৫:৪০ পূর্বাহ্ন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২১ ১১:০০ পূর্বাহ্ন
কালীগঞ্জে গরু চুরি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে নিহত ১, আহত ৫
পাঁচমিশালি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে গরু চোরের একটি চক্র গরু চুরি করতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে নাতে ধরা পড়ে। এসময় এলাকাবাসীর গণধোলাইয়ে এক গরু চোরের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। আহতের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন ৩ জন।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার নাগরী ইউনিনের উলুখোলা এলাকার কালিকুঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শহীদুল ইসলাম।

নিহতের (৪২) নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। আহতরা হলেন— বগুড়ার সদর উপজেলার ক্ষেত্রদামা এলাকার বাবলার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), একই জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা গেওনা ভিন্নত এলাকার আক্তারের ছেলে নাহিদ মিয়া (৩০), একই উপজেলার তাতভৈরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে হাসান আলী (৩০), নওগাঁর তেজনন্দী পাতবাইন এলাকার মান্নানের ছেলে গাজী হোসেন (৩৫) ও টাঙ্গাইলের ফজর আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৬)।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মো. শহীদুল ইসলাম জানান, সোমবার ভোরে গরু চোরের একটি চক্র উপজেলার নাগরী ইউনিনের কালিকুঠি গ্রামে গরু চুরি করতে যায়। এ সময় গ্রামবাসী টের পেয়ে তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে তারা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর চিৎকারে শত শত লোক এসে তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় তাদের গণধোলাইয়ে চল্লিশোর্ধ একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

খবর পয়ে নাগরী ইউপি চেয়ারম্যান অলিউল্লাহ, কালীগঞ্জ থানাধীন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে যান এবং এলাবাসীকে শান্ত করেন। পরে পুলিশের সহায়তায় নিহতের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লুবনা খানম জানান, হাসপতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহতদের চিকিৎসা চলছে। তবে আহতদের মধ্যে আলমগীর, নাহিদ ও গাজীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেম মিজানুল হক জানান, আহতদের চিকিৎসা চলছে। এছাড়া আহতের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আরো পড়ুন: গরু চুরির অভিযোগে রিকশাচালকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২১ ৯:৫৭ অপরাহ্ন
গরু চুরির অভিযোগে রিকশাচালকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন
পাঁচমিশালি

গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তোতা মিয়া নামে এক রিকশাচালককে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে কোমর থেকে পা পর্যন্ত পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে ঝলসে দেওয়া হয়। তার দুই হাতে দেয়া হয় সিগারেটের ছেঁক। এই ঘটনায় ধারকি পাথারপাড়া এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম নামে এক এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে জয়পুরহাটের ধারকি পাথারপাড়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুঞা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সুপার মাছুম জানান, এ ঘটনায় রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে জয়পুরহাট থানায় মামলা হলে ধারকি পাথারপাড়া এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম নামে এক এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকি পাথারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মন্ডলের ছেলে এবং বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

পুলিশ সুপার জানান, রিকশাচালক তোতা মিয়া গরু চুরি করেছে এমন অভিযোগ তুলে শনিবার সন্ধ্যায় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মধ্যরাতে ইউপি সদস্যসহ একই গ্রামের জুয়েল, আবুল খয়ের ও নিজাম নামের তিন যুবক তাকে ডেকে নিয়ে গরু চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করে। তোতা মিয়া অস্বীকার করলে নির্জন মাঠের মধ্যে গাছের সঙ্গে বেঁধে হাতের তালুতে সিগারেটের আগুন দিয়ে ছেঁকা দিয়ে তারা নির্যাতন চালায়। পরে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত পেট্রোল ঢেলে আগুন দিলে দগ্ধ হয়ে তোতা মিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় রাত ৩টা ২০ মিনিটে তারা তোতা মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় জেলা আধুনিক হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে রোববার ভোরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তোতা মিয়ার স্ত্রী ডলি বেগম আজ সকালে জয়পুরহাট সদর থানায় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ও আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২১ ৩:৫৮ অপরাহ্ন
বিশ্বরেকর্ড করা ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র ধানকাটা উৎসব কাল
কৃষি বিভাগ

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ স্থান নেওয়ার পর এবার সেই শস্য কাটার উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল)। ওইদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কাটতে এবং একইসঙ্গে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পাওয়া শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু আয়োজনের ধান কাটতে বগুড়ায় যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।

উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। উদ্বোধন করবেন ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলতে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে চীন থেকে আনা ডিপ ভায়োলেট রঙের হাইব্রিড ও দেশের ডিপ গ্রিন ধানের হাইব্রিড চারা রোপণ করা হয়।

উচ্চ ফলনশীল দুই ধরনের ধানের চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মযজ্ঞের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। আর চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তুলতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক কাজ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক ছিলেন। এ জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে জমি ইজারা নেওয়া হয়।

ধানের গাছ ছোট অবস্থায় উঁচু থেকে ড্রোন দিয়ে ছবি তোলার পর বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটে উঠতে দেখা যায়। ধানের চারা যতই বড় হয়েছে, ততই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। গত ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের আগেই ১৬ মার্চ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ‘শস্যচিত্র’ হিসেবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর’ প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান লাভ করে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর আয়তন ছিল ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। শস্যচিত্রের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৩০০ মিটার। গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের জন্য। প্রতিদিন শত শত মানুষ শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দেখতে প্রকল্প এলাকায় ভিড় করছেন।

গাঢ় বেগুনি ও সবুজ রঙের ধান গাছে সোনালী রঙের ধানের শীষে ভরে উঠেছে। শীষগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। পুরো ধানের মাঠ বাতাসে দুলছে। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে বঙ্গবন্ধুর চিত্রটিও দুলছে। তাতে রোদ পড়ে চকচক করছে ধানের শীষগুলো। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর এবার ধান কাটার সময় হয়ে পড়েছে।

বিশ্ব রেকর্ডসে স্থান করে নিয়ে ইতিহাস গড়া বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্রটি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র। বিএনসিসি ও কৃষিবিদদের নিপুণ কারুকাজে তৈরি হয়েছে শস্যচিত্রের বিশাল ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধু।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে ধানের ক্ষেতে তৈরি ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ ক্ষেতের ১০০ বিঘা জমির ধান কাটা হবে আগামীকাল সোমবার। ধানকাটার পর সেগুলোর একটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা হবে। বাকি অংশ শুভেচ্ছা স্বরূপ বিতরণ করা হবে কৃষক ও কৃষক সংগঠনের মাঝে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৫, ২০২১ ৩:২৮ অপরাহ্ন
গভীর রাতে গেলো পুকুরে মাছ দেখতে, ভোরে মিলল লাশ!
পাঁচমিশালি

পঞ্চগড়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবে হাসান আলী নামের একজন নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই পুকুরে তিনি মাছ চাষ করতেন।

রোববার ভোর ছয়টার দিকে সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

পঞ্চগড় সদর থানার উপপুলিশ পরির্দশক ফিরোজ ফারুক এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতামাস হুসাইন লেলিন জানান, শনিবার রাত ১টার দিকে স্ত্রী শারমিনা বেগমকে নিয়ে পুকুরে মাছ দেখতে যায় হাসান। স্ত্রীকে নিয়ে পুকুরেও নামেন তিনি। পরে স্ত্রী পুকুর থেকে উঠে এলেও সাঁতার না জানায় হাসান উঠতে পারেনি।

শারমিনা আশেপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে গেলেও তাদের ডুবুরি দল না থাকায় ও পুকুরের গভীরতা বেশি থাকায় তারা হাসানকে উদ্ধার না করেই চলে যায় বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, স্থানীয় লোকজনই রাতে চারটি শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুর থেকে পানি তুলতে থাকে। রোববার ভোরে সেখানে পাওয়া যায় হাসানের মরদেহ।

হাসানের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম জানান, তিনি (হাসান) মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার মৃগি রোগও ছিল। তার স্ত্রী বলছেন, জোর করেই তাকে নিয়ে মাছ দেখতে পানিতে নামে হাসান।

সদর থানার উপপুলিশ পরির্দশক ফিরোজ বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি ইউডি মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ৫:৩৪ অপরাহ্ন
করোনায় চাকরি হারিয়ে মাশরুম চাষে ঘুরে দাঁড়ালেন সাইদুর
কৃষি বিভাগ

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চকরামাকান্ত দহপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমান(৪৫)। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন। গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে চাকরি হারিয়ে বাড়ি চলে আসেন। এরপর ছেলে সাজিদ হোসেন আরাফাত তার বাবাকে মাশরুম চাষের ব্যাপারে পরামর্শ দেন। আর তাতেই বর্তমানে তার ৫৮টি মাশরুম বীজ প্যাকেট (স্পন প্যাকেট) রয়েছে।

মাশরুম চাষের বিষয়ে আরাফাতের আগে থেকে ধারণা থাকায় তেমন বেগ পেতে হয়নি। কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকার মোহাম্মদপুর আঁটিবাজার থেকে ৮ কেজি মাসরুম বীজ আনতে খরচ হয় হাজার টাকা। সাথে আরো ২-৩ হাজার টাকা খরচ করে ৬০টি ছত্রাকের প্যাকেট বা সিলিন্ডার তৈরি করা হয়। এরপর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ১২ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬ ফুট প্রস্থের ঘরে রশিতে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয় এক একটি ছত্রাকের প্যাকেট। যা থেকে উৎপন্ন হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মাসরুম।

মাশরুম চাষি সাইদুর রাহমান জানান, করোনায় চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ছেলের কথামত মাশরুম চাষ করি। অয়েস্টার জাতের মাশরুমের বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করা হয়। ঘরে ৫৮টি মাশরুম বীজ প্যাকেট (স্পন প্যাকেট) আছে।

তিনি আরো জানান, এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭ হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি করেছি। যেখানে আড়াই হাজার টাকার মতো বিনিয়োগ হয়েছে। একেকটি স্পন প্যাকেট তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৩০ টাকা। আর এমন স্পন প্যাকেট বিক্রি হয় ৪৫০ টাকায়। প্রতি কেজি মাশরুম বিক্রি করা হয়েছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। আশেপাশের লোকজন এসে মাশরুম কিনে নিয়ে যান। যখন বেশি উৎপাদন হয় তখন স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করা হয়।

তিনি বলেন, এলাকায় মাসরুমের তেমন পরিচিত না থাকায় মাইকিং ও লিফলেট ছাপিয়ে প্রচারণা করেছি। অনেক ডায়াবেটিস রোগী কিংবা সাধারণ মানুষ চাহিদা দেখিয়েছেন। প্রথমবার ভালো বীজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরও ভালো লাভ হয়েছে। উৎপাদন করা খুব সহজ হলেও বিক্রি করতে অনেকটাই ঝামেলা। যদি বিক্রির নিশ্চয়তা থাকত, তাহলে কাজটি আরোও সহজ হতো। তবে বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা আছে।

সাইদুর রহমানের ছেলে সাজিদ হোসেন আরাফাত জানান, মাশরুম চাষের জন্য দেড় থেকে দুই ইঞ্চি খড় সিদ্ধ করে হালকাভাবে শুকাতে হয়। যাতে চাপ দিলে পানি না ঝরে। এরপর খড়গুলো পলিথিনে প্যাকেটে রেখে তাতে মাশরুমের বীজ দিতে হবে। প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে দিয়ে কয়েকটা ছিদ্র করে দিতে হবে। এরপর ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় অন্ধকার ঘরে রেখে দিতে হবে। দিনে ৮-১০ বার স্পনগুলোতে পানি দিতে হয়। সাধারণত ২৫-৩০ দিনে মধ্যে পলিথিনের গায়ে সুক্ষ ছিদ্র দিয়ে সাদা আস্তরণ দেখা যাবে যাকে মাইসেলিয়াম (মাসরুমের ছাতা) বলে। এরপর মাসরুম খাওয়ার উপযোগী হয়।

মান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার শায়লা শারমিন জানান, সাইদুরের মাশরুমের প্রজেক্টটি দেখেছি। তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমরা কিছু কিনেছিলাম। মাশরুম চাষে মার্কেটিং সবচেয়ে বড় বিষয়। মাশরুম চাষের উপর একটা বরাদ্দ এসেছিল, সেটা এখন আর নেই। পরবর্তীতে কোন বরাদ্দ আসলে তার জন্য থাকবে বলেও তিনি জানান।-জাগো নিউজ

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৪, ২০২১ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
মুরগি ডিম না পাড়ায় থানায় অভিযোগ মালিকের!
পাঁচমিশালি

মানুষ থানায় শুধু চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ আর হত্যার মত অপরাধের অভিযোগ নিয়ে থানায় যান এমনটি নয়। এবার মুরগি কেন ডিম দিচ্ছে না এমন অভিযোগ নিয়েও থানায় হাজির মানুষ। ঠিক এমনটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে জেলার লোনি কালভোর থানায়। সে থানায় মুরগির ডিম না দেওয়ায় এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নিয়ে আসেন অভিযোগ।

জানা যায়, লোনি কালভোর এলাকার মাঠোবাচি আলন্দির কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্মে মুরগি গত সপ্তাহ থেকে ডিম দেয়া বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ রুপি ক্ষতির মুখে পড়েছে। এরপরই ঘটনায় তদন্তে হাজির হয় ওই এলাকা পোল্ট্রি মালিকরা পুলিশও এই অভিযোগ দেখে হতবাক হয়ে গেছে। এক পোল্ট্রি মালিক পুলিশে কাছে অভিযোগে জানান যে, গত ১১ এপ্রিল একটি সংস্থা থেকে মুরগির খাবার কিনেছিলেন তিনি।

তিনি জানান, এই খাবার মুরগিদের দেয়ার পর মুরগি ডিম দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে তার অনুমান। মুরগি কেন ডিম দিচ্ছে না? কেউ ডিম চুরি করছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে এ ঘটনায় তদন্ত টিমও গঠন করা হয়।

এরপর হাঁস-মুরগির ব্যবসায়ীরা একটি ল্যাবে মুরগি পরীক্ষা করে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, নতুন খাওয়ানো খাবারের কারণে মুরগি ডিম দিচ্ছে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ৮:২০ অপরাহ্ন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কৃষককে দুটি গরু কিনে দিলেন যুবক
পাঁচমিশালি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চরবেতকান্দি গ্রামে বজ্রপাতে দুটি গরু মারা যায় দরিদ্র কৃষক ফরিদের। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন এই কৃষক। মারা যাওয়া ষাঁড় দুটির আনুমানিক মূল্য ছিল প্রায় লাখ টাকা। তার এই অসহায়ত্ব দেখে ফেসবুকে সহযোগিতা চেয়ে পোস্ট দেন মামুন বিশ্বাস নামের এক যুবক। সকলের করা সহযোগিতায় কৃষককে দুটি ষাঁড় কিনে দিয়েছেন মামুন।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে শাহজাদপুরে চরবেতকান্দি গ্রামে ফরিদের বাড়িতে গিয়ে দুটি গরু তুলে দেন তিনি। এর আগে সকালে এনায়েতপুর হাট থেকে ৬২ হাজার ৩০০ টাকায় গরু দুটি কেনেন।

কৃষক ফরিদ বলেন, ‘ষাঁড় দুটির মৃত্যুতে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। আজকে সত্যি অনেক খুশি লাগছে নতুন দুটি ষাঁড় পেয়ে। এই গরু দুটি ভালোভাবে লালন-পালন করে আমার স্বপ্ন পূরণ করবে ইনশা আল্লাহ।’

যুবক মামুন বিশ্বাস বলেন, ‘গত ২১ এপ্রিল রাতে কালবৈশাখীর বজ্রপাতে ফরিদের দুটি গরুর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে আমি সকালে ফরিদের বাড়িতে গেলে সবার কান্নাকাটি দেখে বিস্তারিত ঘটনা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেই। পোস্ট দেখে আমার ফেসবুক বন্ধুরা ৬২ হাজার ৫০০ টাকা পাঠান। সেই টাকা দিয়ে আজকে গরু দুটি কিনে দিলাম।’

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২৩, ২০২১ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
ডিসির কাছ থেকে গরু পেয়ে খুশিতে অশ্রু‌সিক্ত বৃদ্ধা
পাঁচমিশালি

ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাস‌ক ড. কেএম কামরুজ্জামান সে‌লিমের কাছ থে‌কে গরু ও আর্থিক সহায়তা পে‌য়ে আন‌ন্দে অশ্রু‌সিক্ত হ‌য়ে‌ছেন এক বৃদ্ধা। তিনি শহরের আদর্শ কলোনির বৃদ্ধা ম‌নোয়ারা খাতুন।

বৃহস্প‌তিবার জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সে‌লিম মনোয়ারা খাতুনকে এক‌টি গরু ও কিছু আর্থিক সহায়তা এবং চাল, ডাল তেলসহ শুকনা খাবার উপহার দেন। আশা পূরণের আনন্দে এসময় অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন মনোয়ারা খাতুন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন-এর আয়োজনে জেলায় কর্মরত ৬১টি দপ্তর এবং কিছু এনজিও ও জনপ্রতিনিধির আর্থিক সহায়তায় শতভিক্ষুককে বকনা বাছুর উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়েছিল। মনোয়ারা খাতুন তখন ওই উপহার থেকে বঞ্চিত হন। প‌রে বিষয়টি জানতে পারেন জেলা প্রশাসক।

প্রতি বুধবার জেলা প্রশাসক যে গণশুনানি করেন, সেখানে উপস্থিত হন মনোয়ারা খাতুন।

গণশুনানিতে সাধারণত স্বল্প পরিসরে চিকিৎসা সহায়তা, বই ক্রয়ের জন্য সহায়তা, ফরম ফিলাপের জন্য সহায়তা, জমি-জমা সংক্রান্ত সহায়তা ইত্যাদি সহায়তা করা হয়। সেখানে কাউকেই গরু-ছাগল বা এ জাতীয় সহায়তা সাধারণত করা হয় না। তবে মনোয়ারা খাতুন গণশুনানিতে জেলা প্রশাসক‌কে এমনভাবে কনভিন্স করেছেন যে, জেলা প্রশাসক তার আবদার ফি‌রি‌য়ে দি‌তে পারেননি।

জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সে‌লিম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন একইভাবে আনন্দিত মনোয়ারা খাতুনের আনন্দে। এভাবে ছোট ছোট আনন্দ মানুষের মুখে ফুটানোই জেলা প্রশাসনব্রত বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২১ ৬:৪৬ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের দু‘গরুর মৃত্যু
পাঁচমিশালি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চরবেতকান্দি গ্রামের দরিদ্র কৃষক ফরিদ হোসেন ঋণ নিয়ে কিনছিলেন দুটি গরু। যার ঋণের কিস্তি এখনও পরিশোধ না হতেই বজ্রপাতে মারা যায় তার দুটি গরু। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েন অসহায় কৃষক। গরু দুটির মূল্য আনুমানিক প্রায় লাখ টাকা।

বুধবার (২১ এপ্রিল) রাতে শাহজাদপুর উপজেলার ওই গ্রামটিতে কালবৈশাখীর ঝড় আঘাত হানে।

কৃষক ফরিদ হোসেন জানান, তিনি অন্যের জমিতে দিনমজুর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। চলতি বছরে এনজিও থেকে ৬৫ হাজার লোন নিয়ে আর সঞ্চিত কিছু টাকা দিয়ে ৭৪ হাজার টাকায় গরু দুটো কেনেন।

বুধবার রাত ১০ দিকে বজ্রপাতের বিকট শব্দ হলে গোয়ালঘরে ঢুকে দেখতে পান দুটি গরুই ঝলসে মাটিতে পড়ে আছে। আশেপাশে লোকজন ছুটে আসলেও তার আগেই একটি গরু মারা যায়। আর একটি নড়াচড়া করতে করতেই কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায়।

ফেসবুকের মাধ্যমে মানবসেবার কাজ করা মামুন বিশ্বাস বলেন, বুধবার রাতে কালবৈশাখীতে ঋণের টাকায় কেনা দু’টি ষাঁড়ের বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ফরিদের স্ত্রী মমতা কান্না করছেন। কিভাবে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে তার ছেলেও কিডনি রোগে আক্রান্ত। সব মিলিয়ে একটি পরিবারের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি এ অসহায় দম্পতির পাশে দাঁড়ান তাহলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তারা।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২১ ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠিতে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
কৃষি বিভাগ

চলছে কঠোর লকডাউন। আর এই লকডাউনে শ্রমিক না পেয়ে অন্য সবকিছুর ন্যায় কোণঠাসা হয়ে আছে কৃষকরাও। আর এই পরিস্থিতিতে ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের দারখি গ্রামের কৃষক খলিল সরদারের দুই বিঘা জমির পাকা বোরো ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে ছাত্রলীগ।

জানা যায়, দুই দিন ধরে সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের দারখি গ্রামের কৃষক খলিল সরদারের জমির ধান কেটছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে যেমন খুশি কৃষক, তেমনি ভালো কাজ করতে পেরে গর্বিত ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা।

কৃষক খলিল সরদার জানান, তাঁর দুই বিঘা জমিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনাকালে কঠোর লকডাউনের মধ্যে ধানকাটার শ্রমিক পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষক। শ্রমিকের খোঁজে তিনি বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ান। শ্রমিক না পাওয়ার খবর শুনতে পান ঝালকাঠি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লুসান।

তিনি কৃষক খলিল সরদারের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে কৃষক রাজি হলে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে ধান কাটা শুরু করেন লুসান।

বুধবার দুই বিঘা জমির ধান কাটা শেষ হয়। কাটা ধান মাথায় করে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ায় কৃষক খলিল সরদার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শ্রমিক দিয়ে ধান কাটালে প্রায় ৫/৬ হাজার টাকা খরচ হতো।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান লুসান জানান, লকডাউনের মধ্যে যদি কোন মানুষ বিপাকে পড়ে সহযোগিতা চায়, ছাত্রলীগ তাদের পাশে দাঁড়াবে। এক কৃষকের দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে জেলার যেখানে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে সেই কৃষকের ধান কেটে দিবে ছাত্রলীগ।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop