৩:৩৬ অপরাহ্ন

রবিবার, ১২ জানুয়ারী , ২০২৫
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২১ ৩:২৮ অপরাহ্ন
গভীর রাতে গেলো পুকুরে মাছ দেখতে, ভোরে মিলল লাশ!
পাঁচমিশালি

পঞ্চগড়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে হাসান আলী নামের একজন নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই পুকুরে তিনি মাছ চাষ করতেন।

রোববার ভোর ছয়টার দিকে সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপুলিশ পরির্দশক ফিরোজ ফারুক এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতামাস হুসাইন লেলিন জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে স্ত্রী শারমিনা বেগমকে নিয়ে পুকুরে মাছ দেখতে যায় হাসান। স্ত্রীকে নিয়ে পুকুরেও নামেন তিনি। পরে স্ত্রী পুকুর থেকে উঠে এলেও সাঁতার না জানায় হাসান উঠতে পারেনি।

শারমিনা আশেপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে গেলেও তাদের ডুবুরি দল না থাকায় ও পুকুরের গভীরতা বেশি থাকায় তারা হাসানকে উদ্ধার না করেই চলে যায় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনই রাতে চারটি শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর থেকে পানি তুলতে থাকে। রোববার ভোরে সেখানে পাওয়া যায় হাসানের মরদেহ।

হাসানের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানান, তিনি (হাসান) মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মৃগি রোগও ছিল। তার স্ত্রী বলছেন, জোর করেই তাকে নিয়ে মাছ দেখতে পানিতে নামে হাসান।

সদর থানার উপপুলিশ পরির্দশক ফিরোজ বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ৫:৩৪ অপরাহ্ন
করোনায় চাকরি হারিয়ে মাশরুম চাষে ঘুরে দাঁড়ালেন সাইদুর
কৃষি বিভাগ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চকরামাকান্ত দহপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমান(৪৫)। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে চাকরি হারিয়ে বাড়ি চলে আসেন। এরপর ছেলে সাজিদ হোসেন আরাফাত তার বাবাকে মাশরুম চাষের ব্যাপারে পরামর্শ দেন। আর তাতেই বর্তমানে তার ৫৮টি মাশরুম বীজ প্যাকেট (স্পন প্যাকেট) রয়েছে।

মাশরুম চাষের বিষয়ে আরাফাতের আগে থেকে ধারণা থাকায় তেমন বেগ পেতে হয়নি। কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকার মোহাম্মদপুর আঁটিবাজার থেকে ৮ কেজি মাসরুম বীজ আনতে খরচ হয় হাজার টাকা। সাথে আরো ২-৩ হাজার টাকা খরচ করে ৬০টি ছত্রাকের প্যাকেট বা সিলিন্ডার তৈরি করা হয়। এরপর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের ঘরে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয় এক একটি ছত্রাকের প্যাকেট। যা থেকে উৎপন্ন হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মাসরুম।

মাশরুম চাষি সাইদুর রাহমান জানান, করোনায় চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছেলের কথামত মাশরুম চাষ করি। অয়েস্টার জাতের মাশরুমের বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করা হয়। ঘরে ৫৮টি মাশরুম বীজ প্যাকেট (স্পন প্যাকেট) আছে।

তিনি আরো জানান, এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭ হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি করেছি। যেখানে আড়াই হাজার টাকার মতো বিনিয়োগ হয়েছে। একেকটি স্পন প্যাকেট তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩০ টাকা। আর এমন স্পন প্যাকেট বিক্রি হয় ৪৫০ টাকায়। প্রতি কেজি মাশরুম বিক্রি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। আশেপাশের লোকজন এসে মাশরুম কিনে নিয়ে যান। যখন বেশি উৎপাদন হয় তখন স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করা হয়।

তিনি বলেন, এলাকায় মাসরুমের তেমন পরিচিত না থাকায় মাইকিং ও লিফলেট ছাপিয়ে প্রচারণা করেছি। অনেক ডায়াবেটিস রোগী কিংবা সাধারণ মানুষ চাহিদা দেখিয়েছেন। প্রথমবার ভালো বীজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও ভালো লাভ হয়েছে। উৎপাদন করা খুব সহজ হলেও বিক্রি করতে অনেকটাই ঝামেলা। যদি বিক্রির নিশ্চয়তা থাকত, তাহলে কাজটি আরোও সহজ হতো। তবে বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা আছে।

সাইদুর রহমানের ছেলে সাজিদ হোসেন আরাফাত জানান, মাশরুম চাষের জন্য দেড় থেকে দুই ইঞ্চি খড় সিদ্ধ করে হালকাভাবে শুকাতে হয়। যাতে চাপ দিলে পানি না ঝরে। এরপর খড়গুলো পলিথিনে প্যাকেটে রেখে তাতে মাশরুমের বীজ দিতে হবে। প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে দিয়ে কয়েকটা ছিদ্র করে দিতে হবে। এরপর ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় অন্ধকার ঘরে রেখে দিতে হবে। দিনে ৮-১০ বার স্পনগুলোতে পানি দিতে হয়। সাধারণত ২৫-৩০ দিনে মধ্যে পলিথিনের গায়ে সুক্ষ ছিদ্র দিয়ে সাদা আস্তরণ দেখা যাবে যাকে মাইসেলিয়াম (মাসরুমের ছাতা) বলে। এরপর মাসরুম খাওয়ার উপযোগী হয়।

মান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার শায়লা শারমিন জানান, সাইদুরের মাশরুমের প্রজেক্টটি দেখেছি। তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা কিছু কিনেছিলাম। মাশরুম চাষে মার্কেটিং সবচেয়ে বড় বিষয়। মাশরুম চাষের উপর একটা বরাদ্দ এসেছিল, সেটা এখন আর নেই। পরবর্তীতে কোন বরাদ্দ আসলে তার জন্য থাকবে বলেও তিনি জানান।-জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
মুরগি ডিম না পাড়ায় থানায় অভিযোগ মালিকের!
পাঁচমিশালি

মানুষ থানায় শুধু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ আর হত্যার মত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে থানায় যান এমনটি নয়। এবার মুরগি কেন ডিম দিচ্ছে না এমন অভিযোগ নিয়েও থানায় হাজির মানুষ। ঠিক এমনটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার লোনি কালভোর থানায়। সে থানায় মুরগির ডিম না দেওয়ায় এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নিয়ে আসেন অভিযোগ।

জানা যায়, লোনি কালভোর এলাকার মাঠোবাচি আলন্দির কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্মে মুরগি গত সপ্তাহ থেকে ডিম দেয়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ রুপি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এরপরই ঘটনায় তদন্তে হাজির হয় ওই এলাকা পোল্ট্রি মালিকরা পুলিশও এই অভিযোগ দেখে হতবাক হয়ে গেছে। এক পোল্ট্রি মালিক পুলিশে কাছে অভিযোগে জানান যে, গত ১১ এপ্রিল একটি সংস্থা থেকে মুরগির খাবার কিনেছিলেন তিনি।

তিনি জানান, এই খাবার মুরগিদের দেয়ার পর মুরগি ডিম দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে তার অনুমান। মুরগি কেন ডিম দিচ্ছে না? কেউ ডিম চুরি করছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত টিমও গঠন করা হয়।

এরপর হাঁস-মুরগির ব্যবসায়ীরা একটি ল্যাবে মুরগি পরীক্ষা করে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নতুন খাওয়ানো খাবারের কারণে মুরগি ডিম দিচ্ছে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ৮:২০ অপরাহ্ন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কৃষককে দুটি গরু কিনে দিলেন যুবক
পাঁচমিশালি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চরবেতকান্দি গ্রামে বজ্রপাতে দুটি গরু মারা যায় দরিদ্র কৃষক ফরিদের। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন এই কৃষক। মারা যাওয়া ষাঁড় দুটির আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় লাখ টাকা। তার এই অসহায়ত্ব দেখে ফেসবুকে সহযোগিতা চেয়ে পোস্ট দেন মামুন বিশ্বাস নামের এক যুবক। সকলের করা সহযোগিতায় কৃষককে দুটি ষাঁড় কিনে দিয়েছেন মামুন।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শাহজাদপুরে চরবেতকান্দি গ্রামে ফরিদের বাড়িতে গিয়ে দুটি গরু তুলে দেন তিনি। এর আগে সকালে এনায়েতপুর হাট থেকে ৬২ হাজার ৩০০ টাকায় গরু দুটি কেনেন।

কৃষক ফরিদ বলেন, ‘ষাঁড় দুটির মৃত্যুতে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আজকে সত্যি অনেক খুশি লাগছে নতুন দুটি ষাঁড় পেয়ে। এই গরু দুটি ভালোভাবে লালন-পালন করে আমার স্বপ্ন পূরণ করবে ইনশা আল্লাহ।’

যুবক মামুন বিশ্বাস বলেন, ‘গত ২১ এপ্রিল রাতে কালবৈশাখীর বজ্রপাতে ফরিদের দুটি গরুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আমি সকালে ফরিদের বাড়িতে গেলে সবার কান্নাকাটি দেখে বিস্তারিত ঘটনা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেই। পোস্ট দেখে আমার ফেসবুক বন্ধুরা ৬২ হাজার ৫০০ টাকা পাঠান। সেই টাকা দিয়ে আজকে গরু দুটি কিনে দিলাম।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
ডিসির কাছ থেকে গরু পেয়ে খুশিতে অশ্রু‌সিক্ত বৃদ্ধা
পাঁচমিশালি

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাস‌ক ড. কেএম কামরুজ্জামান সে‌লিমের কাছ থে‌কে গরু ও আর্থিক সহায়তা পে‌য়ে আন‌ন্দে অশ্রু‌সিক্ত হ‌য়ে‌ছেন এক বৃদ্ধা। তিনি শহরের আদর্শ কলোনির বৃদ্ধা ম‌নোয়ারা খাতুন।

বৃহস্প‌তিবার জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সে‌লিম মনোয়ারা খাতুনকে এক‌টি গরু ও কিছু আর্থিক সহায়তা এবং চাল, ডাল তেলসহ শুকনা খাবার উপহার দেন। আশা পূরণের আনন্দে এসময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন মনোয়ারা খাতুন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন-এর আয়োজনে জেলায় কর্মরত ৬১টি দপ্তর এবং কিছু এনজিও ও জনপ্রতিনিধির আর্থিক সহায়তায় শতভিক্ষুককে বকনা বাছুর উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়েছিল। মনোয়ারা খাতুন তখন ওই উপহার থেকে বঞ্চিত হন। প‌রে বিষয়টি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক।

প্রতি বুধবার জেলা প্রশাসক যে গণশুনানি করেন, সেখানে উপস্থিত হন মনোয়ারা খাতুন।

গণশুনানিতে সাধারণত স্বল্প পরিসরে চিকিৎসা সহায়তা, বই ক্রয়ের জন্য সহায়তা, ফরম ফিলাপের জন্য সহায়তা, জমি-জমা সংক্রান্ত সহায়তা ইত্যাদি সহায়তা করা হয়। সেখানে কাউকেই গরু-ছাগল বা এ জাতীয় সহায়তা সাধারণত করা হয় না। তবে মনোয়ারা খাতুন গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক‌কে এমনভাবে কনভিন্স করেছেন যে, জেলা প্রশাসক তার আবদার ফি‌রি‌য়ে দি‌তে পারেননি।

জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সে‌লিম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন একইভাবে আনন্দিত মনোয়ারা খাতুনের আনন্দে। এভাবে ছোট ছোট আনন্দ মানুষের মুখে ফুটানোই জেলা প্রশাসনব্রত বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২১ ৬:৪৬ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের দু‘গরুর মৃত্যু
পাঁচমিশালি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চরবেতকান্দি গ্রামের দরিদ্র কৃষক ফরিদ হোসেন ঋণ নিয়ে কিনছিলেন দুটি গরু। যার ঋণের কিস্তি এখনও পরিশোধ না হতেই বজ্রপাতে মারা যায় তার দুটি গরু। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন অসহায় কৃষক। গরু দুটির মূল্য আনুমানিক প্রায় লাখ টাকা।

বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে শাহজাদপুর উপজেলার ওই গ্রামটিতে কালবৈশাখীর ঝড় আঘাত হানে।

কৃষক ফরিদ হোসেন জানান, তিনি অন্যের জমিতে দিনমজুর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। চলতি বছরে এনজিও থেকে ৬৫ হাজার লোন নিয়ে আর সঞ্চিত কিছু টাকা দিয়ে ৭৪ হাজার টাকায় গরু দুটো কেনেন।

বুধবার রাত ১০ দিকে বজ্রপাতের বিকট শব্দ হলে গোয়ালঘরে ঢুকে দেখতে পান দুটি গরুই ঝলসে মাটিতে পড়ে আছে। আশেপাশে লোকজন ছুটে আসলেও তার আগেই একটি গরু মারা যায়। আর একটি নড়াচড়া করতে করতেই কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায়।

ফেসবুকের মাধ্যমে মানবসেবার কাজ করা মামুন বিশ্বাস বলেন, বুধবার রাতে কালবৈশাখীতে ঋণের টাকায় কেনা দু’টি ষাঁড়ের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ফরিদের স্ত্রী মমতা কান্না করছেন। কিভাবে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে তার ছেলেও কিডনি রোগে আক্রান্ত। সব মিলিয়ে একটি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি এ অসহায় দম্পতির পাশে দাঁড়ান তাহলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২১ ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠিতে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
কৃষি বিভাগ

চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই লকডাউনে শ্রমিক না পেয়ে অন্য সবকিছুর ন্যায় কোণঠাসা হয়ে আছে কৃষকরাও। আর এই পরিস্থিতিতে ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের দারখি গ্রামের কৃষক খলিল সরদারের দুই বিঘা জমির পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ।

জানা যায়, দুই দিন ধরে সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের দারখি গ্রামের কৃষক খলিল সরদারের জমির ধান কেটছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে যেমন খুশি কৃষক, তেমনি ভালো কাজ করতে পেরে গর্বিত ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।

কৃষক খলিল সরদার জানান, তাঁর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনাকালে কঠোর লকডাউনের মধ্যে ধানকাটার শ্রমিক পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষক। শ্রমিকের খোঁজে তিনি বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ান। শ্রমিক না পাওয়ার খবর শুনতে পান ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লুসান।

তিনি কৃষক খলিল সরদারের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে কৃষক রাজি হলে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কাটা শুরু করেন লুসান।

বুধবার দুই বিঘা জমির ধান কাটা শেষ হয়। কাটা ধান মাথায় করে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ায় কৃষক খলিল সরদার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিক দিয়ে ধান কাটালে প্রায় ৫/৬ হাজার টাকা খরচ হতো।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লুসান জানান, লকডাউনের মধ্যে যদি কোন মানুষ বিপাকে পড়ে সহযোগিতা চায়, ছাত্রলীগ তাদের পাশে দাঁড়াবে। এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে জেলার যেখানে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে সেই কৃষকের ধান কেটে দিবে ছাত্রলীগ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২১ ৪:০৬ অপরাহ্ন
বিহঙ্গদ্বীপে সংরক্ষিত বনে গরু চরাতে বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে জখম
পাঁচমিশালি

বলেশ্বর নদে জেগে ওঠা বিহঙ্গদ্বীপে বনবিভাগের সংরতি বনাঞ্চলে গরু চরাতে বাধা দেওয়ায় বনবিভাগের বনরী (ওয়াসার) ছগিরকে (৫২) পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠেছে একই এলাকার শাহিন মিয়ার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৬টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বনবিভাগের তত্বাবধায়নে ওই বৃদ্ধকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত ছগিরের বাবার নাম মৃত তাছেন উদ্দিন।

আহত বনরী ছগির জানান, বিহঙ্গদ্বীপে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গরু চরানো নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও একই এলাকার হযরত আলীর ছেলে শাহিন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে গরু ছেড়ে বনাঞ্চল নষ্ট করে। আমি অনেকবার তাকে নিষেধ করলেও মানেনি। এ কারণে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে ইফতারি নিয়ে বিহঙ্গদ্বীপে ডিউটিতে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পথরোধ করে আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন।

পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শোনা মাত্রই আমরা আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিবো।

এখন পর্যন্ত এ রকমের কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২১ ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
সবজি বাগানে ‘গাঁজা’ চাষ, গ্রেফতার-১
পাঁচমিশালি

বগুড়ার আদমদীঘিতে ২০টি গাঁজার গাছসহ ইয়াছিন আলী মণ্ডল (৬২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। ইয়াছিন উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের শালগ্রামের মৃত আজিম উদ্দীন মণ্ডলের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইয়াছিন আলী বাড়ির পাশে সবজি জমিতে গাঁজার গাছ লাগিয়ে চাষ করছিল।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই বাগান থেকে ২০টি গাঁজার গাছসহ তাকে গ্রেফতার করে।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন জানান, ছোট-বড় মিলে ২০টি গাঁজার গাছ উদ্ধারসহ চাষী ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২১, ২০২১ ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীতে গরু চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
পাঁচমিশালি

নরসিংদীতে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে আলী হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হন আরও একজন।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ।

সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালি ইউনিয়নের খোদাদিল্লা গ্রামে সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত জজ মিয়া রায়পুরা উপজেলার সোনাকান্দি এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে ও আহত ব্যক্তি আলী হোসেন(৫০) একই উপজেলার আমিরাবাদ এলাকার মৃত মহিজউদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত তিনটার দিকে খোদাদিল্লা গ্রামের কৃষকের গরু গোয়ালে খুঁজে পাচ্ছিল না। এসময় চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে অপরিচিত আলী হোসেন ও জজ মিয়াকে এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে জজ মিয়ার মৃত্যু ও আলী হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে দুপুর নাগাদ মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে এবং আহত আলী হোসেনকে একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সরকার জানান, তারা গরু চুরি করেছে কি না তা সঠিক বলতে পারছি না। তবে এলাকাবাসীর দাবী তারা দু‘জনকে গরুসহ ধরেছিল।

নরসিংদী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, গণপিটুনিতে একজন নিহত এবং একজন আহত হন। আজ সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop