রাজধানীতে বেড়েছে মাছ,-মাংস, পেঁয়াজ-তেল ও সবজির দাম
পাঁচমিশালি
চলছে ঈদের ছুটি। আর এই ছুটির প্রভাবে রাজধানীতে সরবরাহ বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে মাছ, মাংস, পেঁয়াজ, তেল ও সবজির।
সোমবার (১৭ মে) রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে দেখা যায়, ৫৫০ টাকা করে বিক্রি করা গরুর মাংসের কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ করে, ১৪০ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকা করে।তবে যেসব দোকানিরা আগের তেল স্টক করে রেখেছেন, তারা ১৪০ টাকাতেই বিক্রি করতে পারছেন বলে জানান বিক্রেতারা।
অন্যদিকে মাছের বাজারে দেখা যাচ্ছে, ক্রেতা-বিক্রেতা খুব বেশি নেই, তবে দাম বেশ চড়া। এখানেও সরবরাহ স্বল্পতার কথা বললেন বিক্রেতারা। রুই, কাতল, শিং, মাগুর, পাবদা, চিংড়ি মাছসহ সব ধরনের মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেখা যায়।
ব্রয়লার মুরগি বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে। লেয়ার ১২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়, ঈদের আগের তুলনায় কেজিতে দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। এছাড়া হালিপ্রতি পাঁচ টাকা করে বেড়েছে ডিমের দাম।
ঈদের পরপর মাংসের চাহিদা থাকে কম; তুলনামূলকভাবে মাছ ও সবজির চাহিদা বেশি থাকে। সেদিক বিবেচনায় সবজির মধ্যে দাম বেড়েছে কলা, পেঁপে এবং গাজরের। কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে কাঁচাকলা ৪০ টাকা হালি, পেঁপে প্রতিকেজি ৬০ টাকা এবং গাজর বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৮০ টাকা দরে।
দাম বাড়ার কারণ নিয়ে হাতিরপুল কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি জানান, ঈদের ছুটির কারণে গত তিনদিন ধরে শহরের কোনো সরবরাহ নেই। সে কারণে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। আজ (সোমবার) সকালে তেজগাঁও ডিম আনতে গিয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। নতুন সয়াবিন তেল আসছে ১৫৭ টাকা করে। পেঁয়াজের দামও এখন ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা।
কাঁচাবাজারের একজন মাংস ব্যবসায়ী জানান, ঈদ উপলক্ষে অন্য সময়ের তুলনায় মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেভাবে যোগান নেই। তার ওপর ‘লকডাউন’। সেজন্যই কিছুটা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।