৭:৪০ অপরাহ্ন

বুধবার, ২০ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : মে ৭, ২০২১ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে বাড়ছে মাছ চাষ, কমছে চাষের জমি!
কৃষি বিভাগ

রাজশাহীতে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় এখন মাছ চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষিজমির মালিকরা। রাজশাহীর পবা উপজেলার বালানগর। স্বল্প সময়ে তরতাজা মাছ চাষের লক্ষে বিলের আবাদি জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর। এতে করে মাছ চাষ বাড়লেও সেখানে কমছে চাষের জমি। যার কারণে বিপাকে পড়ছে সেখানকার কৃষি শ্রমিকরা।

অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, অপরিকল্পিত পুকুর খননের এ ধারা থামাতে না পারলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষি। জেলা প্রশাসন বলছে, এ ব্যাপারে সচেতন তারা।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানান, স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার আশায় পুকুর খননে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। ফলে জেলার ৯ উপজেলায় ৫১ হাজার পুকুর থেকে বাৎসরিক মাছের উৎপাদন হচ্ছে ৮০ হাজার মেট্রিক টন।

মাছ উৎপাদনের চিত্র যতোটা আশাব্যঞ্জক, এর উল্টো দিক ঠিক ততোটাই হতাশাজনক। শুধু গেল তিন বছরে পুকুর খনন করা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে। এতে আবাদি জমি কমায় কাজ হারিয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নগরমুখী।

এমন বাস্তবতায় কৃষিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও অনিয়ন্ত্রিত পুকুর খননের চলমান ধারা বন্ধের কথা বলছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ.এন.কে নোমান। আর যে কোনো জটিলতা এড়াতে এ বিষয়ে সচেষ্ট বলে দাবি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শরিফুল হক।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৬, ২০২১ ৭:০৯ অপরাহ্ন
জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা!
মৎস্য

ভোলার দৌলতখানের মেঘনায় ২ মাস পর নদীতে নেমেছেন জেলেরা। তবে নদীতে ইলিশের সরবরাহ অনেক কম হওয়ায় দাম বেশি বলে জানিয়েছেন আড়ৎদাররা। সারাদিন নদীতে জাল বেয়েও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন না দৌলতখানের জেলেরা।

জানা যায়, এ উপজেলায় আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে নদী। এবার নদীতে মাছ কম থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এতে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে তাদের। প্রতিদিন জাল, নৌকা, ও ট্রলারসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামলেও তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে খালি হাতে। কারণ যেটুকু মাছ পাচ্ছেন তা দিয়ে খরচ ওঠে না তাদের। এতে অনেকের মাছ ধারার আগ্রহ কমে গেছে। কেউ কেউ আবার ঋণের বোঝা নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। দৌলতখান উপজেলার পাতারখাল মাছঘাট, ভবানীপুর মাছঘাট, গোষেরহাট এলাকার মাছঘাট, চরপাতা এলাকার মাছঘাটগুলোর অবস্থা এমনি।

জানা গেছে, ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ শিকার বন্ধ থাকার পর মে মাসের শুরুতেই নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন উপজেলার জেলেরা। ঈদের আর আটদিন বাকি থাকায় জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না পেয়ে হতাশায় পড়েছেন।

মাঝিসহ বেশ কয়েকজন জেলে জানান, নদীতে এখন জাল বেয়ে তেলের খরচ উঠছে না। আগে এমন সময় নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তো। দুই মাস নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকর পর ভাবছি নদীতে অনেক ইলিশ ধরা পড়বে কিন্তু মাছ নেই। তারা জানান, ঈদের আর আটদিন বাকি আছে ছেলে-মেয়েদের এখনও নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে পারিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন জানান, এ মুহূর্তে নদীতে ইলিশের সংকট রয়েছে। তবে আগামী দু’এক মাসের মধ্যে ইলিশ ধরা পড়লে জেলেদের দুর্দিন কেটে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২১ ৫:২৮ অপরাহ্ন
সাগরে মাছ ধরা ট্রলারে হামলা চালিয়ে জাল ও মাছ লুট
পাঁচমিশালি

পাথরঘাটা থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় এফবি মা-বাবার দোয়া নামে একটি মাছ ধরা ট্রলারে হামলা চালায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা এফভি সালমান ৩ নামে একটি ট্রলিং জাহাজের (ফিশিং ভেসেল) জেলেরা। এতে ১৬ জেলেকে আহত করে অন্তত ৫ লাখ টাকার জাল, ৫০ হাজার টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায়।

গভীর সমুদ্র থেকে এসে বুধবার (৫ মে) দুপুরে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসে এফবি মা-বাবার ট্রলারের মালিক ও মাঝি ফিরোজ মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে গভীর সমুদ্রে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, গত রোববার (২৫ এপ্রিল) গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যান পাথরঘাটা উপজেলাধীন চরদুয়ানী ইউনিয়নের খলিফারহাট গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মালিকানা এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারসহ ১৬ জেলে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলেন তারা। রাত ৮টার দিকে এফভি সালমান ৩ নামে একটি বড় ট্রলিং জাহাজ (ফিশিং ভেসেল) ৫ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ৫ হাজার হাত জাল কেটে মাছসহ লুটে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা ১৬ জন জেলের চিৎকার দিলে জাহাজের জেলারা কামোট মাছ ছুঁড়ে মেরে মাছ তাদের আহত করে। এ সময় ট্রলারে থাকা জেলেদের হুমকি দিয়ে ট্রলিং জাহাজটি চলে যায়।

এফবি মা-বাবার দোয়া ট্রলারের মালিক ও মাঝি ফিরোজ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার জাল ও ৫০ হাজার টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায় জাহাজের জেলেরা। এ সময় আমরা চিৎকার দিলে ওই জাহাজে থাকা বড় বড় কামোট মাছ আমার গায়ে মেরে আহত করে। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন রকমের হুমকিও দেয়।

এ বিষয় ফিশিং ভেসেল এফভি সালমান-৩ এর মালিক জাকির হোসেনের ০১৭১৩১১২১৩৩ নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘাটে এসে জেলেরা ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমরা তাৎক্ষণিক ওই মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা অব্যহত রাখছি। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ট্রলার মালিক সমিতি ও ফিশিং ভেসেল মালিক সমিতির সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। সূত্র: জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৫, ২০২১ ৩:৪৩ অপরাহ্ন
মাছ ধরতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় লালমনিরহাটে ২ জেলের মৃত্যু
মৎস্য

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভ্যান যোগে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় দুই জেলে আকবর আলী (৫৫) ও যাদু ইসলাম (৩৭) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ সময় আরও তিনজন গুরুত্বর আহত হয়।

বুধবার (৫ মে) সকালে ওই উপজেলার বুড়িমারী-লালমনিরহাট আঞ্চলিক মহা সড়কের বুড়িমারী ঘুন্টি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আকবর আলী ওই উপজেলার উফারমারা গ্রামের রহমতপাড়ার মফিজ উদ্দিনের পুত্র ও যাদু ইসলাম একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, আকবর আলী ও যাদু ইসলাম দুই জনে ভ্যান যোগে মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকায় বুড়িমারী-লালমনিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে আকবর আলীর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা এ সময় যাদু ইসলামসহ আরো দুই জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে যাদু ইসলামের মৃত্যু ঘটে।

আহত অপরজনকে প্রথমে পাটগ্রাম হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, অভিযুক্ত চালক ও সহকারী চালক পালিয়ে গিয়েছে। তবে ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ৪, ২০২১ ১০:২৫ পূর্বাহ্ন
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরায় নিষিদ্ধ জালসহ ৩ জেলে আটক
মৎস্য

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে নিষিদ্ধ জাল ও বিষের বোতলসহ ৩ জেলেকে আটক করেছে বনবিভাগ।

সোমবার (৩ মে) ভোর ৫টায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের তেরকাটি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের রাশিদুলের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৪) ও ইস্রাফিল (২২) এবং ওই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে হুসাইন (২২)।

বনবিভাগের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, সোমবার ভোর ৫টার দিকে সুন্দরবনের তেরকাটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিষের বোতল, নিষিদ্ধ জাল ও বিষ দিয়ে শিকারকৃত মাছসহ তাদের আটক করা হয়। বন আইনে মামলা দায়ের করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২, ২০২১ ৬:০৬ অপরাহ্ন
কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ উদ্বোধন
মৎস্য

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছেরপোনা অবমুক্তকরণ এবং বেকার হয়ে পড়া জেলেদের ভিজিএফ কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিক প্রজননের পাশাপাশি কার্পজাতীয় মাছের উৎপদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএফডিসির নিজস্ব হ্যাচারিতে উৎপাদিত ৫০ মেট্রিক টন মাছের পোনা কাপ্তাই হ্রদে অবমুক্ত করা হবে।

রবিবার (২ মে) সকালে বিএফডিসির ঘাটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার।

কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্র, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ১০ জনকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণের মধ্য দিয়ে চাল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন এবং নিষিদ্ধ জাল পোড়ানো হয়।

মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি), রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমরা কাপ্তাই হ্রদে ৪০ টন কার্পজাতীয় মাছ অবমুক্তকরণের ক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করেছি। চেষ্টা করবো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ টন বেশি পোনা অবমুক্ত করতে। কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছ কমে যাওয়ার কারণে এ বছর আমরা কার্পজাতীয় মাছের পোনা বেশি অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, ‘আগে কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের জন্য তিন মাস মাছ আহরণ বন্ধ থাকলেও বেকার হয়ে পড়া জেলেদের কোনও সহযোগিতা করা হতো না। জীবিকার কারণে জেলেদের মাছ আহরণ করতে হতো নিষেধাজ্ঞার সময়টাতেও। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেকার হয়ে পড়া জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। এখন আর জেলেরা চুরি করে মাছ ধরে না, এর ফলে কাপ্তাই হ্রদে বহু বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের সন্ধ্যান পাওয়া যাচ্ছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. আবদুল লতিফ, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি), রাঙামাটির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ২, ২০২১ ৫:৪৬ অপরাহ্ন
বিষ দিয়ে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন
মৎস্য

পূর্ব শক্রতার জের ধরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা গ্রামে মোক্তার বয়াতি ও কালু মাতব্বরের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেন তাদের প্রতিপক্ষ। এতে প্রায় দুই লাখার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ ঘটনার পর রোববার সকালে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষি মোক্তার বয়াতি জানান, ভূরঘাটা জনতা ব্যাংকের পিছনে তাদের মালিকানাধীন পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করে আসছেন। ওই পুকুরের পাড় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে স্থানীয় গোলাম মাওলা সরদারের সাথে। বিরোধের জের ধরে একাধিকবার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

হুমকির বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এর জের ধরে শনিবার রাতে প্রতিপক্ষরা পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। বিষ প্রয়োগের ফলে রোববার সকালে পুরের মাছ মরে ভেসে উঠে। যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ টাকা। এ ঘটনায় মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গৌরনদী মডেল থানায় এসআই শাহজাহান জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে গোলাম মাওলা বলেন, পুকুরের মাথায় পাইলিং করার জন্য সেচ দিয়ে কিছু পানি কমানো হয়। কোনো বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১, ২০২১ ৫:৩২ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামে বিষ প্রয়োগ করে দেড় লক্ষাধিক টাকার মাছ চুরি
মৎস্য

কুড়িগ্রামে বিষ প্রয়োগ করে রাতের আধারে দেড় লক্ষাধিক টাকার বোয়াল মাছ মাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ মাছ চাষিদের।

শনিবার (১লা মে) গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নে।

জানা গেছে, সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের আরাজীপলাশবাড়ী এলাকার সততা একতা মৎস্য চাষ প্রকল্পের ৪০জন যুবক পাউবো বরোপিটের ৩ একর জমির পুকুরে মাছ চাষ করে আসছে। অন্যান্য দিনের মত ভোর বেলা সুফলভোগী শহিদ মুন্সি, ফারুক মিয়া পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখতে পায় পুকুরে মাছ ভেসে আছে।

আরো পড়ুন: পানিদূষণে ৪০ টন মৃত মাছ ভেসে উঠল জলাশয়ে!

সুফলভোগী সোহেল মিয়া, শফিকুল এবং আফি বেগম জানান, আমরা সকালে স্থানীয় মাছ বিক্রেতা শাহাম্মদ আলীকে আমাদের পুকুরের মাছ বিক্রি করতে দেখেছি। মাছ বিক্রি করতে দেখে তাকে প্রশ্ন করলে বলেন-এলাকার মমিনুল, হাইবর, ইব্রা, কালাম আছদ্দি ও হামিদুল আমার কাছে ৫ মণ বোয়াল মাছ বিক্রি করেছে।

মৎস্য চাষী বেলাল রহমান জানান, লাভের আশায় বোয়াল মাছগুলি পুকুরে বড় করেছি আমরা। প্রতিটি বোয়ালের ওজন প্রায় ৪/৫ কেজি। এখান প্রায় ৩৫/৪০ মণ বোয়াল মাছ ছিল। এখন একটাও নাই। সব রাতারাতি চুরি করেছে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। দুস্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মে ১, ২০২১ ১২:০৪ অপরাহ্ন
পানিদূষণে ৪০ টন মৃত মাছ ভেসে উঠল জলাশয়ে!
মৎস্য

অতিরিক্ত মাত্রায় পানিদূষণের কারণে লেবাননের লিতানি নদীর কারাউন হ্রদে ৪০ টন মাছ মরে ভেসে উঠেছে।মৃত মাছগুলো হ্রদের পাড়ে এসে জমা হওয়ায় দুর্গন্ধে হ্রদের পাড়ের গ্রামে থাকাই কষ্টসাধ্য হচ্ছে সেখানকান বাসিন্দাদের। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

স্বেচ্ছাসেবীরা লেবাননের দীর্ঘতম নদীর হ্রদ থেকে পচা এসব মাছ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। নদর্মার ময়লা পানি আর বর্জ্য ফেলার কারণে সেখানকার পানি দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাক্টিভিস্টরা সতর্ক করে আসছিলেন। কিন্তু এরপরও সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

যে হ্রদটিতে এসব মৃত মাছ ভেসে উঠেছে সেখানে এখনো বহু বর্জ্য ফেলা হয়। এতে করে জলাশয়ের নিকটে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। নদর্মার নোংরা পানি আর বর্জ্যের স্তুপ ধীরে ধীরে পানিতে মিশে যাওয়ায় হাজার হাজার মাছ নোংরা পানিতে পচে যায়।

আহমাদ আসকার নামে স্থানীয় এক অ্যাক্টিভিস্ট রয়টার্সকে জানান, ‘হ্রদের ধারে কয়েকদিন আগে থেকেই এসব পচা মাছ আসতে শুরু করেছিল। ধীরে ধীরে বহু মৃত মাছ ভেসে ওঠে। মৃত মাছের সংখ্যাটা অসহনীয় রকমের বেশি। এটা একেবারে অগ্রণযোগ্য।’

কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে কমপক্ষে ৪০ টন মৃত মাছ ভেসে ওছে। আসকার ও সেখানকার অন্য জেলেরা একে অনাকাঙিক্ষত হিসেবে অভিহিত করেন। কেন এতগুলো মাছের মৃত্যু হলো তার কারণ উদঘাটন ছাড়াও সেখানে বর্জ্য অপসারণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা।

নদী কর্তৃপক্ষ চলতি সপ্তাহে জানিয়েছিল যে, মাছগুলো বিষাক্ত হয়ে গেছে এবং এর মাধ্যমে ভাইরাসের বিস্তার ছড়াতে পারে। আর তাই তারা ওই হ্রদ ও তার আশেপাশে মাছ ধরা বন্ধ রাখার আহ্বান জানায়। এর কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৩০, ২০২১ ৬:১০ অপরাহ্ন
পদ্মা ও যমুনার মোহনায় ধরা পড়ল ১৯ কেজির কাতল
মৎস্য

পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় ধরা পড়ল ১৯ কেজি ওজনের কাতল। এটি ধরা পড়ে বিপ্লব হালদার নামে এক জেলের জালে। পরে ওই মাছটি কিনে নিয়ে সাড়ে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন অপর এক মাছ ব্যবসায়ী।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন নদীর মোহনায় ওই মাছটি ধরা পড়ে।

এরপর বিপ্লব হালদার ওই মাছটি দৌলতদিয়া ঘাটের মো. কেসমত মোল্লার আড়তে নিলে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৪০০ টাকা করে ২৬ হাজার ৬০০ টাকা ডাক উঠান মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।

মাছটি কিনে পরবর্তীতে ঢাকায় এনে এক হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে সাড়ে ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান ওই মাছ ব্যবসায়ী চান্দু।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop