানির প্রবাহকে বাঁধা দেওয়ার জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বেশি উঁচু একটি বাঁধ তৈরি করেছিলাম। পানির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা জালগুলোর উচ্চতাও বাড়িয়েছি’, যোগ করেন তিনি। সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৭, ২০২২ ২:৩৭ অপরাহ্ন
হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ
মৎস্য

চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীর কয়েকটি স্থানে নমুনা ডিম ছেড়েছে কার্পজাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউস) মা মাছ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জোয়ারের সময় ভোররাতের দিকে হালদা নদীর হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শা ইউনিয়নের মাছুয়াঘোনা, আমতুয়া, নাপিতের ঘাট, গড়দুয়ারা এবং কাটাখালি এলাকায় ডিম পেয়েছেন বলে জানান সংগ্রহকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহকারী শফিউল আলম বলেন, বুধবার মধ্যরাতে বৃষ্টি হয়, ভোররাতে মা মাছ নদীতে ডিমের নমুনা ছেড়েছে।

নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ২২ নৌকা মিলে ২০ কেজির মত ডিম সংগ্রহ করেছি। আহরিত অল্প কিছু প্রাকৃতিক ডিম মাছুয়াঘোনা হ্যাচারির ৪টি টাংকিতে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার নদীতে আছি। আজ সকালে ডিম সংগ্রহকারী ১০০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত করে নমুনা ডিম পেয়েছি।’

হালদা নদীর পিএইচডি ডিগ্রীধারী হালদা গবেষক ও চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের প্রভাষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, হালদা নদীতে বর্তমানে যে ডিম পাওয়া গেছে তা মূলত নমুনা ডিম, যেহেতু এখনও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল হয়নি তাই মা মাছ ডিম ছাড়ার অনুকূল পরিবেশ পায়নি। তবে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এখনও পর্যন্ত ডিম ছাড়ার সময় রয়েছে।

সাধারণত নমুনা ডিম ছাড়ার পর অনুকূল পরিবেশে মাছ নদীতে পুরোদমে ডিম ছাড়ে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত এই সময়ে অমাবশ্যা ও জোস্ন্যাতে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। তবে ডিম ছাড়ার উপযুক্ত এই সময়ে নদীতে পাহাড়ি ঢলের অনুপস্থিতি ও নদীতে মাছ পুরোদমে ডিম না ছাড়ায় হতাশ হয়ে পড়ছেন ডিম আহরণকারীরা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৫, ২০২২ ১:২৭ অপরাহ্ন
নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি’ জাল দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার
পাঁচমিশালি

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি’ জাল দিয়ে চলছে অবাধে মাছ শিকার। খালবিলে ও জলাশয়ে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে ব্যাপক হারে ছোট মাছ শিকার করছেন জেলেরা। এতে দেশি নানা প্রজাতির মাছের অবাধ বিচরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন মহল। 

জানা গেছে, উপজেলার সর্বত্র চলছে মাছের মরণফাঁদ চায়না দুয়ারী জালের অবাধ ব্যবহার। লোহার রডের গোলাকার বা চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দুয়ারি ফাঁদ তৈরি করা হয়। এসব জাল ৫০-৮০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। আর এ জালে শুধু দেশি জাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সব প্রজাতির মাছ। স্বল্পব্যয়ে এবং পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এটি। উপজেলা সদরের সব বাজারেই চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ধরা ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে। এই ফাঁদ ব্যবহার করলে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে জানান সচেতনমহল।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, আমরা এসব জাল ব্যবহার না করতে প্রচার চালিয়েছি। আমাদের অভিযানও অব্যাহত আছে। কেউ এই জাল দিয়ে মাছ শিকার করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১৪, ২০২২ ১২:৪৮ অপরাহ্ন
বিষ দিয়ে ১৪ লাখ টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

সাতক্ষীরায় শত্রুতার জেরে ৬০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে প্রায় ১৪ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন মাছ চাষি আলী হোসেন।

এই ঘটনায় সোমবার (১৩ জুন) সাতক্ষীরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রবিবার (১২ জুন) গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের শুল্কীর বিলে ওই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলিম, রশিদ, জাহিদ, মোস্তাফিজুরসহ আরও অনেকে বলেন, সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের কৈখালী গ্রামের শুল্কীর এলাকার ঘের মালিক আলি হোসেনের ৬০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছ মরে গেছে। ঘের মালিক আলী হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার আমজাদ হোসেন, ইমান হোসেন, আনারুল ইসলামের সাথে জমি-জায়গা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ কারণে তারা রাতের আঁধারে মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

লাবসা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর ও ঘের মালিক আলী হোসেনের স্ত্রী নাছিমা খাতুন বলেন, আমার ছেলে জুলফিকার আলী আত্মীয়ের বাড়ি থাকার কারণে ঘের পাহারা দেয়ার জন্য একই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মুক্তাদির হোসেন রাতে ঘেরের ঘরে অবস্থান করেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে মুক্তাদির আমাকে কল করে বলেন , ঘেরের মাছ পুকুরে লাফালাফি করছে।

সংবাদ পেয়েই আমি ও আমার বউমা মুক্তি সুলতানা বাড়ি থেকে ঘেরের দিকে রওনা হই। ঘেরের বেড়িতে পৌঁছালে আমজাদ হোসেন, ইমান হোসেন, আনারুল ইসলামসহ ২/৩ জনকে ঘেরের বেড়ি থেকে দ্রুত নেমে যেতে দেখি। আমার ধারণা, তারাই আমাদের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাতক্ষীরা থানার এএসআই রওশন আলী সরকার বলেন, মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষ প্রয়োগের ফলে কয়েক লাখ টাকার মাছ মারা গেছে। যে বা যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সাতক্ষীরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুন ১২, ২০২২ ৩:১২ অপরাহ্ন
গুরুদাসপুরে পুকুরে বিষাক্ত ট্যাবলেট,১২ লাখ টাকার মাছ নিধন
পাঁচমিশালি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃগড়িলা গ্রামে মো. মনতাজ আলীর পুকুরে রাতের আঁধারে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার ভোররাতে ওই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী মো. মনতাজ আলী উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি গত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে পুকুরে মাছ চাষ করে মাছের ব্যবসা করেন।

মনতাজ আলী বলেন, বৃগড়িলা গ্রামের আব্দুর রশিদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছগুলো বেশ বড় হয়েছিল। বিক্রির জন্য কথাবার্তা হচ্ছিল। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুকুরে এসে দেখি সব মাছ মরে পানির ওপরে ভেসে আছে। পুকুর পাড়ে ও পুকুরে বিষের ট্যাবলেট পেপার পাওয়া যায়। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন ছুটে এসে জাল দিয়ে পুকুর থেকে কিছু মাছ তুলে বাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পুকুরে বিষাক্ত ট্যাবলেট দিয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করে আমাকে নিঃস্ব করেছে। তিনি এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানান।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop