৪:৪২ অপরাহ্ন

শনিবার, ১৬ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২২ ৯:০৩ অপরাহ্ন
জালে ধরা পড়লো বিশাল বড় রুই মাছ
মৎস্য

জাল বাংলাদেশের প্রাচীন মাছ ধরার কৌশল। তম্মধ্যে ঝাঁকি জাল অন্যতম। ঝাঁকি জালের উপরের প্রান্তে সরু রশি বাঁধা থাকে। জালের নিচের দিকে লোহার ছোট ছোট কাঠি যুক্ত করা হয়। যাতে পানিতে জাল ফেললে তাড়াতাড়ি ডুবে যেতে পারে।

মাছ ধরার সময় খাল,পুকুর বা নদীর তীর থেকে রশিটি হাতে রেখে জাল পানিতে ছুড়ে মারা হয়। পরে রশি ধরে টেনে জাল তোলা হয়। জালের নিচে অনেক ধরনের মাছ আটকা পড়ে। পুঁটি,চিংড়ি,কার্প ও নল মাছ বেশি ধরা পড়ে।

কুমিল্লার বেশ কিছু অঞ্চলে বর্ষাকালে ঝাঁকি জালের মাধ্যমে মাছ ধরতে দেখা যেত।কিন্তু বর্তমানে কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের অনেক স্থানে জালের ব্যবহার প্রচুর কমে যাচ্ছে। এর মূল কারণ বর্তমানে এই জাল ব্যবহার করে অতীতের মত যথেষ্ট মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছেনা।

কিছু স্থানীয় কৃষকদের মতে এই জাল ব্যবহার দুই থেকে তিনশত টাকার মাছ অর্জন হয়। এই কারণে এই জালের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। তেমনি নদী থেকে জাল দিয়ে বিশাল বড় রুই মাছ ধরল ধরার ভিডিও তুমুল ভাইরাল
জালে ধরা পড়লো বিশাল বড় রুই মাছ

জাল বাংলাদেশের প্রাচীন মাছ ধরার কৌশল। তম্মধ্যে ঝাঁকি জাল অন্যতম। ঝাঁকি জালের উপরের প্রান্তে সরু রশি বাঁধা থাকে। জালের নিচের দিকে লোহার ছোট ছোট কাঠি যুক্ত করা হয়। যাতে পানিতে জাল ফেললে তাড়াতাড়ি ডুবে যেতে পারে।

মাছ ধরার সময় খাল,পুকুর বা নদীর তীর থেকে রশিটি হাতে রেখে জাল পানিতে ছুড়ে মারা হয়। পরে রশি ধরে টেনে জাল তোলা হয়। জালের নিচে অনেক ধরনের মাছ আটকা পড়ে। পুঁটি,চিংড়ি,কার্প ও নল মাছ বেশি ধরা পড়ে।

কুমিল্লার বেশ কিছু অঞ্চলে বর্ষাকালে ঝাঁকি জালের মাধ্যমে মাছ ধরতে দেখা যেত।কিন্তু বর্তমানে কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের অনেক স্থানে জালের ব্যবহার প্রচুর কমে যাচ্ছে। এর মূল কারণ বর্তমানে এই জাল ব্যবহার করে অতীতের মত যথেষ্ট মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছেনা।

কিছু স্থানীয় কৃষকদের মতে এই জাল ব্যবহার দুই থেকে তিনশত টাকার মাছ অর্জন হয়। এই কারণে এই জালের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। তেমনি নদী থেকে জাল দিয়ে বিশাল বড় রুই মাছ ধরল ধরার ভিডিও তুমুল ভাইরাল

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৯, ২০২২ ২:৩০ অপরাহ্ন
জেনে নিন পুকুরে মাছ মারা যাওয়ার আগে ভেসে ওঠার কারণ
মৎস্য

মাছ চাষ করে দ্রুত আয় করা যায়। তবে এটি চাষ করতে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হয় মাছ চাষিদের। যেমন, অনেক সময় পুকুরে মাছ ভেসে ওঠে। মাছ মারা যাওয়ার আগে মাছ পুকুরে ভেসে ওঠার মতো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়।

পুকুরে মাছ ভাসার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। এসব কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অক্সিজেন স্বল্পতা। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে পানির ভেতর থেকে। আবার পুকুরের অন্যান্য অণুজীব ছাড়াও ফাইটোপ্লাঙ্কটন, জুপ্লাঙ্কটন অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে। এসবের পরিমাণ বেড়ে গেলে পুকুরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়।

মাছ পানির উপর স্তরে এসে খাবি খায় তখন সহজেই বোঝা যায় দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। এসময় অ্যারেটর যন্ত্র ব্যবহার করলে এবং হররা টানলে উপকার পাওয়া যায়। বেশি সমস্যা হলে অক্সিজেন পাউডার অথবা অক্সিজেন ট্যাবলেট ব্যবহার করতে হবে।

খাবার বেশি দিলে এবং খাবার হজমে সমস্যা হলে মাছ ভেসে উঠে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে খাবার দিতে হবে। পারতপক্ষে ভাসমান খাবার দিতে হবে। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, জানতে হবে মাছ ভাসার কারণ কি, প্রতিকার কি হতে পারে এবং কি পরিচর্চা নিলে অক্সিজেনের কমতি হবে না ।

এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। পরিমিত জায়গার চাইতে বেশি পরিমাণ মাছ পুকুরে রাখলে মাছের অক্সিজেন ঘাটতি হয় এবং মাছ ভেসে ওঠে। সেই সঙ্গে মাছ মারা যায়।

মাছের খাবার হিসেবে ডুবন্ত খাবার ব্যবহার না করাই ভালো। ভাসমান খাবার ব্যবহার করলে মাছ কতটুকু খায় সে বিষয়ে জানা যায়। এক্ষেত্রে ভাসমান খাবার দিতে হবে। ফলে অতিরিক্ত খাবার পুকুরের তলায় পঁচে কোনো সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে না।

বাড়িতে বা পুকুরের স্টোর রুমে অক্সিজেন ট্যাবলেট বা পাউডার রাখা দরকার। মাছ ভাসলে কিংবা অক্সিজেনের পরিমাণ খুবই কম মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। মাছ সকালবেলা ভাসলে চুন দিয়ে দিতে হবে। যদি দুপুরে ভাসে তাহলে লবণ দিয়ে দিতে হবে। শতক প্রতি ২০০ গ্রাম কিংবা পরিমাণ অনুযায়ী।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৮, ২০২২ ১:৫৫ অপরাহ্ন
খুলনায় মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত 
বিজ্ঞান ও গবেষণা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু,খুলনা থেকে:
হার্নেসিং মেশিন লানিং টু এস্টিমেট একোয়াকালচার প্রডাকশন এন্ড ভেল্যু চেইন পারফর্মেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আউটরিচ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) খুলনার হোটেল সিটি ইন লি এর কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) এবং বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.শহীদুর রহমান খান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. তোফাজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, খুলনা এবং প্রফেসর ড. মো. গোলাম সারওয়ার, বিভাগীয় প্রধান, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স ডিসিপ্লিন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক (আমেরিকা অঞ্চলের) ও মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. বেন বেল্টন এবং কো-পিআই ড. রিকার্ডো হার্নান্ডেজ।

জানা যায়, প্রকল্পটি ইউএসএআইডি এর আওতাধীন ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফিশ’ এর অর্থায়নে আমেরিকার ‘মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি’ কর্তৃক পরিচালিত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মো.শহীদুর রহমান খান বলেন ‘মেশিন লার্নিং পদ্ধতি’ অত্যন্ত আধুনিক এবং সময়োপযোগী একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্পের প্রধান গবেষক (বাংলাদেশ অঞ্চলের) এবং বাকৃবির একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, মৎস্য জরিপে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা অঞ্চলের খামারীরা উপকৃত হবেন।এর মাধ্যমে সঠিক পরিসংখ্যানের জন্য মেশিন লার্নিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে কোনো এলাকার স্যাটেলাইট ছবির তথ্য ব্যবহার করে মাছচাষের সঙ্গে জড়িত জমির আয়তন নির্ধারণ করা হয়েছে । এ পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে নির্ভুলভাবে মৎস্য জরিপ সম্ভব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২২ ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় গ্রাম পুলিশের অভিযান
মৎস্য

গোপালগঞ্জ জেলায় দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণে চায়না ম্যাজিক জাল ধ্বংসে জলাশয়ে অভিযান শুরু করেছে গ্রাম পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার মাঝিগাতি ইউপি চেয়ারম্যান কেএম হাফিজুর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়ে অভিযান চালিয়ে ৫০টি চায়না ম্যাজিক জাল জব্দ করেন। বিকেলে জব্দ করা এসব জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এছাড়া হরিদাসপুর ইউনিয়ন ও নিজড়া ইউনিয়নে চায়না জাল জব্দে অভিযান পরিচালনা করেন গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহসিন উদ্দিন উপজেলা আইন-শৃংখলা সভায় গত ২৮ জুলাই দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীব বৈচিত্র ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় রেজুলেশন গ্রহন করেন।

সেখানে গ্রাম পুলিশকে এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব দেন ওই কর্মকর্তা। এছাড়া এই অভিযানে তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যনকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহবান জানান।সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার একযোগে ৩ ইউনিয়নে এই অভিযান শুরু করে গ্রাম পুলিশ।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতী ইউপি চেয়ারম্যান কে.এম হাফিজুর রহমান মুকুল বলেন, চায়না ম্যাজিক জালে মাছ, কুচে, ব্যাংঙ, সাপসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণি উজার হয়ে যাচ্ছে। এগুলো সংরক্ষণে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় মৎস্য অধিদপ্তর ও চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।

মাঝিগাতী ইউপির গ্রাম পুলিশের প্রধান মানু খান বলেন, আমরা আজ ৫০টি ম্যজিক জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছি। ইউনিয়নের সরকারি কাজের পাশাপাশি ম্যাজিক জাল জব্দে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ^জিৎ বৈরাগী বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করি। এই সম্পদ রক্ষায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহসিন উদ্দিন অভিনব উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। এটি অব্যাহত থাকলে মৎস্য সম্পদ রক্ষা পাবে ।

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহসিন উদ্দিন বলেন,আমাদের প্রয়োজনেই মৎস্য সম্পদ ও জীব বৈচিত্র রক্ষার কোন বিকল্প নেই। চায়না ম্যাজিক জাল মাছ ও জলজ প্রাণি ধ্বংস করছে। এই ম্যাজিক জালের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে ইউপি চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছি। গ্রাম পুলিশ বৃহস্পতিবার ৩টি ইউনিয়নে এই অভিযান শুরু করেছে। মাঝিগাতীতে ৫০টি ম্যাজিক জাল জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। অন্য ২টি ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ৪, ২০২২ ৬:৩৮ অপরাহ্ন
ঘেরের পানিতে মাছ, পাড়ে সবজি
কৃষি বিভাগ

ঘেরের পানিতে নানা প্রজাতির মাছ, পাড়ে কৃষক বহুস্তর ভিত্তিক সবজির চাষ করেছেন। ফলছে সোনালী ফসল। লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তিতে মাটি ও সার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঘেরের পাড়ে বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়েছে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর জিকেবিএসপি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘেরের পাড়ে বহুস্তর ভিত্তিক সবজি চাষের গবেষণা বাস্তবায়িত হয়েছে।

কৃষক একই সাথে ঘেরের পাড়ে লাউ, বরবটি, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া ও মরিচসহ নানা রকমের সবজি চাষ করেছেন। আবাদ ও ফলনও ভালো হচ্ছে। এই বহু মাত্রিক সবজি চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর এই ৫ জেলায় প্রকল্পের আওতায় ৬৫টি ঘেরের পাড়ে ২৫০বিঘা ঘের রয়েছে। ৬৫জন কৃষক মধ্য মার্চ থেকে চাষ করছেন। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় গোপালপুর ও সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, বাগেরহাটের যাত্রাপুর এলাকার মোর্শেদপুর, খুলনার ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া এবং সাতক্ষীরার সদরে ঘেরের পাড়ে চাষ করা হয়েছে এই সবজি। বর্ষাকালে সেচের সংকট নেই।

সম্ভাবনাময় মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচায় ঝুলছে নানা রকম সবজি। উন্নত প্রযুক্তিতে চাষ করলে ফলন ভালো হয়। এ বছর বৃষ্টির অভাবে সবজির ক্ষতি হলেও বর্ষায় ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন কৃষক। নিয়মিত সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। আগাছা দমন করতে হবে। এই প্রকল্প থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ, বীজ, সার, কীটনাশক এবং শ্রমিকদের শ্রম মজুরি প্রদান করা হয়েছে।

সরকার দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে কৃষি বিপ্লব ঘটানোর জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষক ঘেরের পাড়ে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অধিক দামে সবজি বিক্রি করছেন।

বটিয়াঘাটা উপজেলার বয়ারভাঙ্গা গ্রামের কৃষক দিবাংশু মন্ডল বলেন, বেশ ভালো দামে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। আগের তুলনায় অর্থনৈতিক লাভবান হয়েছি।

ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের অরিন্দম গাইন বলেন, প্রশিক্ষণ, বীজ, সার ও শ্রমিকের মজুরিসহ সব কিছু এই প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ফলন ভালো হয়েছে। বিক্রিও বেশ ভালো।

গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (জিকেবিএসপি প্রকল্প) কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, কৃষককে দিয়ে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে। আবাদ ভালো হয়েছে। নানা প্রকার সবজি চাষে অর্থনৈতিকভাবে কৃষকদের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : অগাস্ট ১, ২০২২ ১০:০০ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষ করে কোটিপতি সোহেল
মৎস্য

মাছ চাষ করে কোটিপতি হয়ে যান যুবক। সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের যুবক সোহেল আহমদ ভাগ্য বদলের জন্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় একদশক একটি কোম্পানিতে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু ভাগ্য গড়তে পারেননি সোহেল। ২০১৬ সালে বিদেশের কাজ ছেড়ে দেশে এসে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখতে থাকেন। বিদেশে চাকরি, কৃষি কাজ এসব করেও সংসারের অভাব মেটাতে না পারায় হতাশা সোহেলকে প্রবলভাবে গ্রাস করে। পরে জীবনের শেষ চেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে শুরু করেন বাণিজ্যকভাবে মাছ চাষ।

প্রথমে বাড়ির পাশে ছোট একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেও বর্তমানে তার ৩০০ শতাংশ জমির একটি বিশাল পুকুরসহ ছোট-বড় মিলিয়ে তার আরও ৪-৫টি পুকুর রয়েছে। যেসব পুকুরে ৭ জাতের মাছ চাষ করেন তিনি। এখন প্রতিবছর ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা আয় করছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, সোহেল আহমদ ১০ বছর বিদেশে কাজ করেও ভাগ্য বদল করতে পারেননি। কিন্তু তিনি মাছ চাষে সফলতা পেয়ে জীবনের মোড় ঘুরিয়েছেন। এমন দৃষ্টান্ত দেখে নতুন করে অনেকে মাছ চাষে ঝুঁকছেন। এছাড়া অনেক বেকার যুবক ও আশপাশের লোকজন তার পুকুরে শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়ে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন।

সোহেল আহমদের পুকুরগুলো ঘুরে দেখা যায়, তার ৫টি পুকুরে রয়েছে তেলাপিয়া, গ্রাস কার্প, রুই,পাঙ্গাস, কাতলা ও মির্কাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ। মাছগুলো তার পুকুরে লাফালাফি করছে। তবে তার পুকুরের মাছ আকারে বড় দেখে বেশি মূল্যে বাজারে নিয়ে বিক্রি করা যায়। এ কারণে সেখান থেকে মাছ কিনতে ভিড় করছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা মাছ ব্যবসায়ীরা।

দোয়ারাবাজার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বর্মন জানান, ‘পুরো উপজেলায় ৪ হাজার ৬৬৬টি মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। হাওরপাড়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের পুকুরের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেখানকার আবহাওয়া ও মাটি মাছ চাষ উপযোগী, যেকারণে সেখানে মাছের উৎপাদন ভালো হয়। আমরা চাষিদের মাছ চাষে উৎসাহিত করতে সব ধরনের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২২ ২:১৯ অপরাহ্ন
শার্শায় চাহিদার চেয়ে বেশি মাছ উৎপন্ন
মৎস্য

যশোরের শার্শা উপজেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে বলে মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে মাছের পোনা, খাবার ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি এবং আড়তদারদের কাছ থেকে মাছের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মাছ চাষিরা।

মৎস খাবারের দাম কমিয়ে আনার পাশাপাশি মাছ বিক্রিতে ‘হয়রানি’ বন্ধে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শার্শা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত মাছ পাঠানো হয় অন্যান্য এলাকায়।

মাছ চাষ করে এ উপজেলায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার সচ্ছল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “উপজেলার ১৫টি বাঁওড়, ২৭১টি ঘের, ১০টি বিল ও সাত হাজার ১৬৯টি পুকুর মিলে মোট সাত হাজার ৪১৮ হেক্টর জলাশয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে এই মাছ চাষ করা হচ্ছে।

এখানে বছরে ২৬ হাজার ৭৪২ মেট্রিকটন মাছ উৎপাদন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় চাহিদা মাত্র সাত হাজার ৫৭২ মেট্রিকটন।”

মাছ চাষ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, পরিবহন ও বিপণন বিভাগে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান এ মৎস কর্মকর্তা।

শার্শায় প্রধানত দেশি রুই-কাতলার পাশাপাশি দ্রুত বর্ধনশীল সিলভার কার্প, মিনার কার্প, জাপানি রুই, গ্লাস কার্প, মাগুর, কই, পাঙ্গাস, নাইলোটিকা, তেলাপিয়া ও বাটা মাছ চাষ হয়। তবে ইদানীং চাষিরা পাবদা, শিং, মাগুর ও গুলশা মাছের চাষে লাভ বেশি হওয়ায় সেদিকে ঝুঁকছেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৯, ২০২২ ৮:৪৬ পূর্বাহ্ন
তাজা মাছ চিনবেন যেভাবে
মৎস্য

তাজা মাছ দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক খাইতেও দারুণ মজা। তাজা মাছে থাকে ভিন্ন একটা আকর্ষণ। রান্নায় আনে দারুণ স্বাদ। পাকা রাঁধুনিরা বলেন মাছ ভালো হলে ঝোল বা ঝালের স্বাদ এমনিতেই ভালো হয়। আর যাঁরা গুছিয়ে বাজার করতে ভালোবাসেন তাঁরা বলেন যে দেখেশুনে মাছ কেনাটা একটা শিল্প। একশোভাগ খাঁটি কথা। বুঝেশুনে মাছ কিনতে না পারলে ঠকে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে।রইল বাজার থেকে কেনা মাছ চিনে নেওয়ার অব্যর্থ কিছু নিয়মের কথা!

১) গন্ধ বিচার নেকেই মাছের আঁশটে গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু মাছ বাসি না তাজা সেটা বোঝার প্রথম উপায় হল এই গন্ধই। মাছ তাজা হলে তার গা থেকে একটা মেছো গন্ধ বেরোয়। যদি উগ্র ওষুধের গন্ধ বেরোয় তাহলে বুঝতে হবে মাছ বাসি বা এতে কোনও কড়া রাসায়নিক দেওয়া হয়েছে। ২) লক্ষ্য হোক মাছের চোখ অনেকটা অর্জুনের লক্ষ্যভেদ করার মতো ব্যাপার এটা। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। তাজা মাছের তরতাজা ভাব সব চেয়ে বেশি প্রতিফলিত হয় মাছের চোখে।

২) তাজা মাছের চোখ হয় উজ্জ্বল আর লালচে। যদি দেখা যায় যে মাছের চোখ সাদা হয়ে গেছে এবং সেটা বিবর্ণ দেখাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে যে এই মাছ বাসি বা এতে পচন দেখা দিয়েছে।

৩) টিপে-টুপে দেখে নিতে হবে, এটা যারা মাছ কেনায় অত দক্ষ নয় তাঁরাও জানেন- মাছের পেটে আঙুল দিয়ে টিপে দেখতে অনেককেই দেখা যায় বাজারে। মাছ তাজা হলে পেট থাকে শক্ত কিন্তু পচা হলেই হয় উল্টোটা। অর্থাৎ আঙুল পেটে ডুবে যায়। একটু ঘষেও দেখা যেতে পারে। তাজা মাছের আঁশ এমনিতে উঠে আসে না। কিন্তু বাসি মাছের আঁশ খুলে পড়ে যায়।

৪) পহলে দর্শনদারি অবশ্য তার পরে মাছের গুণ বিচার করবেন কিন্তু আগে মাছ দেখে ভালো লাগছে কিনা সেটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। মাছ চকচক করছে কি না, মাছের চোখ লাল কি না এবং কাটলে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে কি না সেটা দেখে নেওয়া দরকার। মাছের কানকো তুলে দেখলেই রহস্য ফাঁস হয়ে যাবে। তাজা মাছের কানকো সব সময় লালচে গোলাপি হয়। তাছাড়া তাজা মাছের কানকো একটু হড়হড়ে হয়। ৫) কানকো দেখে নিতে হবে কী ভাবে চিনবেন তাজা মাছ ? বাজারে গিয়ে মিলিয়ে নিন এই ব্যাপারগুলো ! রইল বাজার থেকে কেনা মাছ চিনে নেওয়ার অব্যর্থ কিছু নিয়মের কথা!

মৎস্য ধরিব খাইব সুখে! মাছের যে কত রকমের সুস্বাদু পদ আছে গুনে শেষ করা যায়না। কিন্তু পাকা রাঁধুনিরা বলেন মাছ ভালো হলে ঝোল বা ঝালের স্বাদ এমনিতেই ভালো হয়। আর যাঁরা গুছিয়ে বাজার করতে ভালোবাসেন তাঁরা বলেন যে দেখেশুনে মাছ কেনাটা একটা শিল্প। একশোভাগ খাঁটি কথা। বুঝেশুনে মাছ কিনতে না পারলে ঠকে যাওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৮, ২০২২ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
মাছ চাষে স্বর্ণপদক পেলেন তারেক!
প্রিয়মুখ

এবার মাছ চাষে বিশেষ অবদান রাখান জন্য স্বর্ণপদক পেলেন দিনাজপুরের আবু সালেহ মো. তারেক। তিনি গুণগত মানের পোনা উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মাছ চাষ সম্প্রসারণে অবদান রাখায় দেশের শ্রেষ্ঠ মাছচাষি হিসেবে সম্মাননা পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশের শ্রেষ্ঠ মাছ চাষি হিসেবে স্বর্ণপদক ও ৫০ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দেয় কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

জানা যায়, ৬৬ বিঘা জমির ওপর ১৩টি পুকুর নিয়ে তাজ অ্যাগ্রো ফার্ম গড়ে তুলেন। রেণু থেকে পোনা উৎপাদনের পাশাপাশি চাষ হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির রুই, পাবদা, শিং, কই, মাগুর, টেংরা মাছ। তাছাড়া তাঁর খামারে কাজ করেন ১২ শ্রমিক কাজ করেন।

আবু সালেহ জানান, একটি পুকুরে পোনা উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে নিজস্ব জমিতে ছোট–বড় ৯টি পুকুর ও ইজারা নেওয়া ৪টি পুকুরে মাছ চাষ করছি। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হেক্টর পুকুরে কার্প–জাতীয় রুই মাছ, শিং, পাবদা, গুলশা ও টেংরা মাছের মোট ৪৬ লাখ পোনা উৎপাদন করেছেন। এ সময় ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে বছর শেষে পেয়েছেন ৮৭ লাখ ৭ হাজার টাকা।

তিনি আরও জানান, গত অর্থবছরে দিনাজপুরের পার্বতীপুর মৎস্য বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে জেলার সর্বোচ্চ রেণু সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাজ অ্যাগ্রো ফার্মকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফার্মটি দিনাজপুরের পোনা ও মাছের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলাতেও পোনা সরবরাহ করছে।

বিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাউসার হোসেন জানান, উপজেলায় ২ হাজার ২০০টি পুকুরে ১ হাজার ৬০০ মাছ চাষি রয়েছেন। আবু সালেহ তারেক দেশের মধ্যে প্রথম কম বয়সী তরুণ মৎস্য উদ্যোক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বর্ণপদক পেয়েছেন। এই ফার্মে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে রেণু থেকে পোনা উৎপাদন কর হয়। রোগমুক্ত ও গুণগত মান উন্নত হওয়ায় মৎস্য খামারিদের কাছে এসব পোনার বেশ গ্রহণযোগ্যতা আছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : জুলাই ২৬, ২০২২ ৮:০৮ পূর্বাহ্ন
জেলের জালে ধরা পড়ল দু`টি বাদুড় মাছ
মৎস্য

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে দুটি ‘বাদুড়’ মাছ ধরা পড়েছে।স্থানীয় জেলেদের কাছে মাছটি ‘বাদুড় মাছ’ নামে পরিচিত। তবে সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মাছ দুটি সামুদ্রিক ‘রে গোত্রীয়’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Rhinoptera Javanica। ইংরেজিতে এটিকে Bat Ray বা Eagle Ray বলা হয়।

রোববার বিকেলে সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি চর বিজয় এলাকায় স্থানীয় জেলে জাকির হোসেন প্যাদার জালে মাছ দুটি ধরা পড়ে।

জেলে জাকির হোসেন প্যাদা জানান, ৬৫ দিনের অবরোধ শেষে গত শনিবার রাত থেকেই উপকূলের জেলেরা সাগরে মাছ শিকারে যান। অন্য জেলেদের মতো তিনিও মাছ শিকারের জন্য সাগরে নামেন। রোববার দুপুরে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি চর বিজয় এলাকায় ইলিশ ধরার জন্য তিনি জাল ফেলেন। বিকেলে জাল টেনে তুলে বিরল এই মাছ দুটি পান। এ ছাড়া বেশ কিছু ইলিশও ধরা পড়ে।

জাকির হোসেন প্যাদা বলেন, সোমবার দুপুরে মহিপুর মৎস্য বন্দরে হানিফ পাহলান নামের এক জেলের কাছে মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় মাছ দুটি বিক্রি করেন। মাছ দুটির দৈর্ঘ্য এক ফুট ও প্রস্থও এক ফুট। তবে মাছের লেজ প্রায় ২ ফুটের মতো লম্বা। এক-একটি মাছের ওজন ১০ কেজি।
ক্রেতা হানিফ পাহলান বলেন, উপকূলের আড়তে বা ঘাটে সচরাচর এই মাছ চোখে পড়ে না। সমুদ্রে জেলেদের জালেও খুব একটা ধরা পড়ে না। মাছ দুটি তিনি আগ্রহ নিয়েই কিনেছেন। কেনার পরপরই বরফ দিয়ে বিকেলেই ঢাকার মোকামে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

কেউ যদি পছন্দ করে কেনেন তাহলে ভালো, অন্যথায় টাকাগুলো গচ্চা যাবে।

সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞ মো. কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই ধরনের মাছ সাধারণত ইন্দো–প্যাসিফিক ও ফিলিপাইন সাগরে বিচরণ করে। বঙ্গোপসাগরে বা ভারত মহাসাগরেও এদের দেখা মেলে। আকৃতি বা চেহারায় সাদা পেটের সঙ্গে কালো বা বাদামি পিঠ, একটি লম্বা-পাতলা লেজ আছে।

পানির মধ্যে চলাচলের জন্য একটি স্বতন্ত্র প্রসারিত মাথা ও বাদুড়ের ডানার মতো দুটি ডানা আছে। এদের স্ত্রী প্রজাতি ৬ ফুট পর্যন্ত বড় হতে পারে এবং ওজনে ৯০ কেজি পর্যন্ত হয়। পুরুষ প্রজাতি আকারে ছোট হয়।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop