৩:০৫ অপরাহ্ন

মঙ্গলবার, ৭ মে , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ৫:৩১ অপরাহ্ন
বাকৃবিতে ফসল-পরবর্তী ক্ষতি হ্রাস বিষয়ে ‘ফিল-বাংলাদেশ ভার্চুয়াল বার্ষিক সিম্পোজিয়াম-২০২১’ অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু (বাকৃবি): খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং এর ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তথ্য সংগ্রহ, ফলাফল, সাফল্য, সীমাবদ্ধতা, অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা জানানোর জন্য ফিল-বাংলাদেশ ভার্চুয়াল বার্ষিক সিম্পোজিয়াম-২০২১’ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে ১৮ নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়।

পোস্ট-হার্ভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশন ল্যাব (PHLIL)-বাংলাদেশ ফেজ প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত এ গবেষণা সংক্রান্ত সিম্পোজিয়ামটি স্বাস্থ্য সমস্যা বিবেচনা করে অনলাইন জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অধিবেশনে, ড. জ্যাগার হার্ভে, পরিচালক, ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর দ্য রিডাকশন অফ হার্ভেস্ট লস, প্রফেসর ড. অ্যালেক্স উইন্টার-নেলসন, ডিরেক্টর, এডিএম ইনস্টিটিউট, ইউআইইউসি, ইউএসএ এবং ড. মোঃ মঞ্জরুল আলম, প্রফেসর, ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগ, বাকৃবি এবং প্রধান গবেষক, (PHLIL)-বাংলাদেশ ফেজ II প্রকল্প ফসলোত্তর ক্ষতি হ্রাস: কৃষকদের বাণিজ্যিক স্কেলে প্রযুক্তির উপর তাদের উপস্থাপনা উপস্থাপন করেছেন।

সিম্পুজিয়াম এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর এবং শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগের সাবেক সচিব , মোঃ নজরুল ইসলাম খান , বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডঃ জ্যাগার হার্ভে, ডিরেক্টর, ফিড দ্য ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর দ্য রিডাকশন অফ পোস্ট-হার্ভেস্ট লস, কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ উদ্বোধনী অধিবেশনের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি মোঃ নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাউ-এসটিআর ড্রায়ার এবং হারমেটিক স্টোরেজ প্রকল্পের দ্বারা উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলি খুব কার্যকর হবে এবং এটি কৃষকদের কাছে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন।

বিশিষ্ট প্যানেলিস্ট ডঃ রবার্ট বব জেইগলার, প্রধান, উপদেষ্টা পরিষদ, ফিড দ্য ফিউচার পোস্ট-হার্ভেস্ট লস রিডাকশন ইনোভেশন ল্যাবর অংশগ্রহণে সিম্পোজিয়ামের থিম “সেভিং-হার্ভেস্ট লস: একটি উপায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বৃদ্ধি” শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।জনাব মোঃ মঞ্জরুল হান্নান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হরটেক্স ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ, ডঃ এম এ মতিন, প্রাক্তন মহাপরিচালক, আরডিএ, বাংলাদেশ, এবং ডঃ মোঃ মঞ্জরুল আলম, প্রফেসর, ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগ, বিএইউ এবং প্রধান ইনভেস্টিগেটর, ফিল-বাংলাদেশ ফেজ II প্রকল্প।

ভার্চুয়াল সিম্পোজিয়ামটি পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. চয়ন কুমার সাহা, ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগ, বিএইউ। প্রফেসর ড. আলম তার বক্তব্য উপস্থাপনায় বলেন- সরকারি ও বেসরকারি খাতের বীজ, শস্য ও খাদ্য সঞ্চয়স্থানে হারমেটিক ব্যাগ এবং কোকুনকে অভিযোজিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত, হারমেটিক স্টোরেজ ব্যাগ এবং কোকুন আমদানির উপর কর ও শুল্ক মওকুফ, হারমেটিক ব্যাগ এবং কোকুন অন্তর্ভুক্ত করা। কৃষি যন্ত্রপাতিতে কমপক্ষে ১৫% সরকারি ভর্তুকি নিশ্চিত করে কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক গুলিকে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিতে হবে এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কৌশল কার্যকর ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে (DAE) কৃষি প্রকৌশলীদের অবিলম্বে নিয়োগ দিতে হবে।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (BAU, ADMI, KSU-USA, UIUC-USA) শিক্ষক, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক, ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা , শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা (FAO, IFAD, USAID Mission, JICA, HKI, IFDC, UNIDO, GIZ, iDE) এবং উন্নয়ন সহযোগী প্রায় তিন শতাধিক অতিথি সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ২০, ২০২১ ৩:২০ অপরাহ্ন
পুষ্টির চাহিদা পূরণে জিংক সমৃদ্ধ ধান সরবরাহ উৎপাদন পরামর্শ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

বাংলাদেশে প্রতি বছর জিংকের অভাবে ৩৬ ভাগ শিশু ও ৫৭ ভাগ মহিলা অপুষ্টিতে ভুগছে। পাশাপাশি ৪৪ ভাগ কিশোরী জিংকের অভাবে খাটো হয়ে যাচ্ছে। হারভেস্ট বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

পুষ্টির অভাব জনিত কারণে সব ধরণের নারী-পুরুষের শারিরীক দুর্বলতা ও শারিরীক কমবৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা ও গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যশোর শহরের ব্র্যাক টার্ক সেন্টারে হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ আয়োজন করে এ সেমিনারের।

অনুষ্ঠিত কর্মশালায় কৃষি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা ও গবেষকগণ অংশ নেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, মানব দেহের জন্য জিংকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, তাই সকলের পুষ্টি নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে জিংক সমৃদ্ধ ধান।

এ জন্য পুষ্টির চাহিদা পূরণে জিংক সমৃদ্ধ ধান উৎপাদন ও সরবরাহ জোরদার করার গুরুত্ব দেন তারা। সেমিনারে যশোরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ও গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৭, ২০২১ ২:৩৪ অপরাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বিজ্ঞানীদের আরো নিরলস ভাবে কাজ করতে হবে
কৃষি গবেষনা

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বিজ্ঞানীদের আরো নিরলস ভাবে কাজ করতে হবে, মত বিনিময় সভায় বিএআর আই, পরিচালক গবেষণা।

দীন মোহাম্মদ দীনু: হাটহাজীরস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণার মাঠ এবং নভেল বেসিলাসের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, গবেষণা উইং এর পরিচালক ড. মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বিজ্ঞানীদের আরো নিরলস ভাবে কাজ করতে হবে এবং সেই লক্ষে উপকারী নভেল বেসিলাসের উৎপাদন ও বিস্তারের কোন বিকল্প নেই। তিনি নভেল বেসিলাস দিয়ে বারি মাল্টা ১, কাজু বাদাম, পেয়ারা, কলা, উপকারী জীবাণুর কার্যক্রম এবং রোগতত্ত্বের ল্যাব পর্যবেক্ষণ করেন।

এই সময়ে ড. মো. বদরুজ্জামান, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, গবেষণা উইং, ড. মুহাম্মদ জুলফিকার আলী ফিরুজ মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মো. জামাল উদ্দিন, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মো. রবিউল ইসলাম, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন রনি, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মো. পানজারুল হক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরিচালক বলেন, নভেল বেসিলাস এর প্রয়োগ একটি নতুন বিষয় যার উপর ইতোমধ্যেই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট অনেকটা পথ এগিয়েছে। আরো জোড়ালো গবেষণার মাধ্যমে নয়া এই পরিবেশ বান্ধব উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার উপর জোর দিতে হবে। সারা দেশ ব্যাপী এই প্রযুক্তি কৃষকের কাছে সহজ ভাবে পৌছে দিতে হবে। ব্যাক্টেরিয়ার জীবন ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ, কালচার, নামকরণ এবং কৃষিতে উপকারী বেসিলাস এর ব্যবহার প্রয়োগ এবং ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১৩, ২০২১ ২:৪৩ অপরাহ্ন
পেঁয়াজ সংরক্ষণে ডাচ প্রযুক্তি কাজে লাগানো হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষি গবেষনা

দেশে পেঁয়াজের সংরক্ষণ ও সংরক্ষণকাল বৃদ্ধিতে ডাচ প্রযুক্তি ও দক্ষতাকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসে সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের ইমেলুর্ডে শীর্ষস্থানীয় পেঁয়াজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, প্যাকেজিং ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াটারম্যান ওনিয়ন্স’ পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওয়াটারম্যান ওনিয়ন্স সারা বিশ্বে বছরে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানি ও বিপণন করে থাকে।

বাংলাদেশ সরকার পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য কাজ করছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী সেখান থেকে পেঁয়াজের উন্নত জাত, উৎপাদন ও সংরক্ষণকাল বৃদ্ধির প্রযুক্তি আনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিলে নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানির বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে বলে আলোচনা হয়। কারণ সেপ্টেম্বরেও সেখানে পেঁয়াজ হারভেস্ট হয়।

পরে কৃষিমন্ত্রী দেশটির আন্দিকে অবস্থিত শাকসবজি প্রক্রিয়াকরণ, স্টোরেজ সরঞ্জাম ও কৃষিযন্ত্র নির্মাতা-বিপণন প্রতিষ্ঠান ‘অলরাউন্ড ভেজিটেবল প্রসেসিং’ পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রী বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে এরকম শিল্প স্থাপনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ ও সকল সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।

নেদারল্যান্ডসে সফররত বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষিপণ্য রফতানিকারক ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও এ ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। অলরাউন্ড ভেজিটেবল প্রসেসিং কোম্পানি শাকসবজি প্রক্রিয়াকরণে বাছাই, গ্রেডিং, ওয়াশিং, পলিশিং, ওজন, ব্যাগিংসহ হ্যান্ডলিং লাইনের বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্র তৈরি করে।

একইদিন কৃষিমন্ত্রী ইমেলুর্ডে এগ্রোফুড ক্লাস্টারে আলুর উন্নত জাত, উৎপাদন, প্রসেস ও সংরক্ষণ প্রযুক্তি ঘুরে দেখেন। আলু উৎপাদনে জড়িত বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন। দেশে রফতানিযোগ্য আলুর উৎপাদন এবং আলু সংরক্ষণে প্রযুক্তিগত সহায়তা কামনা করেন।

এসময় সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, এসিআই এগ্রো লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফএইচ আনসারী, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের চিফ অপারেটিং অফিসার পারভেজ সাইফুল ইসলাম, এবং জেমকন গ্রুপের ডিরেক্টর কাজী ইনাম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১২, ২০২১ ১:৪০ অপরাহ্ন
করলার নতুন দুটি জাত উদ্ভাবন হাবিপ্রবিতে
কৃষি গবেষনা

দিনাজপুরের হাজী মােহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের পিএইচডি গবেষক ফররুখ আহমেদের গবেষণায় এবং প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান তত্ত্বাবধানে করলার দুইটি নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জাত দুটির নাম দেয়া হয়েছে যথাক্রমে ‘এইচএসটিইউ-১’ ও ‘এইচএসটিইউ-২’

বৃহস্পতিবার (১১নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.আর.টি’র সেমিনার কক্ষে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, পােস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম। আরও উপস্থিত ছিলেন উক্ত গবেষণা কার্যক্রমের সুপারভাইজার প্রফেসর ড. মাে. হাসানুজ্জামান, কাে-সুপারভাইজার প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আরিফুজ্জামান, পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, পরীক্ষা কমিটির সদস্য ড. আবু তাহের মাসুদ, কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ, অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ ব্যাপারে উক্ত বিভাগে অধ্যয়ণরত মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী কৃষিবিদ জাহিদ হাসান বলেন, প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামান স্যারের তত্ত্বাবধানে আরো একটি করলার জাত এবং গমের জাত উদ্ভাবনের কাজ চলমান রয়েছে। উপযুক্ত আবহাওয়া এবং সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীতে আরো জাত উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবে হাবিপ্রবি এবং কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ।

এ বিষয়ে গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. হাসানুজ্জামান বলেন, নতুন উদ্ভাবিত জাতের ফসল ৪২ দিন সময় লাগে কিন্তু আগের গুলো হতে ৪৬দিন সময় নেয়। করলার গায়ের দাঁগ বা কাঁটার পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ার কারণে পরিবহনে সুবিধা। এর একর প্রতি ফলন ১১.২ টন যা আগের তুলনায় ১.২ টন বেশি। প্রতিটি ফলের দৈর্ঘ্য ২৭ সে.মি. এবং ফলের ওজন ২৬০ গ্রাম। যা অন্যান্য জাতের তুলনায় বেশি।

এ সময় মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকার্য সমৃদ্ধ করার প্রত্যয়ে ‘জিন ব্যাংক’ এবং ‘প্রযুক্তি গ্রাম’ প্রতিষ্ঠার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও তিনি কৃষি গবেষণা মাঠের উন্নয়ন, পাবলিক – প্রাইভেট নীতিমালা গ্রহণের বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন।

তিনি আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। তাই বাংলাদেশ এখন কৃষিক্ষেত্রে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হাসানুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে এর আগেও মিষ্টি কুমড়ার দুটি জাত(হাজী ও দানেশ) উদ্ভাবিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ১১, ২০২১ ৩:২৮ অপরাহ্ন
বরিশালে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

বরিশালে বিনা উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনাধান-২০ বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকালে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিনা) উদ্যোগে এই মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলম, ডিএইর উপ-পরিচালক মো. হারুন-অর-রশিদ এবং উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মামুনুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, এসও নাজমুন নাহার পপি, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আজগর মোল্লা এবং এসএএও দীপঙ্কর বাড়ৈ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ শতাধিক কিষাণ-কিষাণী অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিনা মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বিনাধান-২০ পুষ্টিতে ভরপুর। আছে জিঙ্ক এবং আয়রন। জীবনকালও কম। আমনের পর সরিষা ও মুগসহ অন্যান্য রবি ফসল আবাদের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এই ধান আশীর্বাদ।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২১ ২:৪৭ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড আয়োজিত “অনলাইন এগ্রিকালচারাল লিডার্স সামিট” অনুষ্ঠিত
কৃষি গবেষনা

গত ৬ ই নভেম্বর, শনিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড আয়োজিত “অনলাইন এগ্রিকালচারাল লিডার্স সামিট।”

২০২০ এ সালে অনুষ্ঠিত অলিম্পিয়াড টির প্রথম আসরের বিশিষ্ট উপদেষ্টাগণ, বিশেষ অতিথি,সংগঠক, ক্যাম্পাস প্রতিনিধিগণ এবং বিজয়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠান টি জুম এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন অনুষ্ঠান টির উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং কৃষি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রিদের অগ্রযাত্রা কে তুলে ধরেন। আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্রীন সেভারস এর প্রতিষ্ঠাতা জনাম আহসান রনি, ডিরেক্টর অফ এফ্রিভিশন অফ ইকুয়েডর – ন্যাথালি আবারকা( ইকুয়েডর), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. ফাতেমা হক শিখা এবং এনিম্যাল নিউট্রিশন বিভাগ থেকে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রাহাত আহামেদ স্যার।

অনুষ্ঠান টি সফল করতে উপস্থিত ছিলেন – বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড এর প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমান আসিফ, বিভিন্ন ক্যাম্পাসের উইনার এবং ক্যাম্পাস লিডার। তিনি ( আতিকুর রহমান আসিফ) পরবর্তী সিজন গুলোর প্ল্যান এবং কিভাবে আরও সবার মাঝে বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড কে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ এ প্রথম সিজনে প্রায় ৩০ টির ও বেশি ক্যম্পাস থেকে প্রায় ১০০০ প্রতিযোগি এই অলিম্পিয়াড এ অংশ নেন এবং ২ টি রাউন্ড এর ২ টি গ্রুপ থেকে ৪৮ জন উইনার পাওয়া যায়। অনুষ্ঠান টি তে প্রায় ২০০ ভলান্টিয়ার নিয়জিত ছিলেন।

স্পন্সর হিসেবে পাশে থেকেছেন- বাংলাদেশ এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি সোসাইটি।

অনলাইন সামিট এর পরিশেষে একটি কুইজ ও নেওয়া হয়। অনুষ্ঠান টি কে সফল করতে বাংলাদেশ কৃষি অলিম্পিয়াড এর পাশে ছিল- স্পনসর – বাংলাদেশ এনিম্যাল হাসবেন্ড্রি সোসাইটি, গিফট স্পনসর – রেনেসাঁ প্রকাশনী, মিডিয়া পার্টনার- এগ্রিভিউ ২৪, আউটরিচ পার্টনার- পাইওনিয়ার হাব।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৮, ২০২১ ১১:১০ পূর্বাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ৪ দিনব্যাপী কর্মশালা
কৃষি গবেষনা

নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে।

কর্মশালাটির আয়োজন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পুষ্টি বিভাগ।

শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ কনফারেন্স রুমে কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়ামিন হোসেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সালেহা জেসমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

“Awareness building on the importance of food based nutrition information and health impacts” শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্যের ওপর খাদ্যের প্রভাবসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

এতে বিজ্ঞানী, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, উপ-সহকারী কৃষি, মৎস্য প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, সম্প্রসারণ কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, এনজিও প্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা, মৎস্যচাষি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ মোট ৪০ জন অংশগ্রহণ করছেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক ড.  মনিরুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৬, ২০২১ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ চাষে বাম্পার ফলন
কৃষি গবেষনা

কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ প্রথম পরীক্ষামূলক চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাংলাদেশ রাইচ রিচার্জ ইন্সটিটিউট (বিআরআরআই) নতুন জাতের ধান ব্রি ধান ৯৩ চাষ করে প্রথম চাষে বাম্পার ফলন পাওয়ায় খুশি কৃষকও।

উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের ভাটবাড়ি গ্রামের কৃষক আবদুল করিম ৫ কেজি নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ বীজ এনে ৫৪ শতাংশ জমিতে চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কুমিল্লার আঞ্চলিক কার্যলয়ের কর্মকর্তা ড. আমিনুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট কর্তৃক সাম্প্রাতিক উদ্ভাবিত তিনটি জাত ব্রি ধান ৯৩, ব্রি ধান ৯৪. এবং ব্রি ধান ৯৫ স্বর্ণা চাষ এলাকায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে, নতুন অনুমোদিত ব্রি ধান ৯৩ বিদেশী স্বর্ণা এর বিকল্প। এটি রোপা আমন মৌসুমের জাত এর গাছের উচ্চতা ১২৭ সে.মি এবং জীবনকাল ১৩৭ দিন।

কৃষক আবদুল করিম জানান, ব্রি ধান ৯৩ চাষ করে আমি অনেক খুশি, প্রথম চাষে আমার বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করি আমরা বিদেশী জাতের ধান চাষ বাদ দিয়ে নতুন জাতের ব্রি ধান ৯৩ চাষ করে বেশি লাভবান হবো।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত রায় বলেন, ব্রি ধান ৯৩ হলো নতুন জাতের আমরা যাতে বিদেশী ভেরাটি থেকে বাহির হয়ে দেশীয় জাতে ধান চাষে মনোযোগী হই। আমরা আশা করি বিদেশী জাতের ধান স্বর্ণা থেকেও বেশি ফলন দেয় ব্রি ধান ৯৩।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ৪:০০ অপরাহ্ন
পোকা দমনে কীটনাশক এর বদলে জনপ্রিয় হচ্ছে ‘আলোর ফাঁদ’
কৃষি গবেষনা

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ধানক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার না করে আলোর ফাঁদ পেতে ক্ষতিকর পোকা দমন করা হচ্ছে। আমনের খেত সুরক্ষায় আলোর ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কৃষকেরা ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করেছেন। এতে পোকা দমনসহ ক্ষেতে ক্ষতিকর কি ধরনের পোকা রয়েছে, তা শনাক্ত করা যাচ্ছে। ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা দমন করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাশিপুর ব্লকে ‘আলোর ফাঁদ’ স্থাপন করা হয়। ধান পাকার আগ পর্যন্ত ক্ষেতে ওই আলোর ফাঁদ কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

বড়বিলা গ্রামের একটি আমনের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, ধানের জমির পাশে তিনটি খুঁটি দিয়ে একটি বৈদ্যুতিক বাতি ঝোলানো হয়েছে। বাতির নিচে একটি পানির পাত্র রাখা হয়েছে, পাত্রে ডিটারজেন্টমিশ্রিত পানি। বাতি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে ফসলের জমির বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা এসে নিচে রাখা পানিতে পড়ে মারা যাচ্ছে। এভাবেই আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। বৈদ্যুতিক বাতি, চার্জার ও সৌরবাতি দিয়ে এই কাজ করা হয়।

কাশিপুর গ্রামের কৃষক শেখ আতিয়ার রহমান ও বড়বিলা গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, তিনটি বাঁশের লাঠি, একটি বৈদ্যুতিক লাইট, আর পানি রাখার একটি পাত্র দিয়ে তৈরি করা হয় আলোর ফাঁদ। সন্ধ্যাবেলা জমির পাশে বসানো হয় এই ফাঁদ। অন্ধকার ধানের জমি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পোকা ছুটে এসে আলোর ফাঁদে আটকে পড়ে। আটকে পড়া পোকার মধ্য থেকে ক্ষতিকর পোকা চিহ্নিত করে এসবের গায়ে সঠিক মাত্রায় কীটনাশক ও রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়।

তারা বলছেন, এর আগে বিভিন্ন ধরনের কিটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার করে কোন সুফল পাওয়া যায়নি। কিন্তু আলোর ফাঁদের মাধ্যমে পোকা চিহ্নিত করে সঠিক মাত্রায় কিটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার করে সুফল মিলছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর তালা উপজেলায় ৯ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। রোপা আমন মৌসুমে সচেতনতার অভাবে অনেক কৃষক জমিতে ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করার আগেই কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন। এতে ফসলের জমির উপকারী অনেক পোকা মারা যায়। আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি নির্ণয়ের পর ধানের জমিতে পিলা করে কীটনাশক প্রয়োগ করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছ।

তালার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পীযুষ কান্তি পাল বলেন, এরই মধ্যে কিছু কিছু গাছে শীষও বের হয়েছে অনেক জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। এই সময়ে ধানে বাদামি ঘাসফড়িং (কারেন্ট পোকা), সবুজ ঘাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, গান্ধি পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করে। পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করতে আমন খেতে আলোর ফাঁদ ব্যবহার শুরু করা হয়, আর চলবে ধান কাটা পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, কৃষকেরা ক্ষতিকর পোকা দমনে ধানক্ষেতে সাধারণত কীটনাশক ব্যবহার করে থাকেন এতে কৃষকের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হয়। এ কারণে পোকা দমনে আলোর ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে কোনো খরচ নেই। তিনি বলেন কারেন্ট পোকার আক্রমণে অল্প সময়ের মধ্যে খেতের ধান বিনষ্ট করে ফেলে।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, উপজেলার ৩৬টি ব্লকে আলোর ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। এটি বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি। অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষ এই প্রক্রিয়া ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, দিন দিন এটি জনপ্রিয় হচ্ছে।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop